পাকিস্তানী বুলেট যে জাতিকে পরাস্ত করতে পারেনি; সে জাতি আজ অবলীলাক্রমে হিন্দি সংস্কৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করছে! বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যে জাতি রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলা’ অর্জন করেছে; সে জাতি আজ অবলীলাক্রমে হিন্দি আওড়ায়। এসব কিছুর পেছনে রয়েছে হিন্দু সংস্কৃতি ও চ্যানেলের আগ্রাসন এবং ভারতের চাপ প্রয়োগ। এর প্রতিরোধ হওয়া আবশ্যক এবং প্রতিহত করা অনিবার্য  ৫

সংখ্যা: ২১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভারতীয় সব সিরিয়াল, নাটক চরম অশ্লীল ও বিকৃতভাবে নির্মিত। এসব অনুষ্ঠানের নেতিবাচক প্রভাব বোঝা যায় সামাজিক অবক্ষয়ের নানা ঘটনা থেকে। বিদেশী, ভারতীয় কোনো পত্রিকায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক খবর ছাপানো হয় না। অথচ ভারতীয় খবর ছাড়া এদেশের পত্রিকা প্রকাশ হয় না। এসব খবর দর্শকদের হিন্দি সিরিয়াল, সিনেমা দেখতে অনুপ্রাণিত করছে। চীন, হংকং, সিঙ্গাপুরে বিদেশী সংস্কৃতির প্রবেশ এক প্রকার নিষিদ্ধ। তাদের বক্তব্য- দেশের সব মানুষ দেশজ সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণভাবে হৃদয়ঙ্গম করার পর বিদেশী সংস্কৃতি উন্মুক্ত হবে। দেশজ সংস্কৃতি প্রচলনের জন্য সেসব দেশের সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এটা এদেশের সরকারেরও করা উচিত। এদেশে অন্য সব সংস্কৃতি বন্ধ করে পুরো মাত্রায় ইসলামী তাহযীব তামাদ্দুন জারি করা উচিত।

অন্যদিকে হিন্দি ভাষা এখন অনেকের আলাপচারিতা চর্চার অংশ হয়ে উঠছে। জ্ঞানচর্চা, ব্যবসা, অর্থনৈতিক প্রয়োজনে ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তার মতো হিন্দির গুরুত্ব না থাকলেও এর চর্চা দিন দিন বাড়ছে। অবস্থা দৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান আমলের উর্দুর মতো এখন এ জাতির ঘাড়ে হিন্দি চেপে বসছে।

সার্কের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের নামে ভারতীয় ছায়াছবি আমদানির চেষ্টা করছে সরকার। অথচ সার্কভুক্ত দেশ পাকিস্তান, ভুটান এখন চলচ্চিত্র নির্মাণ করে না। এদেশে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের ছবির চাহিদা নেই। অর্থাৎ এটা কেবলমাত্র ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির বাহানা।

অপরদিকে খোলামেলা স্বীকার করে ভারতীয় রাজনীতিক, কলামিস্ট শশী থারুর বলেছে, ‘কামান, বন্দুকের বদলে টিভি চ্যানেল, সিনেমা স্টুডিও দিয়ে ভারত বিশ্বজয়ে নেমেছে।’ ভারতীয় শিল্প বণিক-শিল্প মহাসংঘ, গ্লোবাল কনসালট্যান্ট’র যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি প্রকাশিত এক হিসাবে বলা হয়, ‘ভারতীয় চলচ্চিত্র ১১ শতাংশ হারে রাজস্ব সংগ্রহ করে ২০১০ সালে আয় ২ হাজার ৪২৫ কোটি ডলারে পৌঁছে। এ আয় আরও বাড়াতে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে।’ অভিযোগ উঠেছে, ভারত সরকারের এ উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার সহায়তা করছে।

তথ্য মতে, ২০১০ সালের মাঝামাঝি ভারতীয় হিন্দি ছায়াছবি আমদানি, প্রদর্শনের অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গোপনে আবেদন করে ঢাকার সিনেমা হল মালিকদের সংগঠন মেট্রোপলিটন এক্সিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশন। সরকারের সমর্থন পেতে ভারতীয় মন্ত্রীকে দিয়ে তদবির করানো হয় বলে তখন অভিযোগ ওঠে। সরকার বাধ্য হয়ে আমদানি নীতিমালা পরিবর্তন করে নতুন নীতিমালায় চলচ্চিত্র আমদানি করার এসআরও জারি করে। এর বিরুদ্ধে দেশের শিল্পী, কলাকুশলীরা আন্দোলন করে। এক পর্যায়ে সরকার এসআরও পরিবর্তন করে আমদানির বিধান বাতিল করে। এসআরও জারি, এটি বাতিল করার মধ্যবর্তী সময়ে প্রেক্ষাগৃহের কয়েক মালিক এলসি করে ভারতীয় তিনটি সিনেমা (সংগ্রাম, বদলা, জোর) আনে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেন্সর বোর্ড থেকে অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় ওই তিন ছায়াছবি দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। আদালত এসআরও বাতিলের আগে আনা চলচ্চিত্র তিনটির ব্যাপারে অনাপত্তি দিতে নির্দেশ দেয় গত বছরের ২৭ মার্চ ২০১১ঈসায়ী তারিখে।

রায় বাস্তবায়ন, না আপিল করা হবে জানতে চাইলে সেন্সর বোর্ডের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলে, ‘আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’ এ প্রসঙ্গে নানাভাবে চেষ্টা করা হলেও তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য জানা যায়নি। তথ্যসচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন জানায়, ‘এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। মতামত পাওয়ার পর তথ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।’

সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয় রায় বাস্তবায়নের পক্ষে। অন্যদিকে সেন্সর বোর্ড সূত্র জানায়, সিনেমা আমদানির বিধান বাতিল করার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা উচ্চ আদালতে আরও একটি রিট করেছে।

জানা যায়, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় থেকে ভারতীয় ছবি আমদানি, প্রদর্শন এদেশে বন্ধ করা হয়। ১৯৭২ সালে আবার আমদানির দাবি উঠলেও ওই সময় বঙ্গবন্ধুর সরকার তা করেনি। এরপর বিভিন্ন সরকারের সময় দাবি উঠলেও কোনো সরকার আমদানির পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়নি। অথচ মহাজোট সরকার ভারতীয় সিনেমা আমদানির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

অন্যদিকে বলিউড সিনেমার আগ্রাসন এরই মধ্যে দেশের সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের অলিগলির সিডি দোকান ভারতীয় সিনেমা, গানের সিডি-ভিসিডি, ডিভিডিতে সয়লাব। বলিউডে ছায়াছবি মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে সিডি আকারে চলে আসে। তরুণ প্রজন্ম সেসব সিডি কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠছে। এসবে উৎসাহ দিচ্ছে দেশের মিডিয়া। বেসরকারি রেডিও চ্যানেলগুলো হিন্দি গানের অনুষ্ঠান প্রচার করছে। চারটি এফএম রেডিওতে ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫টি হিন্দি গান প্রচার হচ্ছে। প্রথমসারির দৈনিক পত্রিকাগুলোর পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠাজুড়ে থাকে ভারতীয় অভিনেতা, অভিনেত্রীদের খবর। মুঠোফোন কোম্পানিগুলো ফোনের রিং টোনে দিচ্ছে হিন্দি গান। (নাঊযুবিল্লাহ) (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ আরিফুর রহমান

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১