প্রসঙ্গ: বাংলাদেশ থেকে লাখো কোটি টাকা পাচার। স্বাধীন দেশে এর চেয়ে বড় বৈষম্য ও শোষণ আর কী হতে পারে?

সংখ্যা: ২৫৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি গেছে ৮০০ কোটি (১০১ মিলিয়ন ডলার) টাকা। এ নিয়ে কিছুটা হলেও হৈ চৈ হয়েছে। কিন্তু একই রকম ঘটনা ঘটছে আরো।

দেশ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে পাচার, চুরি ও লুট হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। যার পরিমাণ প্রায় ৬ লাখ ৮২ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। যা বর্তমান জিডিপি’র প্রায় ৪০ শতাংশ।

উল্লেখ্য, দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের পরিমাণ, (জিডিপি) ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে মিসিং অর্থ যোগ করলে মোট জিডিপি হতো ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকার।

চলতি বছর প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। যদি জিডিপিতে চুরি যাওয়া অর্থ যোগ করা যেত তাহলে দেশের জিডিপি’র হার হতো ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। যা চীনের প্রবৃদ্ধির হারের চেয়েও ১ শতাংশ বেশি।

এনবিআরের তদন্তে ৩২৪টি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে, যারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে গত প্রায় দুই বছরে ৭৮৯ কোটি ২২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৮ টাকা পাচার করেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অদিতি অ্যাপারেলস লিমিটেডের নাম আছে। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ আছে ৭৪৪ শেওড়াপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা। গত দুই বছরে প্রতিষ্ঠানটি কাগজে-কলমে বেশ কয়েক দফায় দুই কোটি ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৭ টাকার কাঁচামাল আমদানি করেছে। এনবিআর গঠিত তদন্ত কমিটি ওই ঠিকানায় গিয়ে অদিতি অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পায়নি। এনবিআর বলছে, এ প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া বা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে কাঁচামাল আমদানির নামে অর্থ পাচার হয়ে আসছে। এভাবে বিভিন্ন মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে বন্ড সুবিধা পাওয়া ৩২৪টি প্রতিষ্ঠান বড় অঙ্কের অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে।

জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠান তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, মালয়েশিয়া, চীন, ওমান, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ভিয়েতনাম, ডেনমার্কসহ ২১টি দেশ থেকে পণ্য আমদানির নামে অর্থ পাচার করেছে। পণ্য আমদানির নামে অর্থপাচারে সর্বোচ্চ এক কোটি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত একবারে পাঠানো হয়েছে। শুল্ক, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সন্দেহের বাইরে থাকতেই এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।

এদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার এক জরিপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিদেশ থেকে যে পরিমাণ রেমিটেন্স আসে তার প্রায় ৪০ শতাংশই হুন্ডির মাধ্যমে। ফলে ওই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

পাশাপাশি দেশ থেকে বর্তমানে মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানির নামে ব্যাপকভাবে টাকা পাচার হয়েছে। ২০১৩ সালে দেশে তেমন একটা বিনিয়োগ হয়নি। শিল্প উৎপাদন বাড়েনি, তারপরও শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি বেড়েছে। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। টাকা পাচার রোধ করা না গেলে দেশের উন্নয়ন হবে না। বরং সমাজে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হবে; যা দেশকে বড় ধরনের সঙ্কটের দিকে নিয়ে যাবে। অর্থ পাচারের ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে দেশের বাজেটে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে। এই ঘাটতি মেটাতে সরকারকে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের উপর নির্ভর করতে হয়। এই প্রবণতার ফলে তুলনামূলকভাবে সরকার দরিদ্র হয়ে যায়। সরকারের চেয়ে ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা সমাজে বড় ধরনের ভারসাম্যহীতার সৃষ্টি করে। অর্থ পাচারের ফলে দারিদ্র্যবিমোচন বা জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে সরকারের অবদান কমে যায়। জনগণ দরিদ্রতায় ভোগে। দেশী বিনিয়োগ কমে যায়। কর্মসংস্থানেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বেকারের সংখ্যা ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যায়। পাচার হওয়ার কারণে দেশী বিনিয়োগ কমে যায়। একই সঙ্গে বিদেশী বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। যা দেশের শাসন ব্যবস্থাকে বড় ধরনের হুমকির মুখে ফেলে দেয়। ভেঙে পড়ে শাসনতান্ত্রিক কাঠামো। ধনী আরো ধনী হয়। আর গরিবের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ে। গরিব তিলে তিলে নিষ্পেষিত হয়। এর প্রভাবে একদিকে সমাজে যেমন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা কমে যায়। অন্যদিকে চোর, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী তৈরি হয়।

অপরদিকে টাকা পাচারের ফলে সৎভাবে জীবনযাপন যারা করতে চান, তারা বেশি করে চাপের মুখে পড়েন। কেননা তারা সম্পদ গোপন করতে চান না। ফলে তাদেরকে বেশি করে কর দিতে হয়। আর যারা টাকা পাচার করে বা সম্পদ গোপন করে কালো টাকার সৃষ্টি করে তাদেরকে কর কম দিতে হয়। ফলে সমাজে সুষম কর কাঠামোও গড়ে উঠে না। এছাড়া পাচার করা অর্থ সাম্প্রতিককালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থ পাচারের নেপথ্যে রয়েছে মূলত দুর্নীতি, অনিয়ম ও আইন প্রয়োগে শিথিলতা তথা গণতান্ত্রিক রাজনীতি তথা দলীয়ভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার প্রবণতা ও ক্ষমতা অপব্যবহারের ধারাবাহিকতা। গণতান্ত্রিক শাসন ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা এসব খাতে প্রভাব খাটিয়ে টাকা পাচার করে। টাকা পাচার হচ্ছে গণতান্ত্রিক দুর্নীতির মাধ্যমে, এই টাকা অর্জনও হচ্ছে গণতান্ত্রিক দুর্নীতির মাধ্যমেই। তাই সবার আগে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। তথা গণতন্ত্র নির্মূল করতে হবে। গণতন্ত্র তথা দুর্নীতি বন্ধ না হলে টাকা পাচার বন্ধ হবে না। কজেই দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে ‘দুর্নীতির মা’ ‘গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা’ বা ‘গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা’ পরিহার করে ‘সম্মানিত ইসলামী অনুশাসন’ বা ‘খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ’ গ্রহণ করতে হবে। গণতন্ত্রের কুফল সম্পর্কে সবাইকে সম্যক সচেতন হতে হবে। গণতন্ত্র পরিহারে সক্রিয় হতে হবে।

-আল্লামা মুহম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।