প্রসঙ্গ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশে অন্য কিছু নয় একমাত্র পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আবেদনই দেশ থেকে যথাযথভাবে অপরাধ নির্মূল করতে পারে

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।

চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধ বেড়েছে। উদ্বেগজনকভাবে। রীতিমতো জ্যামিতিক হারে। বেড়েছে শিশু ও নারী অপহরণ। শিশু ও নারীসহ এক বছরে মোট অপহৃত হয়েছে ২ হাজার ৬১৫ জন। এদের মধ্যে কতজনকে পুলিশ উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশের কাছে তার রেকর্ড নেই। অপরাধীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ সদস্যরাও। কেবল রাজধানীতে নয়, সারা দেশেই অপরাধ বাড়ার একই চিত্র। পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী- গত ১ বছরে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৮০০।

এ চিত্র পাওয়া গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরই গত অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য থেকে। সে অনুযায়ী ওই সময়ে রাজনৈতিক গোলযোগ, শ্রমিক অসন্তোষসহ প্রায় সব ধরনের অপরাধ বেড়েছে। খুন, সম্ভ্রমহরণ, অগ্নিসংযোগ, ডাকাতির হার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বেড়েছে এসিড নিক্ষেপের ঘটনাও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসেছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার তথ্য। এউপর গত প্রায় ছয় মাসে অপরাধের গতি কমা দূরের কথা, বরং অনেকাংশেই বেড়েছে।

অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতোই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ বিভাগের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ২০১১-১২ অর্থবছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করে গত মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হলেও ওই প্রতিবেদনেই দেশে প্রতি লাখ জনসংখ্যায় সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কয়েক বছর ধরেই সম্ভ্রমহরণের ঘটনা বেড়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরের তুলনায় ২০১০-১১ অর্থবছরে সম্ভ্রমহরণ বেড়েছে ৩৭৫টি; যার ধারাবাহিকতা রয়েছে ২০১১-১২ অর্থবছরেও। ২০০৯-১০ থেকে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিসংযোগ ও রাহাজানি বেড়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরের তুলনায় ২০১০-১১ অর্থবছরে নারী নির্যাতন বেড়েছিল চার হাজার ২৮৬টি।

একথা ঠিক যে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সব অপরাধ নির্মূল করা যাবে না। তবে কমানো যাবে। কিন্তু চুরি, ডাকাতি, খুন, দুর্নীতি ইত্যাদি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কারণ আইনের প্রয়োগ নেই। রাজনৈতিক কারণে অপরাধ করেও অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের খুঁটির জোর সাধারণ মানুষের তুলনায় বহুগুণ বেশি। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলই অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এককভাবে সম্পূর্ণ দোষ দেয়া যায়না। কারণ তাদের হাত বাঁধা। অপরাধ বাড়ার আরো একটি কারণ হলো, মূল অপরাধীকে ধরা হয়না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো দিনই গডফাদারদের ধরতে পারেনা। ধরে বাহকদের। গডফাদাররা রাজনৈতিক প্রশ্রয় পায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা খুব বেশি ছিল না। তার পরও কয়েকটি ক্ষেত্রে অপরাধ বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক গোলযোগকে দায়ী করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে যদি গত বছর অপরাধ বেড়ে থাকে তাহলে এ বছর সেই সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। সরকারের মেয়াদের শেষ বছর হওয়ায় প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি রাজপথে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য জামায়াত সহিংস আচরণ করছে। এ ছাড়া দাবির মিছিল নিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন মাঠ গরম করে রেখেছে। তাদেরকে সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এই সুযোগে সাধারণ অপরাধ দমনে পুলিশ সময় দিতে পারছে না। আর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ বলতে পোশাক খাতেই গোলযোগ বেশি ছিল।

তবে অপরাধ বেড়ে যাওয়ার জন্য শুধু রাজনৈতিক ও শ্রমিক অসন্তোষই দায়ী নয়। এর বাইরে কিছু সামাজিক কারণও রয়েছে। যদি রাজনৈতিক কারণই হবে তাহলে সামনের দিনগুলোতে এটা আরো বেড়ে যেতে পারে। এসিড নিক্ষেপের ঘটনা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগজনক। অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হলে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরাধীকে ধরে থানায় নেওয়ার পর তদবির করে ছাড়িয়ে আনার সংস্কৃতি বন্ধ করতে পারলে অপরাধ অর্ধেক কমে যাবে। সব বাহিনীকে তাদের মতো কাজ করতে দিতে হবে।

এদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের গত সেপ্টেম্বর মাসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গুপ্তহত্যা, অপহরণ, ক্রসফায়ার নিত্যদিনের ঘটনা। তার মধ্যে দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া মানুষের তালিকা। কাউকে কাউকে ব্যস্ত রাজপথ থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অপহরণকারীদের বাহন ছিল কালো কাচে ঢাকা মাইক্রোবাস। এ গাড়িগুলো কোথা থেকে আসে, কোথায় চলে যায় কেউ জানে না। মাসের পর মাস যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে পথে পথে ঘোরেন স্বজনরা। কারো কারো লাশ মিললেও গুপ্ত হত্যার কোনো সুরাহা হয় না। ধরা পড়ে না খুনি। এর মধ্যে রহস্যময় গাড়ির আনাগোনাও চলতে থাকে।

উল্লেখ্য, অন্যান্য তত্ত্বের মতোও বাজারে অপরাধতত্ত্বের বইও অনেক আছে । এসব বই রীতিমতো পুলিশ ও বিচার বিভাগের হর্তাকর্তাদের একান্ত পাঠ্য বিষয়। কিন্তু এসব অপরাধ তত্ত্বের বইগুলোতে অপরাধের মূল-তত্ত্ব-ইবলিশ, নফস এবং সামাজিক কু-পরিবেশ ইত্যাদির কথা লেখা থাকেনা। অপরদিকে সামাজিক কু-পরিবেশ থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে যেসব আপাত পদ্ধতি তথা- সাহিত্যে, সংস্কৃতি, নাটক-সিনেমা ইত্যাদিকে উপায় হিসেবে গ্রহণ করা হয় তাতে অপরাধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

উল্লেখ্য, নাটক-সিনেমা তথা সাহিত্যে একটা জিনিসই উল্লেখ করতে চায়, সেটা হলো তার একটা অবস্থা, একটা সমাজ, সমাজ জীবনের নানা অসঙ্গতি, পারিবারিক জীবনের নানা জটিলতা, রাজনৈতিক ক্ষেত্রের অস্থিরতা, অর্থনীতির দুরবস্থা, মানব জীবনের প্রেম-ভালবাসার বিভিন্ন দিক ইত্যাদি ফুটিয়ে তুলতে চাওয়া। অন্তর্নিহিত অবস্থাটা প্রকাশ করতে চাওয়া। কিন্তু একটা বিষয়ে তারা নিশ্চুপ। তারা এর সমাধান চায়না। তারা বিষফোঁড়াটাকে শুধু চুলকিয়ে বিস্তার ঘটাতে চায় কিন্তু মলম লাগিয়ে সুস্থ করার দায় তাদের নয়।

পাশাপাশি তারা খোলামেলাভাবেই স্বীকার করে থাকে যে, নাটক, সিনেমা শুধুই গণমাধ্যম নয় পাশাপাশি এটা বাণিজ্যিক কার্যক্রমও। এই বাণিজ্যিক কার্যক্রমের নামে এতে ঢুকানো হয় প্রেম-ভালবাসার বাণিজ্যকরণ, অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি থেকে পোশাক, নাচ তথা প্রায় বিবস্ত্র দেহ প্রদর্শনী। সেই সাথে ভায়ালেন্স, সন্ত্রাস, ধর্ষণ ইত্যাদি সবকিছু। বলাবাহুল্য, এসব কিছুই খাছ ছবক হিসেবে কাজ করে নাটক-সিনেমা দর্শী ছাত্র যুবক তথা সবার মাঝে।

মূলত এরা সবাই অপরাধের মা। এই অপরাধের মা জন্ম দেয় লক্ষ লক্ষ অপরাধীরার। সিনেমা-টিভি-নাটক সংস্কৃতি সেবীর তৈরি হয় একেক জন লম্পট, সন্ত্রাসী তথা দুর্নীতিবাজ তথা অপরাধীতে।

উল্লেখ্য, ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশে অপরাধ দমনের সবচাইতে সোজা ও সঠিক পদ্ধতি হল- পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের কথা মুবারক বলা। কারণ আমলে ফাসিক হলে তাদের অন্তরে অন্তত পবিত্র ঈমান উনার নূর আছে। এই নূরের কাছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার কথা বললে তা নূরময় হয়ে অন্তরে ঢুকে। যা অন্য কিছুর দ্বারা সম্ভব নয়। কাজেই ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশে অপরাধী ও অপরাধ প্রবণতা নির্মূলের পেছনে নাটক-সিনেমা-টিভি-সংস্কৃতি ইত্যাদি প্রযোজ্য নয় বরং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আহবান তথা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আবেদনই যথাযথ। আমাদের মাঝে যত তাড়াতাড়ি এ অনুভূতির উদয় হবে তত তাড়াতাড়িই এদেশ থেকে অপরাধী ও অপরাধের নির্মূলীকরণ হবে।

মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে  পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আরিফুল্লাহ

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১