বর্তমান সরকার কী ভারতকে বাংলাদেশের পানি ও স্থলভাগের সব সুবিধা উজাড় করে দিয়েই যাবে? আর বিনিময়ে পাবে  আগ্রাসীমূলক আচরণ। সরকারের উচিত- নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত করা

সংখ্যা: ২৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় একটি কোম্পানি (ওভিএল) হাইড্রোকার্বনের (খনিজ জ্বালানি) খোঁজে উপকূল থেকে কিছুটা দূরে বঙ্গোপসাগরে একটি অগভীর ব্লকে অনুসন্ধানমূলক কূপ খনন করবে। তবে গ্যাস পাওয়া গেলে ওই কোম্পানি তা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারবে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে উজ্জীবিত হয়ে ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড (ওভিএল) মহেশখালীর কাছে অগভীর গ্যাস ব্লক এসএস-০৯-এর আওতায় উক্ত কূপ খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকার, পেট্রোবাংলা, দি কনসোর্টিয়াম ওভিএল, অয়েল ইন্ডিয়া লি: (ওআইএল) ও বাপেক্স-এর মধ্যে ব্লক এসএস-০৪ এবং এসএস-০৯ সংক্রান্ত প্রোডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্টাস (পিএসসি’এস) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসএস-০৪ ব্লকটি ৭২৬৯ বর্গকিলোমিটার ও এসএস-০৯ ব্লকটি ৭০২৬ বর্গকিলোমিটার পরিধি নিয়ে বিস্তৃত। এখানে উভয় ব্লকের পানির গভীরতার মাত্রা ২০ থেকে ২০০ মিটার। কনসোর্টিয়াম ওভিএল ব্লক এসএস-০৪-এর জন্য ৫৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ব্লক এসএস-০৯-এর জন্য ৮৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার অঙ্গীকার করেছে।

তীব্র প্রাকৃতিক গ্যাস সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। উপরন্তু প্রতিদিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। দেশে ৩৩০০ মিলিয়ন এমএমসিএফডি’র জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদার বিপরীতে দৈনিক গড় উৎপাদন হয় ২৭০০ মিলিয়ন ঘন ফুট। এদিকে এককভাবে দেশের গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকেই পুরোটা প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন হয়। সেদিক থেকে বঙ্গোপসাগরে গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাব্যতার ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করার বিষয়টি এখনো সুদূরপরাহত। বাংলাদেশ সরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের স্বার্থে বঙ্গোপসাগরে গ্যাস কূপ ও অনুসন্ধান না চালিয়ে বিদেশী তথা ভারতীয় কোম্পানিকে ২ ব্লকে গ্যাস কূপ খননের জন্য দিচ্ছে। আর যদি গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে তারা সেই উত্তোলিত গ্যাস তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করবে। আর এতে করে দেশের গ্যাস বিদেশে পাচার হয়ে যাবে ।

পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুধু ভারতেরই স্বার্থ রক্ষা করে যাচ্ছে। বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে এ পর্যন্ত কিছুই পায়নি। বাংলাদেশ সরকার দেশের সার্বভৌমত্বের কথা চিন্তা না করে ভারতকে পানি, স্থলপথে নানা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট দিয়ে যাচ্ছে। ভারতের জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য বিনা ফি’তে বিশেষ ট্রানজিট সুবিধা দেয়া হয়েছে ভারতকে, আশুগঞ্জ বন্দর ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের মংলা ও চট্টগ্রামকে ভারতীয় জাহাজের পণ্য পরিবহনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে, ভারতকে বিদ্যুৎ করিডোর দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে, ভারতকে দেয়া ট্রানজিট কার্যকরের জন্য অন্তর্গত নৌবন্দরকে পোর্ট অব কল ঘোষণা করা হয়েছে, ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে গ্যাস সরবরাহের জন্য ভারতকে বাংলাদেশ সরকার গ্যাস ট্রানজিট দিয়েছে, বাংলাদেশের ন্যায্য প্রাপ্য তালপট্টি দ্বীপ ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভারতকে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের জনগণ সবসময় পেয়ে আসছে আগ্রাসীমূলক আচরণ।

সমালোচক মহল বলে থাকেন, আ’লীগ সরকার ভারতকে সবকিছু উজাড় করে দেয়ার বিপরীতে ভারত ফারাক্কা ব্যারাজ দিয়ে অবৈধভাবে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে মরুভূমি বানানো ষড়যন্ত্র করছে। সেইসাথে তিস্তাসহ পঞ্চাশোর্ধ অভিন্ন নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশী বিভিন্ন পণ্য ভারতের রফতানীতে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদেরকে বহুদিন থেকে ভারত হয়রানি করে আসছে। বিভিন্ন রফতানীযোগ্য পণ্য আটকে দিয়ে বাংলাদেশের সাথে ব্ল্যাকমেইল করছে। ভারতীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের সাগরের সীমানায় ঢুকে মৎস্যসম্পদ লুট করছে। প্রতিদিন সীমান্তে ভারতীয় হানাদার বিএসএফ কয়েকজন করে বাঙালিকে গুলি করে হত্যা বা আহত করছে। ভারতের সীমান্তে ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের কারখানা তৈরি করে বাংলাদেশে পাচার করে বাংলাদেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করছে।

সচেতন সমাজের বরাতে মন্তব্য করা হচ্ছে- আন্তর্জাতিক আইনকে বুড়ো অঙ্গুলি প্রদর্শন করে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে ভারত। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪১৫৬ কিলেমিটার সীমান্ত রয়েছে। যার মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বাকি রয়েছে ৩৩১ কিলোমিটার। ফলে ভারতের এই বেড়া নির্মাণে বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত অভিজ্ঞমহল মনে করেন, ভারতীয়রা বাংলাদেশের উপর নানা আগ্রাসী আঘাত হানার চেষ্টা করছে, কিন্তু এর বিপরীতে বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে নানারূপ সুযোগ-সুবিধা ও তাদের নানা স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। যার মূলে রয়েছে- ‘ভারত বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সহায়তা করেছিলো’ বলে প্রচারণা। কিন্তু ভারতীয়রা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সহায়তা করার নামে বাংলাদেশের সর্বস্ব লুটেপুটে নিয়েছে। এখনো লুটে নিচ্ছে। ফলে বিপুল ফসল উৎপাদন হলেও স্বাধীন বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ সংঘটিত হয়েছিলো। বিদেশী নানা কুচক্রী মহল বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলার দুঃসাহস দেখাতে পেরেছিলো।

সঙ্গতকারণেই আমরা বলতে চাই, বর্তমান ক্ষমতাসীন আ’লীগ সরকার নিজেদেরকে দেশের ও জনগণের সরকার হিসেবে প্রচার করে থাকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিভোর হয়ে আ’লীগ সরকার দেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করে ভারতের নানা অন্যায় আবদার ও অযৌক্তিক চাহিদা পূরণ করে চলেছে। যা দেশবিরোধী। সরকার দেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা পেট্রোবাংলাকে শক্তিশালী ও সক্রিয় না করে ভারতীয় কোম্পানিকে দিয়ে সাগরে গ্যাসের সন্ধান করাচ্ছে। যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।

তাই জনবান্ধব ও দেশবান্ধব হিসেবে সুপরিচিত হতে চাইলে, আ’লীগ সরকারকে অবশ্যই ভারতের প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি গ্যাস, তেল অনুসন্ধানে বিদেশী কোম্পানিগুলোর আগমন ঠেকানো এবং দেশীয় কোম্পানিগুলোকে সক্রিয় করতে হবে। তাহলেই তাতে প্রকৃত দেশপ্রেম ফুটে উঠবে।

-আল্লামা মুহম্মদ মাহবূবুল্লাহ, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।