বিপিএলের প্রায় বিবস্ত্র উদ্বোধন! জনগণের পাঁচ হাজার কোটি টাকা লুটপাট! এদেশীয় সামাজিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ধ্বংস এবং এসব কিছুতে সরকারের ন্যক্কারজনক পৃষ্ঠপোষকতা প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২১৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সারওয়ারে কায়িনাত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।

পাঁচ হাজার বিশ কোটি টাকা টার্গেট করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বা বিপিএলের আয়োজনে কাপ দিয়েছে বিসিবি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ঈসায়ী তারিখে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। তারপর দিন সব পত্রিকায় এ খবর হাইলাইট হয়েছে এবং কোন কোন পত্রিকা এ অনুষ্ঠানের প্রায় বিবস্ত্র ছবিও বড় করে প্রথম পৃষ্ঠায় ছেপে দিয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ!)

৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে জাতীয় দৈনিকগুলো প্রায় বিবস্ত্র ছবি প্রথম পৃষ্ঠায় বড় করে ছাপে কীভাবে? এ প্রশ্ন যেমন গুরুতর তেমনি বিপিএলের মতো খেলা এদেশে অনুষ্ঠিত হয় কীভাবে সে প্রশ্ন আরো স্পর্শকাতর। বিশেষ করে দেশের অর্থনীতির আকাশ যখন ঘন কালো মেঘে আচ্ছন্ন।

উল্লেখ্য, বিপিএলের এই খেলা এদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এর অনুকরণে। গ্লোবাল স্পোর্টসের জরিপ বলছে যে, ২০১১ মৌসুমে আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাংলাদেশের মুদ্রামানে ২৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশেও বিপিএলের নামে খেলোয়ারদেরকে নিয়ে চলছে চরম দর কষাকষি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) খেলোয়ারদের নিলামের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকার রাজকীয় হোটেল রেডিসনে। নিলামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল ৬টি বিভাগের কর্তৃপক্ষরা। তারা তাদের সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে তাদের প্রিয় তারকাকে বেছে নিয়েছে। কথিত সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ৭,০০,০০০ ডলার দিয়ে পাকিস্তানের লেগ স্পিন শহিদ আফ্রিদিকে নিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পোলার্ড (৩,০০,০০০ ইউএস ডলার) সাঈদ আজমল (১,০০,০০০ ইউএস ডলার) ইমরান নাজির (৮৫,০০০ ইউএস ডলার)

চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে পাকিস্তানের অল রাউন্ডার শোয়েব মালিক (১,৫০,০০০ ইউএস ডলার) এছাড়াও স্পিন জাদুকর মুত্তিয়া মুরালিধরন (১,০০,০০০ ইউএস ডলার) ডেয়ান ব্রাভো (১,৫০,০০০) এবং মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ (১,১০,০০০ ইউএস ডলার)

বরিশাল বিভাগ সর্বোচ্চ ৫,৫১,০০০ ডলার দিয়ে ক্রিসগেইল কে তাদের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এছাড়া ব্রাডহজ কে ১,৪০,০০০ ডলার দিয়ে ক্রয় করেছে।

খুলনা বিভাগে এক খেলোয়ারকে ২,০০,০০০ ডলার দিয়ে ক্রয় করেছে। এছাড়াও এদলে রয়েছে হার্সেল গিভস, এগ্রিসিভ খেলোয়ার সনাৎ জয়সুরিয়ার মতো আরো অনেকে রয়েছে।

দুরন্ত রাজশাহীতে সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে কেনা হয়েছে মারলন স্যামুয়েলকে, ,৬০,০০০ ডলার দিয়ে। রয়েছে পাকিস্তানের অল রাউন্ডার আব্দুর রাজ্জাক (১,০০,০০০) মোহাম্মাদ সামি (৭০,০০০)।

সিলেট বিভাগে কামরান আকমল ও সোহেল তানভিরকে ১,০০,০০০ ডলার করে ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া নাঈম ইসলাম কে ৯০,০০০ ডলার দিয়ে কেনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এত সব টাকা বিদেশী খেলোয়াররা বিদেশে নিয়ে যাবে। নিয়ে যাবে বাংলাদেশী জনগণের টাকা। হুজূগে মাতা বাঙালীদের টাকা। যাদের অনেকে সারাদিন পরিশ্রমের টাকা দিয়ে সন্ধ্যেয় সিনেমা হলে ঢুকে আর রাতে না খেয়ে ঘুমায়। রাষ্ট্র তাদেরকে শিক্ষা, সচেতনতা তথা ইসলামী মূল্যবোধ অর্জনে কোন পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেনি। রাষ্ট্র তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে পশুবৎ প্রবৃত্তিতে, অশিক্ষায় আর অনৈতিকতায়।

এ ব্যাপক জনগোষ্ঠী এখন নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে বিপিএলের খেলা দেখবে। আর সে টাকা লুটবে বিদেশী খেলোয়ার এবং দেশীয় আয়োজক, বড় বড় পুঁজিপতিরা। সেই সাথে এ খেলায় পত্তন ঘটানো হবে খেলার নামে অবাধ নারী দেহ বল্লরী প্রদর্শনীর। খেলার সাথে চিয়ার লিডারসনামে বিবস্ত্র মেয়েরা দর্শকদের খোলামেলা হাতছানি দিয়ে ডাকবে। এটাই প্রিমিয়ার লীগের অতিরিক্ত এবং মূল আকর্ষণ বলে বিবেচ্য। (নাঊযুবিল্লাহ!)

অপরদিকে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এ খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও ভারতীয় নায়িকারা প্রায় বিবস্ত্র হয়ে উন্মাতাল নৃত্য পরিবেশন করেছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

উল্লেখ্য, সাংবিধানিকভাবে এদেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ঈসায়ী তারিখে এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্য প্রদর্শনের কথা বলেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে তার সরকার কী সে আনুগত্য প্রদর্শন করল? যেভাবে এদেশে অবাধে বল্গাহারা এবং বিবস্ত্র ভারতীয় সংস্কৃতিবাদীদের দিয়ে প্রকাশ্যে একের পর এক উদ্বাহু নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছে, তাতে ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশী তথা ইসলামী সংস্কৃতির যে জিন্দা কবর দেয়া হচ্ছে সে কথা কী সরকার ভেবে দেখেছে?

 মূলত সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় ও গভীর পৃষ্ঠপোষকতায় একটি মহল একদিকে এদেশে ভারতীয় বিবস্ত্র সংস্কৃতির আগ্রাসন চালাচ্ছে, অপরদিকে এদেশের মেহনতি আম জনতার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টার্জিত টাকা লুটে-পুটে খাচ্ছে। দেশব্যাপী বিস্তার ঘটাচ্ছে চরিত্রহীনতা থেকে মাদকাসক্তির।

অপরদিকে সরকারের এহেন অন্যায় কাজের তীব্র সমালোচনা করার দায়িত্ব যাদের ছিল সে আলেম সমাজ দাবিদাররা যথারীতি নিশ্চুপ হয়ে বোবা শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে।

কাজেই একদিকে উলামায়ে ছূঅপরদিকে গোমরাহ ও জালিম শাসকদের দ্বারা এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমান ধর্মীয়ভাবে বিধ্বস্ত হচ্ছে এবং অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব হচ্ছে। এর থেকে উত্তরণের জন্য, উদ্ধার পাবার জন্য সাধারণ জনগোষ্ঠীর নিজেদেরই সচেতন ও সক্রিয় প্রতিবাদী হওয়ার বিকল্প নেই।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেননা যতক্ষণ যাবৎ ওই জাতি নিজেরাই নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন না করে।

মূলত সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন নেক কুওওয়ত। যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার সুমহান ছোহবত মুবারক-এ তা প্রাপ্তি সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সে মহান নিয়ামত নছীব করুন। (আমীন)

মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১