বিশ্বের প্রায় দেশেই নরমাল ডেলিভারিতে উৎসাহিত করা হলেও বাংলাদেশে বাড়ছে সিজারিয়ান পদ্ধতি। কমে যাচ্ছে দেশের মায়েদের সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা; সিজার ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা লুটে ফুলে ফেঁপে উঠছে একটি মহল। সরকার এখনই সচেতন না হলে অদূর ভবিষ্যতে দেশে কর্মক্ষম  মানুষের যোগান শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।

সংখ্যা: ২৭৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত এক যুগে দেশে সিজারিয়ান বেড়েছে ৮ গুন। দেশে স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম হওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এক যুগে সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানে ব্যয় হয়েছে চার হাজার ৮১ কোটি টাকা। প্রতি সিজারিয়ানে গড়ে ব্যয় হয়েছে ৫১ হাজার ৪৬৯ টাকা। সরকারি জরিপেও এ তথ্যটি উঠে এসেছে। পরিসংখ্যান এবং বিশেষজ্ঞরা বলছে, যে সংখ্যক সিজারিয়ান পদ্ধতিতে নবজাতক জন্ম হচ্ছে এর ৩৫ শতাংশই অপ্রয়োজনীয়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি একশ নবজাতকের মধ্যে ৩০ জনেরই জন্ম হচ্ছে সিজারের মাধ্যমে। অথচ সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম হওয়ার পর মা ও সন্তান দু’জনই যে দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে- সেই বিষয়টি জানানো হচ্ছে না। পাশাপাশি সিজারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জনগন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অস্ত্রোপচারে শিশুর জন্ম আকস্মিকভাবে বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে- প্রকৃতপক্ষে ১০০ সিজারিয়ান প্রসূতির মধ্যে ৮০ ভাগেরই নরমাল ডেলিভারি করা যেত। কিন্তু একটি মহলের প্রচারণার কারণে ক্ষতিকর এ পথটিই অনুসরণ করা হয়েছে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে। ২০১৬ সালে দেশে ৮ লাখ ২০ হাজার ৫১২ শিশুর জন্ম অস্ত্রোপচারে হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, সিজারিয়ান সেকশন এখন দেশের বেশির ভাগ প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিকের বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এ প্রবণতা রোধ তো করা যাচ্ছেই না, বরং দিন দিন প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কোনো প্রসূতি পেলেই প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর এক শ্রেণীর চিকিৎসক থেকে শুরু করে সবাই বিভিন্ন অজুহাতে রোগীকে নরমাল ডেলিভারির ব্যাপারে কৌশলে মানসিকভাবে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে। এমনকি সিজার না হলে মা কিংবা নবজাতকের ক্ষতি হওয়ার ভয়ও দেখানো হয় অনেক ক্ষেত্রে।

প্রসঙ্গত, শুধু মা ও শিশুর শারীরিক ক্ষতিই নয়, সেইসাথে এই সিজার ব্যবসার মাধ্যমে ভয়ঙ্কর ব্যবসার পসরা খুলে বসেছে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা। নরমাল ডেলিভারির চেয়ে সিজারিয়ানে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বেশি টাকা পায়। হাসপাতাল বা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষেরও এতে ব্যবসা বেশি। কারণ বেশি সময় হাসপাতালে থাকতে হয়, ওষুধ বেশি লাগে, অপারেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচও বেশি আদায় করা হয়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশনের পর প্রসূতির অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের জীবাণু আক্রমণ দেখা দেয়। এতে হাসপাতালের ব্যবসা বেড়ে যায়। আর নরমাল ডেলিভারি হলে রোগী এক-দুইদিনের মধ্যে বাসায় চলে যেতে পারে। আর খরচ সর্বনিম্ন ২৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এর বাইরে কেবিন ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ তো আছেই।

সমালোচক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিজারিয়ান ব্যবসা শুধু ব্যবসাই নয়; বরং এটি একটি ষড়যন্ত্র। এর মাধ্যমে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল বাংলাদেশের জনসংখ্যার হার হ্রাস করতে চাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ডাক্তাররা যেকোনো অস্ত্রপাচার বা অপারেশন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলে, কারণ যেকোনো অপারেশনে অনেক বেশি রিস্ক নিতে হয়। সেইসাথে  একটি সিজারের পর একজন মহিলার ফার্টিলিটি (বাচ্চা ধারণের ক্ষমতা) অনেকাংশে কমে যায়। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্মানো বাচ্চারা কষ্টসহিষ্ণু হয়, তাদের শ্বাসকষ্ট এবং এ্যাজমাজনিত সমস্যা কম হয়।  স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে জন্ম নেয়া শিশুর শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে, যা তার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া স্বাভাবিক প্রসবের ফলে মা দ্রুতই শিশুর সাথে শারীরিক যোগাযোগ করতে ও বুকের দুধ পান করাতে পারেন। অন্যদিকে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারি করার সময় মাকে যেসব অ্যানেস্থেটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, তা নবজাতকের উপরও প্রভাব ফেলে। সিজার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারেও বাধা হয়ে উঠতে পারে। সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্ম নেয়া নবজাতক শিশুর হাসপাতালে থাকার সময়কাল বেশি বলে তাদের ইনফেকশন ঝুঁঁকি থাকে।

ওই সব শিশুর ব্লাড ইনফেকশনের হার বেশি। সিজার করায় ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সময়ের দুই-তিন সপ্তাহ আগেই সন্তান হয়ে যায়। শিশু ইনফেকশনে পড়ার এটিও একটি কারণ। যেসব মা সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান হওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী থাকে, সেসব নবজাতকের প্রথম ২৮ দিনে মৃত্যুহার তিনগুণ বেশি থাকে। নিউরোসায়েন্সের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্ম নেয়া শিশু পরবর্তী সময়ে সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর মানসিক রোগে ভোগার ঝুঁকিতে থাকে বেশি।

মফস্বলে অনেক গাইনি চিকিৎসক নামধারীদের গাইনি চিকিৎসায় কোনো অভিজ্ঞতা নেই। অ্যানেসথেশিয়া (অজ্ঞান করা) বিষয়ে কোনো উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেই। টাকার লোভে তারা সিজারিয়ান অপারেশন করে থাকে। সরকারি হাসপাতালের কিছু ডাক্তারও এসবের সঙ্গে জড়িত। অনভিজ্ঞ ডাক্তাররা স্পাইনাল কর্ডে অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে অপারেশন করে যাচ্ছে। অনেক সময় হাতুড়ে ডাক্তারও প্রসূতির অপারেশন করছে। কোনো কোনো সময় নার্সরাও অপারেশন করছে। সরকারি হাসপাতালে গেলেও প্রসূতি মায়েদের পাঠিয়ে দেয়া হয় ক্লিনিকে। এসব ক্লিনিকে অত্যাধুনিক কোনো ব্যবস্থা নেই। উন্নত যন্ত্রপাতি, আইসিইউ এবং ইনকিউবেটর থাকার কথা থাকলেও তা নেই।

প্রসঙ্গত, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিজারকে নিরুৎসাহিত করেছে। অথচ দেশের ভেতরই একটি দেশবিরোধী ও ষড়যন্ত্রকারী মহল এই সিজারের প্রবল বিস্তার করিয়ে দেশের জনসংখ্যা নামক সম্পদটিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা করছে। তাই এক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে- অবিলম্বে শিশুর ডেলিভারি ব্যবস্থায় নরমাল ডেলিভারিতে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সেইসাথে দেশের চিকিৎসা খাতে যে দুর্নীতিবাজ মহলটি সিজারের নামে ব্যবসা করে বিপুল মুনাফা লুটে নিচ্ছে এবং রোগীদের দরিদ্র করে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যদিকে দেশের গাইনি খাতকে উন্নত করে এই সিজারিয়ান ব্যবসার মূল্যোৎপাটন করা।

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।

রৌশনীদের ক্ষোভ, দুঃখ, লজ্জা, ক্রোধের দায়ভার নেবে কে? প্রবাহমান সংস্কৃতি পঙ্কিলতার তোড়ে রৌশনীদের সব আকুতি যে নির্মমভাবে ভেসে যাচ্ছে।  সে দায়বদ্ধতা বর্তমান সমাজ আর কত অস্বীকার করতে পারবে? প্রযুক্তি যতটা আপগ্রেড হচ্ছে সে তুলনায় অপরাধ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। কাজেই আদর্শের কাছে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই। পর্দা পালনে বিকল্প নেই।  ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। এসব কথার প্রতিফলন না হলে খুন, ধর্ষণ আর পরকীয়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে প্রতিটা পরিবার। সমাজ হবে সমাজচ্যুত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৫

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৪

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৪ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল