ব্যানার হেডিং

সংখ্যা: ২১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেড লাইন তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সংযোজন

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তিনি বলেন, প্রত্যেকেই রক্ষক সে তার রক্ষিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’ পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় চাল, ধান, গম, ভুট্টা, শস্যাদীসহ শাকসবজি, তরিতরকারি ও ফলফলাদি ইত্যাদির বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও সংরক্ষণের অভাবে অপচয়, নষ্ট ও পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে একদিকে প্রান্তিক চাষী মূল্য পায় না; অপরদিকে মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেট এবং চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্যের কারণে মধ্যবিত্ত,  নিম্নমধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মেহনতি জনতা সবাই চড়া মূল্যে খাদ্য কিনে চরমভাবে শোষিত হচ্ছে।

অতএব, দেশের প্রায় সবগুলো থানাতেই হিমাগার তৈরি করা সরকারের একান্ত কর্তব্য।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সংরক্ষণের অভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ধান-চাল, গম-ভুট্টা, শস্যাদিসহ শাক-সবজি, তরিতরকারি এবং ফলফলাদি ইত্যাদি পাচার হয়, অপচয় হয় ও পচে নষ্ট হয় এমনকি গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের ধান-চাল, গম-ভুট্টা, শস্যাদিসহ শাক-সবজি, তরিতরকারি এবং ফলফলাদি ইত্যাদি উদ্বৃত্ত হয়। মৌসুমে ধান-চাল, গম-ভুট্টা, শস্যাদিসহ শাক-সবজি তরিতরকারি এবং ফলফলাদি ইত্যাদি যে পরিমাণ উৎপন্ন হয় তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকে বিপুল পরিমাণ। যা সাধারণভাবে চিন্তা করা অত্যন্ত কঠিন। অন্যান্য তরিতরকারি শাক-সবজির ৮০ ভাগই উৎপাদিত হয় শীত মৌসুমে। শীতকালের অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সবজি এতো অধিক উৎপন্ন হয় যে, শেষ পর্যন্ত সেগুলো কেনার লোক থাকে না। বিপুল উদ্বৃত্ত এবং ক্রেতার অভাবে তখন সেগুলো বিক্রি হয় পানির দরে। অনেক ক্ষেত্রে কৃষকের পরিবহন খরচও উঠে আসে না। উৎপাদন বেশি হলে শাক-সবজি পাচার হয়, অপচয় হয় এবং পচে নষ্ট হয়। এর কারণ আমাদের দেশে শাক-সবজি সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। হিমাগারের ভয়াবহ সঙ্কট। অথচ ফলমূল, শাক-সবজি, তরিতরকারি সংরক্ষণের যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হলে একদিকে যেমন চাষী লাভবান হবে তেমনি সাধারণ নাগরিকও অনেক কমদামে সবকিছু খেতে পারবে। গত শীত মৌসুমে শুধু আলুই উৎপাদন হয়েছে প্রায় সোয়া এক কোটি টনের অনেক বেশি।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি থানায় যদি হিমাগার তৈরি করে ধান-চাল, গম-ভুট্টা, শস্যাদিসহ তরিতরকারি, ফলফলাদি ও শাকসবজি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যায় তবে এ সংরক্ষণের দ্বারা একদিকে যেমন দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে; আর পাশাপাশি তা বিদেশে রফতানি করে হাজার হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকল কৃষকই বলছেন তারা ধান-চাল, গম-ভুট্টা, শস্যাদিসহ তরিতরকারি, শাক-সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার পাচ্ছেন না। এর ফলে তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। একই অবস্থা বেগুন, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচসহ অন্যান্য সবজির বেলায়। কৃষকের ফসল ঘরে তোলার সময় এই অবস্থা প্রায় প্রতি বছরই দেখা যায়। পিক পিরিয়ডে পণ্য সংরক্ষণের অভাবে পাচার হয়, অপচয় হয় এবং পচে নষ্ট হয় আর অফ-পিকে বাজারে অগ্নিমূল্য থাকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো পথ কেউই দেখাননি।

অনুরূপ ফলফলাদি যেমন তরমুজ, বাঙি, খিরাই, পেয়ারা, বড়ই ইত্যাদি সংরক্ষণের অভাবে ও নষ্ট হয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার অফ সিজনে অগ্নিমূল্য হচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্ত, নি¤œমধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত শ্রেণীর লোকজন ইত্যাদি ফলফলাদি থেকে মাহরূম হচ্ছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেশে মোট হিমাগার আছে ৩৪৩টি। এগুলোয় মাত্র প্রায় সাড়ে ২০ লাখ টন পণ্য মজুদ রাখা যায়। এর মধ্যে ১ লাখ ৬২ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৪৭টি হিমাগার বন্ধ রয়েছে। চালু রয়েছে ২৯৬টি হিমাগার। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ১৫ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১৭টি হিমাগার রয়েছে। বাস্তবে আরো হিমাগার থাকা প্রয়োজন হলেও তা নির্মাণ করা হচ্ছে না।  এক্ষেত্রে সরকারের উচিত দেশের প্রায় প্রতিটি থানায়ই সরকারি অর্থায়নে আপাতত কমপক্ষে দুই লাখ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হিমাগার তৈরি করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দুই লাখ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হিমাগার তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৩৫০ কোটি টাকা লাগবে। সে হিসেবে কমপক্ষে ৫০০টি হিমাগার তৈরি করতে সর্বোচ্চ মাত্র ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। ৫০০টি হিমাগারে ১০ কোটি টন খাদ্য সংরক্ষণ সম্ভব। যার ফলে কোন প্রকার খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হবে না। তা ধান, চাল, গম, ভুট্টা, তরিতরকারি, শাক-সবজি, ফলফলাদি যাই হোক না কেন।  অতএব, সরকারের উচিত জনগণ ও দেশের স্বার্থে অতিসত্তর উল্লেখ সংখ্যক হিমাগার তৈরি করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, æপ্রত্যেকেই রক্ষক; তাকে তার রক্ষিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।”

আর হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, æফোরাতের তীরে একটা কুকুরও যদি না খেয়ে থাকে তবে আমি হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমাকে তার জন্য জবাবদীহি করতে হবে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশে আপাতত খাদ্যের চাহিদা মাত্র ৫ কোটি টন। ১০ কোটি টন খাদ্যসামগ্রী যদি সংরক্ষণ সম্ভব হয়; তাহলে আশা করা যায় দেশে আর কোন খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হবে না। আর ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা একটা দেশের জন্য খুব বেশি নয়। এ টাকাটা ১ বৎসরেই প্রয়োজন হবে তা নয়। কারণ, এতগুলি হিমাগার তৈরি করতে প্রায় ৩ বৎসর প্রয়োজন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এতদ্বপ্রেক্ষিতে সরকারের উচিত, অবিলম্বে প্রায় প্রত্যেক থানায় কমপক্ষে একটি বা সর্বমোট ৫০০টি সরকারি হিমাগার করে কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করা এবং না-খাওয়া মানুষ তথা সাধারণ মানুষের জন্য কমমূল্যে খাদ্য কেনার ব্যবস্থা করা। যা ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবীর কারণ হবে। (১২-১১-২০১১ ঈসায়ী)

 

দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেড লাইন তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সংযোজন

কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ইজমা হয়েছে- যে মহল্লায়, এলাকায় বা অঞ্চলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়, খাদ্যের আয়োজন করা হয় সে এলাকায় মহামারি, খাদ্যাভাব, অগ্নিকা-, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, খোদায়ী আযাব-গযব ও বালা-মুছীবত থেকে রক্ষা পায়, বিশেষ রহমত, বরকত, সাকিনা নাযিল হয়।

কাজেই দেশ ও দেশের জনগণকে উক্ত বালা-মুছীবত তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদে রাখতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলিম দেশে সরকারিভাবে মাসব্যাপী ছুটি ঘোষণা করে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসমারোহে পালন করা উচিত।

 

 

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলতানুল নাছির, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বে যিনি সবচেয়ে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি হিজরী দশম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে, æযখন কোনো মুসলমান নিজ বাড়িতে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে তখন সেই বাড়ির অধিবাসীগণের উপর থেকে আল্লাহ পাক অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, ডুবে মরা, বালা-মুছীবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন আল্লাহ পাক উনার জন্য মুনকার-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনার অবস্থান হয় আল্লাহ পাক উনার সন্নিধানে সিদকের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, æসুলত্বানুল আরিফীন হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল’ নামক কিতাবে আরো উল্লেখ আছে যে, æযে কোনো ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হয় সেই স্থানকে অবশ্যই আল্লাহ পাক উনার ফেরেশতাগণ বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন এবং আল্লাহ পাক উনাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম, হযরত মীকাইল আলাইহিস সালাম, হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম ও  হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম উনারা মীলাদ শরীফ তথা বিলাদত দিবস উপলক্ষে ছানা-ছিফত পাঠকারীর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দেশ ও দেশের জনগণকে নিরাপদে রাখতে ৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলিম দেশ তো অবশ্যই এমন কি কাফির, মুশরিকদের দেশেও যে সমস্ত মুসলমানগণ অবস্থান করে তাদেরও দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ-এর মাসে মহা জওক-শওক-এর সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান বিলাদত শরীফ বা আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশার্থে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সারা দেশব্যাপী মীলাদ শরীফ-এর আয়োজন করা ও খাদ্যের আয়োজন করা খাদ্যদ্রব্যসহ সকল পণ্য সামগ্রীর মূল্য হ্রাস করাসহ বিনামূল্যে সরকারিভাবে বিতরণ করা এবং এ ব্যাপারে সরকারিভাবে সবচেয়ে বড় ধরনের বাজেট ও কর্মসূচি গ্রহণ করা অপরিহার্য। তবেই দেশ ও দেশের জনগণ যাবতীয় খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বালা-মুছীবত থেকে পরিত্রাণ লাভ করে সুখে শান্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সরকারের অপরিহার্য কর্তব্য হবে এ বছর পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ-এর মাস থেকেই প্রতিবছর উপরোক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা মাস ও বছর ব্যাপী পালনের অনুভূতিকে ত্বরান্বিত করা, শানিত করা এবং জাগ্রত করা। এ লক্ষ্যে সমগ্র মুসলিম ও মুসলিম রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমরা, এমপি-মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সকলেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য সাইয়্যিদুল আইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (১৩-০১-২০১১ ঈসায়ী)

 

দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেড লাইন তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সংযোজন

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা আমার নিকট দোয়া করো হে আমাদের রব! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম অন্বেষণ করো।

যার ফলে একজন মুসলমানের জন্মের পর তা’যীন-তাহনীক্ব অর্থাৎ কানে আযান- ইক্বামত ও মুখে মধু দিতে হয় অর্থাৎ আযান ইক্বামত দিয়ে দ্বীনি তা’লীম শুরু করা হয় আর মধুপান করিয়ে সুন্নত আমল শুরু করা হয়। তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখতে হবে। এটাই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ।মুসলমান এর বিপরীত শিক্ষানীতি গ্রহণ করতে পারে না।

 

 

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা মুসলমান! মুসলমানের বিলাদত তথা জন্মের পর থেকে শুরু করে ইন্তিকালের পরও ইসলামী বিধি-বিধান পালনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা আমার নিকট দোয়া করো হে আমাদের রব! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।

আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম অন্বেষণ করো। যার ফলে একজন মুসলমানের জন্মের পর তা’যীন-তাহনীক্ব অর্থাৎ কানে আযান-ইক্বামত ও মুখে মধু দিতে হয় অর্থাৎ আযান ইক্বামত দিয়ে দ্বীনি তা’লীম শুরু করা হয় আর মধুপান করিয়ে সুন্নত আমল শুরু করা হয়। তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখতে হবে। এটাই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ। মুসলমান এর বিপরীত শিক্ষানীতি গ্রহণ করতে পারে না।

অনুরূপভাবেই ইন্তিকালের পরও সুন্নতী কায়দায় তার গোসল, কাফন, জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। যা মূলত কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এরই নির্দেশ। আর এ নির্দেশ পালন করতে হলে তাকে অবশ্যই দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে ইলম বা শিক্ষা লাভ করতে হবে। তাই æকুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোন আইন পাস হবেনা”-এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে প্রথম ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কারণ কমপক্ষে জরুরত আন্দাজ দ্বীনি ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ফরযে আইন। তাই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর অসংখ্য স্থানে দ্বীনি ইলম অর্জন করার নির্দেশ, উৎসাহ ও ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা বলো অর্থাৎ আমার নিকট দোয়া করো হে আমাদের রব! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম অন্বেষণ করো।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, æপ্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ইলম অর্জন করা ফরয।” (বায়হাক্বী শরীফ, মিশকাত, মিরকাত, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, মোজাহেরে হক্ব, মিরআতুল মানাজীহ, তা’লীকুছ ছবীহ, ইহইয়াউল উলুমুদ্দীন, আরবাঈন) আর এ ইলম হলো দু’প্রকার। যেটা অন্য হাদীস শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে, æইলম দু’প্রকার- (১) ক্বলবী ইলম অর্থাৎ ইলমে তাসাউফ যা উপকারী ইলম। (২) লিসানী ইলম অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ, যা বনী আদমের জন্য আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে দলীল স্বরূপ।” (দারেমী, তারগীব, তারীখ, মিশকাত, মিরকাত, আব্দুল বার, দায়লামী, শরহুত ত্বীবী, তা’লীকুছ ছবীহ)

এ হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মিশকাত শরীফ-এর বিখ্যাত শরাহ æমিরকাত শরীফ”-এ উল্লেখ করেন যে, মালিকী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, æযে ব্যক্তি ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো, কিন্তু ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করলো না, সে ফাসিক। আর যে ব্যক্তি ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করলো কিন্তু ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো না, সে যিন্দিক (কাফির)। আর যে ব্যক্তি উভয়টি শিক্ষা করলো, সে মুহাক্কিক তথা হক্কানী আলেম।” অর্থাৎ যে ইলমে ফিক্বাহ শিখলো, কিন্তু ইলমে তাসাউফ শিখলোনা, সে হচ্ছে ফাসিক। আর যে বলে আমি মা’রিফাত করি বা ইলমে তাসাউফ করি কিন্তু শরীয়ত বা ফিক্বাহ স্বীকার করেনা, সে হচ্ছে যিন্দীক। আর যিনি উভয়টাই শিক্ষা করলেন, তিনি হচ্ছেন মুহাক্কিক অর্থাৎ হাক্বীক্বী আলিম।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এ কথাই সাবেত হয় যে, সকল মুসলমান পুরুষ ও মহিলার জন্য জরুরত আন্দাজ ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করা ফরয। শুধু এ ফরয পরিমাণ ইলম শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবেনা। কেননা ফতওয়া দেয়া হয়েছে যে, ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফে দক্ষতা অর্জন করা ফরযে কিফায়ার অন্তর্ভুক্ত। এ ফরযে কিফায়া যদি আদায় না করা হয়, তাহলে সকলেই ফরয তরকের গুনাহে গুনাহগার হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- æকেনো তাদের প্রত্যেক ক্বওম বা সম্প্রদায় থেকে একটি দল বের হয়না এজন্য যে, তারা দ্বীনি ইলমে দক্ষতা অর্জন করবে এবং তাদের ক্বওমকে ভয় প্রদর্শন করবে, যখন তারা তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে। আশা করা যায়, তারা বাঁচতে পারবে।” (সূরা তওবা : আয়াত শরীফ-১২২) অতএব, কিছু লোককে অবশ্যই দ্বীনি ইলমে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে, নচেৎ সকলকেই ফরযে কিফায়া তরকের গুনাহে গুনাহগার হতে হবে। (তাফসীরে মাযহারী, রুহুল মায়ানী, রুহুল বয়ান, ফতহুল ক্বাদীর, হাশিয়ায়ে সাবী, খাযেন, বাগবী, কবীর, ইবনে কাছীর, যা’দুল মাছীর, বয়ানুল কোরআন)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- একজন মুসলমানের জন্মের পর তা’যীন-তাহনীক্ব অর্থাৎ কানে আযান-ইক্বামত দিয়ে দ্বীনি তা’লীম শুরু করা হয় আর মুখে মধু দিয়ে সুন্নত আমল শুরু করা হয় এবং মৃত্যুর পরও কাফন-দাফনের মাধ্যমে দ্বীন ইসলামকেই অনুসরণ করা হয়। তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখতে হবে। এটাই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ। মুসলমান এর বিপরীত শিক্ষানীতি গ্রহণ করতে পারে না। (১৬.০১.২০১১ ঈসায়ী)

 

 

দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেড লাইন তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সংযোজন

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের রব তায়ালা উনার আদেশের প্রতি ইস্তিকামত বা দৃঢ়চিত্ত থাকো। অনুসরণ করোনা তাদেরকে যারা গুনাহগার অথবা কাফির।’

অনেক মুসলিম দেশ শরয়ী পদ্ধতি অনুসরণ না করে তাদের মনগড়া নিয়মে আরবী মাস গণনা করে এবং চাঁদ না দেখেই খালি চোখে চাঁদ দেখার দাবি করে আরবী মাস শুরু করছে।

সউদী আরবে চাঁদ দেখা নিয়ে সরকারি পর্যায় মিথ্যা বলার বিষয়টি সহজেই প্রমাণ করে- সে দেশকে গুমরাহ ওহাবী সম্প্রদায় প্রত্যক্ষভাবে এবং গযবপ্রাপ্ত ইহুদীরা পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। মনগড়া পদ্ধতিতে বা চাঁদ না দেখে মাস শুরু করা শরীয়তসম্মত নয়।

চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করার জন্য শরীয়তের কঠোর নির্দেশ রয়েছে।

 

 

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, æঅনেক মুসলিম দেশ শরয়ী পদ্ধতি অনুসরণ না করে তাদের মনগড়া নিয়মে আরবী মাস গণনা করে এবং চাঁদ না দেখেই খালি চোখে চাঁদ দেখার দাবি করে আরবী মাস শুরু করছে। সউদী আরবে চাঁদ দেখা নিয়ে সরকারি পর্যায় মিথ্যা বলার বিষয়টি সহজেই প্রমাণ করে- সে দেশকে গুমরাহ ওহাবী সম্প্রদায় প্রত্যক্ষভাবে এবং গযবপ্রাপ্ত ইহুদীরা পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। মনগড়া পদ্ধতিতে বা চাঁদ না দেখে মাস শুরু করা শরীয়তসম্মত নয়। চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করার জন্য শরীয়তের কঠোর নির্দেশ রয়েছে।”

চাঁদ দেখা নিয়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার প্রসঙ্গে আলোচনাকালে তিনি উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অনেক মুসলিম দেশ শরয়ী পদ্ধতি অনুসরণ না করে তাদের পূর্ব নির্ধারিত মনগড়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আরবী মাস গণনা করে যাচ্ছে। যেমন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, লিবিয়া, মিশর ইত্যাদি। আবার অনেক মুসলিম দেশ রয়েছে, যারা সউদী আরবকে অনুসরণ করে যেমন কুয়েত, কাতার, জর্দান ইত্যাদি। আর সউদী আরব চাঁদ না দেখেই মিথ্যা সাক্ষী যোগাড় করে আরবী মাস ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এর নির্দেশ অর্থাৎ ইসলামী শরীয়তের নির্দেশ হচ্ছে- খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা; সেখানে মুসলিম দেশগুলোতে মনগড়া পদ্ধতির ব্যবহার ভালো লক্ষণ নয়। আর মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আরবী মাস শুরু করার বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তার কারণ। কেননা ইহুদী-মুশরিকরা চায়, মুসলমানগণ যেন সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করতে না পারে এবং সেই মাসের ফযীলতও যেন হাছিল করতে না পারে। অর্থাৎ মুসলমানগণকে ইসলাম থেকে সরিয়ে দেয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সমস্ত মুসলিম দেশসমূহকে তাদের মনগড়া পদ্ধতি বাদ দিয়ে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ অনুযায়ী অর্থাৎ ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করার জন্য বিশেষ নছীহত পেশ করেন। (৫.০১.২০১২ ঈসায়ী)

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- শতকরা পঁচানব্বই ভাগ মুসলমানের এই দেশে মাত্র পাঁচভাগ বিধর্মীদের সব ধর্মীয় দিনে সরকারি ছুটি না দিয়ে ঐচ্ছিক ছুটি দেয়া উচিত। বুদ্ধ পূর্ণিমার ক্ষেত্রেও তাই করা উচিত পাশাপাশি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষঙ্গের দিনগুলোতে সরকারি ছুটি বাড়ানো উচিত।দ

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- পহেলা বৈশাখের তথাকথিত সংস্কৃতির বিরুদ্ধ চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে বলা মুসলমানের জন্য ফরজ-ওয়াজিব ও সাংবিধানিক অধিকার। সরকারের জন্যও পহেলা বৈশাখের নামে বেলেল্লাপনা রোধ করা সাংবিধানিক কর্তব্য। রাজাকার, আল বাদর, জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের ইল্্ম ও আমালী আদর্শ দ্বারা পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- ১০ই মুর্হরম কারবালার প্রান্তরে সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা সাইয়্যিদুশ্ শাবাবী আহলিল জান্নাহ হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর মুবারক শাহাদাতকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট ছাহাবী কাতিবে ওহী হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে দোষারোপ করাটা সম্পূর্ণরূপে কুফরীর শামিল

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি উনাদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের) প্রতি ওহী পাঠাতাম। আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে যারা বলে থাকে যে, ‘আল্লাহ পাক-উনার নবী হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম দাওয়াতের কাজ বন্ধ করে ভুল করেছেন, যার ফলে তিনি গযবস্বরূপ মাছের পেটে প্রবেশ করেছেন।’ নাঊযুবিল্লাহ! আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। -মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তিনি চান আহলে বাইতগণকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। মুহররমুল হারাম মাস আহলে বাইত ও আওলাদে রসূলগণকে মুহব্বত করার মাস তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- এ মাসে আহলে বাইত ও আওলাদে রসূলগণ- উনাদের মুহব্বত করে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ রেজামন্দি হাছিল করা-