ভারতের কাছে দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দেবার নিকৃষ্টতম উদাহরণ রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। আইন ভেঙ্গে, সংবিধান ভেঙ্গে, জনগণকে ধোঁকা দিয়ে তৈরি হচ্ছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। মাত্র ১৫ ভাগ বিনিয়োগ করে ভারত মালিকানা পাবে ৫০ ভাগ। আর ধ্বংস হবে এদেশের সুন্দরবন। এদেশের অর্থনীতি। এ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার দায়িত্ব জনগণের (১)

সংখ্যা: ২২৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

বাগেরহাটের রামপালে সুন্দরবনের কাছে ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে ঝুঁকিতে পড়বে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) সঙ্গে এ বিষয়ে পিডিবির ইতিমধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।

গত ২৯ জানুয়ারি বাগেরহাটের রামপালে সুন্দরবনের কাছে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এ চুক্তি করে।

এনটিপিসি ও পিডিবির যৌথ উদ্যোগে এ কেন্দ্রের জন্য ইতোমধ্যে মংলা সমুদ্রবন্দরের কাছে এক হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নামকরণ করা হয়েছে ‘খুলনা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র’। এ কেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট থাকবে। সরকারপক্ষের আশাবাদ, ২০১৬ সালের মধ্যে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে।

সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখ- বন; যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ। অববাহিকার সমুদ্রমুখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত । ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিরূপের অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের সূচিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে যথাক্রমে সুন্দরবন ও সুন্দরবন জাতীয় পার্ক নামে।

সুন্দরবনকে জালের মতো জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ছোট ছোট দ্বীপ। মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে পানির এলাকা। বনভূমিটি স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরনের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। জরিপ মোতাবেক ৫০০ বাঘ ও ৩০,০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়। ১৯৯২ সালের ২১শে মে সুন্দরবন রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

এত সুন্দর একটা বন যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে যে পরিবেশের ১২টা বাজবে সেটা কি খেয়াল আছে? হ্যাঁ, এইটা এখন ধ্বংসের পথে।

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশের পাশে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল। রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহণের আদেশ জারি হয় ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর, ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির সাথে বাংলাদেশের পিডিবির জয়েন্ট ভেঞ্চার বা যৌথ বিনিয়োগ। সেই চুক্তি হয় ২৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে আর ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ এর মধ্যে মতামত চাওয়া হয়েছিল পিডিবির ওয়েবসাইটে অবস্থিত Final Report on Environmental Impact Assessment (EIA) of 2 × (500-660) MW Coal Based Power Plant to be constructed at the location of Khulna এই শিরোনামে । খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেয়া হয়েছে; যা ছিল সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু তাই নয় প্রকল্পের স্থান চূড়ান্তকরণ ও জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর ইত্যাদি যাবতীয় কাজ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পের এনভাইরনমেন্টাল ইমপেক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) বা পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ যা রাষ্ট্রযন্ত্রে গণতন্ত্র নামের শব্দটির ঠিক ওল্টো। এই কারণে এই ইআইএর উদ্দেশ্য ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মতামত যাচাই লোক দেখানো যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আদর্শের ও নীতির বিরুদ্ধে।

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পানি আসবে সংলগ্ন পশুর নদী থেকে। এ জন্য বিদুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারীদের লবণাক্তমুক্তকরণ প্ল্যান্ট বসানোর প্রয়োজন পড়বে। পশুর নদী এমনিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এ নদী থেকে এই হারে পানি প্ল্যান্টে টেনে নিলে সে ক্ষেত্রে নদীর উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সেচ কাজ বিঘিœত হবে। এই নদী সুন্দরবনের অনেকখানি অংশের জীবন প্রবাহকে টিকিয়ে রেখেছে। নদীটি শুকিয়ে যেতে থাকলে মারা পড়বে সুন্দরবনের অসংখ্য প্রাণী। আর যদি মাটির নিচ থেকে মিষ্টি পানি তোলা হয়, তাহলে ভূ-অভ্যন্তরের পানির স্তরে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জমি নিয়ে স্থানীয় কৃষিজমির মালিকদের প্রবল বিরোধিতা রয়েছে। সেখানকার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি ইউনিয়নের ৭/৮ হাজার পরিবার ক্ষতির শিকার হবে। হুমকির মুখে পড়েবে উপকূলীয় দুর্যোগের প্রাকৃতিক ঢাল সুন্দরবন। একই সঙ্গে পৃথিবীর বিরল প্রজাতির ইরাবতী ডলফিন হারিয়ে যাবে, মরে যাবে পশুর নদী, বাড়বে খুলনা অঞ্চলের লবণাক্ততা। কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, বিভিন্ন ক্ষুদ্রকণিকা, কার্বন মনো-অক্সাইড, মার্কারি বা পারদ, আর্সেনিক, সীসা, ক্যাডমিয়ামসহ পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান নির্গত হয়। আরেকটি সমস্যা-ছাই। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা পুড়ে ছাই হয় এবং কয়লা ধোয়ার পর পানির সঙ্গে মিশে তৈরি হয় আরেকটি বর্জ্য- তরল কয়লাবর্জ্য। উভয় বর্জ্যই বিষাক্ত, কারণ এতে বিষাক্ত আর্সেনিক, মার্কারি বা পারদ, ক্রোমিয়াম এমনকি তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম থাকে। সুন্দরবনের জৈবিক পরিবেশ ও বায়ুম-লকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এদিকে, রামপালের সাপমারী-কাটাখালী এলাকায় স্থাপিতব্য কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ ক্ষতি নিয়ে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা। এ সংক্রান্ত সর্বশেষ গবেষণাটি হয়েছে ২০১১ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত প্রায় এক বছর ধরে বাগেরহাটের রামপাল ও মংলা উপজেলা এবং সংলগ্ন সুন্দরবন এলাকার উপর। এই গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলে পরবর্তী ২০ বছরের মধ্যে এলাকার পানি, বাতাস ও মাটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এলাকার পানি শতভাগ, বাতাস শতকরা নববই ভাগ এবং মাটি শতকরা পঁয়ষট্টি ভাগ দূষিত হয়ে পড়বে। মাটির লবণাক্ততা এবং বাতাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যমান স্বাভাবিক অবস্থায় পানি ও মাটির ক্ষেত্রে দু’দশক পরে এই দুষণ হতে পারে শতকরা ২০ ভাগ করে এবং বাতাসের ক্ষেত্রে শতকরা ১৫ ভাগ মাত্র।’

ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দর বন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে; যা সরকার নির্ধারিত সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিলোমিটার এনভাইরন মেন্টালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) থেকে ৪ কিলোমিটার বাইরে বলে নিরাপদ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। অথচ যে ভারতীয় এনটিপিসি বাংলাদেশে সুন্দরবনের পাশে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে সেই ভারতেরই ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন বাঘ/হাতি সংরক্ষণ অঞ্চল, জৈব বৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল, জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য কিংবা অন্যকোন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকা আইন বহির্ভূত। অর্থাৎ ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসিকে বাংলাদেশে সুন্দরবনের যত কাছে পরিবেশ ধ্বংসকারী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেয়া হচ্ছে, তার নিজ দেশ ভারতে হলে সেটা করতে পারতো না। আবার সুন্দরবন থেকে দূরত্ব আসলেই ১৪ কিলোমিটার কিনা সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে, অনেকেই বলছেন সুন্দরবন থেকে আসলে দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। ইআইএ রিপোর্টের এক অংশে বলা হয়েছে, প্রকল্পের স্থানটি একসময় একেবারে সুন্দরবনেরই অংশ ছিল, যেখানে বসতি স্থাপনকারীরা বন কেটে আবাসভূমি তৈরি করেছে :

The area is about 14 km northeastwards from the Nalian Range of Sundarbans.Once it was a part of Sundarbans but had been evacuated by the settlers. (EIA, Page: 208).

ইআইএ রিপোর্টের পর্যালোচনায় বলা হয়, ২৭০ মিটার উচ্চতার চিমনী ধোঁয়ায় কোন ক্ষতি হবেনা। অথচ সাইক্লোন ও টর্নেডো কালে বাতাসের গতি যে কোন দিকে হতে পারে। সে সময় এবং শীতকালে যখন কেন্দ্র থেকে বনের দিনে অনবরত প্রচুর ধোঁয়া প্রবাহিত হবে তখন অবশ্যই সুন্দরবনের ক্ষতি হবে।

রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানিকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়েই পরিবহন করা হবে। এ জন্য সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রায় সারা বছর ধরে হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করবে।

সরকারি পরিবেশ সমীক্ষা (ইআইএ) অনুযায়ী, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বছরে ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সমুদ্র পথে আমদানি করতে হবে। আমদানিকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজের মাধ্যমে মংলা বন্দরে এনে তারপর সেখান থেকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সুন্দরবনের ভেতরে পশুর নদীর গভীরতা সর্বত্র বড় জাহাজের জন্য উপযুক্ত না হওয়ার কারণে প্রথমে বড় জাহাজে করে কয়লা সুন্দরবনের আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত আনতে হবে, তারপর আকরাম পয়েন্ট থেকে একাধিক ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে কয়লা মংলাবন্দরে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া আকরাম পয়েন্টে যে কয়লা বড় নৌযান থেকে ছোট নৌযানে স্থানান্তরিত করা হবে তাতে সুন্দরবনের বন এবং পশু-প্রাণীর কি ক্ষতি হবে তা বিস্তারিত সমীক্ষা করা হয়নি। ১৩২০ মেগাওয়াটের জন্য প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টন কয়লা লাগবে। অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায়ের শেষে ২৬ হাজার টন কয়লা লাগবে।

এর জন্য সুন্দর বনের ভেতরে হিরণ পয়েন্ট থেকে আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার নদী পথে বড় জাহাজ বছরে ৫৯ দিন এবং আকরাম পয়েন্ট থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত প্রায় ৬৭ কিলোমিটার পথ ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে বছরে ২৩৬ দিন হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহন করতে হবে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

 -মুহম্মদ মাহবুবুল্লাহ

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিস্ময় প্রকাশ গোয়েন্দা শীর্ষ কর্মকর্তারাও অবহিত নয় খোদ যুগান্তর সম্পাদকের দুঃখ প্রকাশ

‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’কে নিয়ে – মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে দৈনিক জনকণ্ঠের মিথ্যাচার ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ নিষিদ্ধ হচ্ছে- এ কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু অস্বীকারই করলেন না, বললেন: ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা।’ প্রসঙ্গতঃ সোহেল তাজ বিবৃত কালো তালিকা অসম্পূর্ণ ও আংশিক ভুল। এর সংশোধন আশু দরকার

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমীপে- সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠন তালিকা যথার্থ নয় এর মধ্যে যেমন অনেক জঙ্গি সংগঠনের নাম আসেনি তেমনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনের (উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত) নামও জামাত-জোট ভূতের কারণে এসেছে। সঙ্গতঃ কারণেই বে-হেড সোহেল তাজের বেফাঁস মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানের যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে প্রকৃত জঙ্গি সংখ্যা যেমন নির্ধারণ করতে হবে, প্রকৃত জঙ্গিদের যেমন চিহ্নিত করতে হবে পাশাপাশি জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একান্ত নিবেদিত ‘আল বাইয়্যিনাত’কে মূল্যায়ন করতে হবে।