মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামউনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ বর্ণিত মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব

সংখ্যা: ২৯৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ অনেক মওযূ হাদীছ বিভিন্ন কিতাবাদিতে রয়েছে। যেগুলি বিশ্বাস করলে বা সমর্থন করলে, কারো ঈমান থাকবে না। এ সকল মওযূ হাদীছগুলো নির্ণয় করা এবং তার খণ্ডনমূলক জবাব দেয়া গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরযে আইন। সেই লক্ষ্যে নিম্নে কিছু মওযূ হাদীছের খণ্ডনমূলক জবাব তুলে ধরা হলো-

বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, ত্ববারনী শরীফ, মিশকাত শরীফ, তাফসীরে মাযহারীসহ আরো অনেক কিতাবে রয়েছে,

اِنَّ نِسَاءَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُنَّ حِزْبَـيْـنِ

অর্থ: “নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা দুই দলে বিভক্ত ছিলেন।” না‘ঊযুবিল্লাহ!

তারপর আরো অনেক এলোমেলো কথা রয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! অতঃপর উক্ত হাদীছের শেষের দিকে রয়েছে,

فَاَرْسَلْنَ حَضْرَتْ زَيْـنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ عَلَيْـهَا السَّلَامُ فَاَتَـتْهُ فَاَغْلَظَتْ وَقَالَتْ اِنَّ نِسَاءَكَ يَـنْشُدْنَكَ اللهَ الْعَدْلَ فِـىْ بِنْتِ اِبْنِ اَبِـىْ قُحَافَةَ عَلَيْـهَا السَّلَامُ فَـرَفَـعَتْ صَوْتَـهَا حَتّٰـى تَـنَاوَلَتْ حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْـهَا السَّلَامُ وَهِىَ قَاعِدَةٌ فَسَبَّـتْـهَا حَتّٰـى اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَـنْظُرُ اِلـٰى حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْـهَا السَّلَامُ هَلْ تَكَلَّمُ قَالَ فَـتَكَلَّمَتْ حَضْرَتْ عَائِشَةُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ تَـرُدُّ عَلـٰى حَضْرَتْ زَيْـنَبَ عَلَيْـهَا السَّلَامُ حَتّٰـى اَسْكَـتَـتْـهَا

অর্থ: “তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত যয়নাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম) উনাকে পাঠালেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গিয়ে কঠোর ভাষা ব্যবহার করলেন এবং বললেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার দোহাই দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে ইনসাফের আবেদন জানাচ্ছেন। (না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!) অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি গলার স্বর উঁচু করলেন। (না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!) এমনকি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সেখানে বসা থাকা অবস্থায় উনাকে উদ্দেশ্য করে কিছু কটু (মন্দ) কথা বললেন। (না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!) শেষ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন তিনি কিছু বলেন কিনা। (না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!) বর্ণনাকারী (হযরত উরওয়াহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনি বলেন, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার কথার জবাব দিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন; এমনকি উনাকে চুপ করিয়ে দিলেন।” না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! (বুখারী শরীফ)

বুখারী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, মুসনাদে আহমাদ, দারেমী, রাওদুন নাদীর ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ اِحْدٰى اُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِـيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ فَاَرْسَلَتْ اُخْرٰى بِقَصْعَةٍ فِـيْـهَا طَعَامٌ فَضَرَبَتْ يَدَ الرَّسُوْلِ فَسَقَطَتِ الْقَصْعَةُ فَانْكَسَرَتْ فَاَخَذَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْكِسْرَتَـيْـنِ فَضَمَّ اِحْدَاهُـمَا اِلَـى الْاُخْرٰى فَجَعَلَ يَـجْمَعُ فِيْـهَا الطَّعَامَ وَيَـقُوْلُ غَارَتْ اُمُّكُمْ كُلُوْا

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের একজনের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান মুবারক করছিলেন। অন্য একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম তিনি (একজন খাদিমের মাধ্যমে) একটি পাত্রভর্তি খাবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পাঠান। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান মুবারক করছিলেন তিনি খাবারের পাত্র বহনকারীর হাতে আঘাত করেন। (না‘ঊযুবিল্লাহ!) সাথে সাথে পাত্র মুবারকটি নীচে পড়ে ভেঙ্গে যায়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পাত্রের টুকরা দু’টি তুলে নিয়ে একটির সাথে অপরটি জোড়া লাগিয়ে তার মধ্যে পড়ে যাওয়া খাবারগুলি একত্রিত করেন এবং ইরশাদ মুবারক করেন- ‘আপনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহাস সালাম উনার আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছে। আপনারা (এটা) আহার করুন।” না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, “তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি চাদর মুবারক জড়িয়ে আসলেন। উনার সাথে ছিলো শক্ত পাথর। তিনি সেটা দিয়ে থালাটি ভেঙ্গে ফেললেন।” না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! (নাসায়ী শরীফ)

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উপরোক্ত বর্ণনাগুলোসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ আরো যত বর্ণনা রয়েছে, প্রত্যেকটি বর্ণনাই বাতিল, মওযূ, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

কারণ উপরোক্ত বর্ণনাগুলো যদি মেনে নেয়া হয়, তাহলে এটা বিশ্বাস করা আবশ্যক হয়ে পড়ে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা পরস্পর দলাদলি করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা পরস্পর ঝগড়া-ফাসাদ করেছেন, না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! একজন আরেকজনের সাথে রূঢ় বা কঠোর ভাষা ব্যবহার করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! কটু (মন্দ) কথা বলেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! স্বর উচু করে কথা বলেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কঠোর ভাষায় কথা বলেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনার ইনসাফ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা একজন অন্যজনের ভালো বরদাস্ত করতে পারেননি। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনাদের মধ্যে বদ স্বভাব ছিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! যার প্রত্যেকটিই কাট্টা কুফরী। না‘ঊযুবিল্লাহ!

কেননা হিংসুক তো ঈমানদারই হতে পারে না। যেটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

اِنَّ الْـحَسَدَ يَأْكُلُ الْـحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْـحَطَبَ

অর্থ: “নিশ্চয়ই হিংসা নেকীসমূহকে এভাবে বিনষ্ট করে দেয়, যেভাবে আগুন লাকড়িকে জ্বালিয়ে দেয়।” না‘ঊযুবিল্লাহ!

একজন ওলীউল্লাহ বা খালিছ ঈমানদারের অন্তরে কোনো প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ বা বদ স্বভাব থাকতে পারে না। কারো অন্তরে যদি হিংসা-বিদ্বেষ বা বদ স্বভাব থাকে, সে কস্মিনকালেও ওলীউল্লাহ হতে পারে না, খালিছ ঈমানদারও হতে পারে না। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা তো হচ্ছেন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অন্তর মুবারক-এ কিভাবে হিংসা-বিদ্বেষ বা বদ স্বভাব থাকতে পারে? না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

অথচ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত পবিত্রতা মুবারক সম্পর্কে স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,

اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِـيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَـيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْـرًا

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! (খাছভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম!) নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

তাহলে কি মহান আল্লাহ পাক উনার এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ভুল? না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

يَانِسَاءَ النَّبِـىِّ لَسْتُـنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা কোনো পুরুষ-মহিলা অর্থাৎ সৃষ্টির কারো মতো নন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)

কাজেই উনারা কায়িনাতের কারো মতো নন। সুবহানাল্লাহ! যদি তাই হয়, তাহলে এটা কি করে বলা যেতে পারে যে, উনারা দুই দলে বিভক্ত ছিলেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা দলাদলি করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনাদের মধ্যে বদ স্বভাব ছিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা একজন অন্যজনের ভালো সহ্য করতে পারেননি। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

যদি এগুলো মেনে নেয়া হয়, তাহলে উপরোক্ত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফগুলোসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ফযীলত মুবারক ও খুছূছিয়াত মুবারক সম্বলিত আরো অনেক সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদেরকে অস্বীকার করতে হয়। না‘ঊযুবিল্লাহ! যা কাট্টা কুফরী ও চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। কাজেই উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ উপরোক্ত বর্ণনাগুলোসহ আরো যত বর্ণনা রয়েছে, প্রত্যেকটি বর্ণনাই মওযূ, বাতিল, মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন।

এ প্রসঙ্গে বলতে হয় যে, বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মুসনাদে আহমদ, মুসনাদে বায্যার, মুসনাদে আবী ইয়া’লা, ছহীহ ইবনে হিব্বান, আস সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ীসহ আরো অনেক কিতাবে রয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمْ يَكْذِبْ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اِبْـرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِلَّا ثَلَاثَ كَذَبَاتٍ

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) তিনি ৩টি মিথ্যা বলেছেন।” না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

এই হাদীছটি মওযূ। এই ব্যাপারে হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আমি তাদের একজনকে বলেছি, এই হাদীছটি গ্রহণ করা জায়েয নেই। কেননা সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মিথ্যা বলেছেন, এটা বলা জায়েয নেই। তখন ঐ লোকটি বললো, তাহলে কিভাবে ন্যায়পরায়ণ বা ছিক্বাহ্ রাবীদের প্রতি মিথ্যার রায় দেয়া যেতে পারে? অর্থাৎ কিভাবে বলা যেতে পারে যে, একজন ছিক্বাহ্ রাবী মিথ্যা বলেছেন? আমি বললাম, যখন তা‘আরুয বা মতবিরোধ দেখা দিয়েছে যে, রাবী মিথ্যা বলেছে নাকি সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মিথ্যা বলেছেন, তখন আবশ্যক হয়ে পড়ে যে, রাবী মিথ্যা বলেছে, এটা বলা উত্তম।” (তাফসীরে কাবীর ২৬/৩৪২)

এখন বলার বিষয় হচ্ছে, যদি সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত শান মুবারক এরূপ হয় যে, উনি মিথ্যা বলেছেন এটা বলার চেয়ে রাবী মিথ্যা বলেছে, এটা বলা উত্তম হয়। তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক কিরূপ হবেন? উনারা তো হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিসহ সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরসহ সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) উনাদের নীচে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত সৃষ্টির জান্নাত। সুবহানাল্লাহ! তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ যে বলা হলো- উনারা পরস্পর দলাদলি করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা একজন অন্যজনের ভালো বরদাস্ত করতে পারেননি। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনাদের মধ্যে বদ স্বভাব ছিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা ঝগড়া-ফাসাদ করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! এটার ফায়ছালা কি? মূলত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ এরূপ বলার চেয়ে, রাবীদেরকে এবং যারা লিপিবদ্ধ করেছে তাদেরকেই এরূপ বলা উত্তম যে, তারা মিথ্যুক, হিংসুক, ঝগড়াটে ইত্যাদি বিভিন্ন দোষে দোষী বা তারা বুঝতে পারেনি অথবা অনিচ্ছাকৃত তাদের ভুল হয়েছে।

আর খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,

وَلَوْلَآ اِذْ سَـمِعْتُمُوْهُ قُـلْـتُمْ مَّا يَكُوْنُ لَـنَا اَنْ نَّــتَكَلَّمَ بِـهٰـذَا سُبْحٰنَكَ هٰذَا بُـهْتَانٌ عَظِـيْمٌ

অর্থ: “তোমরা যখন (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ এলোমেলো) এ কথা শুনলে, তখন কেন বললে না যে, এ বিষয়ে আমাদের কোনো কথা বলার অধিকার নেই। তিনি (অর্থাৎ উনারা) অত্যন্ত পবিত্রতম। মহান আল্লাহ পাক তিনিও পবিত্র থেকে পবিত্রতম। এটা একটা কঠিন অপবাদ।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)

মহান আল্লাহ পাক তিনি এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে সমস্ত সৃষ্টির উপর এটা ফরয করে দিয়েছেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ কোনো কথা যখনই তারা শুনবে বা পড়বে, তখনই সাথে সাথে তাদেরকে বলতে হবে, ‘এ বিষয়ে আমাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা অত্যন্ত পবিত্রতম। এগুলো সব কঠিন অপবাদ। যারাই বলেছে, লিখেছে বা বর্ণনা করেছে, তারা মিথ্যা বলেছে, মিথ্যা লিখেছে, মিথ্যা বর্ণনা করেছে। সৃষ্টির কারো উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ কথা বলার বা লিখার কোনো অধিকার নেই।’

কাজেই এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে সমস্ত বান্দা-বান্দী, উম্মত সকলের জন্য এটা বলা ফরযে আইন সাব্যস্ত হয়েছে যে, ‘বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তাফসীরে জীলানী, তাফসীরে মাতুরীদীসহ হাদীছ-তাফসীর, ফিক্বহ্-ফতওয়া, আক্বাইদ-উছূল, শরাহ্, তাছাউফ ও ইতিহাসের বড় বড় নির্ভরযোগ্য কিতাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ যত হাদীছ ও বক্তব্য রয়েছে, প্রত্যেকটাই বাতিল, মওযূ, বানোয়াট, মিথ্যা, মনগড়া এবং ভিত্তিহীন।’

সেটাই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ কোনো কথা বা লিখা, সেটা যত বড় ইমাম-মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ-বুযূর্গ যে কোনো ব্যক্তিই বলুক না কেন বা লিখুক না কেন, তা কস্মিনকালেও গ্রহণ করা যাবে না। এগুলো গ্রহণ করা এবং সমর্থন করা প্রত্যেকটাই কাট্টা কুফরী এবং চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ।” না‘ঊযুবিল্লাহ!

খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ্ সমঝ দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে মারইয়াম।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে