মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা” তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার গুরুত্ব-তাৎপর্য এবং বেমছাল ফযীলত মুবারক

সংখ্যা: ২৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّكَ لَعَلـٰى خُلُقٍ عَظِيْمٍ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই আপনি সুমহান চরিত্র মুবারক উনার অধিকারী।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ক্বলাম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِـىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.

অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত মুবারক করে থাক, তাহলে আমার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ‘ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের এবং ইহকালে- পরকালে নাজাত ও হাক্বীক্বী কামিয়াবী লাভের একমাত্র পথ হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুকসরণ-অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করা ব্যতিত কেউ কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের এবং ইহকালে- পরকালে নাজাত ও হাক্বীক্বী কামিয়াবী লাভ করতে পারবে না। তাই সমস্ত জিন-ইনসানের জন্য ফরয হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ!

নিম্নে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার গুরুত্ব-তাৎপর্য এবং বেমছাল ফযীলত মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে তুলে ধরা হলো-

যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অনন্তকালব্যাপী সম্মানিত জান্নাত মুবারক

উনার মধ্যে অবস্থান করবেন:

এ সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ يُدْخِلْهُ جَنّٰتٍ تَـجْرِىْ مِنْ تَـحْتِهَا الْاَنْـهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا.

অর্থ: “যে বা যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, ঐ সমস্ত ব্যক্তি উনাদেরকে এমন সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ করানো হবে যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছেন নহরসমূহ। সুবহানাল্লাহ! উনারা অনন্তকালব্যাপী সেখানেই অবস্থান করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা’ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ تَعَالـٰى يُدْخِلُ الْعَبْدَ الْـجَنَّةَ بِالسُّنَّةِ تَـمَسَّكَ بِـهَا.

অর্থ: “নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ বান্দা-বান্দী, উম্মত উনাদেরকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ করাবেন, যে বান্দা-বান্দী, উম্মত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক দৃঢ়তার সাথে আঁকড়ে ধরে থাকবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইবানাতুল কুবরা লিইবনে বাত্ত্বাহ্ ১/৩৪৩, আশ শিফা’ ২/২৭, শারহুশ শিফা’ ২/২৩, মানাহিলুছ ছফা ফী তাখরীজি আহাদীছিশ শিফা লিস সুয়ূত্বী ১/১৭৭ ইত্যাদি)

যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারক হাছিল করবেন

এ সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ اَحَبَّنِـىْ فَلْـيَسْتَـنَّ بِسُنَّتِـىْ.

অর্থ: “যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত মুবারক করে, সে যেন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করে।” সুবহানাল্লাহ! (নিহায়াতুল আরব ফী ফুনূনিল আদব ২/২৫৭, ইহ্য়াউ ‘উলূমিদ্দীন ৪/২৩৩ ইত্যাদি)

অর্থাৎ যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অবশ্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারক হাছিল করবেন। সুবহানাল্লাহ!

যাঁরা একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করবেন, উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারক হাছিল করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে

উনার সাথে অবস্থান করবেন

এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحْيَا سُنَّتِـىْ فَقَدْ اَحَبَّنِـىْ وَمَنْ اَحَبَّنِـىْ كَانَ مَعِىَ فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করলেন, তিনি মূলত আমাকেই মুহব্বত করলেন। আর যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করলেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে আমার সাথেই অবস্থান করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল ই’তিছাম ১/৩৫, ই’তিক্বাদু আহলিস সুন্নাহ ১/৫৩, আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত ত্ববারানী ৯/১৬৮, আল ইবানাতুল কুবরা ১/২১০, আল জামি‘উছ ছগীর ২/৩০৬, আল ফাতহুল কাবীর ৩/১৪৩, জামি‘উল আহাদীছ ৪১/৩৮৭ ইত্যাদি)

যাঁরা একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করবেন, উনারা সম্মানিত

জান্নাত মুবারক লাভ করবেন

এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحْيَا سُنَّتِـىْ فَقَدْ اَحْيَانِـىْ وَمَنْ اَحْيَانِـىْ فَهُوَ فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করলেন, তিনি মূলত আমাকেই জিন্দা করলেন। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমাকে জিন্দা করলেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (যাম্মুল কালাম ৪/২৩২)

যাঁরা বিলুপ্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক পুনঃপ্রচলন করবেন, উনাদের জন্য স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক দান করেছেন

এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ الدِّيْنَ لَيَاْرِزُ اِلَـى الْـحِجَازِ كَمَا تَاْرِزُ الْـحَيَّةُ اِلـٰى جُحْرِهَا وَلَيَعْقِلَنَّ الدِّيْنُ مِنَ الْـحِجَازِ مِعْقَلَ الْاُرْوِيَّةِ مِنْ رَاْسِ الْـجَبَلِ اِنَّ الدِّيْنَ بَدَاَ غَرِيْبًا وَّسَيَعُوْدُ كَمَا بَدَاَ فَطُوْبٰـى لِلْغُرَبَاءِ وَهُمُ الَّذِيْنَ يُصْلِحُوْنَ مَا اَفْسَدَ النَّاسُ مِنْۢ بَعْدِىْ مِنْ سُنَّتِـىْ.

অর্থ: “হযরত ‘আমর ইবনে ‘আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্মানিত হিজায ভূমি উনার দিকে ফিরে যাবেন, যেমন সাপ তার গর্তে ফিরে যায় এবং অবশ্যই অবশ্যই সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্মানিত হিজায ভূমি থেকে উঁচু পাহাড়ে আরোহণ করবেন, যেমন পাহাড়ী মেষের আশ্রয়স্থল হয় পাহাড়ের চূড়ায়। নিশ্চয়ই সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম শুরু হয়েছেন অল্প সংখ্যক লোক উনাদের মাধ্যমে। আর অতিশিঘ্রই সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম অল্প সংখ্যক লোকের মধ্যেই ফিরে যাবেন। সেই অল্প সংখ্যক লোক উনাদের জন্যই রয়েছেন সুসংবাদ মুবারক। আর উনারা হচ্ছেনে ঐ সমস্ত ব্যক্তিত্ব মুবারক যাঁরা আমার পর আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মধ্য থেকে যে সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক মানুষ বিলুপ্ত করে ফেলেছে, সেই সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক পুনঃপ্রচলন করবেন, পুনরুদ্ধার করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ, শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী ১/১২১, মা’রিফাতুছ ছাহাবা’ লি আবী না‘ঈম ১৪/২৩৭, আল ফাতহুল কাবীর ১/২৭৯, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/৬৩৩৪, জামি‘উল আহাদীছ ৭/২৬২, জামি‘উল উছূল ৯/৬৯৭৪, যাখীরাতুল হুফ্ফায ১/৫৫২, কানযুল ‘উম্মাল ১/২৩৮ ইত্যাদি)

যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, অবশ্যই অবশ্যই উনাদেরকে ইহ্কাল-পরকালের কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে কুদরতময়ভবে

হিফাযত রাখা হবে

এ সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ يُدْخِلْهُ جَنّٰتٍ تَـجْرِىْ مِنْ تَـحْتِهَا الْاَنْـهٰرُ وَمَنْ يَّتَوَلَّ يُعَذِّبْهُ عَذَابًا اَلِيْمًا.

অর্থ: “যে বা যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনাদেরকে এমন সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ করানো হবে যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছেন নহরসমূহ। সুবহানাল্লাহ! আর যারা ফিরে যাবে, (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে না,) তাদেরকে কঠিন যন্ত্রণাদাকয় শাস্তি দেয়া হবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাত্হ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَالَ عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ مَنْ تَـمَسَّكَ بِسُنَّتِـىْ وَثَبَتَ نَـجَا وَمَنْ اَفْرَطَ مَرَقَ وَمَنْ خَالَفَ هَلَكَ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক দৃঢ়তার সাথে আঁকড়ে ধরে থাকবেন, তিনি নাজাত লাভ করবেন অর্থাৎ সম্মানিত জান্নাতী হবেন। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি সীমালংঘন করবে, সে অবাধ্য হিসেবে সাব্যস্ত হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! আর যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ করবে, বিরোধিতা করবে, সে ব্যক্তি হালাক হয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থাৎ জাহান্নামী হবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আল ইবানাতুল কুবরা লি ইবনে বাত্ত্বাহ ১/৩০৯)

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَاۤ اٰتٰىكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهٰىكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا وَاتَّقُوا اللهَ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ.

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের নিকট যা নিয়ে এসেছেন, তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং তিনি তোমাদেরকে যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকো। আর তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلْقُرْاٰنُ صَعْبٌ عُسَرٌ عَلـٰى مَنْ كَرِهَهٗ مُيَسَّرٌ عَلـٰى مَنْ تَبِعَهٗ وَحَدِيْثِىْ صَعْبٌ مُّسْتَصْعَبٌ وَهُوَ الْـحِكْمَةُ فَمَنِ اسْتَمْسَكَ بِـحَدِيْثِـىْ وَحَفِظَهٗ كَانَ مَعَ الْقُرْاٰنِ وَمَنْ تَـهَاوَنَ بِـحَدِيْثِىْ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةَ وَاُمِرْتُـمْ اَنْ تَاْخُذُوْا بِقَوْلِـىْ وَتَتَّبِعُوْا سُنَّتِـىْ فَمَنْ رَضِىَ بِقَوْلِـىْ فَقَدْ رَضِىَ بِالْقُرْاٰنِ وَمَنِ اسْتَهْزَاَ بِقَوْلِـىْ فَقَدِ اسْتَهْزَاَ بِالْقُرْاٰنِ قَالَ اللهُ تَعَالـٰى وَمَاۤ اٰتٰىكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهٰىكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا.

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ (বুঝা, উপলব্ধি করা) ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে, যারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে ইহানত করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! আর উনাদের জন্য অত্যন্ত সহজসাধ্য হবে, যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করেন। সুবহানাল্লাহ! আর আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ (বুঝা, উপলব্ধি করা) অত্যন্ত কঠিন। কারণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিকমত মুবারক। সুতরাং যাঁরা আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে দৃঢ়তার সাথে আঁকড়িয়ে ধরে থাকবেন এবং হিফাযত করবেন, তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার সাথেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! আর যারা আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে অবজ্ঞা করবে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে, তারা দুনিয়া এবং আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, লা’নাতগ্রস্ত হবে, কঠিন আযব-গযবে গ্রেপ্তার হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে থাকার জন্য এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার জন্য তোমাদেরকে আদেশ মুবারক করা হচ্ছে। কাজেই যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ পেয়ে সন্তুষ্ট হবেন, তিনি অবশ্যই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ পেয়েও সন্তুষ্ট হবেন। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে, সে অবশ্যই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ নিয়েও ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! (অত:পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক তিলাওয়াত মুবারক করে দলীল মুবারক পেশ করেন,) মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের নিকট যা নিয়ে এসেছেন, তা আকড়িয়ে ধরো এবং তিনি তোমাদেরকে যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকো।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল বয়ান ৯/৩৪৯)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ না করলে যদি কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেয়া হয়, তাহলে যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনাদের ফায়ছালা কি হবে? অবশ্যই অবশ্যই উনাদেরকে ইহ্কাল-পরকালের কঠিন যন্ত্রণাদায় শাস্তি থেকে কুদরতময়ভবে হিফাযত রাখা হবে। সুবহানাল্লাহ!

যিনি একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, তিনি একটি বিদ‘আত প্রতিহত করার ফযীলত হাছিল করবেন এবং উনার জন্য সম্মানিত

জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দেয়া হয়

এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

 عَنْ حَضْرَتْ غَضِيْفِ بْنِ الْـحَارِثِ الثُّمَالِـىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اَحْدَثَ قَوْمٌ بِدْعَةً اِلَّا رُفِعَ مِثْلُهَا مِنَ السُّنَّةِ فَتَمَسُّكٌ بِسُنَّةٍ خَيْـرٌ مِّنْ اِحْدَاثِ بِدْعَةٍ.

অর্থ: “হযরত গদ্বীফ ইবনে হারিছ ছুমালী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন কোনো ক্বওম বা সম্প্রদায় একটি বিদ‘আত উদ্ভাবন করে, প্রচলন করে, তখন সমপরিমাণ একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক বিলুপ্ত হয়ে যান। না‘ঊযুবিল্লাহ! কাজেই একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক আকড়ে ধরে থাকা একটি বিদ‘আত উদ্ভাবন করা থেকে, প্রচলন করা থেকে অতি উত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ৪/১০৫, মিশকাত শরীফ, ফাইযুল ক্বাদির ৫/৫২৬, জামি‘উল ‘উলূম ওয়াল হিকাম ১/২৬৬, মাজমা‘উয্ যাওয়ায়িদ ১/২৩০, তাহ্যীরুল খ¦ওয়াছ্ছ ১/২০৩, গায়াতুল মাক্বছাদ ১/২৬২, আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১/৪৫, তারীখুল ইসলাম লিয যাহাবী ৫/৫০৮, মুখতাছরু তারীখে দিমাশক্ব ৬/২৪৮ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ فِـىْ خُطْبَتِهٖ اِنَّ اَصْدَقَ الْـحَدِيْثِ كَلَامُ اللهِ وَخَيْـرُ الْـهَدْىِ هَدْىُ سَيِّدِنَا مَوْلـٰـنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَرُّ الْاُمُوْرِ مُـحْدَثَاتُـهَا وَكُلُّ مُـحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَكُلُّ ضَلَالَةٍ فِـى النَّارِ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খুত্ববাহ্ মুবারক উনার মধ্যে প্রায়ই ইরশাদ মুবারক করতেন, নিশ্চয়ই সবচেয়ে সত্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! আর সর্বোত্তম হিদায়াত মুবারক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হিদায়াত মুবারক অর্থাৎ তিনি যাঁকে সম্মানিত হিদায়াত মুবারক দান করবেন, ঐ ব্যক্তি তিনি সর্বোত্তম হাদী হয়ে যাবেন। সুবহানাল্লাহ! আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ হচ্ছে (সম্মানিত ও পবিত্র শরী‘য়াত উনার খিলাফ) যে কাজগুলো নতুন উদ্ভাবন করা হয়। না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র শরী‘য়াত উনার খিলাফ) প্রত্যেক নবোদ্ভাবিত কাজই বিদ‘আত। প্রত্যেক বিদ‘আত হচ্ছে গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা। আর প্রত্যেক গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট ব্যক্তিই হচ্ছে জাহান্নামী।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (নাসায়ী শরীফ, সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ২/৩০৮, আল মু’জামুল কাবীর লিত্ ত্ববারানী ৭/৪৯৩, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/৫৫৬৪, জামি‘উল আহাদীছ ৬/৩১৫, জামি‘উল উছূল লি ইবনে আছীর ৫/৩৯৭৪, কানযুল ‘উম্মাল ১১/১০, আস সুন্নাহ লিল মুরূযী ১/২৯, ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ্ ৩/১৪৩, আল গরাইব লিন নাসায়ী ১/৫৭, আল আসমা’ ওয়াছ ছিফাত লিল বাইহাক্বী ১/৪৪৮, আয্ যাহ্রুন নাদ্বর লি ইবনে হাজার আসক্বালানী ১/১, তাফসীরে ইবনে কাছীর ২/৪১৬, হিলয়াতুল আউলিয়া’ লি আবী না‘ঈম ৩/১৮৯, আদ্ দীবাজ লিস সুয়ূত্বী ১/৫, আল ফাতহুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ১/২৩৭, শরহু ‘আক্বীদাতুত্ ত্বহাবী ৪/২২৯, কাশফুল খফা ১/১৯৪, আর রওদ্বুল বাসিম ১/৫, যাম্মুল কালাম ৩/৪৯, দুররুল মানছূর ৬/৬৮১, ফাতহুল ক্বাদীর লিশ শাওক্বানী ৩/১২২, তাফসীরুস সাম‘আনী ২/১৬০ ইত্যাদি)

একটা বিদ‘আত প্রচলন করলে যদি সেখান থেকে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক বিলুপ্ত হয়ে যান এবং যারা বিদ‘আত প্রচলন করবে তাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে যায়! তাহলে যাঁরা একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, অবশ্যই অবশ্যই তিনি একটি বিদ‘আত প্রতিহত করার ফযীলত হাছিল করবেন এবং অবশ্যই অবশ্যই উনাদের জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দেয়া হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সুবহানাল্লাহ!

যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনাদের সমস্ত ‘আমল কুদরতময়ভাবে সুরক্ষিত রাখা হবে

এ সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

یٰۤاَیُّها الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَلَا تُبْطِلُوْا اَعْمَالَكُمْ.

অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর। আর তোমরা তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করো না।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মুহম্মদ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার খিলফ ‘আমল করলে, সমস্ত ‘আমল বরবাদ হয়ে যাবে, বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী ‘আমল করলে, সমস্ত ‘আমল কুদরতময়ভাবে সুরক্ষিত রাখা হবে। সুবহানাল্লাহ!

যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার খাছ উম্মত হিসেবে কবূল করবেন এবং উনাদেরকে বিজাতী-বিধর্মীদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া থেকে কুদরতময়ভাবে হেফাযত করবেন

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَخَذَ بِسُنَّتِـىْ فَهُوَ مِنِّـىْ وَمَنْ رَّغِبَ عَنْ سُنَّتِـىْ فَلَيْسَ مِنِّـىْ.

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরে থাকবেন, তিনি আমার (খাছ উম্মত উনাদের) অন্তর্ভূক্ত হবেন। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক থেকে সরে যাবে, মুখ ফিরিয়ে নিবে, সে আমার (সম্মানিত উম্মত উনাদের) অন্তর্ভূক্ত নয়।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আল ফাতহুল কাবীর ৩/১৪৩, আল জামি‘উছ ছগীর ২/৩০৭, জামি‘উল আহাদীছ ৩৬/৪৫৩, কানযুল ‘উম্মাল ১/১৮৪, মুখতাছরু তারীখে দিমাশক্ব ৫/১৩২ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ.

 অর্থ: “হযরত ইবনে ‘উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যেই সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে, অনুরসণ-অনুকরণ করবে, সে তাদেরই দলভুক্ত হবে। অর্থাৎ তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আবূ দাঊদ, মুসনাদে আহমদ, মুসনাদুশ শিহাব ১/২৪৪, মিশকাত শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْـرِنَا.

অর্থ: “হযরত ‘আমর বিন শু‘য়াইব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার থেকে এবং তিনি উনার সম্মানিত দাদা (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু) উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ ব্যক্তি আমার (সম্মানিত উম্মত উনাদের) অন্তর্ভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি বিজাতীয়দের সাথে সাদৃশ্য রাখে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, অবশ্যই অবশ্যই উনাদের সমস্ত কথা, কাজ এবং নিয়ত সবচেয়ে সঠিক এবং অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ হবেন

কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَلْـحَسَنِ الْبَصْرِىِّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ لَا يَسْتَوِىْ قَوْلٌ اِلَّا بِعَمَلٍ وَلَا يَصْلُحُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ اِلَّا بِنِيَّةٍ وَلَا يَصْلُحُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ وَنِيَّةٌ اِلَّا بِالسُّنَّةِ.

অর্থ: “হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোনো কথা কখনো সঠিক হয় না ‘আমল করা ব্যতীত। কোন কথা এবং ‘আমল শুদ্ধ হয় না নিয়ত ব্যতীত। আর কোন কথা, ‘আমল এবং নিয়ত শুদ্ধ হয় না মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ব্যতীত। (যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনাদের কথা, ‘আমল এবং নিয়ত সমস্ত কিছু সবচেয়ে সঠিক হবেন।)” সুবহানাল্লাহ! (মাফাতীহুস সুন্নাহ ফিল ইহতিজাজে বিস সুন্নাহ লিস সুয়ূত্বী ১/৬৪, আল বাদরুল মুনীর ২/৬২৯, রিয়াদ্বুল জান্নাহ বি তাখরীজি উছূলিস সুন্নাহ ১/২০৯ ইত্যাদি)

কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-

قَالَ حَضْرَتْ سُفْيَانُ الثَّوْرِىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كَانَ حَضْرَتْ اَلْفُقَهَاءُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ يَقُوْلُوْنَ لَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ اِلَّا بِعَمَلٍ وَلَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ اِلَّا بِنِيَّةٍ وَلَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ وَنِيَّةٌ اِلَّا بِنِيَّةِ مُوَافَقَةِ السُّنَّةِ.

 অর্থ: “হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ফুক্বাহায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, কোনো কথা কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না ‘আমল করা ব্যতীত। কোনো কথা এবং ‘আমল কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না নিয়ত ব্যতীত। আর কোনো কথা, ‘আমল এবং নিয়ত কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক মুতাবিক নিয়ত করা ব্যতীত। (যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনাদের কথা, ‘আমল এবং নিয়ত সমস্ত কিছু অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ হবেন)।” সুবহানাল্লাহ! (উছূলুস সুন্নাহ ১/১৬৯, যাম্মুল কালাম ৩/১২৪, রিয়াদ্বুল জান্নাহ বি তাখরীজি উছূলিস সুন্নাহ ১/২০৯ ইত্যাদি)

যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা সম্মানিত রহমত মুবারক হাছিল করবেন

এ সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَطِيْعُوا اللهَ وَالرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَـمُوْنَ.

অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর, তাহলে তোমরা অবশ্যই সম্মানিত রহমত মুবারক লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ‘ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩২)

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

اَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَـمُوْنَ.

অর্থ: “তোমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর, অবশ্যই তোমরা সম্মানিত রহমত মুবারক লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অতি সহজেই সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হছিল করবেন

এ সম্পর্কে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ صَدَّقَنِـىْ وَاتَّبَعَ سُنَّتِـىْ فَقَدْ وَصَلَ اِلَـى الرِّضْوَانِ.

অর্থ: “যে ব্যক্তি আমাকে সত্যারোপ করবেন, (পরিপূর্ণভাবে মেনে নিবেন) এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অত্যন্ত সহজেই সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (হাক্বায়িক্বুত তাফসীর ২/২১৫)

যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা হাক্বীক্বী ঈমানদার হিসেবে সাব্যস্ত হবেন

এ সম্পর্কে স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَطِيْعُوا اللهَ وَرَسُوْلَهٗۤ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْـنَ.

অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাকো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

یٰۤاَیُّہَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اَطِيْعُوا اللهَ وَرَسُوْلَهٗ.

অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আন্ফাল শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২০)

অর্থাৎ যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা হাক্বীক্বী ঈমানদার হিসেবে সাব্যস্ত হবেন। সুবহানাল্লাহ!

যাঁরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অতি সহজেই স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাছিল করবেন

এ সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِـىْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُو اللهَ وَالْيَوْمَ الْاٰخِرَ وَذَكَرَ اللهَ كَثِيْـرًا.

অর্থ: “যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাওয়ার আশা করে, পরকাল আশা করে এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে বেশি বেশি স্বরণ করার ইচ্ছা করে, উনাদের জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক রয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)

কাজেই, যাঁরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অতি সহজেই স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাছিল করবেন। সুবহানাল্লাহ!

যাঁরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অবশ্যই সর্বোত্তম গুণাবলির অধিকারী হবেন

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصّـِدِّيْقَةِ عَلَيـْهَا السَّلَامُ )سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيـْهَا السَّلَامُ( قَالَتْ كَانَ خُلُقُهُ الْقُرْاٰنَ.

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চরিত্র মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ।” সুবহানাল্লাহ!

আর স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

بُعِثْتُ لِاُتِـمَّ مَكَارِمَ الْاَخْلَاقِ.

অর্থ: “আমি সমস্ত চারিত্রিক গুণাবলীসমূহকে, উত্তম গুণাবলীসমূহকে পূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (‘উক্বূদুয্ যাবারজুদ লিস সুয়ূত্বী ২/৪৬৮)

কাজেই, যাঁরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অবশ্যই সর্বোত্তম গুণাবলির অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!

যাঁরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণকারী অর্থাৎ উনার খাছ বান্দা-বান্দী হিসেব সাব্যস্ত হবেন

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَطِيْعُوا اللهَ وَالرَّسُوْلَ.

অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ‘ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

 اَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ.

অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪)

এখন বান্দা-বান্দী, বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী কিভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে? বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী কারো পক্ষে কখনই সরাসরি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করা কশ্মিনকালেও সম্ভব নয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করাই হচ্ছেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ। সেটাই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ اَطَاعَ اللهَ.

অর্থ: “যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করলেন, তিনি মূলত মহান আল্লাহ পাক উনারই ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করলেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা’ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)

আর যাঁরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণকারী অর্থাৎ উনার খাছ বান্দা-বান্দী হিসেব সাব্যস্ত হবেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যাঁরা ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অনুসরণীয়-অনুকরণীয় হবেন

এ সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

یٰۤاَیُّہَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَاُولِـى الْاَمْرِ مِنْكُمْ.

অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং তোমাদের মধ্যে যিনি উলিল আমর তথা নায়িবে নবী, ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া, হক্কানী-রব্বানী আলিম-উলামা’ উনাদের ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ কর।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা’ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯)

উলিল আমর হচ্ছেন ঐ সমস্ত ব্যক্তিত্ব, যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِـىْ وَسُنَّةِ الْـخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّـيْـنَ تَـمَسَّكُوْا بِـهَا وَعَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ.

অর্থ: “তোমাদের উপর আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক লাযিম তথা আবশ্যক করে দেয়া হলো। তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়িয়ে ধরো।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)

কাজেই যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, উনারা অনুসরণীয়-অনুকরণীয় হবেন। সুবহানাল্লাহ!

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল দায়িমী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে হাবীবাতুল্লাহ, ত্বহিরাহ্, ত্বইয়িবাহ্, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরীদীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল দায়িমী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে উনারা তো অবশ্যই সর্বক্ষেত্রে, সর্ববিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক সম্মানিত ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করেনই শুধু তাই নয়; সমস্ত বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, ছোট-বড় সবাইকে সর্বক্ষেত্রে, সর্ববিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার জন্য উৎসাহ মুবারক প্রদান করেন, অত্যন্ত তাকীদ মুবারক দান করেন। সুবহানাল্লাহ! আর একমাত্র উনারাই সেই সুমহান মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক যে উনারা দয়া করে, ইহ্সান করে সমস্ত বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, ছোট-বড় সকলেই যেন সর্বক্ষেত্রে, সর্ববিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী ‘আমল করতে পারেন, সেজন্য ‘আন্তর্জাতিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী পোশাক-পরিচ্ছদ, খাবার-দাবার, আসবাবপত্রসহ সমস্ত বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সমস্ত কিছুই উনারা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক সারা দেশে, সমস্ত পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রসার করার জন্য সার্বিক ব্যবস্থাও উনারা করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এমন নযীর বা দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসে কারো ক্ষেত্রেই কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। সুবহানাল্লাহ!

সমস্ত বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, ছোট-বড় আমাদের সকলের উপর দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, ফযর হচ্ছে মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হাবীবাতুল্লাহ, ত্বহিরাহ্, ত্বইয়িবাহ্, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরীদীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করা। তাহলেই মূলত আমরা সকলে অতি সহজেই সর্ববিষয়ে, সর্বক্ষেত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী সমস্ত ‘আমল করে ইহ্কালে-পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে পারবো। আর এ জন্য আমাদের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, ফরয হচ্ছে  ‘আন্তর্জাতিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সমস্ত প্রকার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী দ্রব্য-সামগ্রী সংগ্রহ করে এবং ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার যতো ফযীলত মুবারক বর্ণিত রয়েছেন, সমস্ত ফযীলত মুবারক হাছিলের কোশেশ করে ইহ্কালে-পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হছিলের কোশেশ করা।

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরীদীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার মাধ্যমে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, ছোট-বড় আমাদের সবাইকে সর্বক্ষেত্রে, সর্ববিষয়ে হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার যতো ফযীলত মুবারক বর্ণিত রয়েছেন, সমস্ত ফযীলত মুবারক হাছিল করে ইহ্কালে-পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম