মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অসীম ইলম মুবারক উনার ধারক-বাহক, মালিক। উনাদের গোলামী করার মাধ্যমেই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলে সম্মানিত ইলম মুবারকসহ সমস্ত নিয়ামত মুবারক হাছিল করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ হাছিল করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!

সংখ্যা: ২৭৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক রয়েছে-

عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ الْاَوَّلِ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عَلِىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ) اَنَّهٗ كَانَ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ اَىُّ شَىْءٍ خَيْـرٌ لِّلْمَرْاَةِ فَسَكَتُوْا فَلَمَّا رَجَعْتُ قُلْتُ لِسَيِّدَةِ نِسَاءِ اَهْلِ الْـجَنَّةِ النُّوْرِ الرَّابِعَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلزَّهْرَاءِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) اَىُّ شَىْءٍ خَيْـرٌ لِّلنِّسَاءِ اَوْ لِلْمَرْاَةِ قَالَتْ اَنْ لَّا يَرَاهُنَّ الرِّجَالُ وَلَا يَرَوْنَـهُمْ فَذَكَرْتُ ذٰلِكَ لِلنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مِـمَّنْ قُلْتُ مِنْ سَيِّدَةِ نِسَاءِ اَهْلِ الْـجَنَّةِ النُّوْرِ الرَّابِعَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلزَّهْرَاءِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلنُّوْرُ الرَّابِعَةُ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلزَّهْرَاءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) بِضْعَةٌ مِّـنِّـىْ.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণিত। একদিন তিনি (এবং হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ আরো অনেক বিশিষ্ট ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দরবারে নববী শরীফ উনার মধ্যে) বসা ছিলেন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (সবাইকে উদ্দেশ্য করে) জিজ্ঞাসা মুবারক করলেন-  মেয়েদের জন্য কোন্ আমলটা সবচেয়ে উত্তম? সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, সকলেই চুপ থাকলেন। আমি (আস্তে করে পিছন থেকে উঠে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে এসে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম- মেয়েদের জন্য কোন্ আমলটা সবচায়ে উত্তম? তিনি বললেন, মেয়েদের জন্য সবচায়ে উত্তম আমল হচ্ছে, কোনো পুরুষ সে মহিলাকে দেখবে না এবং সে মহিলা কোনো পুরুষকে দেখবে না। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি সেখান থেকে এটা শুনে সরাসরি যেয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মেয়েদের জন্য শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে তারা কোনো পুরুষকে দেখবে না এবং তাদেরকেও কোনো পুরুষ দেখবে না। (এটা শুনে) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- আপনি কার কাছ থেকে জেনে এটা বললেন? তিনি বলেন, আমি আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে জেনে এটা বলেছি। সুবহানাল্লাহ! সেটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন এবং) বললেন- সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তো আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিস্ম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার একখানা সম্মানিত টুকরো মুবারক, আমার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক (সেজন্য তিনি হাক্বীক্বী বিষয়টা বলে দিয়েছেন, জানিয়ে দিয়েছেন)।” সুবহানাল্লাহ! (মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২০৮ এবং ২০৯তম সংখ্যা)

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে উনার সম্মানিত অসীম ইলম মুবারক আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন সে বিষয়টিই আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ! উক্ত মজলিস মুবারক-এ হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ আরো অনেক বিশিষ্ট হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা উপস্থিত ছিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত সুওয়াল মুবারক করলেন, আর সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা সবাই চুপ থাকলেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আস্তে করে পিছন থেকে উঠে সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা শরীফ-এ যেয়ে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে জেনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পেশ করলেন যে, মেয়েদের জন্য শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে তারা কোন পুরুষকে দেখবে না এবং তাদেরকেও কোন পুরুষ দেখবে না। সুবহানাল্লাহ! এটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- আপনি কার কাছ থেকে জেনে এটা বললেন? তিনি বলেন, আমি আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে জেনে এটা বলেছি। সুবহানাল্লাহ! সেটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশি মুবারক প্রকাশ করে বললেন-

اَلنُّوْرُ الرَّابِعَةُ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلزَّهْرَاءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) بِضْعَةٌ مِّـنِّـىْ.

সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তো আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিস্ম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার একখানা সম্মানিত টুকরো মুবারক, আমার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক (সেজন্য তিনি হাক্বীক্বী বিষয়টা বলে দিয়েছেন, জানিয়ে দিয়েছেন)।” সুবহানাল্লাহ!

কাজেই উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অসীম ইলম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! আর সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অসীম ইলম মুবারক উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মাধ্যম দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশানুক্রমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বর্তমান পর্যন্ত জারী রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

আর এ বিষয়টিই স্পষ্টভাবে বর্ণনা মুবারক করেছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিবার মুবারক এমন এক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিবার মুবারক যে, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিবার মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অসীম ইলম মুবারক উনার হাক্বীক্বত এবং মা’রিফাত পরিপূর্ণরূপে উত্তরাধিকারসূত্রে  পেয়ে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা যে কতো সীমাহীন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইলম মুবারক উনার অধিকারী ছিলেন তা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়া মুবারক দ্বারাই স্পষ্ট হয়ে যায়। এই মহাসম্মানিত ওয়াকিয়া মুবারক উনার সাথে ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ মাযহাব, হানাফী মাযহাব উনার মহাসম্মানিত ইমাম। উনার সম্পর্কে সম্মানিত শাফেয়ী মাযহাব উনার মহাসম্মানিত ইমাম হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-

اَلْفُقَهَاءُ كُلُّهُمْ عِيَالُ حَضْرَتْ اَبِـىْ حَنِيْفَةَ رَحـْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ.

অর্থ: “সমস্ত ফুক্বাহায়ে কিরাম উনারা সকলেই ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট সন্তান তুল্য।” সুবহানাল্লাহ!

আর সম্মানিত মালিকী মাযহাব উনার মহাসম্মানিত ইমাম হযরত ইমাম মালিক রবহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “তিনি হচ্ছেন সেই ইমাম আ’যম আবূ হানীফা কূফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি যদি একখণ্ড কাঠের টুকরোকে স্বর্ণ বলেন, পৃথিবীর বুকে এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে, উনার বক্তব্য মুবারক রদ করে তা কাঠের টুকরো প্রমাণ করে। আবার তিনি যদি এক টুকরো স্বর্ণকে কাঠ বলেন, পৃথিবীর বুকে এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে, উনার বক্তব্য মুবারক রদ করে তা স্বর্ণের টুকরো প্রমাণ করে।” সুবহানাল্লাহ!

এতো বেমেছাল ইলম মুবারক উনার অধিকারী হচ্ছেন ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্পর্কে বলা হয় যে, তিনি সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক উনার ত্ববক্বা থেকে সম্মানিত ইলম মুবারক হাছিল করেছেন। উনার ইজতিহাদ হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ইজতিহাদ মুবারক উনার সাথে মিলে যাবে। সুবহানাল্লাহ! তিনি এই সম্মানিত ইলম মুবারক কিভাবে হাছিল করলেন? মূলত, তিনি তা হাছিল করেছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের গোলামী করার মাধ্যমে, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মুরীদ ও খলীফা। তিনি উনাদের গোলামী করার মাধ্যমে, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার মাধ্যমে সেই সম্মানিত ইলম মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকেও সম্মানিত ইলম মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক-এ একখানা ঘটনা মুবারক উল্লেখ রয়েছে যে, একবার উনার একটি মাসআলা জানার প্রয়োজন হলো। তাই তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  মদীনা শরীফ উনার উদ্যেশ্যে রওয়ানা হলেন এবং উনার শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দরবার শরীফ গমন করলেন। উনার সাথে ছিলেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। সেটাই কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

فَاَتَيَا بَابَ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ السَّادِسِ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ جَعْفَرِۣ الصَّادِقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَالنَّاسُ يَنْتَظِرُوْنَ خُرُوْجَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَقَبْلَ خُرُوْجِ سَيِّدِنَا اَلْاِمَامِ السَّادِسِ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ جَعْفَرِ ۣ الصَّادِقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ) خَرَجَ عَلَيْهِمْ مِنَ الدَّارِ غُلَامٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ حَدَثَ السِنِّ فَقَامَ النَّاسُ اِجْلَالًا وَهَيْبَةً لَّهٗ فَسَاَلَهٗ حَضْرَتْ اَبُوْ حَنِيْفَةَ رَحـْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ صَاحِبَهٗ حَضْرَتْ عَبْدَ اللهِ رَحـْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنِ الْغُلَامِ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ هٰذَا اِبْنُهٗ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامُ السَّابِعُ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامُ مُوْسَى الْكَاظِمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ) فَاَرَادَ حَضْرَتْ اَبُوْ حَنِيْفَةَ رَحـْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنْ يَّـمْتَحِنَهٗ فَتَقَدَّمَ اِلـٰى سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ السَّابِعِ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ مُوْسَى الْكَاظِمِ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَسَاَلَهٗ يَا غُلَامُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَيْنَ يَضَعُ الرَّجُلُ حَاجَتَهٗ فَرَدَّ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامُ السَّابِعُ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامُ مُوْسَى الْكَاظِمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ) بِـمَا مَعْنَاهٗ يَضَعُهَا فِـىْ مَكَانٍ بِـحَيْثُ يَتَوَارٰى فِيْهِ عَنِ الْاِنْظَارِ وَلَا يَسْتَقْبِلُ الْقِبْلَةَ وَلَا يَسْتَدْبِرُهَا ثُـمَّ شَرَحَ لَهٗ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامُ السَّابِعُ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامُ مُوْسَى الْكَاظِمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَاجِبَاتٍ وَمُسْتَحَبَّاتٍ وَمَكْرُوْهَاتٍ  لِّلتَّخَلّٰى فَبُهِتَ حَضْرَتْ اَبُوْ حَنِيْفَةَ رَحـْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لِاَنَّ حَضْرَتْ اَبَا حَنِيْفَةَ رَحـْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ يَعْتَقِدُ اَنَّ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامَ السَّابِعَ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامَ مُوْسَى الْكَاظِمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ) سَيَجِيْبُهٗ عَنْ مَّعْنٰـى وَضَعَ الرَّجُلُ حَاجِيَّاتَهٗ اَىْ اَغْرَاضَهٗ وَثِيَابَهٗ وَكَانَ قَصْدُ حَضْرَتْ اَبِـىْ حَنِيْفَةَ رَحـْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ الْـخَلَاءَ فَكَيْفَ عَرَفَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامُ السَّابِعُ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامُ مُوْسَى الْكَاظِمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ) بِقَصْدِ حَضْرَتْ اَبِـىْ حَنِيْفَةَ رَحـْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ.

অর্থ: “অত:পর হযরত ইমামে আ’যম ইমাম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা উভয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দরবার শরীফ আসলেন। উনারা দেখতে পেলেন যে, লোকজন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত তাশরীফ মুবারক আনার অপেক্ষায় আছেন। দেখা গেলো যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ থেকে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখার পূর্বে দুনিয়াবী দৃষ্টিতে অল্প বয়স মুবারক উনার অধিকারী একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বালক আলাইহিস সালাম তিনি সেখানে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক আনলেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মান ও প্রতাপের কারণে লোকজন সকলে দাঁড়িয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! তখন ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সঙ্গী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বালক উনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, ইনি কে? তিনি বললেন যে, ইনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! (তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৫-৬ বছর। সুবহানাল্লাহ! হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুরীদ। তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অসীম ইলম মুবারক সম্পর্কে জানতেন। সুবহানাল্লাহ! তাই তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইলম মুবারক উনার বিষয়টা কিরূপ সেটা জানার জন্য) ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সুওয়াল করতে চাইলেন। অত:পর ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট অগ্রসর হলেন এবং সুওয়াল করলেন, হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বালক আলাইহিস সালাম! মানুষ তার হাজত কোথায় রাখে? সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাব্দিক অর্থ পরিত্যাগ করে, (হাক্বীক্বী বিষয়টা বর্ণনা করলেন যে,) মানুষ এমন জায়গায় তার হাজত রাখে তথা ইস্তেঞ্জা করে যেখানে অন্যদের দৃষ্টি থেকে নিজেকে আত্মগোপন করতে পারে অর্থাৎ নির্জন স্থানে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বিবলা মুবারক সামনেও থাকবে না আবার পিছনেও থাকবে না। তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ইস্তেঞ্জা সংশ্লিষ্ট যত ওয়াজিব, মুস্তহাব এবং মাকরূহ মাসয়ালা-মাসায়েল রয়েছে সে সমস্ত মাসয়ালা-মাসায়েলগুলো ব্যাখ্যা করে বিস্তারিতভাবে বলে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! (যদিও দুনিয়াবী দৃষ্টিতে তখন উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ৫-৬ বছর। সুবহানাল্লাহ!) তখন ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হতবম্ভ হয়ে গেলেন। কেননা ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ধারণা ছিলো যে, (উনার যেহেতু দুনিয়াবী দৃষ্টিতে সম্মানিত বয়স মুবারক অল্প, তাই তিনি হয়তো) উনার সুওয়ালের শাব্দিক অর্থ বলবেন যে, মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্থাৎ মানুষ তার প্রয়োজনী বস্তু এবং পোশাক-পরিচ্ছেদ কোথায় রাখে সে বিষয়টি বলবেন। অথচ ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উদ্দেশ্য ছিলো ‘ইস্তেঞ্জা’। তাহলে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মনের ইচ্ছা সম্পর্কে কিভাবে জানলেন?” সুবহানাল্লাহ!

আবার তিনি ইস্তেঞ্জা সংশ্লিষ্ট সমস্ত মাসয়ালা-মাসায়িলসমূহ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে বর্ণনা করে দিলেন! সুবহানাল্লাহ! তখন ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ যে সম্মানিত মাসআলা মুবারক জানতে এসেছিলেন, সেই সম্মানিত মাসআলা মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে জানতে চাইলেন। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই সম্মানিত মাসআলা মুবারক উনার জাওয়াব মুবারক এতো উত্তমভাবে দিলেন যে, ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এটা যথেষ্ট মনে করলেন এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আর এই সম্মানিত মাসআলা মুবারক জানতে চাইলেন না। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা কতো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অসীম ইলম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!

মূলত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে এবং উনাদের গোলামী করার মাধ্যমে একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলে সম্মানিত ইলম মুবারকসহ সমস্ত প্রকার নিয়ামত মুবারক হাছিল করেছেন, হাছিল করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ হাছিল করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! সেই বিষয়টিই এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা কারো কাছ থেকে সম্মানিত ইলম মুবারক শিক্ষা গ্রহণ করেন না; উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশানুক্রমে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হাযির এবং নাযির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্তালা’ ‘আলাল গ¦ায়িব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সেই মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অসীম ইলম মুবারক হাছিল করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের হাক্বীক্বী গোলামী করার মাধ্যমেই ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার তাক থেকে সম্মানিত ইলম মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হাযির এবং নাযির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্তালা’ ‘আলাল গ¦ায়িব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সেই মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অসীম ইলম মুবারক উনার ধারক-বাহক, মালিক। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْـمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৬০৬, ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

কাজেই একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের গোলাম, খাদিম। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানার্থে এবং উনাদের গোলামী করার মাধ্যমে একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলে সম্মানিত ইলম মুবারকসহ সমস্ত প্রকার নিয়ামত মুবারক হাছিল করেছেন, হাছিল করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ হাছিল করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম