মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের পরিচিতি মুবারক এবং পালনের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান মুবারক

সংখ্যা: ২৭১তম সংখ্যা | বিভাগ:

اَيَّامٌ (আইয়্যামুন) শব্দ মুবারকখানা يَوْمٌ (ইয়াওমুন) শব্দ মুবারক উনার বহুবচন। অর্থ দিনসমূহ। আর শব্দ মুবারকখানা লফযে আল্লাহ (اَللهُ শব্দ মুবারক) উনার সাথে ইযাফত হয়ে- اَيَّامُ اللهِ (আইয়্যামুল্লাহ্) হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর اَيَّامُ اللهِ (আইয়্যামুল্লাহ্) উনার অর্থ হচ্ছেন- যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ বিশেষ দিনসমূহ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ দিনসমূহের মধ্যে এমন কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক রয়েছেন, যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন মুবারক উনাদেরকে স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নিজের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

এ সম্পর্কে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَذَكِّرْهُمْ بِاَيَّامِ اللهِ اِنَّ فِـىْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ.

অর্থ: “আর আপনি তাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ বিশেষ দিন মুবারক সম্পর্র্কে স্মরণ করিয়ে দিন, জানিয়ে দিন। সুবহানাল্লাহ! নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই এই বিশেষ বিশেষ দিন মুবারকসমূহ উনাদের মধ্যে প্রত্যেক ধৈর্য্যশীল ও শুকুরগুজার বান্দা-বান্দী-উম্মত উনাদের জন্য সম্মানিত আয়াত তথা নিদর্শন  মুবারক, উপদেশ মুবারক, মা’রিফাত-মুহব্বত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক নিহিত রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)

ইমামুল মুফাসসিরীন মিনাল আউওয়ালীন ইলাল আখিরীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, ـতামুন নাবিইয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের এবং সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অর্থাৎ উনাদের সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ বিশেষ দিন ও রাত মুবারকসমূহই হচ্ছেন আলোচ্য সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত।” সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لَا تُـحِلُّوْا شَعَآئِرَ اللهِ.

অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত শি‘য়ার মুবারকসমূহ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের মানহানী করো না অর্থাৎ ইয্যত-সম্মান করো, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২)

আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَيَّاشِ بْنِ اَبِـىْ رَبِيْعَةَ الْـمَخْزُوْمِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَزَالُ هٰذِهِ الْاُمَّةُ بِـخَيْـرٍ مَّا عَظَّمُوْا هٰذِهِ الْـحُرْمَةَ حَقَّ تَعْظِيْمِهَا فَاِذَا ضَيَّعُوْا ذٰلِكَ هَلَكُوْا.

অর্থ: “হযরত ‘আইয়্যাশ ইবনে আবী রবী‘আহ মাখ্যূমী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এই উম্মত ততদিন পর্যন্ত খায়ের-বরকত, কল্যাণের উপর থাকবে, যতদিন পর্যন্ত তারা এই সম্মানিত বিষয় মুবারকসমূহ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের যথাযথ ইজ্জত-সম্মান করবে, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর যখন তারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের ইহানত করবে, মানহানী করবে, অবমাননা করবে, তখন তারা হালাক হয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدِ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ لِلّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ ثَلَاثَ حُرُمَاتٍ مَّنْ حَفِظَهُنَّ حَفِظَ اللهُ دِيْنَهٗ وَدُنْيَاهُ وَمَنْ لَّـمْ يَـحْفَظْهُنَّ لَـمْ يـَحْفَظِ اللهُ دِيْنَهٗ وَلَا اٰخِرَتَهٗ قُلْتُ مَا هُنَّ قَالَ حُرْمَةُ الْاِسْلَامِ وَحُرْمَتِـىْ وَحُرْمَةُ رِحْـمِـىْ.

অর্থ: “হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত বিষয় মুবারক তথা সম্মানিত শি‘য়ার বা নিদর্শন মুবারক হচ্ছেন তিনটি। যেই ব্যক্তি এই সম্মানিত বিষয় মুবারকসমূহ তথা সম্মানিত শি‘য়ার বা নিদর্শন মুবারকসমূহ উনাদেরকে হিফাযত বা সংরক্ষণ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার দ্বীনী ও দুনিয়াবী সমস্ত বিষয় হিফাযত করবেন। আর যে ব্যক্তি এই সম্মানিত বিষয় মুবারকসমূহ তথা সম্মানিত শি‘য়ার বা নিদর্শন মুবারকসমূহ উনাদেরকে হিফযত বা সংরক্ষণ করবে না, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার দ্বীন ও পরকাল কোনো কিছুই হিফাযত করবেন না। আমি বললাম, সেই সম্মানিত বিষয় মুবারকসমূহ তথা সম্মানিত শি‘য়ার বা নিদর্শন মুবারকসমূহ কী?  জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, (সেই সম্মানিত তিনটি বিষয় মুবারক তথা সম্মানিত শি‘য়ার বা নিদর্শন মুবারকসমূহ হচ্ছেন,) ১. সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত হুরমত মুবারক, ২. আমার সম্মানিত হুরমত মুবারক এবং ৩. আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত হুরমত মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ ৯/১১)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট সম্মানিত দিন ও রাত মুবারক-এ সম্মানিত রহমত মুবারক উনার মালিক স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিল করা যায়

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

سَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَـمُوْتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا.

অর্থ: “হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার প্রতি সম্মানিত সালাম তথা সম্মানিত রহমত, বরকত, সাকীনা, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক। যেদিন তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, যেদিন তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)

হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اَلسَّلَامُ عَلَىَّ يَوْمَ وُلِدْتُّ وَيَوْمَ اَمُوْتُ وَيَوْمَ اُبْعَثُ حَيًّا

অর্থ: “আমার (হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার) প্রতি সম্মানিত সালাম তথা সম্মানিত রহমত, বরকত, সাকীনা, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক। যেদিন আমি মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি, যেদিন আমি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবো এবং যেদিন আমি পুনরুত্থিত হবো।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফদ্বয় উনাদের ব্যাখ্যায় ইমামুল মুফাসসিরীন মিনাল আউয়ালীন ইলাল আখিরীন, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আলোচ্য আয়াত শরীফদ্বয় উনাদের মধ্যে বর্ণিত ‘সালাম’ লফয মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন- সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক।” সুবহানাল্লাহ!

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আলোচ্য সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফদ্বয় উনাদের মাধ্যমে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে বিষয়টি জানিয়ে দিলেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মাহবুব ব্যক্তিত্ব মুবারক তথা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সংশ্লিষ্ট সম্মানিত দিন ও রাত মুবারক-এ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর উপর আখাছ্ছুল খাছ সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক বর্ষিত হয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! বান্দা-বান্দী, উম্মতের মধ্যে যারা এ সকল সম্মানিত দিন ও রাত মুবারক উনাদের তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবেন, উনারাই এ সকল আখাচ্ছুল খাছ সম্মানিত সর্বপ্রকার নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভে ধন্য হবেন।” সুবহানাল্লাহ!

এখন বলার বিষয় হচ্ছে সাইয়্যিদুনা হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের তারীখ, মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের তারীখে তথা উনাদের সংশ্লিষ্ট সম্মানিত দিন ও রাত মুবারক-এ আখাচ্ছুল খাছ সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক বর্ষিত হয়। তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন ও রাত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিন ও রাত এবং উনাদের সংশ্লিষ্ট সম্মানিত দিন ও রাত মুবারকসমূহে কতো বেমেছাল আখাচ্ছুল খাছ সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক বর্ষিত হয়ে থাকেন সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! কেননা উনাদের সম্মানিত শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْـمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৬০৬, ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী ৪/২৮৩, জামি‘উল আহাদীছ ২২/২১৯, কানযুল উম্মাল ১২/১০৪, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/২৪৯৫০, যাখায়েরুল ‘উক্ববাহ ফী মানাক্বিবে যাওইল কুরবা লিমুহিব্বে ত্ববারী ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭ ইত্যাদি)

মূলত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট সম্মানিত দিন ও রাত মুবারক উনাদের যদি কেউ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করেন, তাহলে তিনি স্বয়ং যিনি সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনাহ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক উনাদের মালিক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিল করবেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাছিল করবেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস  সালাম উনাদের আখাছ্ছুল খাছ তা‘য়াল্লুক-নিসবত, কুরবত, নিয়ামত মুবারক হাছিল করবেন। সুবহানাল্লাহ!

যা বান্দা-বান্দী, উম্মত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য সবচেয়ে বড় চাওয়া-পাওয়া। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট রাত মুবারক উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক লক্ষ কোটি শবে বরাত, শবে ক্বদরের চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি

একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করা, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনাদের সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ لَّا  اَسْاَلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِى الْقُرْبـٰى وَمَنْ يَّقْتَرِفْ حَسَنَةً نَّزِدْ لَهٗ فِيْهَا حُسْنًا اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ.

অর্থ: “(আমার মাহবূব হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত বান্দা-বান্দীদের, উম্মতদের, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে) বলে দিন যে, তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাওয়া হচ্ছে না, প্রতিদান চাওয়া হচ্ছে না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। বরং তোমাদের জন্য এটা চিন্তা করাটাও কাট্টা কুফরী হবে। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও, যিনি খালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে চাও, তাহলে তোমাদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, ফরয হচ্ছে, আমার নিকটাত্মীয় তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করা, সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি কোনো নেক কাজ করে আমি তার সেই নেকী উনাকে দ্বিগুণ-বহুগুণে বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকি। নিশ্চিয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল এবং সর্বোত্তম প্রতিদান দানকারী।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَـلِـىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلنُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ اِذَا ذَهَبَتِ النُّجُوْمُ ذَهَبَ اَهْلُ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ لِّاَهْلِ الْاَرْضِ فَاِذَا ذَهَبَ اَهْلُ بَيْـتِـىْ ذَهَبَ اَهْلُ الْاَرْضِ.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তারকারাজী হচ্ছে আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। যখন তারকারাজী বিদায় নিবে, তখন আসমানবাসীরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। আর আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন যমীনবাসীর জন্য, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। যখন আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বিদায় নিবেন, সাথে সাথে সমস্ত যমীনবাসী, সমস্ত কায়িনাতবাসী সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থাৎ ক্বিয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবাহ ২/৬৭১, আছ ছওয়ায়িকুল মুহরিক্বহ ২/৬৭৫, আল মু’জাম ১/৪০৪, মিরক্বাত শরীফ ৯/৩৯৮৮, যাখায়িরুল ‘উক্ববাহ ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭)

অপর বর্ণায় এসেছে-

عَنْ حَضْرَتْ سَلَمَةَ بْنِ الْاَكْوَعِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلنُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ  لِّاُمَّتِـىْ.

অর্থ: “হযরত সালামাহ ইবনে আকওয়া’ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তারকারাজী হচ্ছে আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। আর আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন আমার সমস্ত উম্মতের জন্য নিরাপত্তাদানকারী।” সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, মুসাদ্দাদ, আবূ ইয়া’লা, হাকিম, তিরমিযী, ত্ববারনী, ইবনে ‘আসাকির, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৬, যাখায়িরুল ‘উক্ববাহ ১/১৭)

অপর বর্ণনায় রয়েছে-

اَلنُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ لِّاَهْلِ الْاَرْضِ فَاِذَا ذَهَبَ اَهْلُ بَيْـتِـىْ ذَهَبَ اَهْلُ الْاَرْضِ.

অর্থ: “তারকারাজী আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। আর আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন যমীনবাসীর জন্য, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। যখন আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বিদায় নিবেন, সাথে সাথে সমস্ত যমীনবাসী, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থাৎ ক্বিয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ!

মূলত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত কায়িনাতের মূল এবং মালিক। সুবহানাল্লাহ! উনাদের মুবারক সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত টিকে রয়েছে এবং অনন্তকাল টিকে থাকবে। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের উপর ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানার্থে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলে সর্বপ্রকার সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাছিল করেছে, হাছিল করছে এবং অনন্তকাল হাছিল করতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানার্থেই এই উম্মত পবিত্র শবে বরাত, শবে ক্বদরসহ সমস্ত প্রকার বিশেষ রাত মুবারক লাভ করতে পেরেছে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট যে সকল মহাসম্মানিত বিশেষ রাত্রি মুবারক রয়েছেন, সেই সকল মহাসম্মানিত বিশেষ রাত্রি মুবারক উনাদের ফযীলত মুবারক কতটুকু? মূলত, সেই সকল মহাসম্মানিত বিশেষ রাত্রি মুবারক উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক লক্ষ কোটি শবে বরাত, শবে ক্বদরের চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!

কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, পবিত্র শবে বরাত ও শবে ক্বদরের রাতে খাছ রহমত বর্ষিত হয়। উক্ত খাছ রহমত মুবারক হরিণের উপর পরলে মৃগনাভী পয়দা হয়, মাছের উপর পরলে আম্বর পয়দা হয়, ঝিনুকের উপর পরলে মুক্তা পয়দা হয়, সাপের উপর পরলে মণি পয়দা হয় অর্থাৎ যেই প্রাণীর উপর উক্ত বিশেষ দিনে রহমত মুবারক বর্ষিত হয়, সেই প্রাণীটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! আর জীন-ইনসানের উপর পরলে জীন-ইনসান ওলীআল্লাহ হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!

যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত বিশেষ রাত্রি মুবারক-এ যদি কারো উপর সম্মানিত খাছ রহমত মুবারক বর্ষিত হয়, তাহলে সে কী নিয়ামত মুবারক লাভ করবে? মূলত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত বিশেষ রাত্রি মুবারক-এ কারো উপর যদি খাছ রহমত মুবারক বর্ষিত হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে সে তো সর্বোচ্চ শ্রেণীর ওলীআল্লাহ হবেই, শুধু তাই নয়, সে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আখাছ্ছুল খাছ  তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক হাছিল করবে, উনাদের খাছ নিয়ামত মুবারক লাভে ধন্য হবে। সুবহানাল্লাহ! আর একজন বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসানের জন্য এর চেয়ে বড় আর দ্বিতীয় কোন নিয়ামত মুবারক নেই। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট রাত্রি মুবারক উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত বিশেষ বিশেষ রাত্রি মুবারক-এ সারা রাত জেগে উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার, উনাদের সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার এবং উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার মাধ্যমে আখাছ্ছুল খাছ রহমত মুবারক লাভ করে উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা‘রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার, উনাদের বিশেষ নিয়ামত মুবারক হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-মুহম্মদ ছিদ্দীকুর রহমান।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম