মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ বিষয়ে কারো কোনো প্রকার ওজর-আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক- (৪র্থ পর্ব)

সংখ্যা: ২৬৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং অশেষ-অসীম সম্মানিত ছলাত ও সালাম মুবারক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ। মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ রহমত, বরকত, সাকীনাহ, দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের কারণে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগ উনার তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক, সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩.নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬.মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯.ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪.প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮.নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০.শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) ২২.হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪.হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)  ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-২৩৭), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা),

৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা), ৩২. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে “হানাফী মাযহাব মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ে ‘আমীন’ অনুচ্চ আওয়াজে বা চুপে চুপে পাঠ করাই শরীয়ত উনার নির্দেশ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২১২তম সংখ্যা), ৩৩. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২২০তম সংখ্যা-চলমান), ৩৪. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৩৮-চলমান), ৩৫. “পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৪-চলমান), ৩৬. সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৫-চলমান), পেশ করার পাশাপাশি-

৩৭তম সম্মানিত ফতওয়া মুবারক হিসেবে

‘সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক’ পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৬-২০)

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ جَلَسَ نَاسٌ مِّنْ اَصْحَابِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ حَتّٰى اِذَا دَنَا مِنْهُمْ سَـمِعَهُمْ يَتَذَاكَرُوْنَ قَالَ بَعْضُهُمْ اِنَّ اللّٰهَ اتَّـخَذَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ خَلِيْلًا وَّقَالَ اٰخَرُ حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ كَلَّمَهُ تَكْلِيمًا وَّقَالَ اٰخَرُ فَحَضْرَتْ عِيْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ كَلِمَةُ اللهِ وَرُوْحُهٗ. وَقَالَ اٰخَرُ حَضْرَتْ اٰدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اصْطَفَاهُ اللّٰهُ تَعَالـٰى فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ قَدْ سَـمِعْتُ كَلَامَكُمْ وَعَجَبَكُمْ اِنَّ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ خَلِيْلُ اللهِ وَهُوَ كَذٰلِكَ وَحَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ نَـجِىُّ اللهِ وَهُوَ كَذٰلِكَ وَحَضْرَتْ عِيْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ رُوْحُهٗ وَكَلِمَتُهٗ وَهُوَ كَذٰلِكَ وَحَضْرَتْ اٰدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اصْطَفَاهُ اللهُ تَعَالـٰى وَهُوَ كَذٰلِكَ اَلَا وَاَنَا حَبِيْبُ اللهِ وَلَا فَخْرَ وَاَنَا حَامِلُ لِوَاءِ الْـحَمْدِ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ تَـحْتَهٗ حَضْرَتْ اٰدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَمَنْ دُوْنَهٗ وَلَا فَخْرَ وَاَنَا اَوَّلُ شَافِعٍ وَّاَوَّلُ مُشَفَّعٍ يَّوْمَ الْقِيٰمَةِ وَلَا فَخْرَ وَاَنَا اَوَّلُ مَنْ يُـحَرِّكُ حَلْقَ الْـجَنَّةِ فَيَفْتَحُ اللّٰهُ لِـىْ فَيُدْخِلُنِيْهَا وَمَعِـىَ فُقَرَاءُ الْمُؤْمِنِيْنَ وَلَا فَخْرَ وَاَنَا اَكْرَمُ الْاَوَّلِيْنَ وَالْاٰخِرِيْنَ عَلَى اللّٰهِ وَلَا فَخْرَ.

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এক স্থানে বসে পরস্পর আলোচনা মুবারক করছিলেন। এমন সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেদিকে যাচ্ছিলেন এবং উনাদের নিকটে পৌঁছে উনাদের কথাবার্তা ও আলোচনা মুবারক শুনলেন। উনাদের একজন বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আরেকজন বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত মূসা আলাইহিস সালাম কালীমুল্লাহ উনার সাথে সরাসরি কথা মুবারক বলেছেন। অপর একজন বললেন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন কালিমাতুল্লাহ ও রূহুল্লাহ। আরেকজন বললেন, আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি খাছভাবে মনোনীত করেছেন।

এই সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সম্মুখে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়ে ইরশাদ মুবারক করেন, অবশ্যই আমি আপনাদের সমস্ত কথাবার্তা মুবারক শুনেছি এবং আপনারা যে বিস্ময় প্রকাশ করেছন তাও শুনেছি, জেনেছি। নিশ্চয়ই হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি যে খলীলুল্লাহ ছিলেন, এটা সত্য কথা। হযরত মূসা আলাইহিস সালাম তিনি যে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা মুবারক বলেছেন, এটাও সত্য কথা। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি যে রূহুল্লাহ ও কালিমাতুল্লাহ ছিলেন, এটাও সত্য কথা এবং আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যে মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত সম্মানিত ব্যত্তিত্ব মুবারক ছিলেন, এটাও সত্য কথা। সাবধান! আমি হচ্ছি ‘খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব’ এতে আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লাহ! ক্বিয়ামতের দিন আমিই হামদের ঝাণ্ডা উত্তোলনকারী এবং বহনকারী হবো। আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিসহ অন্যান্য সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনারা সেই ঝাণ্ডা মুবারক উনার নীচেই সম্মানিত অবস্থান মুবারক করবেন অর্থাৎ সমস্ত কায়িনাত আমার অধীনে থাকবে এতেও আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লাহ! ক্বিয়ামতের দিন আমিই সর্বপ্রথম সুপারিশ করবো এবং সর্বপ্রথম আমার সম্মানিত শাফ‘য়াত মুবারকই কবুল করা হবে, এতেও আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লাহ! আমিই সর্বপ্রথম সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার দরজা মুবারক উনার কড়া মুবারক নাড়া দিব এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার দরজা মুবারক খুলে দিবেন এবং আমাকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করাবেন। আর আমার সঙ্গে থাকবেন খাছ ঈমানদারগণ উনারা, এতেও আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লাহ! আর আমিই হচ্ছি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে বেশী সম্মানিত, এতেও আমার কোন ফখর নেই।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, দারিমী শরীফ, মা‘য়ানিউল আখবার শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদী)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২১-২৩)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدِ ۣ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا سَيِّدُ وُلْدِ اٰدَمَ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ وَلاَ فَخْرَ وَبِيَدِىْ لِوَاءُ الْـحَمْدِ وَلَا فَخْرَ وَمَا مِنْ نَّبِـىٍّ يَّوْمَئِذٍ حَضْرَتْ اٰدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَمَنْ سِوَاهُ اِلَّا تَـحْتَ لِوَائِىْ وَاَنَا اَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الْاَرْضُ وَلَا فَخْرَ.

অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কিয়ামতের দিন আমিই হবো সমস্ত মানুষের তথা সমস্ত কায়িনাতের সাইয়্যিদ এতে আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লাহ! আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার মধ্যেই সম্মানিত প্রশংসা মুবারক উনার পতাকা মুবারক থাকবেন, এতেও আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লাহ! সে দিন আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিসহ সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা আমার সম্মানিত পতাকা মুবারক উনার নিচে অবস্থান মুবারক করবেন এবং সর্বপ্রথম আমিই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ থেকে উঠবো, এতেও আমার কোন ফখর নেই।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৪)

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَنَا قَائِدُ الْمُرْسَلِيْنَ وَلاَ فَخْرَ وَاَنَا خَاتَـمُ النَّبِيِّيْنَ وَلاَ فَخْرَ وَاَنَا اَوَّلُ شَافِعٍ وَاَوَّلُ مُشَفَّعٍ وَلاَ فَخْرَ.

অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ক্বয়িদ (মহাসম্মানিত পরিচালনাকারী), এতে আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লহ! আমি খ¦াতামুন নাবিয়্যীন তথা সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমনের ধারাবাহিকতা সমাপ্তকারী, এতে আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লাহ! আর আমিই সর্বপ্রথম শাফা‘য়াতকারী এবং আমার সম্মানিত শাফা‘য়াত মুবারকই সর্বপ্রথম কবূল করা হবে, এতেও আমার কোন ফখর নেই।” সুবহানাল্লাহ! (দারেমী শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৫-২৯)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا سَيِّدُ وُلْدِ اٰدَمَ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ وَاَوَّلُ مَنْ يَّنْشَقُّ عَنْهُ الْقَبْرُ وَاَوَّلُ شَافِعٍ وَّاَوَّلُ مُشَفَّعٍ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (আমি সবসময়ের জন্যই তামাম কায়িনাতবাসী সকলের সাইয়্যিদ। ক্বিয়ামতের দিন আমার সেই বিশেষ শান মুবারক প্রকাশ পাবে।) কিয়ামতের দিন আমি সমস্ত মানুষের তথা তামাম কায়িনাতবাসী সকলের সাইয়্যিদ হবো। সুবহানাল্লাহ! আমিই সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ থেকে উঠবো। সুবহানাল্লাহ! সকলের পূর্বে আমিই সম্মানিত শাফা‘আত মুবারক করবো এবং সর্বপ্রথম আমার সম্মানিত শাফা‘আত মুবারকই কবূল করা হবে।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ,  শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী, শু‘য়াবুল ঈমান,  মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৩০-৩৬)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا اَكْثَرُ الْاَنْۢبِيَاءِ تَبَعًا يَّوْمَ الْقِيٰمَةِ وَاَنَا اَوَّلُ مَنْ يَّقْرَعُ بَابَ الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কিয়ামতের দিন সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের মধ্যে আমার সম্মানিত অনুসারী তথা উম্মত উনাদের সংখ্যা হবে সর্বাপেক্ষা বেশি। সুবহানাল্লাহ! আর আমিই সর্বপ্রথম সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার সম্মানিত দরজা মুবারক উনার কড়া মুবারক নাড়া দিবো।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মুস্তাখরজে আবী ‘আওয়ানাহ, আল ঈমান লি ইবনে মুন্দাহ, শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী, মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৩৭-৪২)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اٰتِىْ بَابَ الْـجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَاَسْتَفْتِحُ فَيَقُوْلُ الْـخَازِنُ مَنْ اَنْتَ فَاَقُوْلُ حَضْرَتْ مُـحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَقُوْلُ بِكَ اُمِرْتُ اَنْ لَّا اَفْتَحَ لِاَحَدٍ قَبْلَكَ.

 অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কিয়ামতের দিন আমি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার সম্মানিত দরজা মুবারক-এ এসে সম্মানিত দরজা মুবারক খুলার জন্য বলব। তখন সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার দায়িত্বশীল হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম (পাহারাদার) তিনি বলবেন, আপনি কে? আমি বলব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তখন সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার দায়িত্বশীল হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি বলবেন, আপনার সম্পর্কে আমাকে এই সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দেওয়া হয়েছে যে, আপনার পূর্বে আমি যেন অন্য কারও জন্য এই সম্মানিত দরজা মুবারক না খুলি।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, আল আহকামুশ শার‘ইয়্যাতিল কুবরা, শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী, মু’জামুশ শুয়ূখ লিইবনে ‘আসাকির, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৪৩-৪৬)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا اَوَّلُ النَّاسِ خُرُوْجًا اِذَا بُعِثُوْا وَاَنَا قَائِدُهُمْ اِذَا وَفَدُوْا وَاَنَا خَطِيْبُهُمْ اِذَا اَنْصَتُوْا وَاَنَا مُسْتَشْفِعُهُمْ اِذَا حُبِسُوْا وَاَنَا مُبَشِّرُهُمْ اِذَا اَيِسُوْا اَلْكَرَامَةُ وَالْمَفَاتِيْحُ يَوْمَئِذٍ بِيَدِىْ وَلِوَاءُ الْـحَمْدِ يَوْمَئِذٍ بِيَدِىْ وَاَنَا اَكْرَمُ وُلْدِ اٰدَمَ عَلـٰى رَبِّـىْ يَطُوْفُ عَلَـىَّ اَلْفُ خَادِمٍ كَاَنَّـهُمْ بَيْضٌ مَّكْنُوْنٌ اَوْ لُؤْلُؤٌ مَّنْثُوْرٌ.

অর্থ : “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ক্বিয়ামতের দিন যখন মানুষদেরকে কবর হতে উঠানো হবে, তখন আমিই সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ থেকে বাহিরে তাশরীফ মুবারক আনবো। সুবহানাল্লাহ! আর যখন লোকেরা দলবদ্ধ হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত দরবার শরীফ-এ উপস্থিত হওয়ার জন্য রওয়ানা হবে, তখন আমিই হবো তাদের ক্বায়িদ তথা অগ্রগামী ও সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ! যখন সকলে চুপ থাকবে, কোন কথা-বার্ত বলবে না, তখন আমিই সর্বপ্রথম তাদের পক্ষ থেকে কথা মুবারক বলবো। সুবহানাল্লাহ! আর যখন তারা আটক হয়ে পড়বে, (তাদের কোন উপায় থাকবে না,) তখন আমিই হবো তাদের শাফা‘য়াতকারী। সুবহানাল্লাহ! আর যখন তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে, তখন আমি তাদেরকে সুসংবাদ মুবারক প্রদান করবো। সুবহানাল্লাহ! মর্যাদা এবং সম্মানের চাবি-কাঠিসমূহ সে দিন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার মধ্যেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! (মহান আল্লাহ পাক উনার) সম্মানিত প্রশংসা মুবারক উনার পতাকা মুবারক সে দিন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার মধ্যেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! আমার যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সমস্ত মানুষের মধ্যে, সমস্ত কায়িনাতের মধ্যে আমিই হচ্ছি সর্বাপেক্ষা অধিক মর্যাদাবান এবং সর্বোশ্রেষ্ঠ সম্মানী ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! সে দিন সুরক্ষিত ডিম কিংবা বিক্ষিপ্ত মুক্তার ন্যায় এক হাজার তথা হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি সম্মানিত খাদেম-খুদ্দাম আমার চতুষ্পার্শ্বে ঘোরাফেরা করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরক্বাত শরীফ)

অসমাপ্ত-পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৫

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৬

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৭