মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক

সংখ্যা: ২৯২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় ও ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নেয়ামত মুবারক লাভ করবেন এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে বাস্তবে অসংখ্য ঘটনা মুবারক বর্ণিত রয়েছেন। নিম্নে কয়েকখানা ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-

১. একজন যালিম শাসকের কুদরতীভাবে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া:

কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন-

وَحُكِىَ عَنْ بَـعْضِ الْـخُلَفَاءِ اَنَّهٗ كَانَ يَـجُوْرُ فِـىْ حُكْمِهٖ وَكَانَ ظَالِمًا لٰكِنْ لَّهٗ عَادَةٌ يُـحِبُّ قِرَاءَةَ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَـعْمَلُ الْوَلِـيْمَةَ لِقِرَاءَتِهٖ وَكَانَ لَهٗ اِبْنُ عَمٍّ يَـرُوْمُ الْـخِلَافَةَ وَيَـتَـوَقَّعُ لَهُ الدَّوَاهِىْ حَتّٰـى اَرَادَ اَنْ يَّـقْتُـلَهٗ وَيَـنْـزَعَ الْـمُلْكَ مِنْهُ فَـلَمَّا كَانَ فِـىْ بَـعْضِ الْاَيَّامِ وَهُوَ فِـىْ خَلْوَةٍ مُنْـفَرِدٌ عَنِ النَّاسِ مِنْ غَـيْـرِ سِلَاحٍ وَلَا خَادِمٍ عِنْدَهٗ اِذْ دَخَلَ عَلَيْهِ اِبْنُ عَمِّهٖ وَهَجَمَ عَلَيْهِ وَالْـخَنْجَرُ بِيَدِهٖ وَقَالَ لَهٗ مَنْ يُّـخَلِّصُكَ مِنِّـىْ يَا خَبِيْثُ بَـيْـنَ النَّاسِ فَجَرٰى عَلـٰى لِسَانِ الْـخَلِـيْـفَةِ يُـخَلِّصُنِـىْ مِنْكَ مَوْلِدُ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا اِسْتَـتَمَّ كَلَامَهٗ حَـتّٰـى خَرَجَ مِنَ الْـحَائِطِ نَـبْـلَةٌ اَصَابَتْ فُـؤَادَهٗ فَخَرَّ مَيِّـتًا وَسَـمِعَ هَاتِفًا يَـقُوْلُ عَظَّمْتَ مَوْلِدَ حَبِـيْبِـىْ سَيِّدِنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَـنَجَّيْـنَاكَ فِـاِنْ زِدْتَّ زِدْنَاكَ فَـتَابَ الْـخَلِـيْـفَةُ عَنِ الْـجَوْرِ وَالظُّـلْمِ وَصَارَ يُـنْفِقُ ثُـلُثَ مَالِهٖ فِـىْ كُلِّ سَنَةٍ عَلـٰى مَوْلِدِ النَّـبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “একজন খলীফার ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে যে, সে তার শাসনামলে যুলুম-অত্যাচার করতো এবং সে ছিলো একজন যালিম। তবে তার একটি আদত বা অভ্যাস ছিলো- সে মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে মুহব্বত করতো এবং মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে ওলীমা বা মেহমানদারীর আয়োজন করতো। সুবহানাল্লাহ! তার একজন চাচাতো ভাই ছিলো, সে খিলাফত কামনা করতো এবং খলীফার জন্য বিভিন্ন দুর্ঘটনা প্রত্যাশা করতো। এমনকি খলীফাকে হত্যা করে তার থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে চাইতো। অতঃপর একদিন যখন খলীফা নিরস্ত্র অবস্থায় এবং কোনো খাদিম-খুদ্দাম ব্যতীত লোকজন থেকে পৃথক হয়ে একাকী জনমানবহীন স্থানে যায়, তখন হঠাৎ খলীফার চাচাতো ভাই তার নিকট আসে এবং সে খঞ্জর হাতে খলীফার উপর আক্রমণ করে বলে- ‘হে মানুষরূপী খবীছ! তোমাকে আমার থেকে কে রক্ষা করবে?’ তখন খলীফার জবান দিয়ে (নিজের অজান্তেই) বের হয়ে গেলো, ‘মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফই আমাকে তোমার থেকে রক্ষা করবেন।’ সুবহানাল্লাহ! খলীফার কথা পূর্ণ না হতেই অদৃশ্য থেকে একটি তীর এসে তার হৃদপিণ্ডে আঘাত করে। ফলে সাথে সাথেই সে মরে (যমীনে) পড়ে যায়। তখন খলীফা (মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে) গায়িবী নেদা মুবারক শুনতে পায়, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলছেন- ‘তুমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদত শরীফ উনাকে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করেছো, তাই আমি তোমাকে রক্ষা করেছি। যদি তুমি আরো বেশি সম্মান করো, তাহলে আমি তোমার সম্মান আরো বাড়িয়ে দিবো।’ সুবহানাল্লাহ! অতঃপর খলীফা অন্যায়-অত্যাচার, যুলুম-নির্যাতন থেকে তওবা করেন এবং প্রতি বছর মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে উনার ধন-সম্পদের এক তৃতীয়াংশ খরচ করতে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! (কিতাবু ফাদ্বায়িলি মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ নং পৃষ্ঠা, রিসালাতু মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ নং পৃষ্ঠা)

২. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশি হন, সবাই খুশি হন:

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৬ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে (অর্থাৎ ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই জুমাদাল ঊলা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) সকালে একটা জিনিস দেখলাম। দেখলাম- আমি একটি বাড়িতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। ওটা আমার-ই বাড়ি। কোনো বাতি নেই। সুইচ দিলে একটা বাতিও জ্বলে না। এমনে অতি সামান্য আলো আছে। চোখে আবছা আবছা কিছু দেখা যায়। কিন্তু কোনো বাতি নেই। এই অবস্থা দেখে আমি বললাম, ‘যারা দায়িত্বে আছে এদেরকে শাস্তি দিতে হবে। এদেরকে বরখাস্ত করতে হবে। সুইচ দিলে একটা বাতিও জ্বলে না। তাহলে কিভাবে হবে? অন্ধকারে থাকে কিভাবে?’

এমন সময় দেখি, আবুল বাশার হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি এবং উনার সাথে আরেকজন রসূল আলাইহিস সালাম উনি অর্থাৎ উনারা। উনারা অনেক লোক নিয়ে এসেছেন। হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি বললেন যে, ‘গোশ্শা করিয়েন না, আর এদেরকে বদ দু‘আ দিয়েন না। আমরা কাজটা করে দেই।’ তারপর হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি বেহেশতে যেরকম আলো, সেরকম আলো করে দিলেন। আর বেহেশতে যেরকম ঠাণ্ডাও থাকবে না, গরমও থাকবে না, ওরকম করে দিলেন। উনার সাথে আরেকজন রসূল আলাইহিস সালাম উনি ছিলেন। হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি অনেক লম্বা। সমস্ত লোকের থেকে উনি অনেক লম্বা। উনার সাথে অনেক লোকজন নিয়ে এসে উনি করে দিলেন। উনি বললেন, ‘এটা আমরা করে দিলাম।’ বেহেশতের মতো সুখ-শন্তি। ঠাণ্ডাও না, গরমও না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

সেটাই বললাম যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশি হন, সবাই খুশি হন। কারণ মূল তো হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। উনার জন্য করতে পারলে সব হয়ে গেলো। এখন উনারা কি বুঝেছেন কে জানে? তবে এই কথাগুলি আমাকে উনারা বললেন- ‘বদ দু‘আ যেন না দেই, শাস্তিও যেন না দেই। আমরা কাজটা করে দিচ্ছি।’ পরে উনি করে দিলেন।

যেটা আমরা বলি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি হাযির-নাযির। শুনতেছেন না? দেখতেছেন না? তাহলে আর কি? আর উনার ফায়ছালা তো মূল ফায়ছালা। মূল তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। মহান আল্লাহ পাক তিনি তো আছেন-ই। এখন তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি মূল। এখন উনাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে, সব হয়ে গেলো। উনার সাথে যতো নিসবত রাখা যায়। সবাই মুহব্বত করবে। ঐরকমই দেখা গেছে। অনেক লম্বা তিনি, সবার শেষে। উনি সবাইকে নিয়ে আসতেছেন। সামনে একজন ছিলেন।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার কাজ তো আমাদের শুরু হয়ে গেছে। খরচ তো আমরা করতেছি। এখন যে শরীক থাকবে, সে পাবে। বলার কিছু নেই। তোমাদেরকে সুসংবাদগুলি এজন্য বলি যে, বললে যদি তোমাদের ঈমানী কুওওয়াত বাড়ে। আমরা আলোচনা করলাম যে, মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) উনাকে সম্মান করতে হবে, পালন করতে হবে। আর সকালে এই ঘটনা মুবারক ঘটলো। কেমন হলো? এটা কল্পনাতীত বিষয়। দুজন হযরত রসূল আলাইহিমাস সালাম উনারা এসেছেন। উনারা আসবেন কেন? হঁ্যা? আমি বললাম যে, ‘বাড়িটা এরকম করলো! কি করলো এটা? সুইচ দিলে একটা বাতিও জ্বলে না। যারা দায়িত্বে আছে এদেরকে শাস্তি দিতে হবে। এদেরকে বরখাস্ত করতে হবে। কারণ বাতি জ্বলে না। অন্ধকারে থাকে কিভাবে?’ চোখে আবছা আবছা কিছু দেখা যায়। বাকীটা সুন্দরই। তারপরে দেখলাম- উনারা আসতেছেন। অনেক লোকজন নিয়ে বিরাট রাস্তা দিয়ে উনারা হেঁটে এসেছেন। আসলেন। তারপর এই ঘটনা।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ আলাইহিস সালাম!)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ অংশগ্রহণকারী, এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশকারী, মাল-সম্পদ ব্যয়কারী এবং নেক আমলকারী উনাদের সকলের প্রতি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ সুসংবাদ মুবারক:

১. কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,

حضرت میر محمد نعمان رحمۃ اللہ علیہ  وبعضے یران ای نجائی کہ در وقائع ان حضرت صلی اللہ تعا لی علیہ وعلی الہ وسلم دیدہ اند کہ ازین معرکہ مولود   بسیار راضی اند

অর্থ: “হযরত মীর মুহম্মদ নু’মান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং অন্যান্য সাথীগণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখেছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট।” সুবহানাল্লাহ! (মকতূবাত শরীফ)

২. হুজ্জাতুদ্দীন হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুহম্মদ ইবনে যুফার মাক্কী ছিক্বিল্লী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৪৯৭ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ  ৫৬৫ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,  তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার মধ্যে মাল-জান, সময় সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে