মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সমস্ত প্রকার পবিত্রতা ও শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনাদের একক মালিক

সংখ্যা: ২৯২তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক এবং সম্মানিত ইলিম মুবারক ইত্যাদি সমস্ত কিছু থেকে বেনিয়ায করে, পবিত্র করার মতো পবিত্র করে, সমস্ত প্রকার সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া মুবারক করে এবং সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংযুক্ত এবং সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যত পবিত্রতা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত পবিত্রতা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উনারা। উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতাসহ সমস্ত প্রকার নিয়ামত মুবারক লাভ করেছে, করছে এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! উনারা কামিল বা পরিপূর্ণ হয়েই সৃষ্টি মুবারক হয়েছেন, উনাদের সাথে নতুন করে সংযুক্ত বা সম্পৃক্ত হওয়ার কিছুই নেই। তবে কখনো  কখনো উনাদের কোনো কোনো শান মুবারক প্রকাশ পেয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! কেউ যদি বলে উনাদের সাথে নতুন কিছু সংযুক্ত বা সম্পৃক্ত হলে উনাদের মর্যাদা বৃদ্ধি হবে, সেটা সুস্পষ্ট কুফরী হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত পবিত্রতা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ!

আল্লামা হযরত ইমাম আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে মাহমূদ হাফিযুদ্দীন নাসাফী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৭১০ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘মাদারিকুত তান্যীল ওয়া হাক্বাইকুত তা’ওইল (তাফসীরে নাসাফী শরীফ)’ উনার মধ্যে বলেন,

 اِنَّ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا قَاطِعٌ بِكِذْبِ الْمُنِافِقِيْـنَ لِاَنَّ اللهَ عَصَمَكَ مِنْ وُقُـوْعِ الذُّبَابِ عَلـٰى جِلْدِكَ لِاَنَّهٗ يَـقَعُ النَّجَاسَاتِ فَـيَـتَـلَطَّخُ بِـهَا فَـلَمَّا عَصَمَكَ اللهُ مِنْ ذٰلِكَ الْقَدْرِ مِنَ الذَّرِّ فَكَـيْفَ لَا يَـعْصِمُكَ عَنْ صُحْبَةِ مَنْ تَكُوْنُ مُتَـلَطِّخَةٌ بِـمِثْلِ هٰذِهِ الْفَاحِشَةِ وَقَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ ذُو النُّـوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِنَّ اللهَ مَا اَوْقَعَ ظِلَّكَ عَلَى الْاَرْضِ لِئَلَّا يَضَعَ اِنْسَانٌ قَدَمَهٗ عَلـٰى ذٰلِكَ الظِّلِّ فَـلَمَّا لَـمْ يُـمَكِّنْ اَحَدًا مَنْ وَضَعَ الْقَدَمَ عَلـٰى ظِلِّكَ كَـيْفَ يُـمَكِّنُ اَحَدًا مِنْ تَـلْوِيْثِ عِرْضِ زَوْجَتِكَ وَكَذَا قَالَ اِمَامُ الْاَوَّلِ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِنَّ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَخْبَـرَكَ اَنَّ عَلـٰى نَـعْلَيْكَ قَذَرًا وَاَمَرَكَ بِـاِخْرَاجِ النَّـعْلِ عَنْ رِّجْلِكَ بِسَبَبِ مَا اِلْتَصَقَ بِهٖ مِنَ الْقَذَرِ فَكَـيْفَ لَا يَاْمُرُكَ بِـاِخْرَاجِهَا بِـتَـقْدِيْرِ اَنْ تَكُوْنَ مُتَـلَطِّخَةٌ بِشَىْءٍ مِّنَ الْفَوَاحِشِ

অর্থ: “(ইফক্বের ঘটনার সময় মুনাফিক্বরা যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়, তখন) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য মুবারক করে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমি মুনাফিক্বদের মিথ্যাকে অথার্ৎ মুনাফিকগুলো যে মহাসম্মানতি ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার বিরুদ্ধে কাট্টা মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে, সেটাকে বাতিল ঘোষণা করছি। তারা যা রটাচ্ছে এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক অর্থাৎ শরীর মুবারক) উনার উপর মাছি বসা থেকে আপনাকে হেফাযত মুবারক করেছেন। কারণ মাছি ময়লার মধ্যে বসে ময়লাযুক্ত হয়ে যায়। কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন আপনাকে ঐ যার্রা পরিমাণ, অনু পরিমাণ বিষয় থেকে হেফাযত মুবারক করেছেন, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে আপনাকে এমন কারো সংস্পর্শ থেকে হেফাযত মুবারক করবেন না, যিনি এই ধরণের ফাহিশাহ্ বা অশ্লীল-অশালীন বিষয়ের সাথে জড়িত থাকবেন? অর্থাৎ কস্মিনকালেও তিনি এমন বিষয়ের সাথে কোনভাবেই জড়িত নন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। শুধু তাই নয়; বরং উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতা লাভ করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই মুনাফিক্বগুলো যেটা রটাচ্ছে, এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ। আর সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার ছায়া মুবারক যমীনে পতিত করেননি, যেন ঐ ছায়া মুবারক উনার উপর মানুষ তার পা না রাখতে পারে। কাজেই যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি কাউকে আপনার ছায়া মুবারক উনাকে পদদলিত করার ক্ষমতা দেননি, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিভাবে কাউকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার সম্মান-ইয্যত, মর্যাদা মুবারক উনাকে কলুষিত করার ক্ষমতা দিবেন? অর্থাৎ কস্মিনকালেও এটা সম্ভব না। মূলত মুনাফিক্বগুলো যেটা রটাচ্ছে, এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন, উনারাই হচ্ছেন সমস্ত পবিত্রতার মালিক। উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতা লাভ করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ! আর অনুরূপভাবে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই (মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে) হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আপনাকে সংবাদ মুবারক দিয়েছেন যে, আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র না’লাইন শরীফ) উনার মধ্যে সামান্য পরিমাণ অপবিত্রতার ছোয়া রয়েছে। আর আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) থেকে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক খুলে ফেলার জন্য হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ আরজী পেশ করেছিলেন এ কারণে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক উনার মধ্যে সামান্য পরিমাণ অপবিত্রতার ছোয়া লেগেছিলো। (যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হয় যে,) যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি এই ধরণের ফাহিশাহ্ বা অশ্লীল-অশালীন বিষয়ের সাথে জড়িত থাকতেন, না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে অপসারণ করার জন্য কিভাবে আপনাকে বলবেন না? অর্থাৎ কস্মিনকালেও এটা সম্ভব না। মূলত মুনাফিক্বগুলো যেটা রটাচ্ছে, এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। শুধু তাই নয়; বরং উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতা লাভ করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাদারিকুত তানযীল ২/৪৯২)

বিশ্বখ্যাত মুফাসসির আল্লামা হযরত ইসমাঈল হাক্কী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ১১২৭ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল বয়ান’ উনার মধ্যে এবং বিশ্বখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ, ছূফী, ফক্বীহ, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, আল্লামা হযরত ইমাম আবুল ফারাজ নূরুদ্দীন আলী ইবনে বুরহানুদ্দীন হালাবী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৯৭৫ হিজরী শরীফ এবং বিছাল শরীফ ১০৪৪ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত সীরাতগ্রন্থ ‘আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্’ উনার মধ্যে বলেন,

عَنْ كِـتَابِ الْاِشَارَاتِ لِلْفَخْرِ الرَّازِىِّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـىْ تِلْكَ الْاَيَّامِ الَّتِـىْ تَكَلَّمَ فِيْـهَا بِالْاِفْكِ كَانَ اَكْـثَـرَ اَوْقَاتِهٖ فِـى الْبَـيْتِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَاسْتَشَارَهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـىْ تِلْكَ الْوَاقِعَةِ فَـقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا اَقْطَعُ بِكِذْبِ الْمُنَافِقِـيْـنَ وَاَخَذْتُ بَـرَاءَةَ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْـقَةِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ مِنَ الذُّبَابِ لِاَنَّ الذُّبَابَ لَا يَـقْرَبُ بَدَنَكَ فَاِذَا كَانَ اللهُ تَـعَالـٰى صَانَ بَدَنَكَ اَنْ يُّـخَالِطَهُ الذُّبَابُ لِمُخَالَطَتِهٖ لِلْقَاذُوْرَاتِ فَكَـيْفَ اَهْلُكَ وَدَخَلَ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ ذُو النُّـوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَاسْتَشَارَهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَـقَالَ لَهٗ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ ذُو النُّـوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَخَذْتُ بَـرَاءَةَ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْـقَةِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ مِنْ ظِلِّكَ اِنِّـىْ رَاَيْتُ اَللهُ تَـعَالـٰى صَانَ ظِلَّكَ اَنْ يَّــقَعَ عَلَى الْاَرْضِ اَىْ لِاَنَّ شَخْصَهُ الشَّرِيْفَ كَانَ لَا يَظْهَرُ فِـىْ شَـمْسٍ وَّلَا قَمَرٍ لِّـئَلَّا يُـوْطَـاَ بِالْاَقْدَامِ فَاِذَا صَانَ اللهُ ظِلَّكَ فَكَـيْفَ بِاَهْلِكَ وَدَخَلَ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِمَامُ الْاَوَّلِ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَاسْتَشَارَهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَـقَالَ لَهٗ اِمَامُ الْاَوَّلِ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَخَذْتُ بَـرَاءَةَ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْـقَةِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ مِنْ شَىْءٍ هُوَ اِنَّا صَلَّيْـنَا خَلْفَكَ وَاَنْتَ تُصَلِّـىْ بِنَـعْلَيْكَ ثُـمَّ اِنَّكَ خَلَعْتَ اِحْدٰى نَـعْلَيْكَ فَـقُلْنَا لَيَكُوْنُ ذٰلِكَ سُنَّةً لَّـنَا قُـلْتَ لَا اِنَّ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَخْبَـرَنِـىْ اَنَّ فِـىْ تِلْكَ النَّـعْلِ نَـجَاسَةً فَاِذَا كَانَ لَا تَكُوْنُ النَّجَاسَةُ بِنَـعْلَيْكَ فَكَـيْفَ تَكُوْنُ بِاَهْلِكَ فَسُرَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذٰلِكَ فَصَدَّقَـهُمُ اللهُ فِـيْمَا قَالُوْا وَفَضَحَ اَصْحَابَ الْاِفْكِ

অর্থ: “হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘কিতাবুল ইশারাত’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন, (মুনাফিক্বরা) যেই দিনগুলিতে ইফক্বের (অপবাদ মূলক বিষয়) সম্পর্কে বলাবলি করছিলো, সেই দিনগুলিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার অধিকাংশ সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে ছিলেন। (একদিন) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সাথে ইফক্বের ঘটনার বিষয়ে অর্থাৎ মুনাফিক্বগুলো যে এলোমেলো বলতেছিলো সে  বিষয়ে পরামর্শ করলেন। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (এটা কখনই হতে পারে না।) আমি মুনাফিক্বদের মিথ্যাকে বাতিল ঘোষণা করছি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পবিত্রতা মুবারক উনাকে গ্রহণ করছি মাছির বিষয়ের মাধ্যমে। কেননা মাছি কখনোই আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) উনার নিকবর্তীও হতে পারে না। কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন নোংরামির কারণে মাছি বসা থেকে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) উনাকে সংরক্ষণ করেছেন, তাহলে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কেমন হবেন? সুবহানাল্লাহ! (অবশ্যই উনারা সমস্ত প্রকার অপবাদ থেকে মুক্ত, পূতঃপবিত্র এবং সমস্ত পবিত্রতার মালিক। উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতা লাভ করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই মুনাফিক্বগুলো যেটা রটাচ্ছে, এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ।) তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে এ বিষয়ে পরামর্শ করলেন। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পবিত্রতা মুবারক উনাকে গ্রহণ করছি আপনার ছায়া মুবারক না থাকার মাধ্যমে। নিশ্চয়ই আমি দেখেছি স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই আপনার ছায়া মুবারক উনাকে যমীনে পতিত হওয়া থেকে সংরক্ষণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ কেননা নিশ্চয়ই উনার সম্মানিত ছায়া মুবারক সূর্যালোকে এবং চন্দ্রালোকে প্রকাশ পেত না, যেন (কাফির-মুশরিক, মুনাফিক্বরা) পা দ্বারা মাড়াতে না পারে, পদদলিত করতে না পারে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন আপনার ছায়া মুবারক উনাকে সংরক্ষণ করেছেন, তাহলে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ব্যাপারে কেমন স্বযত্ন হবেন, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক কিভাবে সংরক্ষণ করবেন? সুবহানাল্লাহ! (অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন, উনারাই হচ্ছেন সমস্ত পবিত্রতার মালিক। উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতা লাভ করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই মুনাফিক্বগুলো যেটা রটাচ্ছে, এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ।) অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সাথে পরামর্শ করলেন। ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পবিত্রতা মুবারক উনাকে গ্রহণ করছি এমন একটি বিষয়ের মাধ্যমে, সেটা হচ্ছেন- আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইমামতী মুবারক-এ আমরা (একবার) সম্মানিত ছলাত আদায় করছিলাম। তখন আপনি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারকসহ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র না’লাইন শরীফসহ) সম্মানিত ছলাত মুবারক আদায় মুবারক করছিলেন। অতঃপর আপনি আপনার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক খুলে ফেলেন। আমরা মনে করলাম অবশ্যই এটা আমাদের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক হিসেবে সাব্যস্ত হবেন। তখন আপনি ইরশাদ মুবারক করলেন যে, না। (বিষয়টা হচ্ছেন-) নিশ্চয়ই হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক উনার মধ্যে সামান্য পরিমাণ অপবিত্রতার ছোয়া রয়েছে। কাজেই আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক উনার মধ্যে যদি সামান্য পরিমাণ অপবিত্রতার একটা ছোয়াও থাকতে না পারে, তাহলে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় মুবারক কেমন হবেন? (অবশ্যই উনারা সমস্ত প্রকার অপবাদ থেকে মুক্ত, পূতঃপবিত্র এবং সমস্ত পবিত্রতার মালিক। উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত পবিত্রতা লাভ করেছেন, করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ লাভ করবেন। কাজেই মুনাফিক্বগুলো যেটা রটাচ্ছে, এটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ।) সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের এই জবাব মুবারকসমূহ শুনে অত্যন্ত সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করেন, খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ নাযিল করে উনারা যা বলেছেন, উনাদের সেই সকল কথার তাছদীক্ব বা সত্যায়ন মুবারক করেন এবং যারা ইফকের অপবাদ দিয়েছে তাদেরকে লাঞ্ছিত করেন।” সুবহানাল্লাহ! (রূহুল বয়ান ৬/১২৫, আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ ২/৪১১-৪১২)

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্রতা মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা-কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সমস্ত প্রকার পবিত্রতা ও শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনাদের একক মালিক। উনাদের সাথে সৃষ্টির কারো তুলনা করা যাবে না। উনাদের সাথে যারা সৃষ্টির কারো তুলনা করবে, উনাদের শান মুবারক উনার খিলাফ বক্তব্য পেশ করবে, উনাদের মানহানী করবে, উনাদের ব্যাপারে অপবাদ দিবে, চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে, তারা ইবলীসের চেয়ে চরম মাল‘ঊন হবে। তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

তাই সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন- দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া।

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-আহমদ মারইয়াম বিনতে মানছুর

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে