মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,       ব্যক্তি ইফা’র ডিজিকে রক্ষার জন্য নয়-       বরং ‘মীলাদ ক্বিয়াম ও মাজার শরীফ ভক্ত হওয়ার জন্য যে সব জামাতে মওদুদী এবং কওমী ফিরক্বারা’ ইফা’র ডিজি’র বিরোধিতা করছে       ‘তারা শুধু মীলাদ ক্বিয়াম বা মাজার শরীফ বিরোধী নয়       মূলতঃ তারা স্বয়ং আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরোধী।       তারা মওদুদী এবং দেওবন্দী মুরুব্বীদের পূজারী।       মূলতঃ তারা কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী।’       কাজেই ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির আলোকে গোটা দেশের মীলাদ ক্বিয়াম ও মাজার শরীফ বিরোধী       সব জামাতে মওদুদী ও কওমীওয়ালাদের ‘কুরআন-সুন্নাহ’ তথা       ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’-এর অবমাননার বিচারের আওতাভুক্ত করুন।       দেখা যাবে এরাই যুগপৎভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারেরও আসামী।       মীলাদ ও মাজার শরীফ-এর বিরোধিতার গযবে পড়েই তারা যুদ্ধাপরাধের মত অপরাধ করেছে।

সংখ্যা: ১৮৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আসসালামু আলাইকুম।

শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশের প্রধানমন্ত্রী, ইরাক থেকে আগত হযরত শেখ বোরহানুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বংশধর বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক ইসলামী আবহে প্রতিপালিত হওয়ার প্রেক্ষিতে আপনি ঐতিহ্যগতভাবেই যেমন জানেন-

মীলাদ শরীফ ও

মাজার শরীফ-এর ফযীলত।

তেমনি তা শ্রদ্ধাভরে প্রতিপালনও করেন

স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণও করেন।

শান-শওকতের সাথে রাষ্ট্রীয় আয়োজনও করেন।

দেশবাসী মুসলমান তা সুনজরে দেখে

আনন্দে আপ্লুত হয়।

মাননীয় বঙ্গবন্ধু তনয়া,

আপনার প্রিয়তম স্বামী, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, নিরহঙ্কারী, দেশবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসন অর্জনকারী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে কওমী-জামাতী মালানাদের বিদ্য়াত ফতওয়ার মুখে ছাই দিয়ে আপনি ব্যাপক আয়োজনে তার কুলখানী অনুষ্ঠিত করেছেন।

(উল্লেখ্য, জামাতী-কওমী মৌলভীরা এই কুলখানী অনুষ্ঠানকে বিদ্য়াত ফতওয়া দিয়ে থাকে।)

শুধু তাই নয়, সে কুলখানী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো, আড়ম্বরপূর্ণ মীলাদ শরীফ।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, জামাতী-কওমী মৌলভীদের কুলখানী ও মীলাদ শরীফ বিরোধী ফতওয়া প্রত্যাখ্যান করে সেদিন দেশের সর্বস্তরে মানুষ মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার কুলখানী ও মীলাদ শরীফ-এ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে জামাতী-কওমী মৌলভীদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

তাদেরকে জনবিচ্ছিন্ন প্রমাণ করেছে।

এ বিষয়টি আরো বিশেষভাবে প্রমাণিত হয়েছে, প্রতিদিন পত্রিকার দেশের শহর-বন্দর তথা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

অফিস-আদালত

মন্ত্রণালয়

সচিবালয়

সর্বত্র ড. ওয়াজেদ মিয়ার জন্য অভূতপূর্বভাবে ব্যাপক মীলাদ শরীফ-এর মাহফিল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার ঈসালে ছওয়াব উপলক্ষে ‘দৈনিক আল ইহসান’ ও ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ অফিসেও বিশেষ মীলাদ শরীফ ও দোয়ার মাহফিল হয়েছিলো।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

মীলাদ শরীফ-এর মাহফিল এদেশের সর্বস্তরের আম জনতার এমন একটা পছন্দের আমল যাকে অস্বীকার করতে পারে কেবল

জনবিচ্ছিন্ন

গণধিকৃত

যুদ্ধাপরাধী

তথা জামাতী ও কওমীরা।

মাননীয় জননেত্রী দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী,

গত পহেলা মে’তে আপনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে আপনার দাদি, বঙ্গবন্ধু’র মা শেখ সাহেরা খাতুনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মীলাদ শরীফ-এর মাহফিলে যোগ দিয়েছিলেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

মীলাদ শরীফ-এর মাহফিলে যোগদানের এ অভূতপূর্ব প্রেরণা আপনি কোথায় পেলেন?

মূলতঃ এটা আপনার একক অনুভূতি নয়।

এটা গোটা দেশবাসীর চেতনা।

এটা বিশ্বের ২৮০ কোটি মুসলমানের প্রণোদনা।

কারণ, এটা আল্লাহ পাক-এর আদেশ। আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে মকবুল।

এটা কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ।

এটা সব ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের গৃহীত, অনুমোদিত ও নির্দেশিত বিশেষ আমল এবং

‘দোয়া’- রহমত ও নাজাত লাভের বিশেষ মাধ্যম।

মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফ-এ ‘সূরা আহযাব’-এর ৫৬ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ ফরমান, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক ও উনার ফেরেশতারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ কর পাঠ করার মত।” বস্তুতঃ বান্দার প্রতি আল্লাহ পাক-এর সরাসরি নির্দেশ হচ্ছে তারাও যেন আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করেন অত্যন্ত আদব ও শরাফত-এর সাথে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী  বলেন, মহান আল্লাহ পাক-এর ছানা-ছিফত করা যেরূপ অশেষ রহমত ও বরকতের কারণ তদ্রুপ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র জীবন মুবারক নিয়ে আলোচনা করা, ছানা-ছিফত বর্ণনা করাও অসংখ্য ফযীলতের কারণ। বলা হয়ে থাকে যে, ‘আল্লাহ রব্বুল আলামীন উনার কালামুল্লাহ শরীফ-এর প্রত্যেকটি আয়াত শরীফ-এ উনার পেয়ারা হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছানা-ছিফত বা প্রশংসা করেছেন।’ (সুবহানাল্লাহ)

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি একদিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে হযরত আবু আমির আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ঘরে গেলেন। সেখানে সকলেই ক্বিয়াম করে ছলাত ও ছালাম পাঠ করে নূরে মুজাস্্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বসালেন। তখন তিনি সেখানে দেখতে পেলেন যে, হযরত আবু আমির আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর নিজ সন্তানাদি ও আত্মীয়-স্বজনদের একত্রিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে আলোচনা করছেন। এটা দেখে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত খুশি হলেন এবং বললেন, “হে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তোমার জন্য তাঁর রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করেছেন। সকল ফেরেশতা তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। আর তোমার ন্যায় এরূপ আমল যারা করবে তাঁরাও তোমার ন্যায় নাযাত পাবে।” (সুবহানাল্লাহ) (সূত্র: কিতাবুত্ তানবীর ফী মাওলুদিল বাশীর ওয়ান্ নাযির, সুবুলুল হুদা ফী মাওলুদিল মোস্তফা)

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, মাজার শরীফ ও মীলাদ শরীফ বিরোধিতাকারীদের প্রতি ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর তরফ থেকে বহু পূর্বেই একশত কোটি টাকার প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হয়েছে।

কিন্তু মাযার শরীফ ও মীলাদ শরীফ বিরোধিতাকারীরা সেই চ্যালেঞ্জ আজও পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারেনি।

গ্রহণ করার হিম্মত দেখাতে পারেনি।

উল্টো যা করেছে-

‘আল বাইয়্যিনাত’-এর মাহফিলে হামলা।

‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে অপপ্রচার।

জামাত-জোট সরকারের পুলিশী বাহিনী লেলিয়ে দেয়।

জামাত-জোট প্রভাবিত গোয়েন্দা দ্বারা ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে কালো তালিকাভুক্তির অপবাদ দেয়।

********

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আপনার স্মৃতিতে এখনও ভাস্বর হয়ে আছে, নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরুর পূর্বে সিলেটে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাযার শরীফ-এ

কতটা ভক্তি

কতটা বিশ্বাস

কতটা শ্রদ্ধাবোধ

কতটা আরজী

নিয়ে আপনি উপস্থিত হয়েছিলেন।

অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দরদভরা হৃদয়ে আপনি ফাতিহা শরীফ পাঠ করেছিলেন।

একান্তভাবে আপনি দোয়া চেয়েছিলেন।

 মাননীয় জননেত্রী,

কেন আপনি তা করেছিলেন?

কোথা থেকে মাযার শরীফ জিয়ারতের চেতনা পেয়েছিলেন?

মাননীয় জননেত্রী,

এদেশের আম জনতার বিশ্বাসই আপনি ধারণ করেছিলেন। এটা কোন বিদেশী প্রেসক্রিপশন ছিলো না। এটা ছিলো আম জনতার গণঅনুভূতির প্রতি আপনার একাত্মতা প্রকাশ ও বিশ্বাস।

আম জনতার সে দরদী বিশ্বাসে বিশ্বাসী হওয়ার কারণেই তারা আপনাকে জননেত্রী সম্বোধন করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আপনি জানেন, এদেশে জনবিচ্ছিন্ন দু/একটা ইসলাম নামধারী মহল রয়েছে।

এরা মওদুদী জামাতী।

এরা কওমী, খারিজী, দেওবন্দী।

এরা মাযার শরীফ ভক্ত নয়।

বরং এরাই সিলেটে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাজার শরীফ-এ বোমা হামলা করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)

গজার মাছ হত্যা করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)

উদ্দেশ্য, মাযার শরীফ-এর শক্তি সম্পর্কে গণমানুষের গণঅনুভূতিকে নষ্ট দেয়া দেয়।

কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

বরং মাযার শরীফ-এর শক্তি প্রমাণিত হয়েছে।

গণমানুষ সব জামাতী-কওমীদের গণহারে ‘গণধিকৃত’ বলে সাব্যস্ত করেছে।

তাদেরকে পরিত্যাগ করেছে।

পরিহার করেছে।

তালাক দিয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যারা মানুষের শুকরিয়া করতে পারে না তারা আল্লাহ পাক-এর শুকরিয়া আদায় করতে পারে না।”

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আজকে রাজাকার যুদ্ধাপরাধীরা আপনার পিতাকে স্বীকার করে না।

বঙ্গবন্ধু বলে না।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামে ওরা সব সুবিধা চায়।

বলে, ‘বঙ্গবন্ধু ওদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন’।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ওরা বঙ্গবন্ধু বলবে না।

বলবে ‘মুজিব’।

জাতির পিতা ওরা স্বীকার করে না।

কিন্তু তার নামে সাধারণ ক্ষমার সুবিধা তারা চাবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

ঠিক তেমনি ওরা আজ মুসলমান দাবী করছে।

ইসলামের নামে রাজনীতি করছে।

কিন্তু যাদের উছীলায় ওরা মুসলমান হলো,

যাদের উছীলায় ওরা ইসলাম পেলো,

সেই মহান ওলীআল্লাহদের ওরা স্বীকার করবে না।

তাঁদের মাযার শরীফ-এর প্রতি ওরা শ্রদ্ধাবোধ দেখাবে না।

কিন্তু গো’আযম,

মইত্যা রাজাকার

মইজ্জা রাজাকারের

বিরুদ্ধে বললে ওরা আস্ত রাখেনা।

হাত-পায়ের রগ কেটে ছেড়ে দেয়। (নাউযুবিল্লাহ)

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

একথা আজ সর্বজনবিদিত যে, ওরা মূলতঃ আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম করে না।

ওরা করে-

মওদুদী ইসলাম

মওদুদী জামাত

কওমী-দেওবন্দী-খারিজী মুরুব্বীদের অনুসরণ। (নাউযুবিল্লাহ)

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

জামাতে মওদুদী অথবা কওমী, খারিজী, দেওবন্দীদের মুরুব্বীদের মতে- মাযার শরীফ জিয়ারত বিদ্য়াত হতে পারে

কিন্তু আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রবর্তিত ইসলামে মাযার শরীফ জিয়ারত শুধু জায়িযই নয় বরং খাছ সুন্নত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

কবর তথা মাযার যিয়ারত সম্বন্ধে হাদীছ শরীফে আছে, হযরত বুরহিদাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে মাযার বা কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পারো (মুসলিম শরীফ)।

হাদীছ শরীফে আরো উল্লেখ আছে, হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পার। কেননা উহা দুনিয়ার আসক্তিকে কমায় এবং আখিরাতকে স্মরণ করায়। (ইবনে মাযাহ)

কবর বা মাযার যিয়ারতের বৈধতা প্রসঙ্গে বিভিন্ন হাদীছ পরিলক্ষিত হয়, আর এ সমস্ত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যা হাফেজে হাদীছ আল্লামা ইবনে হাযার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি দিয়েছেন এভাবে, জেনে রাখুন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত করা এ সমস্ত হাদীছ শরীফের রায় অনুযায়ী মোস্তাহাব প্রমাণিত, তবে মহিলাদের ব্যাপারে মতানৈক্য আছে। (ফতহুল বারী ফি শরহে বোখারী ৩য় খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা)

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, পুরুষের জন্য কবর যিয়ারত করা মোস্তাহাব। (ফিক্বহুস সুন্নাহ্, ১ম খন্ড পৃঃ৪৯৯)

আল্লামা ইবনে আবেদীন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ওহোদ পাহাড়ের শহীদগণের (কবর) যিয়ারত করা মোস্তাহাব। ইবনে শায়বা হতে বর্ণিত আছে যে, “রসুলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি বৎসরান্তে ওহোদের শহীদগণের (কবর) যিয়ারত করতে আসতেন। অতঃপর বলতেন, তোমাদের প্রতি সালাম, যেমন তোমরা ধৈর্য্য ধারণ করেছিলে তেমনি পরকালে উত্তম বাসস্থান লাভ করেছ।

বর্ণিত আছে যে, পরবর্তীতে খলিফাতুল মোসলেমীন হযরত আবু বকর সিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও আমিরুল মো’মেনীন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই ধারাকে বজায় রেখেছিলেন। (উমদাতুল ফিক্বাহ)

বিখ্যাত হাদীছ বিশারদ আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেন, সাইয়্যিদাহ্ ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা প্রতি শুক্রবার হযরত হামযাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর কবর যিয়ারত করতে যেতেন,

অনুরূপভাবে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা স্বীয় ভ্রাতা আবদুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর কবর যিয়ারত করার জন্য মক্কা শরীফ যেতেন। (উমদাতুল ক্বারী ফি শরহে বোখারী)

উপরোক্ত বর্ণনা থেকে  এ ফতওয়াই স্পষ্ট প্রমাণিত যে, নিয়ত করে মাযার শরীফ যিয়ারত করা সম্পূর্ণ জায়িয।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

উল্লেখ্য যে, এ ছাড়াও সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবিঈন, তাবে তাবিঈন রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের কবর যিয়ারতের সুস্পষ্ট ও যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

ইমামে রাব্বানী আফজালুল আউলিয়া শায়েখ আহমদ সিরহিন্দী ফারুকী মোজাদ্দেদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সুলতানুল হিন্দ হাবীবুল্লাহ ইমামুত্ব ত্বারীকত হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতী আজমিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মাযার শরীফ জিযারত করতে গিয়েছিলেন।

আর এতে যিয়ারত ভিন্ন অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। (সীরাতে মোজাদ্দেদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি)

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

কুরআন শরীফ-এর আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই জ্বীন-ইনসানের মধ্যে যারা বদকার তারাই নবী-রসূল ও আউলিয়ায়ে কিরামগণের বিরোধিতা করে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

তদ্রুপ দেখা যাচ্ছে, যারা ৭১-এর খুনি, ধর্ষক, লুটেরা, রাজাকার যুদ্ধাপরাধী- সেই কওমী-জামাতীরাই আজকে মাযার শরীফ-এর, মীলাদ শরীফ-এর বিরোধিতা করছে।

মাযার শরীফ ও মীলাদ শরীফ ভক্তদের বিরোধীতা করছে।

অথচ মাযার শরীফ জিয়ারত ও মীলাদ শরীফ পাঠ কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ।

কিন্তু ওরা তা অস্বীকার করছে।

ওরা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে অবমাননা করছে।

ওদেরকে চিহ্নিত করুন,

ওদেরকে বিচারের আওতায় আনুন।

-মুহম্মদ মাহবুব আলম

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮