মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) মহোদয়-এর প্রতি- খোলা চিঠি বিষয়: ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী একমাত্র দরবার শরীফ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময় থেকেই জামাত-শিবিরের তীব্র বিরোধিতা ও দমনকারী, * গত দু’দশক ধরে জঙ্গি কওমী, ধর্মব্যবসায়ী তথা জামাত-জোটের বিরুদ্ধে দীপ্ত অবস্থান গ্রহণকারী, ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্তি করায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবী মহল, সুশীল সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত এবং বিশেষভাবে মর্মাহত। * পাশাপাশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৩৪টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম না থাকলেও তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। * পক্ষান্তরে বাকি ২২টি জঙ্গি সংগঠনের দীর্ঘদিনের সক্রিয়তা থাকলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে গত শুক্রবার মাত্র ১২টি কালো তালিকাভুক্ত করায় সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে বিশেষ জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ২৬শে এপ্রিল-২০০৯ রোববারের ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বগুড়ার হিযবুল্লাহর নাম নেই কেন?’ অথচ তা একটি চিহ্নিত অস্ত্রধারী সংগঠন। * অপরদিকে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি বলা হবে ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম অপবাদ এবং মহা মিথ্যাচার আর জামাতী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের প্রতি চরম ও গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ, তাতে কওমী, জামাতী ও জঙ্গিরা তথা ধর্মব্যবসায়ীরাই মহা উপকৃত ও শক্তিশালী হবে যেহেতু ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর মতো কেউই ওদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করতে পারবে না। * উপরোল্লিখিত সঙ্গতকারণে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কথিত কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে।

সংখ্যা: ১৮৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহাত্মন,

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।

আপনি অবগত আছেন যে, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সত্যিকার খাঁটি কামিল ওলীআল্লাহ। যিনি সুন্নতের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পাবন্দ, পরিপূর্ণ শরীয়তের অনুসারী ও কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর কথা ব্যক্ত করে থাকেন। উনার রূহানী পরশে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে লোকজন উনার কাছে এসে থাকেন। গোটা যিন্দিগী মুবারকে তিনি লাখ লাখ মুরীদসহ দেশ-বিদেশের সর্বস্তরের মানুষকে তাকবীরে উলার সাথে প্রতি ওয়াক্ত নামায আদায়, দায়িমী সুন্নত পালন, শরয়ী পর্দা, ক্বালবী যিকির, হালাল উপায়ে জীবিকা নির্বাহ তথা পরিপূর্ণ কুরআন-সুন্নাহসম্মত জীবন যাপনে অভ্যস্ত করে তুলেছেন। পাশাপাশি সারাদেশব্যাপী উনার প্রতিষ্ঠিত ‘বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, ইয়াতীমখানা ও আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত’ খাছ সুন্নতী কায়দায় পরিচালিত হচ্ছে।

মহান আল্লাহ পাক-এর রহমতে গোটা দেশবাসী অবগত আছেন যে, জন্মলগ্ন থেকেই ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ এবং ‘দৈনিক আল ইহসান’-এর প্রতিটি সংখ্যায় মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসায়ী, জামাত-জোট বিরোধী লেখা ছাপা হয়ে আসছে।

* রাজারবাগ দরবার শরীফ মূলতঃ ১৯৪৮ সাল থেকে কোনরূপ ঝুটঝামেলা ব্যতীত সুনামের সাথে সুন্দরভাবে চলে আসছে।

* গত ১৯ বছর যাবত দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ও বহুল পঠিত ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’।

অর্থাৎ এরশাদ সরকারের দু’টার্ম, বিএনপি সরকার, আওয়ামী লীগ সরকার, তিন টার্মের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এমনকি গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এযাবতকাল পর্যন্ত ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর কোন কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। বরং মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসায়ী, হরতাল, ভাংচুর, অবরোধ ইত্যাদি বিরোধী হওয়ায় সাবলীলভাবে এগিয়ে চলছে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর কার্যক্রম। যা ক্রমেই আমাদের দেশ ও দেশের মানুষদের সঠিক পথে ফিরতে উদ্বুদ্ধ করছে।

* ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বা লক্ষ্য নেই।

* আল বাইয়্যিনাত-এর কোনো কর্মীদের কোনো প্রকার শারীরিক বা সশস্ত্র প্রশিক্ষণের কর্মসূচি বা লক্ষ্য নেই।

* অস্ত্রের মাধ্যমে বা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ারও কোনো পরিকল্পনা নেই।

* বোমাবাজি, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিপনার বিরুদ্ধে ‘আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’ হাজারো ওয়াজ মাহফিল করে আসছে।

* ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর কোনো সদস্য কোন দিন কোনো পুলিশ সদস্য বা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো সংঘর্ষ বা বিত-ায় লিপ্ত হয়নি।

* গত নির্বাচনের আগে ‘দৈনিক আল ইহসান’ সাধারণ ধর্মপ্রাণদের মাঝে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ও প্রবল জনমত তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।

* বলাকা ভাস্কর্যের নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে। একটি প্রশ্ন বিবেচনা করলেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়।

‘আল বাইয়্যিনাত’-এর কর্মসূচিতে যদি ভাস্কর্য ভাঙ্গা কর্মসূচি থাকত- তাহলে এর আগে বহুল আলোচিত লালন ভাস্কর্যে কী ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর কোনো অংশগ্রহণ বা বিবৃতি ছিলো?

* প্রসঙ্গতঃ আরো উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী বিবৃত ছাত্রশিবির যেমন ছাত্রলীগে ঢুকে মারামারি বাঁধিয়ে দেয় তেমনি মতিঝিলের অদূরে আয়োজিত মীলাদ শরীফ-এর মাহফিল শেষে ছাত্রশিবিরের অনুপ্রবেশকারীরাই বলাকা ভাস্কর্যের ঘটনা ঘটিয়েছে। এর মধ্যে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নীতিমালা বা নির্দেশের আওতায় হয়নি।

* যারা এরূপ করেছে তারা প্রকৃতপক্ষে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর লোক নয়। তারা অনুপ্রবেশকারী।

* জামাত-শিবির ক্যাডাররা যেহেতু জানত যে, এ নির্বাচনে ‘আল বাইয়্যিনাত’ যুদ্ধাপরাধী বিরোধী ব্যাপক প্রচারণা চালাবে সেহেতু তারা খুব দুরভিসন্ধিমূলকভাবে এ স্যাবোটাজ করেছিলো এবং তাদের মিডিয়ায় বিকৃত করে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছিলো যাতে ‘আল বাইয়্যিনাত’ জামাত-জঙ্গিবাদ বিরোধী তৎপরতায়  সফলতা লাভ করতে না পারে।

কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। সাধারণ মানুষ তাদের কথায় ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর বিরুদ্ধে বিরূপ ধারণা পোষণ করেনি; বরং তারাই ধরাশায়ী হয়েছে।

অথবা বলাকার পর আজ পর্যন্ত বা বলাকার পিছনে স্বাধীনতা লাভের সময় পর্যন্ত ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর কোনো ভাস্কর্য কর্মসূচি কোনদিন পালিত হয়েছে?

মূলতঃ এসব তো দূরের কথা ‘আল বাইয়্যিনাত’ সব সময় হরতাল, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদির বিরুদ্ধে বলে আসছে। এমনকি লক্ষ লক্ষ ভক্ত-মুরীদান থাকা সত্ত্বেও ‘আল বাইয়্যিনাত’ আজ পর্যন্ত রাজপথে কোনো মিছিল, বিক্ষোভ, সমাবেশ ইত্যাদির আয়োজন করেনি।

* মূলতঃ ‘আল বাইয়্যিনাত’ প্রকৃত ছূফী হওয়া বা ওলীআল্লাহগণের ধারাবাহিকতায়, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি

গরীবে নেওয়াজ, খাজায় খাজেগাঁ, হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী আজমিরী সানজিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি

হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মত সে পন্থায়ই পরিচালিত একটি হক্ব দরবার শরীফ।

* শুধু তাই নয়, জঙ্গিবাদের উত্থানকালে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর তরফ থেকে র‌্যাব-এর এডিজি কর্নেল মাহবুব, কর্নেল গুলজার, এনএসআই ডাইরেক্টর ব্রিগেডিয়ার এনামসহ সব প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যাপক সহায়তা করা হয়। বিগত সময়ে এনএসআই’কে বিশেষ সহায়তা দেয়া হয়।

* তার পাশাপাশি এখনও ‘আল বাইয়্যিনাত’ ও ‘দৈনিক আল ইহসান’-এ প্রতি সংখ্যায় রাজাকার ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হচ্ছে এবং তা করা হচ্ছে ইসলামের দৃষ্টিতে; ধর্মপ্রাণদেরকে ধর্মের আলোকে যা কী-না সরকারি পদক্ষেপের চেয়েও একটা বড় সামাজিক ও ধর্মীয় পদক্ষেপ।

 সে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্ত করা এটাই প্রমাণ করে যে, গোয়েন্দা সংস্থায় এখনও জামাতী-জঙ্গি এজেন্ট নিয়োগ হয়ে আছে। তারা সেই ‘জজ মিয়া’ আবিষ্কারকারী গোষ্ঠী।

* ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারলে সবচেয়ে লাভবান হবে জামাতী-জঙ্গিরা; কারণ, তখন তাদের বিরুদ্ধে ইসলামের আলোকে এত শক্ত ও জোরালোভাবে বলার মত কেউ থাকবে না। তখন তাদের বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপ নিলে তারা সেটাকে সাধারণ জনগণকে সরাসরি ইসলামের উপর আঘাত বলে প্রচার করার অবাধ সুযোগ পাবে।

* মূলতঃ সে লক্ষ্যেই তারা ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি অপবাদ, কালো তালিকাভুক্ত করার কু-প্রচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু তাদের মিথ্যা অপবাদ প্রমাণের জন্য ‘আল বাইয়্যিনাত’ প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করছে।

উল্লেখ্য, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, ধর্মব্যবসায়ী বিরোধী ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে সরকারের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের শামিল।  কারণ, ‘আল বাইয়্যিনাত’ জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, ধর্মব্যবসায়ী বিরোধী এক বিরাট শক্তি।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, পে-কমিশন রিপোর্ট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছেন, আমি এখনও এ ফাইল খুলেও দেখিনি। মন্তব্য করব কী। তদ্রুপ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ-এর কাছে জজ মিয়া টাইপ যে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট গেছে সেটার ভিত্তিতেই তিনি ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে উল্লেখ করেছেন কীনা তা ভাবার বিষয়। কারণ, বর্তমান সরকারের অনেক সিনিয়র নেতা, এমপি, মন্ত্রী অনেক আগে থেকেই ‘আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কে ভালভাবে অবগত।

এমনকি রাষ্ট্রপতি জিল্লুর  রহমান সাহেবও অতীতে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর কাজে বিশেষ সহযোগিতা করেছেন। সহযোগিতা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল সাহেবও। এমনকি ‘আল বাইয়্যিনাত’ এলাকার স্থানীয় এমপি রাশেদ খান মেনন এমপি, সাবের হোসেন চৌধুরী এমপিসহ আরো অনেক সংসদ সদস্য; তারা দরবার শরীফ-এ আসেন, দোয়া নেন।

কাজেই সুদীর্ঘকালের ঐতিহ্যবাহী রাজারবাগ দরবার শরীফ-এর মুখপত্র ‘আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ-এর উচিত ছিলো, তাদের সাথে আলোচনা করা। এখন তিনি যদি তার সিনিয়র লিডারদের সাথে আলোচনা করেন তাহলে তিনি জানতে পারবেন, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, ধর্মব্যবসায়ী, জামাত-জোট বিরোধী অবস্থানে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর অবদান কত বেশি ও কতটুকু অনস্বীকার্য।

তারপরেও গত ২৪.০৪.২০০৯, শুক্রবার কয়েকটি টিভি চ্যানেলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম সোহেল তাজ বিবৃত ১২টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি সংগঠন তালিকাভুক্ত প্রকাশ করায় হতবাক হয়ে যান গোটা দেশবাসী।

কারণ, ‘আল বাইয়্যিনাত’ তথা ‘রাজারবাগ দরবার শরীফ’ শুধু ’৭১-এই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেনি;

 * ‘আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিটি মাহফিলে জামাত-জোট, কওমী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বলা হয়ে থাকে এবং এখনো বলা হচ্ছে। সেজন্য বিগত জামাত-জোট সরকারের আমলে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর অনেক মাহফিলে জামাত-জোট-জঙ্গিরা হামলা করেছে। গাড়ি ভাংচুর করেছে। পত্র-পত্রিকায় তার অনেক খবরও এসেছে।

 * এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ‘দৈনিক আল ইহসান’ গত তিন বছর ধরে নিয়মিত নিরলস ও নিবেদিতভাবে এবং তীব্র ও জোরালো ভাষায় লিখে যাচ্ছে।

যার প্রেক্ষিতেই আজকে জামাত-জোটের বিরুদ্ধে সাধারণ ধর্মপ্রাণদের তীব্র ক্ষোভ এবং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান। এবং যার প্রেক্ষিতে আজকের মহাজোটের মহাবিজয়।

 এদিকে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পরও ‘আল বাইয়্যিনাত’ ও ‘দৈনিক আল ইহসান’ জোরালো ভাষায় ও দীপ্ত পদক্ষেপে জঙ্গি-জামাতীদের হাক্বীক্বত উšে§াচন করে যাচ্ছে ও প্রতিরোধ করে যাচ্ছে।

 * একমাত্র ‘দৈনিক আল ইহসান’ই উল্লেখ করেছে যে, শিবির কর্মীরাই খোলস পাল্টিয়ে ছাত্রলীগে ঢুকে, কূটকৌশলে দুই গ্রুপ করে এবং কূট প্রক্রিয়ায় উভয়পক্ষে মারামারি লাগিয়ে দেয়।

* জঙ্গিদের ষাটভাগই জামাত এবং জঙ্গিদের সাথে জামাতী কওমীদের রয়েছে গভীর কানেকশন- সে তথ্য ‘আল বাইয়্যিনাত’ ও ‘দৈনিক আল ইহসান’-এই দলীল-প্রমাণ সাপেক্ষে প্রকাশিত হয়েছে।

 * আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিবৃত ‘কওমী মাদ্রাসাগুলো জঙ্গিবাদের প্রজননকেন্দ্র’ এ বক্তব্যের পক্ষে একমাত্র ‘দৈনিক আল ইহসান’ই ‘পনের কিস্তি’ ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

 * বায়তুল মোকাররম মসজিদ জামাতী-কওমীদের রাজনৈতিক ক্যান্টনমেন্টরূপে আর ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য খতীব সালাহ উদ্দীন সাহেবের পক্ষে প্রবল জনমত গড়ে তুলেছে এবং শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত।

 * ইফা’র ডিজি’র বিরুদ্ধে কওমী-জঙ্গিরা যে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলো একমাত্র ‘দৈনিক আল ইহসান’ই তার শক্ত জবাব দিয়ে মুসল্লীদের সঠিকপথে পরিচালিত করেছে।

 * যে সব কওমী-জঙ্গি নেতারা বলছে যে, তারা জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত নয় তাদের জঙ্গিবাদের তথ্য ‘আল ইহসান’-এ প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে।

 অর্থাৎ ‘দৈনিক আল ইহসান’ ও ‘আল বাইয়্যিনাত’ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যা করেছে তাতে সত্যিকার ইসলামের ভাবমর্যাদা ও মুক্তিযুদ্ধের সমুন্নত হচ্ছে

 যার জন্য বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপি তথা অনেক সরকারি কর্মচারী ‘দৈনিক আল ইহসান’-এর প্রশংসায় মুখরিত।

 ‘দৈনিক আল ইহসান’-এর প্রশংসায় মুখরিত শ্রমিক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, অটো রিক্সা-ভ্যান লীগসহ শ্রমজীবী, পেশাজীবী সর্বস্তরের মানুষ।

 এমনকি ‘আল বাইয়্যিনাত’ এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননসহ আরো অনেক সংসদ সদস্য ‘আল বাইয়্যিনাত, দৈনিক আল ইহসান’ কার্যালয়ে এসে থাকেন এবং মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর দোয়া নিয়ে থাকেন।

 মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যদি এলাকার সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন সাহেবের সাথেও যোগাযোগ করে ‘আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কে বলতেন তাহলে তিনি ভাল জবাব পেতেন।

 কিন্তু তিনি যদি জামাত-জোটের করে যাওয়া গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতেই ‘আল বাইয়্যিনাত’ সম্পর্কে জামাত-জোটের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে কথা বলেন তবে তা হবে সত্যের মহা খিলাপ। এবং তাতে করে জঙ্গি-জামাতীরাই উপকৃত হবে।

 প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সম্পর্কে সম্প্রতি যে কি ধরনের তথ্যসন্ত্রাস ও মিডিয়া ক্যু চলছে তার প্রমাণ হলো-

 গত ০১-১২-২০০৮ তারিখে ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকায় বদরুদ্দীন উমর কর্তৃক লেখা হয়েছে, “কিছুদিন আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ‘আল বাইয়্যিনাত’ অফিস পরিদর্শন করেছিলেন। এধরনের একটি অপরাধী গ্রুপের অফিসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পরিদর্শন করা প্রয়োজন কেন হলো- এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন সরকারি অথবা বেসরকারি কোনো মহল থেকেই তোলা হয়নি।”

 অথচ উপরোক্ত পুরো মন্তব্যই সম্পূর্ণ মিথ্যা যা মার্কিন এম্বেসীর সাথে যোগাযোগ করলেই বোঝা যাবে।

 অতএব, সঙ্গতকারণেই কথিত কালো তালিকাভুক্তি থেকে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম বাদ দিয়ে তাকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, ধর্মব্যবসায়ী ও জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে নিবেদিতভাবে কাজে বাধাগ্রস্ত না করার জন্য যথাযথ অনুরোধ জ্ঞাপন করছি।

আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮