মালিকুত তামাম, ক্বসিমুন নিয়াম, সাইয়্যিদুল আনাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত রহমত, বরকত, সাকীনা এবং নিয়ামতের মূল। উনাদের মুহব্বত ও তায়াল্লুক মুবারক নিয়ামত লাভের একমাত্র উসীলা

সংখ্যা: ২৭০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

النَّبِيُّ أَوْلٰى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ أَنفُسِهِمْ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মু’মিনগণ উনাদের নিকট সর্বাধিক প্রিয়।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-

قُل لَّا اَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِـى الْقُرْبٰـى

অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মাখলূক্বাতকে বলে দিন, তোমাদের কাছে কোনো কিছুরই প্রতিদান বা বিনিময় চাওয়া হচ্ছে না। প্রতিদান বা বিনিময় দেয়া তোমাদের পক্ষে সম্ভবও নয়। প্রতিদান বা বিনিময় দেয়ার ইচ্ছা করাও তোমাদের জন্য কুফরীস্বরূপ। তবে তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা এবং সদাচরণ করা।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

অর্থাৎ ঈমানদার উনাদের পরিচয় হচ্ছে, উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত কিছুর চেয়ে বেশি মুহব্বত করবেন। আর ঈমানদার উনাদের প্রধান দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকেও সমস্ত কিছুর চেয়ে বেশি মুহব্বত করা। এ বিষয়টি আরো সুস্পষ্টভাবে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُؤْمِنُ اَحَدُكُمْ حَتّٰـى اَكُوْنَ اَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَّالِدِهٖ وَوَلَدِهٖ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْـنَ

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমাকে নিজের পিতা-মাতা, সন্তান এবং সমস্ত মানুষ হতে অধিক মুহব্বত না করা পর্যন্ত তোমাদের কেউই কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ)

মূল কথা হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক জিম্মায় সমস্ত নিয়ামত মুবারক অর্পিত রয়েছে। আর তিনি উনার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সেই নিয়ামত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত করে নেন। কাজেই উনাদের মুহব্বতের ব্যাপারে উম্মতকে জবাবদিহি করতে হবে। যারা হাক্বীক্বীভাবে উনাদেরকে মুহব্বত করতে পারবে, তারা দুনিয়া-আখিরাত উভয়কালেই বেমেছাল ফযীলত লাভ করবে। অপরদিকে যারা উনাদের মুহব্বত ও গোলামীতে ত্রুটি করবে, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন পরিণতি।

এ বিষয়ে অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে। যেমন-

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ رَزَقَهُ اللهُ حُبَّ الْاَئِمَّةِ مِنْ أَهْلِ بَيْتِـيْ فَقَدْ أَصَابَ خَيْـرَ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةُ فَلَا يَشَكَّنَّ أَحَدٌ أَنَّه فِـي الْـجَنَّةِ فَإِنَّ فِي حُبِّ اهْلِ بَيْتِـيْ عِشْرِيْنَ خَصْلَةً عَشْرٌ مِّنْهَا فِي الدُّنْيَا وَعَشْرٌ فِـي الْاٰخِرَةِ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি  আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমাম উনাদের মুহব্বত লাভ করলো, সে দুনিয়া ও আখিরাতের সব ভালাই লাভ করলো। সে জান্নাতী হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বতকারী উনাদের বিশটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার দশটি দুনিয়াতে আর দশটি পরকালে।” সুবহানাল্লাহ!

اَمَّا فِـي الدُّنْيَا: فَالزُّهْدُ وَالـحِرْصُ عَلَى الْعَمَلِ وَالْوَرِعُ فِـي الدِّيْنِ وَالرَّغْبَةُ فِي الْعِبَادَةِ, وَالتَّوْبَةُ قَبْلَ الْـمَوْتِ وَالنَّشَاطُ فِيْ قِيَامِ اللَّيْلِ وَالْيَأْسُ مِـمَّا فِيْ أَيْدِى النَّاسِ وَالْـحِفْظُ لِأَمْرِ اللهُ وَنَـهْيُهُ عَزَّ وَجَلَّ وَالتَّاسِعَةُ بُغْضُ الدُّنْيَا, وَالْعَاشِرَةُ السَّخَاءُ

দুনিয়াবী দশটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- সে ব্যক্তি যুহদ বা দুনিয়া বিরাগ হবে। আমলের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি হবে। অরা’ দ্বীনের বিষয়ে পরহেজগার বা মুত্তাক্বী হবে। ইবাদতে অত্যধিক গুরুত্ব সৃষ্টি হবে। মৃত্যুর পূর্বে তওবা নছীব হবে। রাত্রি জাগরণের তাওফীক্ব হবে। সাধারণ মানুষ হতে বিমুখ হবে। মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ ও নিষেধ মুবারক সংরক্ষণ করার যোগ্যতা লাভ করবে। দুনিয়ার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হবে। দানশীলতার গুন লাভ করবে।

وَأَمَّا فِي الْاٰخِرَةِ فَلَا يُنْشَرُ لَه دَيْوَانٌ وَلَا يُنْصَبُ لَه مِيزَانٌ وَيُعْطٰي كِتَابَه بِيَمِيْنِهٖ وَيُكْتَبُ لَه بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ وَيُبَيِّضُ وَجْهَه وَيُكْسٰى مِنْ حُلَلِ الْـجَنَّةِ ويُشَفِّعُ فِي مِائَةٍ مِّنْ أَهْلِ بَيْتِهٖ وَيَنْظُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ اِلَيْهِ بِالرَّحْـمَةِ وَيُتَوِّجُ مِنْ تَيْجَانِ الْـجَنَّةِ وَالْعَاشِرَةُ يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ فَطُوْبٰـى لِمُحِبِّـيْ أَهْلِ بَيْتِـىْ.

আখিরাতের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো- ক্বিয়ামতের দিন উনার আমলনামা খোলা হবে না। উনার আমলনামা মিযানে দেয়া হবে না। উনার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে। উনাকে জাহান্নাম হতে নাজাতের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করা হবে। উনারা চেহারা উজ্জ্বল করে দেয়া হবে। উনাকে জান্নাতী পোশাক পরিধান করানো হবে। উনার পরিবারের একশত লোকের জন্য শাফায়াত করা হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার দিকে রহমতী নজর মুবারকে তাকাবেন। জান্নাতী মুকুট পড়ানো হবে। জান্নাতে বিনা হিসাবে প্রবেশ করানো হবে। কাজেই, আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বতকারীদের জন্য সুসংবাদ।” (জাওয়াহিরুল বিহার, আল খিছাল, রওদ্বাতুল ওয়ায়িজীন)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ ذَرٍّ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  لَا تَزُوْلُ قَدَمَا بْنِ اٰدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتّٰـى يُسْأَلَ عَنْ أَرْبَعٍ: عَنْ عِلْمِهٖ مَا عَمِلَ بِهٖ وَعَنْ مَّالِهٖ مَا اكْتَسَبَه وَفِيمَا أَنْفَقَهُ وَعَنْ حُبُّ أَهْلِ الْبَيْتِ.

অর্থ: “হযরত আবূ যর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ক্বিয়ামতের দিন চারটি প্রশ্নের জবাব দেয়ার পূর্বে আদম সন্তান এক কদমও নড়তে পারবে না। তার ইলম সম্পর্কে, তা অনুযায়ী সে কতটুকু আমল করেছে। তার সম্পদ সম্পর্কে, কিভাবে সে অর্জন করেছে এবং তা খরচ করেছে। এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত সম্পর্কে।” সুবহানাল্লাহ! (তারিখু মাদীনাতিদ দামিশক)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَيْهِ السَلَامُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ أَحَبَّنَا بِقَلْبِهٖ وَأَعَانَنَا بِيَدِهٖ وَلِسَانِهٖ كُنْتُ أَنَا وَهُوَ فِـيْ عِلِّيِّيـْنَ وَمَنْ أَحَبَّنَا بِقَلْبِهٖ وَأَعَانَنَا بِلِسَانِهٖ وَكَفَّ يَدَه فَهُوَ فِـي الدَّرَجَةِ الَّتِـيْ تَلِيْهَا

অর্থ: হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি যে, আমাদেরকে (মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে) যে ব্যক্তি অন্তর থেকে মুহব্বত করবে, হাত ও জবান দ্বারা উনাদের খিদমত মুবারক করবে, সে আমার সাথে ইল্লীনে অবস্থান করবে। আর যে ব্যক্তি অন্তরে মুহব্বত করবে, জবানে খিদমত করবে এবং হাত দিয়ে উনাদের কষ্ট দূর করবে, সে উচু মর্যাদা লাভ করবে। (সিয়ারু আ’লামুন্ নুবালা, আবূ নুআইম)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ قَالَ حُبُّ اٰلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ يَوْمًا خَيْرٌ مِّنْ عِبَادَةِ سَنَةٍ وَمَنْ مَّاتَ عَلَيْهِ دَخَلَ الْـجَنَّةَ

অর্থ: হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বতে একদিন অতিবাহিত করা, এক বছর ইবাদত করার চেয়েও অতি উত্তম। যে ব্যক্তি উনাদের মুহব্বতে ইন্তেকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সুবহানাল্লাহ! (মিফতাহুন নাজা)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِيْ مِنْ بَعْدِيْ

অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে আমার পরে আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিকট উত্তম। (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, আল মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাইন)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ أَبِـيْ سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهٖ لَا يُبْغِضُنَا أَهْلَ الْبَيْتِ رَجُلٌ إِلَّا أَدْخَلَهُ اللهُ النَّارَ.

অর্থ: হযরত আবূ সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সেই মহান আল্লাহ পাক উনার শপথ! উনার মুবারক যিম্মায় আমার অজুদ মুবারক। আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। (আল মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাইন, ইবনু হিব্বান)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَثْبَتُكُمْ عَلَى الصِّرَاطِ أَشَدُّكُمْ حُبًّا لِأَهْلِ بَيْتِـىْ

অর্থ: হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মানুষদের মাঝে পুলছিরাতের উপর সব চেয়ে বেশি স্থীর থাকবেন আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সর্বাধিক মুহব্বতকারী। (দাইলামী শরীফ)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

قَالَ حَضْرَتِ الْاِمَامُ الْـحَسَنُ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِنَّ حُبَّنَا لَيُسَاقِطُ الذُّنُوْبُ مِنْ اِبْنِ اٰدَمَ كَمَا يُسَاقِطُ الرِّيْحُ الْوَرَقُ مِنَ الشَّجَرِ

অর্থ: হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাতাস গাছ থেকে যেভাবে পাতা ঝেরে ফেলে দেয়, আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক আদম সন্তানদের থেকে গুণাহকেও সেভাবেই ঝেরে ফেলে দেয়। সুবহানাল্লাহ! (তুসী, আল মুফীদ)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوَّلُ مَنْ يُّرد عَلَى الْـحَوْضِ اَهْلَ بَيْتِـيْ وَمَنْ اَحَبَّنِـيْ مِنْ اُمَّتِـيْ

অর্থ: হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র হাউজে কাওছার শরীফ উনার নিকট উপনীত হবেন সর্বপ্রথম আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং উনাদেরকে মুহব্বতকারী আমার উম্মত উনারা। সুবহানাল্লাহ! (দাইলামী শরীফ)

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট হলো যে, মালিকুত তামাম, ক্বসিমুন নিয়াম, সাইয়্যিদুল আনাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত রহমত, বরকত, সাকীনা এবং নিয়ামতের মূল। উনাদের মুহব্বত ও তাওয়াল্লুক মুবারক দুনিয়া ও আখিরাতে নিয়ামত লাভের একমাত্র চাবিকাঠি বা উসীলা। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাকীকীভাবে মুহব্বত করে উনাদের মুহব্বত ও তাওয়াল্লুক মুবারক হাছিল করত দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবী লাভের তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।

-আহমদ নুছাইর।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম