মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে মূল্যায়ন করা ব্যতীত গোটা বিশ্ববাসীর জন্য বিকল্প কোনো পথ নেই অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাচ্ছে কাফির বিশ্বের প্রতি উনার সব ভবিষ্যদ্বাণী। ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দায় ইউরোপে মানুষ নিজেদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি শুরু করছে। যামানার মুজাদ্দিদকে চেনা হাদীছ শরীফ অনুযায়ী ফরয। বাংলাদেশের গাফিল মুসলমান আর কবে সচেতন হবে? মিডিয়া আর কতকাল স্ববিরোধিতা করে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম সম্পর্কে নীরব ভূমিকা পালন করবে? (২)

সংখ্যা: ২১৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

পৃথিবীর সমস্ত ইহুদী-নাছারা-মজুসী-মুশরিক তথা তাবৎ কাফির স¤প্রদায় পৃথিবীর আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে মুসলমানদের উপর যুলুম নির্যাতন করছে, তাঁদেরকে শহীদ করছে, মুসলমানদের সম্পদ লুণ্ঠন করছে, মুসলিম মহিলাদের সম্ভ্রমহরণ করছে, সন্ত্রাসী অপবাদ দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করছে। জুলুম-নির্যাতনের পাশাপাশি ফরয-ওয়াজিব-সুন্নতে মুয়াক্কাদা পালন তথা শরীয়ত পালনে বাধা প্রদান করছে।

এতদ্প্রেক্ষিতে যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, কাইয়্যুমুয যামান মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পৃথিবীর সমস্ত নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষ থেকে যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার শাহী দরবারে কাবা শরীফকে যেভাবে জালিম কাফির আবরাহার হাত থেকে রক্ষা করেছেন সেভাবে মুসলমানদেরকে রক্ষা করার এবং এই কাফির সম্প্রদায়কে আবরাহার মতো ধ্বংস করে দেয়ার ফরিয়াদ জানান।

উনার সেই মুবারক দোয়া ও ফরিয়াদের ফলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদের উপর বিভিন্ন আযাব-গযব নাযিল করে তাদেরকে নিস্তানাবুদ করে দিচ্ছেন।

তার প্রমাণ হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন কাফিরদের দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দার ভয়াবহ গযব।

প্রসঙ্গত, মহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “ইহুদী-খ্রিস্টান, কাফির-মুশরিকরা যদি মুসলমানদের উপর যুলুম-অত্যাচার বন্ধ না করে তবে, তারা রাস্তার ফকির হয়ে যাবে। ডাস্টবিন থেকে খাবে। এক সময় ডাস্টবিন থেকেও খাবার পাবে না। ডাস্টবিনের খাবার নিয়ে কুকুরের সাথে কামড়া-কামড়ি করবে। এরপরও তারা (কাফিররা) যদি মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ না করে, তবে তারা একজন আরেকজনকে খাবে।” প্রসঙ্গত সে অবস্থা এখনই জাহির হয়েছে।

{পূর্ব প্রকাশিতের পর}

সংবাদ মাধ্যমে অহরহ প্রকাশিত হচ্ছে ‘সুপার পাওয়ার’ থেকে ‘সুপার ফকির’ হওয়া আমেরিকার অর্থনৈতিক দুরবস্থার হাজারো ফিরিস্তির নি¤েœ কিছু উল্লেখ করা হল:

(১)

অর্থনৈতিক সঙ্কট ॥ ক্ষুধার রাজ্য এখন ক্যালিফোর্নিয়া ॥ ৪০ লাখ মানুষ বিপর্যস্ত

 

অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে ক্ষুধার কবলে পড়েছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অন্তত ৪০ লাখ মানুষ। আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল এ রাজ্যটি এখন সবচেয়ে ক্ষুধার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্টার ফর হেলথ পলিসি রিসার্চ বলছে- বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে অঙ্গরাজ্যের প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন মানুষ ভয়াবহ ক্ষুধার কবলে পড়েছে। সে হিসেবে এ অঙ্গরাজ্যে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ক্ষুধার কবলে পড়েছে।

আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দা শুরুর পর থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বেকার এবং ব্যবসাকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। চাকরি ও কাজ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ার মানুষের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছে। সেখানকার জিনিসপত্রের দামও দিন দিন ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে- যেসব পরিবারে শিশু সন্তান রয়েছে সেসব পরিবার বেশি সমস্যার মুখে পড়েছে। এ ছাড়া কম আয়ের পরিবারগুলোও বড় ধরনের কষ্টের মাঝে রয়েছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার নবদম্পতি এমনকি চাকরিজীবী মানুষও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়েছে।

(২)

অর্থনৈতিক সঙ্কট ভয়াবহ প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রে লাখপতি কমেছে এক লাখ ২৯ হাজার

যুক্তরাষ্ট্র থেকে : অর্থনৈতিক সঙ্কট ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও আমেরিকার অর্থনীতিতে। তার বড় প্রমাণ, গত বছর দেশটিতে লাখপতির সংখ্যা কমেছে এক লাখ ২৯ হাজার। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দ্য বোস্টন কন্সালটিং গ্রুপের (বিসিজি) বিশ্ব সম্পদ জরিপে দেখা গেছে, ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে লাখপতির সংখ্যা ৫২ লাখ ৬৩ হাজার থেকে কমে ৫১ লাখ ৩৪ হাজারে নেমে গেছে। বিনিয়োগযোগ্য সম্পদসহ স্থাবর সম্পদ মিলিয়ে অর্থমূল্য ১০ লাখ ডলার হলেই তাকে লাখপতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। অন্য দিকে উত্তর আমেরিকার ব্যক্তিগত সম্পদের মোট পরিমাণ শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৩৮ লাখ কোটিতে নেমে এসেছে।

(৩)

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক মন্দায় যুক্তরাষ্ট্র : দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও গৃহহীনের সংখ্যা বাড়ছেই

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আগুনে পুড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির উন্নয়ন কর্মকা-সমূহ এতে শুধু বাধাগ্রস্তই হচ্ছে না, বরং অর্থনৈতিক সংকটে কথিত সুপার পাওয়ার এখন পঙ্গু প্রায়। এক সময়কার সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দাবিদার এ দেশের বেশ আগেই রেকর্ড দারিদ্র্যের খবর হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলে, তাদের এ সংকট আরও বাড়তে পারে। এখন দরিদ্রের হার আরও বাড়ছে বৈ কমবে না। উদ্বেগের বিষয় হলো- যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ বেকারের হার এখন প্রায় দ্বিগুণ। সংশ্লিষ্টরা বলেছে, এ ব্যাপারে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে তা তিনগুণও হয়ে যেতে পারে। তাতে সামাজিক অস্থিরতাও আরও বাড়বে। বেকারত্বের কারণে দারিদ্র্য বাড়ায় গৃহহীনদের সংখ্যাও বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও প্রচুর। গৃহহীনদের হার বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা সংকটও বাড়ছে। আর এর প্রধান কারণ পুষ্টিহীনতা।

যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীন বা আশ্রয়হীন শিশুর সংখ্যাও বাড়ছে উদ্বেগজনকহারে। অর্থনীতিবিদরা বলেছে, গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে বলেই গৃহহীন শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। কারণ ওরা ওইসব পরিবারেরই সদস্য। যে পরিবারে শিশুর সংখ্যা বেশি সেই পরিবারের গৃহহীন শিশুর সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই পর্যাপ্ত নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তা হ্রাসের আশা করা যায় না বলেও মন্তব্য করে তারা।

‘আমেরিকান সর্বকনিষ্ঠ গৃহহীনরা ২০১০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ থেকে ২০১০ এই চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীন শিশুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬ লাখ। প্রতি ৪৫ জন শিশুর মধ্যে একজন গৃহহীন। উল্লিখিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত সময়ে দেশটিতে গৃহহীন শিশুর সংখ্যা বেড়েছে শতকরা প্রায় ৩৮ শতাংশ। প্রতিবেদন তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এমনও বলেছেন যে, এর শতকরা হার কম করেই ধরা হয়েছে। না হলে এর হার বা পরিমাণ আরও বাড়ত।’

গৃহহীন এ শিশুর সংখ্যা বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় যে, চোখের সামনেই হচ্ছে এক তৃতীয় বিশ্বের উত্থান। এই পরিবারগুলো যারপরনাই গরিব। তাদের কোন সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে। নানা কারণে গৃহহীনরা রয়েছে মারাত্মক মানসিক চাপে।

যেসব গৃহহীন শিশুর বয়স ছয় বছরের নিচে তাদের বেশির ভাগই পরিচালিত নারী দ্বারা। গৃহহীনদের অধিকাংশই ঠাঁই নিয়েছে রাস্তায়, আশ্রয়কেন্দ্রে।

এক সূত্রে জানানো হয়েছে, গৃহহীন শিশুর শতকরা হার সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আবাসন ও আর্থিক ক্ষেত্রের ধসের কারণেই এ সংক্রান্ত সমস্যা বেড়েছে। এটা বিপর্যয় হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। এর প্রভাব এতটাই বেশি পড়েছে যে, এর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্যাটরিনা ও রিটা নামের সামুদ্রিক ঝড়ের; যা আঘাত হানে ২০০৫ সালে।

রুটগার্স ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত এ সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ২০০৮ সালের আগস্ট থেকে পরবর্তী বছরের আগস্ট মাস এই এক বছরে দেশটিতে যারা কাজ বা চাকরি হারিয়েছিল, ২০১১ সালের আগস্ট মাসে ফুল টাইমের চাকরি করেছে তাদের মধ্যে কেবলমাত্র ২২ শতাংশের। আরেকটি হিসাবে দেখা যায়, ¯œাতকোত্তর মার্কিনীদের শতকরা ৫৩ শতাংশই বেকার। এই পরিসংখ্যান বিচার-বিশ্লেষণ করলে সহজে বুঝে যাওয়ার কথা দেশটির প্রকৃত পরিস্থিতি এখন কোন তিমিরে।

এদিকে নথিভুক্ত করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রদেশের গৃহহীন শিশুর সংখ্যাও।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মন্দার কারণে যেখানে বাড়ছে দারিদ্র্য, সেখানে পড়ছে বাজেট ছাঁটাইয়েরও নেতিবাচক প্রভাব। অর্থাৎ একসঙ্গে সবই যেন জেঁকে বসেছে। ২০০৯ সালের পর থেকে দেশটিতে আবাসন ও নগর উন্নয়ন দফতরের তহবিল বাড়ানো হয়নি বলা যায়। যা মোটেই রুখতে পারছে না গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা। এ দিকে সীমিত আয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুটি কর্মসূচিÑ হেড স্টার্ট এবং এসএনএপি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এগুলোরও তহবিল ছাঁটাই হওয়ার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে চরমভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে শিশু তত্ত্বাবধানের ভাউচার বা চাইল্ড কেয়ার ভাউচারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি। সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে মিলছে না পর্যাপ্ত শিশু তত্ত্বাবধানের ভাউচার। এতে করে বেশি সমস্যায় পড়েছে একাধিক শিশু সন্তানের মায়েরা। কারণ তারা বাইরে ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না এ সংক্রান্ত নানা সমস্যার কারণে। তাতে তাদের রুটি-রুজির পথও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এখন সরকারি ব্যয় ব্যাপক হারে কমাতে চলেছে ওবামা প্রশাসন। কেননা এসবের সবকিছুই সংকট বা চাপ বাড়াচ্ছে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছে, ওবামা প্রশাসনের নীতিকে এখন হতাশাজনক ছাড়া আর অন্য কিছু বলা যায় না। কেননা জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে মার্কিন মুলুকে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। দুর্ভোগ কবে দূর হবে তা জানে না তারা।

(৪)

যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যাজুয়েট বেকারের সংখ্যা বাড়ছে

যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যাজুয়েট বেকারদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হওয়ায় অনেক গ্র্যাজুয়েটকে এখন রেস্টুরেন্ট বা বারে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের।

আগে শিক্ষিত তরুণরা পোশাক, প্রযুক্তি, বিনোদন ও গাড়িতে অর্থ ব্যয় করলেও বেকারত্ব বাড়ার কারণে এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তা দেশটির ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির শ্রম দফতর জানিয়েছে, বেকারদের মধ্যে এমন কর্মীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা পূর্ণ সময় কাজ করতে চাইলেও খ-কালীন কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। গত জুনের এক হিসাবে দেখানো হয়, অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে দেশটিতে ৮২ লাখ লোক খ-কালীন কাজ করছে। যদিও ২০০৯ সালের শেষ প্রান্তিকে এমন বেকারদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৯১ লাখে। ২০০৭ সালের একই সময়ে ৪৫ লাখ বেকার ছিল বলে জানানো হয়।

তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অ্যাকাউন্টিংয়ে পাস করা গ্র্যাজুয়েটদের চাহিদা অনেক বেশি বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব কলেজেস অ্যান্ড এমপ্লয়ার্স। বর্তমানে এসব বিষয়ে দক্ষতার চাহিদা অনেক বেশি।

এ প্রসঙ্গে বেথেলহামের প্রধান গবেষক এডউইন কক জানায়, ‘কিছু বিষয়ের উপর দক্ষতার চাহিদা এখন বেশি। জরিপে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলো আগের বছরের তুলনায় এ ধরনের শিক্ষার্থীর নিয়োগ ১০ দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু কলা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ এখনো কঠিন।’

বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ব্যয় কমেছে। কারণ শিক্ষার্থীরা এখন আর আগের মতো ব্যয় করতে পারছে না। এডমন্ড ডটকম প্রকাশিত জরিপের তথ্যানুযায়ী, এপ্রিল পর্যন্ত ১৮-৩৪ বছর বয়সী নতুন গাড়ির ক্রেতাদের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা কমে ৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অথচ ২০০৭ সালে এ হার ছিল ১৩ দশমিক ৮। এদিকে উল্লিখিত বয়সের ৬০ ভাগ ক্রেতাই এখন কম দামি ব্র্যান্ডের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানায় নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএসএল স্ট্র্যাটেজিক রিটেইল। তারা অর্থ সাশ্রয় চেষ্টা করার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া ৩৫-৫৪ বছর বয়সীদের ৫০ শতাংশ এবং ৫৫ বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে ৪২ শতাংশ কম দামি ব্র্যান্ডের দিকে ঝুঁকছে বলে জানানো হয়।

(৫)

ফকির হয়ে গেছে সন্ত্রাসবাদী যুক্তরাষ্ট্র।

৪০টি দেশের কাছে দেনা ৪,৫১৪ বিলিয়ন ডলার

গরিব হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে আমেরিকার ৩০ শতাংশ মানুষ বসবাস করছে অফিসিয়ালি দারিদ্র্যসীমায়। সমগ্র বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এই মুহূর্তের মোট ঋণের অংক হচ্ছে ৪ হাজার ৫১৪ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেজারীর ব্যুরো অব পাবলিক ডেট এর মাধ্যমে অন্যান্য দেশের কাছ থেকে ধার নেয়া হয়েছে। ঋণের অংক সবচেয়ে বেশি হচ্ছে চীনের কাছে। মোট দেনা ১ হাজার ১৫৯.৮ বিলিয়ন ডলার। জাপানের কাছে দেনা ৯১২.৪ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্যের কাছে ৩৪৬.৫, ব্রাজিলের কাছে ২১১.৪, তাইওয়ানের কাছে ১৫৩.৪, রাশিয়ার কাছে ১১৫.২, হংকংয়ের কাছে ১২১.৯, সুইজারল্যান্ডের কাছে ১০৮.২, কানাডার কাছে ৯০.৭, লুক্সেমবার্গের কাছে ৬৮, জার্মানীর কাছে ৬১.২, থাইল্যান্ডের কাছে ৫৯.৮, সিঙ্গাপুরের কাছে ৫৭.৪, ভারতের কাছে ৪১, আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৩.৫, তুরস্কের কাছে ৩৯.৩, বেলজিয়ামের কাছে ৩১.৪, দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৩২.৫, পোল্যান্ডের কাছে ২৭.৯, মেক্সিকোর কাছে ২৭.৭, ইতালীর কাছে ২৫.৪, ফিলিপাইনের কাছে ২৩.৬, নেদারল্যান্ডের কাছে ২৩.৭, সুইডেনের কাছে ২০.৯, নরওয়ের কাছে ২১.১, ফ্রান্সের কাছে ২৩.৬, কলাম্বিয়ার কাছে ১৯.৯, ইসরাইলের কাছে ১৯.১, চিলির কাছে ১৮.৯, মিসরের কাছে ১২.৯, অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১২.৩, মালয়েশিয়ার কাছে ১২.৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া তেল সমৃদ্ধ আরব, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের দেনা আছে আরও কয়েকশত বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে গড়ে মোটামুটিভাবে ২৯ শতাংশ আমেরিকান দারিদ্র্যসীমায় বসবাস করছে। ওয়াশিংটন ডিসির ইকনোমিক পলিসি ইনস্টিটিউট প্রকাশিত বই “হার্ডশিপ ইন আমেরিকা : দ্য রিয়েল স্টোরি অব ওয়ার্কিং ফ্যামিলিজ” এর একটি উদ্ধৃতি এটি। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ লিসানুল্লাহ

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১