যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, খ¦লীফাতুল্লাহ, খ¦লীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, রসূলে নুমা, সুলত্বানুল আরিফীন, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদুর রসূল, মাওলানা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার- ওয়াজ শরীফ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- উলামায়ে ‘সূ’দের হাক্বীক্বত সম্পর্কে (১৯)

সংখ্যা: ২৫৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

পূর্ব প্রকাশিতের পর

পূর্বে উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت عبد الله بن مسعود رضى الله تعالى عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لـما وقعت بنو اسرائيل فى الـمعاصى نهتهم علماؤهم فلم ينتهوا فجالسوهم فى مجالسهم واكلوهم وشاربوهم فضرب الله قلوب بعضهم ببعض ولعنهم على لسان داود و عيسى ابن مريم عليهما السلام ذلك بما عصوا وكانوا يعتدون.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لـما وقعت بنو اسرائيل فى الـمعاصى

যখন বণী ইসরাইল ক্বওম, সম্প্রদায় তারা গোনাহতে মশগুল হয়ে গেলো-

نهتهم علماؤهم

তখন যারা আলিম উলামা ছিলেন ছূফী দরবেশ বুযর্গ ছিলেন উনারা তাদেরকে নিষেধ করলেন

فلم ينتهوا

তারা কিন্তু বিরত হলো না। তারা বিরত হলো না বরং তারা সেই মাওলানা ছাহিবদেরকে, আলিম উলামা ছূফী দরবেশ বুযুর্গ উনাদেরকে উল্টা ওয়াসওয়াসা দিলো। কি ওয়াসওয়াসা দিলো? বললো, হে মাওলানা ছাহিবরা মুফতী ছাহিব, শায়খুল হাদীছ, মুফাসসিরে কুরআন, আপনারা অনর্থক বাধা দিয়ে কি লাভ হবে, এক কাজ করুন, আপনারা সাধারণ লোকদের সাথে মিশে যান। সাধারণ লোক যেসব কাজ করে দুনিয়াবী ফায়দা লাভ করে থাকে তার থেকে আপনারাও একটা অংশ লাভ করবেন। যখন আওয়ামুন নাস সাধারণ লোক সেই মাওলানা ছাহিবদেরকে, মুফতী, মুহাদ্দিছ, শায়খুল হাদীছ, মুফাসসিরে কুরআন, ছুফী দরবেশদেরকে ওয়াসওয়াসা দিলো তারা সেই ওয়াসওয়াসায় পড়ে গেলো। তার ফলশ্রুতিতে কি হলো

فجالسوهم فى مجالسهم واكلوهم وشاربوهم

তখন ঐ সমস্ত মাওলানা, মুফতী, মুহাদ্দিছ, শায়খুল হাদীছ, মুফাসসিরে কুরআন, ছূফী দরবেশ যারা ছিলো, বুযুর্গ যারা ছিলো তারা কি করলো? আওয়ামুন নাস সাধারণ লোকদের সাথে ওঠা-বসা করতে লাগলো, তাদের মাজলিসে তারা যেতে থাকলো, গুনাহতে তারা জড়িত হয়ে গেলো। নাউযুবিল্লাহ! তাদের সাথে উঠা-বসা, পানাহার, খাদ্য-পানীয় গ্রহন করাসহ সব করা শুরু করে দিলো। নাউযুবিল্লাহ! তার ফলশ্রুতিতে কি হলো

فضرب الله قلوب بعضهم ببعض

মহান আল্লাহ পাক তিনি এদের অন্তরগুলোকে ধ্বংস করে দিলেন। অর্থাৎ অন্তরগুলি মরে গেলো।

অর্থাৎ সেই ফাসিক, ফুজ্জার, গোমরাহ লোকদের ছোহবত ইখতিয়ার করার কারণে আলিম উলামা, ছূফী দরবেশ যারা ছিলো এদের অন্তরগুলিও  পর্যায়ক্রমে তাদের মতই মরে গেলো।  যার কারণে

ولعنهم على لسان داود و عيسى ابن مريم عليهما السلام

অর্থাৎ সেই আলিম ছূফী দরবেশ মাওলানা ছাহেবরা হারাম কাজ থেকে আওয়ামুন নাস সাধারণ লোকদেরকে তো বিরত রাখলোই না, বরং নিজেরাও সেটার মথ্যে জড়িত হয়ে গেলো। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম; যাঁর প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি যাবূর শরীফ নাযিল করেছেন এবং যার প্রতি ইনজীল শরীফ নাযিল করেছেন হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাদের যবান মুবারক দিয়ে তাদেরকে লা’নত দেয়ালেন। অর্থাৎ তারা মালউন বা লা’নতগ্রস্ত হয়ে গেলো। নাউযুবিল্লাহ!

ذلك بما عصوا وكانوا يعتدون

এটা এই জন্য যে, তারা নাফরমানী করেছে, সীমালঙ্ঘন করেছে তাই। এদেরকে বলা হয়েছিলো তোমরা ভালো থাকো, সাধারন লোকদের ভালো করো, আসমানী কিতাবের কথা বলো, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কথা বলো,  হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখো, মিথ্যা বলা থেকে ফিরিয়ে রাখো, হারাম খাওয়া থেকে ফিরিয়ে রাখ, অসৎ মত অসৎ পথ থেকে ফিরিয়ে রাখো। কিন্তু সেটা তারা করলোই না বরং নিজেরাও জড়িত হয়ে গেলো। যার কারণে হযরত নবী- রসূল আলাইহিমাস সালাম উনাদের যবান মুবারক দিয়ে তাদেরকে লা’নত দেয়ালেন অর্থাৎ তারা লা’নতের উপযুক্ত হয়ে গেলো, মালউন হয়ে গেলো। এই পবিত্র হাদীছ শরীফ যখন ইরশাদ মুবারক করতেছিলেন তখন

قال فجلس رسول الله صلى الله عليه و سلم وكان متكئا

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হেলান দিয়ে, ট্যাক লাগিয়ে বসেছিলেন। যখন পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করছিলেন তখন তিনি সোজা হয়ে বসলেন। উনার চেহারা মুবারক লাল হয়ে গেলো। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-

لا والذي نفسى بيده حتى تأطروهم على الحق أطرا

মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! যার হাত মুবারকে আমার প্রাণ মুবারক রয়েছে সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম!

حتى تأطروهم على الحق أطرا

তোমরা এই সমস্ত লা’নত থেকে বাঁচতে পারবে না যতক্ষন পর্যন্ত, যারা হারাম কাজে মশগুল হবে তাদেরকে বাধা না দিবে।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, যে উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তারাও এই লা’নত থেকে বাঁচতে পারবে না যদি তারা, যারা হারাম কাজ করে তাদেরকে বাধা না দেয়। ঐ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! তোমরাও লা’নত থেকে বাচতে পারবেনা যতক্ষন পর্যন্ত তোমরা হারাম কাজে বাধা না দিবে। এখন সেই বনী ইসরাইলের আবুল হারেছা মালানা যে সাপ হয়ে  গিয়েছিলো, সে মালউন হয়ে অর্থাৎ লা’নতগ্রস্ত হয়ে মারা গেছে। বালয়াম বিন বাউরা তার আগে মারা গেছে, সে ধ্বংস হলো হযরত নবী এবং রসূল আলাইহিমাস সালাম উনাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করার কারণে। ইবলিস ধ্বংস হলো স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করার কারণে। এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে তা’যীম না করার কারণে।

সেটাই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে, বনী ইসরাইলের অনেক দরবেশ ছূফী মাওলানা কি জন্য তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা পাপ কাজে বাধা দেয় নি, সৎ কাজে মানুষকে আদেশ নির্দেশ করেনি এবং বিরত রাখার চেষ্টা করেনি, তারাও বিরত থাকেনি। যার জন্য আওয়ামুন নাসের সাথে, সাধারণ লোকের সাথে তারাও ধ্বংস হয়ে গেছে। কাজেই উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি সেটা বাধা না দেয় তাহলে উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত যারা আলিম ছূফী দরবেশ থাকবে, মাওলানা মুফতী যারা থাকবে, ছূফী পীর ছাহিব যারা থাকবে এরাও ধ্বংস হবে, লা’নতগ্রস্ত হবে যদি তারা নেক কাজে মানুষকে ধাবিত না করে। পাপ থেকে বিরত রাখার জন্য কোশেশে নিয়োজিত না থাকে। সেটাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন।

কারণ লা’নত যখন আসে তখন আম এবং খাছ সব একাকার করে দেয়।  (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৬

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৭

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৮

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে