যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য এক অনবদ্য রহমত

সংখ্যা: ২৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

মাসিক আল বাইয়্যিনাত এটি একটি মাসিক পত্রিকা। এ পত্রিকাটি বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত ও পরিচালিত। এটি উনার তাজদীদী মুখপত্র।

পত্রিকাটির মূল নাম আল বাইয়্যিনাত”। আরবী ভাষায় ‘আল’ শব্দটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর ‘বাইয়্যিনাত’ শব্দটি ‘বাইয়্যিনাহ’ শব্দের বহুবচন। অর্থ : অকাট্য, স্পষ্ট, উজ্জ্বল, প্রকাশ্য, প্রামাণ্য দলীলসমূহ। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ‘বাইয়িনাত’ শব্দ মুবারক এসেছে সতেরবার এবং সরাসরি ‘আল বাইয়্যিনাত’ শব্দ মুবারক এসেছে পঁয়ত্রিশবার। অর্থাৎ ‘বাইয়্যিনাত’ শব্দ মুবারক মোট বায়ান্নবার এসেছে।

উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ যেমনিভাবে মুত্তাক্বী বান্দাদের জন্য হিদায়েত দানকারী তদ্রূপ যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফও হিদায়েত দানকারী।

আরো উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ হচ্ছে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় উছূল বা মূলনীতি এবং তৃতীয় ও চতুর্থ মূলনীতি হচ্ছে ইজমা ও ক্বিয়াস। এই শেষোক্ত মূলনীতি দু’টিরই সম্মিলিত ও সমন্বিত সংগ্রহ হচ্ছে আল বাইয়্যিনাত। মোটকথা, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের প্রকৃত ব্যাখ্যা, মর্মবাণী মানুষের হিদায়েতকল্পে বাংলা ভাষায় অত্যন্ত সাবলীলভাবে যে লিখনীর মাধ্যমে পত্রস্থ করা হয় বা প্রকাশ করা হয় তার নামই হচ্ছে মাসিক আল বাইয়্যিনাত।

আজ আমাদের পরিবারে, সমাজে, দেশে নৈতিক অবক্ষয়, অস্থিরতা, অন্যায়, অত্যাচার ও অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ আজ আখিরাত ও আমল বিমুখ। কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ উনাদের হাক্বীক্বী জ্ঞান থেকে বহু দূরে। মুসলমান উনাদের এই দুর্দিনে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে মাসিক আল বাইয়্যিনাত কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সেইসাথে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে প্রকাশিত এমন একটি পত্রিকা যার মধ্যে দ্বীন ইসলাম উনার সবদিকেরই কমবেশি আলোচনা থাকে। সাথে সাথে গ্রহণযোগ্য যৌক্তিক চিন্তাধারাকেও উপেক্ষা করা হয়না। এই পত্রিকা পাঠের মাধ্যমে আমল ও আত্মার খোরাক বৃদ্ধি পায়, চিন্তা ও গবেষণার রুদ্ধ কপাট উন্মুুক্ত হয়। মহান আল্লাহ পাক উনার মারিফাত হাছিল ও বিশুদ্ধ আমলে জজবা পয়দা হয়। ঈমান মজবুত ও আক্বীদা দুরস্তের ক্ষেত্রে এ পত্রিকা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সত্য-মিথ্যার পার্থক্য এবং বাতিল ফিরক্বার মুখোশ উন্মোচনে এই পত্রিকার গুরুত্ব সীমাহীন। সর্বোপরি মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার যুক্তিনিষ্ঠ আপোষহীন বক্তব্য, দলীল-আদীল্লাহ ভিত্তিক জবাব দান এবং অসংখ্য, অগণিত কিতাবের তথ্যসূত্র বা রেফারেন্স, উদ্ধৃতির ব্যাপারটি সবার কাছে আকর্ষণীয় ও বিস্ময়কর বলে প্রতিভাত। আজ মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার প্রচার-প্রসার দেশ হতে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। হিদায়েতের আকাশে আল বাইয়্যিনাত এখন দিগন্ত বিস্তৃৃত এক উজ্জল নক্ষত্র। তাইতো মাসিক আল বাইয়্যিনাত হক্ব তালাশীগণের নিকট একান্ত পছন্দের পত্রিকা। সকলের উচিৎ এই পত্রিকাটি মনোযোগের সাথে পাঠ করা। বিশেষতঃ রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ, ফতওয়া বিভাগ, সুওয়াল-জাওয়াব, তাফসীরুল কুরআন, কাদিয়ানী রদ, মাসের ফযীলত, ফিক্বহুস সুনান, ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারসহ প্রতিটি বিভাগ পাঠ করা।

আল বাইয়্যিনাত এমন এক পত্রিকা যা সমগ্র উম্মাহর জন্য বেমেছাল রহমত স্বরূপ : আজকে যদি আমরা পেছনে ফিরে তাকাই, চলে যাই মাসিক আল বাইয়্যিনাত প্রকাশের পূর্বকালে তাহলে এখনও আমাদের সামনে ভেসে উঠে সেই ঘোর অমানিশার তমসাবৃত চিত্র। যেটা অনেকটা যেন সেই আইয়ামে জাহিলীয়াতেরই প্রতিচ্ছবি।

যখন আলিম দাবীদারদের কোন জবাবদিহিতা ছিলনা, কোন স্বচ্ছতা ছিলনা, কোন দায়িত্ববোধ ছিলনা, ছিল স্বেচ্ছাচারিতা, মূর্খতা আর দায়িত্বহীনতা। দ্বীন ইসলাম উনার নামে নামধারী পত্রিকাগুলো যে যার ইচ্ছামত লিখতো, যা ইচ্ছা রায় দিতো। কিন্তু এ সম্পর্কে কোন দলীল-প্রমাণ বা জবাবহিদি করার প্রবৃত্তি তাদের মোটেই ছিলনা। প্রকাশিত লিখার প্রেক্ষিতে যে মানুষ দলীল চেয়ে পাবে ও পেতে পারে এ ধরণের কোন জবাবদিহি বোধ তাদের ছিলনা। তারা যা কিছু লিখতো তা কোথা থেকে লিখতো, কোন কিতাব থেকে লিখতো তা উল্লেখ করার মত কোন স্বচ্ছতাও তাদের ছিল না। তদুপরি একটি ভুল মাসয়ালা লিখলে তার উপর আমল করলে সমূদয় গুণাহ যে তাদের উপর বর্তাবে সে ধরণের কোন দায়িত্ববোধও তাদের ছিল না। অর্থাৎ ছয়লাব ছিল উলামায়ে ‘সূ’দের এক প্রবল অরাজকতায়। কিন্তু আবূ দাঊদ শরীফ উনার হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে যা ইরশাদ মুবারক হয়েছে, æমহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন করে মুজাদ্দিদ পাঠান।”

ঠিক যথাসময়ে বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদ আয’ম, আওলাদুর রসূল, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পৃষ্ঠপোষকতায় যামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ গর্জে উঠলেন। আল বাইয়্যিনাত যেন গোটা পৃথিবীকে পাল্টে দিয়েছেন, বাতিলের মুখোশ উম্মোচন করে দিয়েছেন, ইসলামী ইনকিলাব তৈরি করেছেন। আল বাইয়্যিনাত উনার এই বেমেছাল ও বেপরওয়া ভূমিকা রীতিমত গবেষণার বিষয়।

আল বাইয়্যিনাত মুফতী মাওলানাদের জ্ঞানকে পূর্ণ ও সমৃদ্ধ করে দিচ্ছে : আল বাইয়্যিনাত উনার মধ্যে যে ব্যাপক দলীল দেয়া হয় তা সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি তো নয়ই, এমনকি কোন মাদরাসা বা অপর কোন বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের জন্যও সংগ্রহ করা সত্যিই দুস্কর। কারণ মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার এই দুর্লভ সংগ্রহশালা গড়ে উঠেছে উনার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয যামান, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল প্রজ্ঞা, প্রচেষ্টা তথা উনার অব্যক্ত রূহানিয়তের সমৃদ্ধি বলে। যা আর কারো পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়।

আল বাইয়্যিনাত সাধারণ মানুষকে দলীল শব্দের সাথে সম্পৃক্ত করেছে, তাদের দলীল চাওয়ার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছে : এতদিন ছিল যখন দলীল চাওয়া-পাওয়া এবং বর্ণনা করা যেন কেবল কথিত আলিম-উলামাদের ব্যাপার ছিল; কিন্তু মাসিক আল বাইয়্যিনাত সে কায়েমী ধারণার ভিত্তিমূলে আঘাত হেনেছে। আর বাইয়্যিনাত উনার উছীলায় এখন তারা জেনেছে যে, মুসলমান উনাদের অবস্থা দুটি। এক. যদি তারা না জানে তবে জিজ্ঞেস করা তাদের ন্যায্য অধিকার। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

فاسئلوا اهل الذكر ان كنتم لا تعلمون

 অর্থ: তোমরা যারা জাননা, যারা জানেন তাদের কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।”

মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার সুওয়াল-জাওয়াব, ফতওয়া ইত্যাদি পড়ে সাধারণ মানুষ এখন এত প্রশ্ন করতে হয়না, এত দলীল জিজ্ঞেস করতে হয়না।” উলামায়ে সূ”দের দাবিয়ে রাখার এই ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করতে শিখেছে। তাদের বিশ্বাস জন্মেছে যে, জানতে চাওয়া তাদের ঈমানের অধিকার, আর সে অধিকার বলে শুধু জিজ্ঞাসা করাই নয় বরং জিজ্ঞাসার প্রেক্ষিতে জবাবের দলীল জানতে চাওয়াও তাদের আরো ন্যায্য অধিকার। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

هَاتُوا بُرْ‌هَانَكُمْ اِنْ كُنتُمْ صَادِقِيْنَ

অর্থ : তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাক তবে দলীলসমূহ পেশ কর।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১১)

প্রসঙ্গতঃ আরো উল্লেখ্য যে, মাসিক আল বাইয়্যিনাত পাঠ করে সাধারণ মানুষ এখন আর গৎবাধা একটি বা দুটি দলীল বা কিতাবের নাম শুনেই পরিতৃপ্ত হয় না। মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার মাধ্যমে তারা আজ পেতে অভ্যস্ত হয়েছে ডজন ডজন তথা শত সহ¯্র দলীল বা কিতাবের প্রমাণ।

তাই সাধারণ মানুষও আজ অবগত হয়েছে, মুয়াত্তা মালিক শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, হিদায়া, বিক্বায়া, নিহায়া, ইনায়া, ফতহুল বারী, ফতহুল ক্বাদীর, আলমগীরী, দুররুল মুখতার, গায়াতুল আওতার, মারাকিউল ফালাহ, নুরুল ইজাহ, মা-লা-বুদ্দা মিনহু, রুদ্দুল মুহতার, শামী, ত্বীবী, তালীকুছ্ ছবীহ তাতারখানিয়া, খুলাছা, বাহরুর রায়িক ইত্যাদি শত শত প্রামাণ্য কিতাব সম্পর্কে।

আল বাইয়্যিনাত সাধারণ মানুষকে, উলামায়ে ‘সূ’দের চ্যালেঞ্জ করার হিম্মত যুগিয়েছে : আল বাইয়্যিনাত সাধারণ মানুষকে, উলামায়ে ‘সূ’দের দাবিয়ে রাখার হুমকীতেও আর তারা থেমে থাকছে না, তারা মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার তাছীরে আজ বুক টান করে উলামায়ে সূ”দের হারাম আমলসমূহের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার এবং তদপ্রেক্ষিতে দলীল চাওয়ার হিম্মত পাচ্ছে। তাদের দেয়া মনগড়া, ভিত্তিহীন জবাবের পরিবর্তে মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার উছলীয় উলামায়ে সূ”দের কৃত ছবি তোলা, লংমার্চ, হরতাল, ব্লাসফেমী আইন, মেয়েলোকের নেতৃত্ব গ্রহণ, দ্বীন ইসলাম উনার নামে নির্বাচন, গণতন্ত্র ইত্যাদি হারাম হওয়ার দলীল-প্রমাণ জানছে এবং আল বাইয়্যিনাত উনার দলীল হাতে নিয়ে তারা উলামায়ে ‘সূ’দেরকে চ্যালেঞ্জ করার মত শক্তি ও সাহস পাচ্ছে।

আল বাইয়্যিনাত এমন এক নিয়ামত, যা ফিতনা তথা গৃহযুদ্ধ থেকে হিফাজতের কারণ : মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اذكروا نعمتى التى  انعمت عليكم

 আর তোমরা সে নিয়ামতের কথা স্মরণ কর যা মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের দিয়েছেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪০)

বলাবাহুল্য, বর্তমান যামানায় দলীলবিহীন, মনগড়া ও ভ্রান্ত ফতওয়া জনিত কলহ-কোন্দলের প্রেক্ষিতে অকাট্য ও অখ-নীয় ব্যাপক দলীলভিত্তিক পত্রিকা আল বাইয়্যিনাত মহান আল্লাহ পাক উনার সে নিয়ামত। যা গ্রহণে আমরা অবাঞ্ছিত সব কলহ-কোন্দল যার পরিণতি একটা সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধ, তা থেকে নাযাত লাভ করে মহান আল্লাহ পাক উনার রজ্জুকে শক্তভাবে ধরার একমাত্র উছীলারূপে পেতে পারি।

আল বাইয়্যিনাত উলামায়ে সূ”দের কবল থেকে ঈমান হিফাযতের উছীলা : গভীর পরিতাপের বিষয় যে, বর্তমানে বাজারে এমন কিছু পুস্তক পত্রিকা, ওয়ায়েজ তথাকথিত আলিম বিদ্যমান যাদের কথা বিশ্বাস করলে ঈমানহারা হয়ে চির জাহান্নামী হতে হয়। যাদের প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, আখিরী যামানায় এমন কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জালে-কাজ্জাব বের হবে যারা এমন সব কথা বলবে, যা তোমরা শোননি এমনকি তোমাদের বাপ-দাদারাও শোনেনি।” (মিশকাত শরীফ)

মূলত, এই হাদীছ শরীফ উনার প্রতিফলন আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে লক্ষ্যনীয়। আজকে উলামায়ে ‘সূ’রা আবহমান কাল ধরে মুসলিম মূল্যবোধে যে সব কাজ হারাম ও খারাপ বলে মূল্যায়িত হয়ে আসছে সেগুলোকে তারা হালাল করছে। তারা হালাল করছে ছবি, মেয়েলোকের নেতৃত্ব, বিজাতীয় বিধর্মীদের কর্মসূচী তথা লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী আইন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে নির্বাচন ইত্যাদি। কিন্তু মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার মধ্যে এসব কাজ বিস্তারিত দলীল-আদীল্লাহ সহকারে হারাম প্রমাণ করে দিয়েছে। ফলে উলামায়ে ‘সূ’দের মনগড়া ব্যাখ্যা ও খোড়া যুক্তির অসারতা এবং কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ বুঝতে পেরে মানুষ ঐসব হারাম কাজকে হারাম মনে করতে পারছে। মূলত, তাদের ঈমান হিফাযত হচ্ছে।

মাসিক আল বাইয়্যিনাত অকাট্য তাজদীদী মুখপত্র : আরবীতে দুটো কথা আছে, ইবনুল ওয়াক্ত” ও আবুল ওয়াক্ত”। সময়ের সন্তান” আর সময়ের পিতা” সময়ের প্রবাহমান স্রোতে সিক্ত হয়ে যেখানে নামধারী নাকেছ আলিম তথা উলামায়ে ‘সূ’রা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হাজারো হারাম কাজে যুক্ত হয়ে সময়ের সন্তান রূপে গণ্য হচ্ছে সেখানে আল বাইয়্যিনাত সব প্রয়োজনীয় বিষয়ে তার অকাট্য তাজদীদী রায় প্রকাশ করে দিয়েছে। করেছে ছবি তোলা, লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী আইন, দ্বীন ইসলাম উনার নামে নির্বাচন ও গণতন্ত্র, রোযাবস্থায় ইনজেকশন ইত্যাদি অনেক অনেক বিষয় সম্পর্কে অকাট্য তাজদীদ।

আল বাইয়্যিনাত, তাৎক্ষনিকভাবে আন্তর্জাতিক মুসলিম বিরোধী চক্রান্ত সম্পর্কে জাতিকে অবহিত করেছে : আল বাইয়্যিনাত হুজুগে মাতালদের বিপরীতে উম্মাহকে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছে। উপসাগরীয় যুদ্ধে নামধারী আলিমরা যখন সাদ্দাম হুজুগে মেতে ঝড় তুলেছিল তখন আল বাইয়্যিনাত দ্বীপ্ত পদক্ষেপে ছহীহ ভূমিকা পালন করেছিল। পাশাপাশি বর্তমানেও নামধারী আলিমরা যখন, ওসামা বিন লাদেন হুজুগে মত্ত তখন তাৎক্ষনিকভাবেই মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে লাদেন ও তালেবান সম্পর্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। আর আজকের ঘটনাপ্রবাহের ব্যক্ত করা হয়েছে। আর আজকের ঘটনাপ্রবাহের সত্যতায় এটাই আবারো প্রতীয়মান হয় যে, মাসিক আল বাইয়্যিনাতই যামানার যে কোন বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারে দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন সঠিক সিদ্ধান্ত।

মাসিক আল বাইয়্যিনাত দলীল বর্ণনার ক্ষেত্রে যুগান্তরকারী দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে : দলীলের সংখ্যার ক্ষেত্রে মাসিক আল বাইয়্যিনাত ইসলামী প্রকাশনার জগতে অকল্পনীয় দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। আল বাইয়্যিনাত শরীফ বর্তমান চলমান ২৩১তম সংখ্যা প্রকাশে এ যাবত ফতওয়া দেয়া হয়েছে ৩১টি। কিন্তু তাতে দলীল উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় পনের হাজার। একইভাবে দুই সহস্রাধিক সুওয়াল-জাওয়াব প্রদানের ক্ষেত্রে দলীল দেয়া হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার। সুবহানাল্লাহ!

মাসিক আল বাইয়্যিনাত সবাইকে সুন্নত শিখিয়েছে : এতদিন যাবত যা হত; আলিমরা বলত, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত পালন কর, সুন্নত পালন কর। কিন্তু সুন্নত উনার বর্ণনা যে কি তা তারা নিজেরাও জানত না। আর বলতেও পারত না। কিন্তু মাসিক আল বাইয়্যিনাত দলীল-প্রমাণ এমনকি চিত্রের সাহায্যে এক্ষেত্রে বেমেছাল ভূমিকা পালন করেছে। এখন কিয়ামত পর্যন্ত কোন বিষয়ে কি সুন্নত, কেমন জিনিস সুন্নত জানতে ও পালন করতে মানুষের আর কোন সমস্যা থাকবেনা ইনশাআল্লাহ! আর এ সব কিছুই হয়েছে মুহইস সুন্নাহ রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বদৌলতে। সুবহানাল্লাহ!

আল বাইয়্যিনাত উনার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক : আল বাইয়্যিনাত উনার তুলনা আল বাইয়্যিনাত নিজেই। দিগন্ত প্রসারী তাজদীদ, বেমেছাল ভূমিকার পেছনে কারণ একটাই- এ পত্রিকাটি, বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদ আ’যম, আওলাদুর রসূল রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত। এটি উনার তাজদীদী মুখপত্র। সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য এক অনবদ্য রহমত। সুবহানাল্লাহ!

আল্লামা মুফতী আহমদ শুকরান

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম