যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৭৬

সংখ্যা: ২০৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফ-এ মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরনিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

ধারাবাহিক

মিথ্যাবাদী তথাকথিত মুফতী, স্বঘোষিত মুশরিক শামছুল হকের মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জাওয়াব

৬। প্রসঙ্গ : “ক্বাইয়্যূমুয যামান লক্বব”

মিথ্যাবাদী স্বঘোষিত মুশরিক শামছু..র আরেকটি জিহালতপূর্ণ বক্তব্য হলো-“তাঁর নামের পূর্বে যে লক্ববগুলি লাগানো হয় তার কোন কোনটি শিরক পর্যায়ের। যেমন তাঁর নামে কাইয়্যুমুয যামান লেখা আছে। “ক্বাইয়্যূমুয যামান” হলেন আল্লাহ।..

“খণ্ডনমূলক জবাব”

মিথ্যাবাদী, স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু” এবার নিজেই নিজেকে আশাদ্দুদ দরজার জাহিল ও মুশরিক বলে প্রমাণ করলো। কারণ তার জিহালতপূর্ণ বক্তব্য হলো- “আল্লাহ পাক উনার শানে যে লক্বব ব্যবহৃত হয় তা বান্দার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা শিরক। তার এ ফতওয়া মুতাবিক প্রথমত সে নিজে ও তার গুরুরা মুশরিক হিসেবে সাব্যস্ত হয়। দ্বিতীয়ত: সে পূর্ববর্তী অনেক অনুসরণীয় ও বরেণ্য হক্কানী-রব্বানী ইমাম-মুজতাহিদ, আওলিয়ায়ে কিরাম ও উলামায়ে কিরাম উনাদেরকে মুশরিক সাব্যস্ত করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!

 

মিথ্যাবাদী শামছু ….র ফতওয়া মতে ‘শামছু’ নিজেই ‘মুশরিক’

 

মিথ্যাবাদী ‘শামছু’ লিখেছে- আল্লাহ পাক তিনি ক্বাইয়্যূম’ তাই ক্বাইয়্যূম লক্বব ব্যবহার করা শিরক। নাঊযুবিল্লাহ! যদি তাই হয় তবে তো মিথ্যাবাদী শামছুসহ তার সমগোত্রীয় সকলে যারা মাওলানা লক্বব ধারণ করে থাকে তারা মুশরিকের অন্তর্ভুক্ত। কেননা কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই নিজেকে মাওলানা বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন ইরশাদ হয়েছে-

انت مولنا فانصرنا على القوم الكافرين

অর্থাৎ, হে আল্লাহ পাক! আপনি মাওলানা সুতরাং আমাদেরকে কাফিরদের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন। (সুরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ ২৮৬)

উক্ত আয়াত শরীফ-এ স্পষ্টতই উল্লেখ আছে যে, মাওলানা হলেন- আল্লাহ পাক। মিথ্যাবাদী শামছু ও তার সমগোত্রীয় দেওবন্দীরা কিভাবে মাওলানা হয়। তবে তো তার ফতওয়া মতেই সে এবং তার সমগোত্রীয়রা বড় মুশরিক।

 

মিথ্যাবাদী শামছু…র ফতওয়া মতে থানভী ও তার অনুসারীরা মুশরিক

 

মিথ্যাবাদী শামছু ফতওয়া দিয়েছে আল্লাহ পাক উনার কোনো নাম ধারণ করা শিরক।

মিথ্যাবাদী শামছু…র ফতওয়া মতে তার গুরু আশরাফ আলী থানবী ও তার অনুসারী শামছু…সহ সকলেই মুশরিক। কারণ থানবীর একটি লক্বব হচ্ছে হাকীমুল উম্মত। থানবীর অনুসারী সকলেই তাকে হাকীমুল উম্মত বলে স্বীকার করে ও লিখে থাকে। খোদ শামছুই তার গোমর ফাঁক নামক কিতাবের ৮৪ পৃষ্ঠায় থানবীকে হাকীমুল উম্মত বলে উল্লেখ করেছে।

অথচ আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামে পাক-এর সূরা বাক্বারা, সূরা নিসা, সূরা আনফাল, সূরা তওবা, সূরা নূর ইত্যাদি সূরার অসংখ্য স্থানে নিজেকে হাকীম বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন ইরশাদ হয়েছে-

والله عليم حكيم

অর্থাৎ আল্লাহ পাক হচ্ছেন আলীম (সর্বজ্ঞ) ও হাকীম। (সূরা নিসা-২৬)

উক্ত আয়াত শরীফ-এ স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে, হাকীম হলেন আল্লাহ পাক। থানবী কিভাবে হাকীম হয়? আর শামছু ও তার সমগোত্রীয় দেওবন্দীরা কিভাবে তাকে হাকীমুল উম্মত বলে সম্বোধন করে? শামছুর ফতওয়া মতেই কি থানবী, খোদ শামছু ও তার সমগোত্রীয়রা মুশরিক হিসেবে সাব্যস্ত হয় না?

 

শামছু …র ফতওয়া মতে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনিসহ আরো অনেকেই মুশরিক নাঊযুবিল্লাহ!

মিথ্যাবাদী শামছু..র’ ফতওয়া হচ্ছে- আল্লাহ পাক হচ্ছেন ক্বাইয়্যূমুয যামান’ এখন আমাদের প্রশ্ন হলো- ‘ক্বাইয়্যূমুয যামান” লক্বব ব্যবহার বা ধারণ করা যদি শিরক হয়ে থাকে এবং যিনি ব্যবহার করেন তিনি মুশরিক হন। নাঊযুবিল্লাহ! তাহলে মিথ্যাবাদী ভ-, জাহিল, শামছু হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে তার কিতাবে মুজাদ্দিদ, ইমামে রব্বানী স্বীকার করলো কিভাবে? একজন মুশরিক কি কখনো মুজাদ্দিদ ও ইমামে রব্বানী হয়? আর হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্ষেত্রে যদি ক্বাইয়্যূমুয যামান লক্বব ব্যবহার করা শিরক না হয় তবে রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ক্ষেত্রে শিরক হবে কেন? উনার জন্য কি শরীয়তের হুকুম ভিন্ন?

কাজেই, বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, একজন মুজাদ্দিদ ও ইমাম রব্বানীকে মুশরিক ফতওয়া দিয়ে মিথ্যাবাদী তথা কাযযাবে আ’যম, ভণ্ড, প্রতারক বদচরিত্র শামছু.. নিজেই মুশরিক হিসেবে সাব্যস্ত হলো।

মিথ্যাবাদী, ভণ্ড, প্রতারক ও স্বঘোষিত মুশরিক শামছু … শুধু হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকেই ফতওয়া দেয়নি, বরং সর্বজনমান্য বিশ্ব বরেণ্য, অনুসরণীয়-অনুকরণীয় আরো অনেক ইমাম-মুজতাহিদ, ওলী-আউলিয়া, মুজাদ্দিদ ও মুহাদ্দিছকে শামছু মুশরিক সাব্যস্ত করেছে।

যেমন হযরত ইমাম মা’ছুম রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত হুজ্জাতুল্লাহ নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আবুল উলা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি, গত শতকের মুজাদ্দিদ ফুরফুরা শরীফ-এর প্রতিষ্ঠাতা হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও উনার ছেলে আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি। ভ-, ধোঁকাবাজ, কাযযাব শামছুর ফতওয়া মতে উনারা সকলেই মুশরিক। নাঊযুবিল্লাহ! কেননা উনারা সকলেই ক্বাইয়্যূমুয যামান লক্বব ব্যবহার করেছেন। যা উনাদের জীবনী মুবারক-এ সুস্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে।

স্বঘোষিত মুশরিক “শামছু…” এতটাই আশাদ্দুদ দরজার জাহিল যে, মশহুর আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের জীবনী সম্পর্কেই খবর রাখেনা। ভ-, জাহিল, মুশরিক, ধোঁকাবাজ, মিথ্যুক আবার মুফতী হয় কিভাবে?

মিথ্যাবাদী, ভণ্ড, জাহিল, প্রতারক, স্বঘোষিত মুশরিক শামছু অতঃপর লিখেছে, উনার নামের বিরুদ্ধে মুজাদ্দিদ, ইমামুল আইম্মাহ ইত্যাদি বড় বড় লক্বব লেখা আছে। একজন জাহিলকে এসব লক্ববে ভূষিত করা নিতান্ত মিথ্যা ও ধোঁকাপূর্ণ কাজ।

মিথ্যাবাদী, ভণ্ড, জাহিল, প্রতারক ও মুশরিক শামছু.. ঠিকই বলেছে। জাহিলকে মুজাদ্দিদ, ইমামুল আইম্মাহ, লক্ববে ভূষিত করা অবশ্যই মিথ্যা ও ধোঁকাপূর্ণ কাজ। যেমন শামছু..র ন্যায় একজন জাহিল শুধু নয় বরং আশাদ্দুদ দরজার জাহিল ও মুশরিককে সুযোগ্য খলীফা, মাওলানা, মুফতী, চেয়ারম্যান মুফতী বোর্ড, প্রধান মুফতী আল মারকাজুল ইসলামী ইত্যাদি লক্ববে ভূষিত করা নিতান্তই মিথ্যা ও ধোঁকাপূর্ণ কাজ।

আর মিথ্যাবাদী, ভণ্ড, ধোঁকাবাজ, মুশরিক শামছু.. আশাদ্দুদ দরজার জাহিল বলেই সে বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ ও ইমাম, তাজুল মুফাসসিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, হাজারো মুফতী, মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ, মুফাসসির ও পীর মাশায়িখ-উনাদের পীর ও মুর্শিদ রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনাকে জাহিল বলার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে। কেননা উছূল রয়েছে-

المرء يقيس على نفسه

অর্থাৎ, “প্রত্যেকেই অন্যকে তার নিজের মত ধারণা করে।” যেমনটা মনে করতো বাতিল ফিরক্বা লা মাযহাবীরা ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্ষেত্রে। লা মাযহাবীদের বক্তব্য হলো- হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জাহিল ছিলেন, তিনি একটি ছহীহ হাদীছ শরীফও জানতেন না। নাঊযুবিল্লাহ!

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৫

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৪ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৩ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

সমাজতন্ত্রের ঝাণ্ডা পরিত্যাগ করে ‘প্রথম আলো’ সম্পাদক মতিউর এখন পুঁজিবাদের বেনিফেসিয়ারী নিজেকে বদলে ফেলার কারণে এখন অন্যকেও বদলানোর নছীহত খয়রাত করেছেন কিন্তু সমাজতন্ত্র আর পুঁজিবাদ যেমন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ; তেমনি ‘প্রথম আলো’র বদলানোর আহ্বানও এক অনাচার থেকে আর এক অনাদর্শের দিকে। চরিত্রহীন, আদর্শহীন, ধর্মহীন- মতি মিয়ার যোগ্যতা কোথায়? ‘বদলানোর রূপকার’ তথা ‘সংস্কারক’ সাজার।বরং এ আহ্বান ফেরি করে মতি মিয়া যে নতুন পুরস্কার বাণিজ্যের ধান্ধায় রয়েছেন তা বলতে গেলেই সবাই বুঝতে পারছেন