যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৯৫

সংখ্যা: ২২২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হল মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরনিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা এবং বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

ধারাবাহিক

ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, জামাতী তথা মুনাফিক গোষ্ঠী কর্তৃক প্রকাশিত মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ লিফলেটসমূহের দলীলভিত্তিক খণ্ডনমূলক জাওয়াব

বাতিলপন্থী ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, জামাতী তথা মুনাফিক গোষ্ঠী রাজারবাগ শরীফ উনার প্রতি মিথ্যা প্রচার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে যে সব লিফলেট প্রচার করেছে- সে সব লিফলেটের জবাবে আমরা যে সকল লিফলেট প্রকাশ ও প্রচার করেছি তন্মধ্য হতে কয়েকটি লিফলেট নি¤েœ হুবহু উল্লেখ করা হলো-

 

কিতাবুল আলক্বাব প্রসঙ্গ

পূর্ব প্রকাশিতের পর

 

কেন এই মিথ্যাচারিতা?

পরিশিষ্টে বলতে হয় যে, আপনারা হয়তো বাতিলপন্থী, ওহাবীদের মনগড়া, দলীলবিহীন, জিহালতপুর্ণ ও মিথ্যা বক্তব্যের দলীলভিত্তিক জাওয়াব পেয়ে প্রশ্ন করতে পারেন যে, তাহলে কেন তারা একজন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা লিফলেট ছড়ায় ও উনার মাহফিলে বাধা দেয়?

মিথ্যা লিফলেট ছড়ানো আর মাহফিলে বাধা দেয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে; যা এই অল্প পরিসরে বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তবে দু’একটি কারণ বর্ণনা করলেই বিষয়টি আপনাদের বুঝে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। যারা মিথ্যা লিফলেট ছড়িয়েছে ও মাহফিলে বাধা দিয়েছে তারা হলো তথাকথিত মৃত শায়খুল হাদীস আজিজুল হক গং, মৃত মুফতে কমিনী, মাসিক মদীনা পত্রিকার সম্পাদক মাহিউদ্দীন ও জামাতের আমীর নিজামী গংদের অনুসারী। তারা বেপর্দা হয়, অর্থাৎ বেগানা মহিলার সাথে প্রকাশ্যে দেখা-সাক্ষাৎ ও মিটিং করে। এমনকি পবিত্র রমযান মাসে বেপর্দা মহিলার সাথে পাশাপাশি বসে ইফতার করে। নাউযুবিল্লাহ!

পত্র-পত্রিকায় ছবি তোলে, অনুষ্ঠান ভিডিও করে ও টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে এ ধরনের আরো বহু হারাম কাজে তারা লিপ্ত। তারা মনে করে মাহফিল হলে হয়তো তাদের এ সকল হারাম কর্মকা-গুলো জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে যাবে। তাই তারা মাহফিলে বাধা দেয় এবং মাহফিল ঠেকাতে জনগণকে উত্তেজিত করার লক্ষ্যে মিথ্যা লিফলেট ছড়ায় বা মিথ্যা প্রচারণা চালায়। আর তারা মিথ্যাবাদী বলেই লিফলেটে সুনির্দিষ্ট কারো নাম ঠিকানা উল্লেখ করেনি বা করার সাহস পায়নি। যদিও তারা লিফলেটে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কথা উল্লেখ করেছে। হাক্বীক্বত এলাকার সাধারণ মুসলমান কেউ এর সাথে জড়িত নয় বরং স্থানীয় কয়েকটি মসজিদ ও মাদরাসার ইমাম ও ওস্তাদ, ছাত্রই এর মূল হোতা।

এবার আপনারাই ফায়সালা করুন তারা কোন স্তরের জাহিল, গোমরাহ, ধোঁকাবাজ, প্রতারক ও ভণ্ড।

পরিশিষ্ট

মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ালোভী পথভ্রষ্ট উলামায়ে ‘সূ’দের কালো থাবা থেকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের ঈমান ও আমল হিফাযতের লক্ষ্যে শত বছর পর পর বিশেষ হাদী হিসেবে মুজাদ্দিদ উনাকে যমীনে পাঠিয়ে থাকেন। মুজাদ্দিদ যখন তাজদীদ শুরু করেন। অর্থাৎ উলামায়ে ‘সূ’ কর্তৃক পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশকৃত সকল কুফরী, শিরকী ও বিদয়াতী আমলের মূলোৎপাটন করে, সঠিক আক্বীদা ও আমলসমূহ অর্থাৎ প্রতিটি বিষয়েই ইসলামী শরীয়ত উনার সঠিক ও নির্ভুল ফায়ছালা তুলে ধরেন, তখনই দুনিয়ালোভী, পথভ্রষ্ট উলামায়ে ‘সূ’দের আঁতে ঘা লাগে এবং তাদের দুনিয়া হাছিলের ব্যবসার পথ হয়ে যায় পরিপূর্ণরূপে রুদ্ধ। তাদের জিহালতী, ধোঁকাবাজী, বদ আক্বীদা-আমল ও ধর্মব্যবসায়ী চেহারা জনগণের নিকট হয়ে উঠে স্পষ্ট। সঙ্গত কারণেই তখন তারা তাদের সবচেয়ে ‘বড় শত্রু’ মনে করে ‘যামানার মুজাদ্দিদ’ উনাকে’।

ধর্মব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ও জনরোষ থেকে রেহাই পেতে উলামায়ে  ‘সূ’রা তখন যামানার মুজাদ্দিদ উনার বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ শুরু করে। এক্ষেত্রে তারা যামানার মুজাদ্দিদ উনার সঠিক বক্তব্যগুলোকে কাটছাঁট ও অপব্যাখ্যা করে জনসম্মুখে উপস্থাপন করে জনগণকে মুজাদ্দিদ উনার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়। পূর্ববর্তী সকল মুজাদ্দিদ উনাদের জীবনীতেই এর বাস্তব প্রমাণ পাওযা যায়। যেমন- এ প্রসঙ্গে দ্বিতীয় সহ¯্রাব্দের মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সে যামানার উলামায়ে ‘সূ’রা অর্থাৎ আবুল ফযল, ফৈজী, মোল্লা মুবারক নাগরী গং তাদের ধর্ম ব্যবসাভিত্তিক অস্তিত্ব টিকে রাখার লক্ষ্যে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতি বাদশাহ ও জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে উনার অনেক বক্তব্যকে কাটছাঁট করে ও অপব্যাখ্যা করে বাদশাহ ও জনগণের সামনে উপস্থাপন করে। এ সম্পর্কিত কিছু প্রমাণ উনার জীবনীগ্রন্থ থেকে হুবহু নি¤েœ তুলে ধরা হলো-

“স¤্রাজ্ঞী নূরজাহানের অসীম প্রভাবের দরুন বাদশাহ জাহাঙ্গীরের রাজদরবারে রাফেযীদের প্রভাব অতিশয় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছিল। হযরত মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, এই মাযহাবের বিরুদ্ধে কতিপয় পুস্তক-পুস্তিকা রচনা করিয়াছিলেন। যার ফলে এই সম্প্রদায় তার ঘোর শত্রুতে পরিনত হয়েছিল। তারা হযরত মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জব্দ করার জন্য তৎপর হয়ে উঠল। তারা সুযোগ বুঝে হযরত মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কর্তৃক হযরত খাজা বাকীবিল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে লিখিত একটি পত্র বাদশাহর সম্মুখে পেশ করে বাদশাহকে বুঝিয়ে দিল যে, হযরত শায়েখ আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজকে হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন এবং তিনি বলেন যে, উনার মাক্বাম হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মাক্বাম হতে উঁচু। উক্ত পত্রখানির অংশ বিশেষ নিম্নে উদ্ধৃত করা হলো- “দ্বিতীয় বার এই মাক্বাম অবলোকন করিবার সময় আরো অনেক মাক্বাম দৃষ্টিগোচর হয়, যার একটি অন্যটি হইতে উচ্চ ছিল। যখন উহা হইতে অধিকতর উচ্চ মাক্বামে পৌঁছিলাম তখন বুঝিলাম এই মাক্বামটি হযরত উসমান গণী আলাইহিস সালাম উনার এবং অন্য খলীফা আলাইহিমুস সালামগণও এই মাক্বাম অতিক্রম করিয়াছেন। এই স্থান হইতে অধিক উচ্চে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মাক্বাম জাহির হইলো। এই স্থানেও আসিয়া পৌঁছিলাম।”

খাজা বুযূর্গ হযরত শাহ নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রত্যেক স্থানে এইভাবে আমার সঙ্গীরূপে দেখিলাম যেন মাত্র অতিক্রম করার তফাৎ ছিল। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মাক্বাম হইতে উচ্চ কোন মাক্বাম বুঝিতে পারি নাই। অবশ্য নুবুওওয়াতের মাক্বাম অত্যন্ত বুলন্দ ও উচ্চ ছিল। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মাক্বামের বরাবর আর একটি অতি উত্তম ও বহুত নূরানী মাক্বাম দৃষ্টিগোচর হয়, যা হইতে অধিক উত্তম অন্য কোন মাক্বাম দৃুষ্টিগোচর হয় নাই। মাক্বামে ছিদ্দিক্বী হইতে উহা কেবল এতটুকু উচ্চ ছিল  যেরূপ জমিন হইতে সভামঞ্চ কিয়ৎ পরিমাণ উচ্চ হইয়া থাকে। আমি জানিতে পারিলাম যে, ইহা ‘মাহবুবিয়াতের মাক্বাম’। এই মাক্বামটি রঙিন ও নকশা খচিত ছিল। এই মাক্বামের প্রতিচ্ছায়া পড়িবার দরুন এই বান্দা নিজকে রঙ্গিন ও উক্ত নকশায় নিজকে খচিত দেখিল। তৎপর রঙিন ও নকশা খচিত এই অবস্থা সত্ত্বেও আমি নিজকে বড়ই সূক্ষ্ম (লতীফ) অনুভব করিতে লাগিলাম এবং বাতাস ও মেঘের টুকরার ন্যায় নিজকে আকাশের চক্রবালে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় অনুভব করিতে লাগিলাম। এই অবস্থায় এক প্রান্তে যাইয়া পৌঁছিলাম। হযরত খাজা বুযুর্গ রহমতুল্লাহি আলাইহি মাক্বামে ছিদ্দীক্ব উনার মধ্যে রহিলেন এবং নিজকে ইহার বরাবরের মাক্বামে উল্লেখিত অবস্থায় দেখিতে লাগিলাম। (মকতুব নং-১১, দফতর-১)

-মুফতী মুহম্মদ আবু ইসহাক, বাসাবো।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১