যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৯১

সংখ্যা: ২১৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

 

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন: আয়াত শরীফ-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফ-এ মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হল মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরনিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

ধারাবাহিক

ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, জামাতী তথা মুনাফিক গোষ্ঠী কর্তৃক প্রকাশিত মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ লিফলেটসমূহের দলীলভিত্তিক খ-ণমূলক জাওয়াব

বাতিলপন্থী ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, জামাতী তথা মুনাফিক গোষ্ঠী রাজারবাগ শরীফ-এর প্রতি মিথ্যা প্রচার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে যে সকল লিপলেট প্রচার করেছে সেগুলোর জবাবে আমরা যে সকল লিফলেট প্রকাশ ও প্রচার করেছি তন্মধ্য হতে কয়েকটি লিফলেট নি¤েœ হুবহু উল্লেখ করা হলো-

(২)

ধানমন্ডি ১৫ নাম্বার স্টাফ কোয়ার্টার কমিউনিটি সেন্টারে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত ওহাবী-খারেজী ও বাতিলপন্থীদের নাম-ঠিকানা ও পরিচয়বিহীন অবৈধ লিফলেটের দলীলভিত্তিক জবাব

পূর্ব প্রকাশিতের পর

৬. ‘মাহিউল বিদয়াত’ অর্থ: বিদয়াতের মূলোৎপাটনকারী। মূলতঃ যিনি ‘মুহইস সুন্নাহ’ বা সুন্নত যিন্দাকারী তিনিই ‘মাহিউল বিদয়াত’ অর্থাৎ বিদয়াতের মূলোৎপাটনকারী। কেননা হাদীছ শরীফ-এ-ই রয়েছে, “যখন কেউ একটি সুন্নত যিন্দা করলো বা আমল করলো তখন একটি বিদয়াতের মৃত্যু ঘটলো বা মূলোৎপাটন হলো।”

বাতিলপন্থী ওহাবীদের প্রতি এ ব্যাপারেও চ্যালেঞ্জ রইলো যদি সাহস থাকে তবে প্রকাশ্য বাহাছে বসে জনগণের সামনে দলীল দিয়ে প্রমাণ করুন রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কোন আমলটা বিদয়াত। একটি আমলও তারা দেখাতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। পক্ষান্তরে আমরা প্রমাণ করে দিতে পারবো যে, তাদের অধিকাংশ আমলগুলোই বিদয়াত।

৭. ‘কুতুবুল আলম’ অর্থ: সমস্ত পৃথিবীর বুযূর্গ। মূলত: তারা ‘কুতুবুল আলম’ এর যে অর্থ করেছে সে অর্থটা শুদ্ধ নয়। বরং সঠিক অর্থ হচ্ছে আলমের কুতুব বা যিম্মাদার অর্থাৎ যাদের ওসীলায় বা মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশ্ব পরিচালনা করেন। তারাই হলেন, ‘কুতুবুল আলম, পৃথিবীতে বহু কুতুবুল আলম ছিলেন এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন আর বস্তুত: এ বিষয়টা সম্পূর্ণরূপেই ইলমে তাছাউফের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাছাউফ শূণ্য ব্যক্তিরা ‘কুতুবুল আলম’ এর ‘ক’ ও বুঝবেনা। তাই তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে, “……….. এটা তো মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভাল জানেন।” আমাদের প্রশ্ন? বাকীগুলো কি মহান আল্লাহ পাক উনি ভালো জানেন না? বাতিলপন্থী ওহাবীরা সেগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার চেয়ে ভালো জানে? নাউযুবিল্লাহ।

৮. গাউছুল আ’যম’ অর্থ: ‘সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী।’ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে তারা লিখেছে, “…….. মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি নিজেই পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী।” অর্থাৎ তারা বুঝাতে চাচ্ছে যে, ‘গাউছুল আ’যম’ লক্বব ব্যবহার করা মহান আল্লাহ পাক উনার সমকক্ষতা দাবি করার নামান্তর যা শিরক।

এর সঠিক ব্যাখ্যা ও জবাব: আউলিয়াকুল শিরোমনি, বিশ্বখ্যাত ওলী হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অসংখ্য লক্বব বা উপাধির মধ্যে একটি বহুল প্রসিদ্ধ লক্বব হচ্ছে ‘গাউছুল আ’যম।’ যা বিশ্বের সকল হক্কানী আলিম উলামা বা ওলীগণ উনারা মানেন ও স্বীকার করেন। যদি ‘গাউছুল আ’যম’ লক্বব ব্যবহার করা শিরক হতো তবে হক্কানী আলিম উলামা ও ওলীগণ উনারা তা মানতেন না ও স্বীকার করতেন না। মূলত: বাতিলপন্থী ওহাবীরা উপরোক্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এটাই প্রমাণ করতে চায় যে, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি মহান আল্লাহ পাক উনার সমকক্ষ দাবি করেছেন তাই তিনি ‘মুশরিক’ নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক। যারা সর্বজনমান্য ওলী হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ‘মুশরিক’ বলতে পারে তারা যে রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কেও মিথ্যাচারিতার আশ্রয় নেবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

স্মর্তব্য যে, ‘সবচেয়ে বড় ইমাম’ যে আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এটা বোধ হয় বাতিলপন্থী ওহাবীরাও স্বীকার করবে। যতি তাই হয় তবে হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘ইমামে আ’যম’, স্বীকার করে থাকে? মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ নিজেকে বান্দা ও উম্মতের হাকীম বলে উল্লেখ করেছেন। ওহাবীদের মুরুব্বী আশরাফ আলী থানবী ‘হাকীমুল উম্মত’ দাবি করলো কি করে? এটা কি শিরক নয়?

কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেকে ‘মাওলানা’ বলে উল্লেখ করেছেন। আমাদের প্রশ্ন ওহাবীরা নিজেদেরকে ‘মাওলানা’ বলে প্রচার করে কিভাবে? এতে কি শিরক হয়না?

৯. ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ অর্থ: ইসলামের দলীল। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বাতিলপন্থী ওহাবীরা লিখেছে, “……….. ইসলামের দলীল তো পবিত্র কুরআন এবং রসূল পাক উনার হাদীছ শরীফ। তিনি ইসলামের দলীল হলেন কিভাবে? এটা শিরক এরই শামিল……..।”

এর সঠিক ব্যাখ্যা ও জবাব: জাহিলরাই যে সকল ফিৎনা ও গোমরাহীর মূল এটাই তার একটি বাস্তব প্রমাণ। জাহিলরা লিখেছে, “ইসলামের দলীল হচ্ছে কুরআন-হাদীছ।” অথচ ইসলাম বা শরীয়তের দলীল হচ্ছে, চারটি। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস। আর যারা প্রত্যেক বিষয়ে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস অনুযায়ী কথা বলেন, আক্বীদা পোষণ করেন ও আমল করেন তারাই হচ্ছেন, হুজ্জাতুল ইসলাম। কুরআন শরীফ-এ উনাদেরকে ‘উলিল আমর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত ইমাম গায্যালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ আরো অনেকেই ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ হিসেবে মাশহূর ছিলেন। বাতিলপন্থী ওহাবীদের মুরুব্বীরাও ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ হিসেবে মানে, স্বীকার করে এমনকি কোন কোন কিতাবে উনাকে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

১০. ছাহিবু সুলতানিন নাছীর অর্থ: সাহায্যপ্রাপ্ত বাদশার বন্ধু। তাদের এ অর্থটি সঠিক নয় বরং এর সঠিক অর্থ হলো, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে বড় সাহায্যপ্রাপ্ত। অর্থাৎ যিনি সর্বক্ষেত্রেই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সাহায্য প্রাপ্ত হন তিনি হচ্ছেন ‘ছহিবু সুলতানিন নাছীর।’ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনারা যে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে খাছ সাহায্যপ্রপ্ত হন তা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ-ই স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে।

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১