শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে রমরমা ভর্তি বাণিজ্য শিক্ষা এখন কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে শিক্ষার নামে তৈরি হচ্ছে বিরাট বৈষম্য এটা দূর হওয়া জরুরী।

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।

প্রতিবছর স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় আসার বেশ আগে থেকে এ নিয়ে দেখা দেয় নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, অসঙ্গতি ইত্যাদি। এবারো এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়ে গেছে অবৈধ বাণিজ্য। এতে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে গেছে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা। বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ উঠেছে, রাজধানীসহ দেশের অনেক স্থানের প্রচুর সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তি ফি ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করছে নানা কৌশলে।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরীতে ফি হিসেবে নির্ধারণ করেছে সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা। কিন্তু অনেক স্কুলই মানছে না এই আদেশ। বাধ্যতামূলক কোচিং, সেশন ফি, উন্নয়ন ফি ইত্যাদির নাম করে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বিশ হাজার টাকারও বেশি অর্থ। এতে বেশি সমস্যায় পড়ে গেছে অল্প বা সীমিত আয়ের অভিভাবকদের সন্তানেরা।

অপরদিকে ভর্তি বাণিজ্যের মহড়া বেশি হচ্ছে ঢাকার নামকরা স্কুলগুলোকে কেন্দ্র করে। ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্কুলগুলোর গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক নেতা, রাজনৈতিক নেতা, এমনকি আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের নামও শোনা যাচ্ছে। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, এক্ষেত্রে সরকারপন্থী ও সরকারবিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলের নেতারা একাট্টা। এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্কুলের সংশ্লিষ্ট বেনিয়ারা তালিকা প্রণয়ন শুরু করেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছে, গভর্নিং বডিসহ অধ্যক্ষরা মূলত শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এবং শিক্ষা বোর্ডের সুপারিশের সুযোগ নিয়ে থাকে। ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে নানা সুপারিশে ভর্তি করাতে গিয়েই নিজেদের দুর্নীতি হালাল করে নেয় স্কুল সংশ্লিষ্টরা। আর এভাবেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা কোটি কোটি টাকার ভর্তি বাণিজ্য করে থাকে। জানা গেছে, ভর্তির ক্ষেত্রে রাজধানীর আইডিয়াল, মনিপুর ও ভিকারুননিসায় কেবল প্রথম শ্রেণীতেই ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষের অফার রয়েছে একশ্রেণীর অভিভাবকের পক্ষ থেকে। ফলে কাঁচা টাকার নেশায় অনেকেই বুঁদ হয়ে আছে।

গত বছরও রাজধানীর আইডিয়াল, ভিকারুননিসা, মনিপুরসহ বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। এরমধ্যে কেবল আইডিয়াল স্কুলেই প্রথম শ্রেণীতে একদিনে ১ হাজার ৫৫০ জন অতিরিক্ত ভর্তি করা হয়।

গত বছর ভিকারুন নিসা স্কুলে লটারির মাধ্যমে স্কুলে এক হাজার ৪৮৪ জন শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির কথা থাকলেও এক হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। অভিভাবকদের প্রশ্ন, বাকিদের কোন পথে ভর্তি করা হল। তাদের অভিযোগ কোটার নাম দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তারা এবং অধ্যক্ষ কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করছে।

অধিকাংশ অভিভাবক অভিযোগ করেছে, ভর্তি প্রতিযোগিতায় লটারি করে কোনও লাভ নেই। বিজয়ী হলেও দুই-তিন লাখ টাকা, না হলেও টাকা দিয়েই ভর্তি হতে হচ্ছে। বলাবাহুল্য, সব অভিভাবক চান তার সন্তান ভালো স্কুলে ভর্তি হোক। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জিম্মি হয়েছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে। ভর্তি নিয়ে চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কোনও অভিভাবক এক লাখ টাকা ভর্তি ফি দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আবার কারও পাঁচ লাখ টাকা দিতেও দ্বিধা নেই। এই সুযোগে বাণিজ্য করছে নামিদামি স্কুলগুলো।

উল্লেখ্য, দেশে কালো টাকার বিস্তারের মতো কালো শিক্ষারও বিস্তার লাভ ঘটছে এবং শিক্ষাবঞ্চিত সাধারণ মানুষের ঘাড়ে কালো শিক্ষার অধিকারী একটি সুবিধাভোগী শ্রেণীর আধিপত্য স্থায়ী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অন্য পেশায় দুর্নীতির চেয়ে শিক্ষায় দুর্নীতি একটা জাতির মেরুদ- ভেঙে দেয়ার সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র। অর্থনৈতিক বৈষম্যের চেয়েও শিক্ষালাভে বৈষম্য একটা জাতির অধঃপতনের রাস্তা বেশি সুগম করে দেয়। বর্তমান সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষালাভ অবৈতনিক করুক বা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তকদানের যত ব্যবস্থাই করুক, শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতি দূর করতে না পারলে তাদের সব প্রচেষ্টাই অরণ্যে রোদন হয়ে দাঁড়াবে।

বলা হয়ে থাকে, শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। সেই মেরুদ-েই যদি ঘুণ ধরে, তাহলে সে জাতির ভবিষ্যৎ কি? এর নাম শিক্ষা বিক্রির কালোবাজারি এবং এর প্রভাব পড়ছে দেশের হাজার হাজার কোমলমতি শিশুর শিক্ষাজীবন গঠনে। এই শিক্ষা বিস্তারকে শিক্ষাবিক্রি বা কালো ব্যবসায়ে পরিণত করার ফলে ঘুষ প্রদানে অক্ষম হাজার হাজার নাগরিকের শিশুসন্তানরা শিক্ষালাভে বঞ্চিত হবে অথবা বৈষম্যের শিকার হবে।

লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে সন্তানের জন্য শিক্ষাক্রয়ে অক্ষম দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সন্তানরা শিক্ষাক্ষেত্রে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হবে এবং মুষ্টিমেয় ধনী ব্যক্তির সন্তানরা শিক্ষালাভের উন্নত ব্যবস্থায় একচ্ছত্র অধিকারী হয়ে একটি প্রিভিলেজের ক্লাস তৈরি করবে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে তাদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে। উদাহরণত বলতে হয়, ব্রিটেনে ভিক্টোরিয়া যুগে শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা স্বল্পসংখ্যক লর্ড ও ব্যারনদের সন্তান-সন্ততির জন্য সীমাবদ্ধ করে একটি রুলিং ক্লাস তৈরি করা হয়েছিল এবং দেশ শাসনের সব ক্ষমতা কার্যত তাদেরই করায়ত্ত ছিল।

বাংলাদেশেও যদি শিক্ষায় একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকেই বর্তমান ঘুষ-দুর্নীতির রাজত্ব বহাল থাকে, তাহলে এ দেশেও একটি পার্মানেন্ট রুলিং ক্লাস তৈরি হতে দেরি হবে না এবং গণতান্ত্রিক ভড়ংয়ের ছদ্মাবরণে তারাই হবে দেশের সব ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধার অধিকারী। বাংলাদেশে যদি দিন বদলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হয় এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, তাহলে মুখে কেবল কথার তুবড়ি না ছুটিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার, কেবল ধনী ও নব্যধনীদের সন্তানদের জন্যই উন্নত শিক্ষালাভের দুর্নীতিমূলক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা, আধুনিক গণশিক্ষার প্রসারের কাজটিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্যই মূলত একটি দেশে শ্রেণী বৈষম্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিভেদমূলক শ্রেণীস্বার্থ দ্বন্দ্ব সষ্টি করে। সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণী গড়ে তোলে এবং সংঘাতের জন্ম দেয়। বাংলাদেশেও যাতে এ অবস্থার উদ্ভব না ঘটে, সেজন্য এদিকে অবিলম্বে সরকারের দৃষ্টি দেয়া উচিত।

মূলতঃ সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক  ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ মুবারক তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা পাওয়া সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আলম মৃধা

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১