ষোড়শ সংবিধান সংশোধন করে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা পেলো সংসদ; কিন্তু প্রেক্ষাপট কী? বিলে বলা হয়েছে- “বিচারক অসদাচরণ করতে পারে, সঠিক বিচারে অসামর্থ্য হতে পারে।”  কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর আপিলে মৃত্যুদণ্ডের রায় না হওয়া কী তারই প্রমাণ? বৈদেশিক চাপ, বিরাট লেনদেন ও গোপন আঁতাতের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে বিচারে- এমন গুঞ্জন কেন শোনা যাচ্ছে?

সংখ্যা: ২৩৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।

সম্প্রতি বিএফইউজে এবং ডিইউজেও আদালতকে গণমাধ্যমের প্রতি ‘উদার’ ও ‘সহনশীল’ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে- আদালতকেও পরামর্শ দেয়ার লোক ও বিষয় রয়েছে।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলো, “বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। বিচারকদের কোনো স্বাধীনতা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, তারা সেভাবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। সমস্ত বিচার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের হাতে শৃঙ্খলিত, নিয়ন্ত্রিত।” বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্য গ্রহণ করলে আদালতের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়?

উল্লেখ্য, আদালতকে নিয়ে ভয় বা সন্দেহ ক্ষমতাসীন সরকার ও সংসদেরও কিন্তু কম নয়।

এরই প্রেক্ষিতে ‘সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪’ গত ১৭ সেপ্টেম্বর-২০১৪ ঈসায়ী, বুধবার দিবাগত রাতে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সংবিধানের বর্তমান ৯৬ অনুচ্ছেদের এই সংশোধনীর মধ্য দিয়ে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পরিবর্তে ফিরে এলো জাতীয় সংসদের হাতে।

পাস হওয়া বিলটিতে বলা আছে, “প্রমাণিত অসদাচরণ বা বিচার কাজে অসামর্থ্যের কারণে বিচারকের অপসারণ নির্ধারিত হবে সংসদের ভোটাভুটিতে। এমন বিধান সংযোজন করা হয়েছে সংশোধনীতে। বিলের দফা (৩)-এ বলা হয়েছে- কোনো বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্যতা সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

ফলতঃ প্রমাণিত হচ্ছে- বিচারকও অসদাচরণ করতে পারে অথবা সঠিক বিচার করতেও অসমর্থ্য হতে পারে। এর সাক্ষাৎ প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে একাত্তরের কুখ্যাত খুনি যুদ্ধাপরাধী ‘দেইল্যা রাজাকার’ খ্যাত জামাত নেতা খুনি সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর সাজা কমিয়ে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর-২০১৪ ঈসায়ী) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট।

রায়ের পর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছে, আমাদের প্রত্যাশা ছিল মৃত্যুদণ্ড। ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছিল তা বহাল থাকবে- এটাই ছিল প্রত্যাশা। সেটা থাকেনি, আমার খুব খারাপ লাগছে।

এদিকে আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার পর আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, আমি মর্মাহত। এটা আমার প্রত্যাশার মধ্যে ছিল না। দণ্ড কমিয়ে রায় দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৯ জুন কুখ্যাত খুনি দেইল্যা রাজাকার সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

খুনি দেইল্যা রাজাকার সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, ৯ জনেরও বেশি নারীর সম্ভ্রমহরণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাংচুর করার মতো ২০টি ঘটনার অভিযোগ আনা হয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজাকার খুনি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তখন আদালতে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে গণহত্যা, হত্যা, সম্ভ্রমহরণের আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছিল। এবার আপিল বিভাগেও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে পাঁচটি অভিযোগ। এরপরও তার সাজা কীভাবে কমতে পারে- তা নিয়েই সারা দেশ এখন নানা গুঞ্জনে উত্তাল। অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, আপিল বিভাগের এ রায় গোটা বিচার ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।

পর্যবেক্ষক মহলে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে- তবে কী কুখ্যাত রাজাকার সাঈদীর রায় বিদেশী চাপ, টাকা বিলি এবং রাজনৈতিক আঁতাতের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে?

এর আগে ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জামাতের আরেক নেতা আবদুল কাদের মোল্লার একই অপরাধের মামলার আপিলের রায়ে দণ্ড বাড়িয়ে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলো সর্বোচ্চ আদালত, যা কার্যকর হয় ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর।

বলাবাহুল্য, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার খুনি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি ইসলামপ্রিয় দেশপ্রেমিক জনসাধারণ, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তান, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ সব বোদ্ধা মহল। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বহুমাত্রিক দায় যার, তার আমৃত্যু কারাদণ্ড তাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ পরিবার এবং নিহত বুদ্ধিজীবী পরিবারকেও উপহাস করা হয়েছে; অপমান করা হয়েছে এবং তাদের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশিষ্টজনরা রাষ্ট্রপক্ষের সমালোচনা করে বলেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নানা মহলের সাথে আঁতাত ও আপসের বিষয়ে জনমনে যে সন্দেহ ও উৎকণ্ঠা দীর্ঘদিন ধরে দানা বাঁধছে, এ রায়ের মাধ্যমে তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন উঠেছে সরকার মওদুদীবাদী জামাতের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করেছে। গদি নিরাপদ রাখার জন্য তারা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আঁতাতের কৌশল নিয়েছে। রায়-পরবর্তী জামাত-শিবিরের আচরণেও লক্ষ্য করা গেছে অতিরিক্ত অহিংস ভাব, যা গুঞ্জনকে আরো জোরালো ভিত্তি দিচ্ছে বলে মনে করে অভিজ্ঞমহল।

এদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেছে এ রায় রিভিউর কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা মনে করি- সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদে আপিল বিভাগকে তার ঘোষিত রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদে আসামির মৌলিক অধিকার খর্ব করা হলেও আপিল বিভাগের অধিকার কখনোই খর্ব করা হয়নি। আপিল বিভাগ যদি মনে করে তার রায়ে কোনো মারাত্মক ত্রুটি বা আইনের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তাহলে তারা তাদের নিজেদের রায় সংশোধনের অধিকার রাখে। এটি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়েও করতে পারে আবার কারো আবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি যদি তাদের নজরে আসে সেক্ষেত্রেও তারা আগের রায় পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

সেক্ষেত্রে আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি- তারা যেন রিভিউর মাধ্যমে অবিলম্বে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার খুনি সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর বর্তমান রায় পাল্টিয়ে তার উপযুক্ত শাস্তি তথা মৃত্যুদণ্ড রায় প্রদান ও তা বাস্তবায়ন করে।

মূলত, এসব উপলব্ধি ও অনুভূতি আসে ইসলামী জজবা ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা ফয়েজ তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, উনার নেক ছোহবতেই কেবলমাত্র সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-আল্লামা মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১