সরকারের জন্য বিশ্লেষণ ‘জনকন্ঠের’ ‘বোরকাওয়ালী (তথা কথিত) হতে সাবধান’ হতে হলে বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার নারীর নামাযের ব্যবস্থা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররমকে জামাতী ও জঙ্গি বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। দিলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের খাহেশ পরিহার করতে হবে সব মহলকেই।

সংখ্যা: ১৮৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ১৮.০৫.০৯ ঈসায়ী ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকা বক্স আইটেমে বিশেষভাবে হেডিং দিয়েছিলো, “এই বোরকাওয়ালীরা জামাতী, সাবধান!”

স্টাফ রিপোর্টারের বরাতে বলা হয়েছিলো, “সাবধান! আপনার বাসার সামনে উপস্থিত বোরকাওয়ালীদের ব্যাপারে সাবধান! ধর্মকর্মের কথা বলে বাসার গেট খুলিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা কি বলে আর কি করে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অন্যথায় বিপথগামী হওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাবে না।

যে কোন মুহূর্তে আপনার বাসায় বোরকা পরিহিত কেউ কলিং বেল চেপে বসতে পারে। কলিং বেলের শব্দ শুনে বাসার ভিতর থেকে কেউ যদি জানতে চায়- কে?

এমন প্রশ্নের পরই দরজার বাইরে থাকা বোরকাওয়ালী আন্টি আঙ্কেল বলে সম্বোধন করে বলবে, আমরা কুরআনের তাফসীরের দাওয়াত দিতে এসেছি। ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে কুরআনের তাফসীরের কথা শুনে অনেকেই নির্দিধায় দরজা খুলেছেন।

কিন্তু দরজা খুলতেই কুরআনের তাফসীরের দাওয়াতনামা বলে যে খামটি হাতে দেয়া হচ্ছে সেটি খুলেই অনেকেই হতচকিত হচ্ছেন। খাম খুলে এর ভিতরে পাচ্ছেন জামাতে ইসলামীর আমির এবং ১৯৭১-এর আলবাদর বাহিনীর প্রধান নিজামী স্বাক্ষরিত একটি হ্যান্ডবিল এবং জামাতের একটি প্রচারপত্র।

এই হ্যান্ডবিলে আপনাকে জামাতের কর্মকা-ে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী আইন চালুর কাজে সহযোগিতার আহ্বান করা হয়েছে।

কুরআনের তাফসীরের দাওয়াতের নামে এমন খাম ধরিয়ে দিয়ে কালবিলম্ব না করেই কেটে পড়ছে জামাতের বোরকাওয়ালী মহিলা কর্মীরা। জামাতের এই মহিলা কর্মীরা কুরআনের তাফসীরের কথা বলে মিথ্যাচারেও তাদের হৃদয় কাঁপছে না।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার তৎপর হওয়ার পর জামাত তাদের অপপ্রচারনা আর বিভ্রান্তি ছড়ানোর কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এবার বোরকাওয়ালী নারীকর্মীদের মাঠে নামিয়েছে। (দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৮-০৫-২০০৯)

‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ থেকে বর্ণিত শেষ অনুচ্ছেদটি একটু বিশ্লেষনের দাবি রাখে।

‘জনকণ্ঠ’ লিখেছে, “বর্তমান সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শক্তভাবে নেয়ার পরই জামাত বোরকাওয়ালীদের নামিয়েছে।”

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-

সরকার এসব জামাতী বোরকাওয়ালীদের কার্যক্রমের বিপরীতে কোন ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে কী?

(এখানে প্রসঙ্গতঃ বিশেষভাবে উল্ল্রেখ্য যে, জামাতের কথিত বোকাওয়ালীরা কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে আসলে বোরকাওয়ালী নয়। কারণ জামাতী ফ্রেঞ্চকাট দাড়ির মতই জামাতী বোরকাওয়ালীরা চেহারা, হাত, মুখ খোলা রেখে আলাদাভাবে জামাতী বোরকাওয়ালী রূপে নিজেদের চিহ্নিত করেছে।)

যদি সরকার না করে থাকে অথবা নিষ্ক্রিয় থাকে তাহলে তার পিছনে কারণটা কী?

সরকার কী মনে করছে যে, এ জামাতী বোরকাওয়ালীদের নিয়ন্ত্রণ করার মত ক্ষমতা সরকারের নেই?

তাহলে সেক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইফা বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো

জামাতী, মওদুদী ও জামাতী বোরকাওয়ালীদের জন্য সাক্ষাত যমদূত ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর ইলম ও কর্মী বাহিনীর কথা সরকারকে অবগত করাচ্ছে না কেন?

এ ব্যাপারে ‘আল বাইয়্যিনাত’ যে ব্যাপক ও বিস্তৃত সাহায্যকারী ভূমিকা রাখতে পারত; তা থেকে সরকারকে বঞ্চিত করছে কেন?

অপরদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট ধর্মমন্ত্রণালয় ও ইফা শুধু সোজা বা আন্ধার মত হিসেব কষে কেন?

প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার জন্য সস্তা বুদ্ধির রাস্তায় চলতে তারা মরিয়া কেন?

তারা বলেছেন, “বায়তুল মোকাররম মসজিদ মহিলা নামায কক্ষ সম্প্রসারণ করে পাঁচ হাজার মহিলার এক যোগে নামায পড়ার ব্যবস্থা করে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা উদ্বোধন করাবেন।” (সূত্র: বাসস ১৭ মে’০৯)

কিন্তু তারা কী ভেবে দেখেছেন যে, তার দ্বারা তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কীভাবে ডোবাবেন?

সাধারণ ধর্মপ্রাণদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবেন।

আর সবচেয়ে বড় এবং প্রধান যে বিষয় হবে তারা বায়তুল মোকাররমে জামাতী বোরকাওয়ালীদের শক্তিশালী দুর্গ গড়ে দিবেন। খাল কেটে কুমির আনবেন। (নাউযুবিল্লাহ)

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার ইসলামী অনুরাগ সম্পর্কে সবাই অবগত।

কারণ, বঙ্গবন্ধু পারিবারিকভাবে ধর্মীয় আবহ বজায় রাখতেন।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীনি বা নিজ ‘মা’কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনো, কোনো মসজিদে নামায আদায় করতে দেখেননি।

প্রধানমন্ত্রী এদেশের নাড়ী-নক্ষত্র জানেন।

তিনি জানেন যে, এদেশে সাধারণ ধর্মপ্রাণ নারীরা কখনও মসজিদে যায় না। মহিলাদের জন্য জুমুয়া ও ঈদের নামায নেই। থাকলে শুধু বায়তুল মোকাররম কেন, সারাদেশেই মসজিদে মসজিদে মহিলা মুছল্লীর ঢল নামতো।

          কিন্তু তা তো কখনও নামে না। মূলতঃ জামাতীরা তাদের রাজনীতির স্বার্থে ইসলামের অনেক মাসয়ালা-মাসায়িল পরিবর্তন করেছে।

তারা মাজার শরীফ জিয়ারত করাকে হারাম বলে।

কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাজার শরীফ জিয়ারত করেন।

জামাতী, কওমীরা মীলাদ শরীফ পাঠ করা নাজায়িয বলে।

কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা অত্যন্ত আবেগের সাথে পাঠ করেন।

জামাতী, মওদুদী ও জামাতী বোরকাওয়ালীরা শবে বরাত পালন করে না।

কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা করেন।

অপরদিকে জামাতে মওদুদীরা এখন জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন মসজিদে মহিলাদের নামাযের ব্যবস্থা করে আধুনিক ও ইসলাম দরদী সাজার ভান করছে।

কিন্তু আসল ব্যাপার তা নয়।

মূলতঃ যত বেশি মহিলা মসজিদের ব্যবস্থা হয় অথবা মহিলা মসজিদকে যত সম্প্রসারিত করা হয় ততই জামাতী মওদুদীদের ভাল হয়।

ততই তারা খুশী হয়।

ততই তারা উল্লাসিত হয়।

কারণ, তাতে তাদের রাজনৈতিক মিনি ক্যান্টনমেন্ট গড়ে উঠে।

প্রকৃতপক্ষে কেবলমাত্র জামাতে বোরকাওয়ালীরাই মহিলা মসজিদে যায়।

আর সেখানে গিয়ে শকুনীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, কখন একটা সাধারণ মহিলা মুছল্লী আসবে আর সাথে সাথে তাকে টার্গেট করে তাকেও জামাতে বোরকাওয়ালী তথা জামাতে মওদুদী বানিয়ে ফেলবে। (নাউযুবিল্লাহ)

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, ইদানিংকালে বেশি বেশি মহিলা মসজিদ জামাতীদের উদ্যোগেই হয়েছে এবং জামাতী মালানারাই টিভি চ্যানেলে মহিলা জামাতের কথা বলছে।

কারণ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জামাতে বোরকাওয়ালী করা দুস্কর এবং সংখ্যায় হয় নগণ্য।

কিন্তু পাঁচ হাজার নারী বায়তুল মোকাররমে আসলে ওর মধ্যে চার হাজারই আসবে জামাতে বোরকাওয়ালী

এবং বাকি এক হাজারকেও ওরা অচিরেই  জামাতে বোরকাওয়ালী বানাতে বিশেষ তৎপর হয়ে উঠবে।

বলাবাহুল্য, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের সব এমপি, মন্ত্রী প্রত্যেকের স্ব স্ব এলাকার মসজিদ-মাদ্রাসায় লাখ লাখ টাকা দিয়েছেন।

কিন্তু তারা তখন জানতেন না যে, প্রকাশ্যে স্যার স্যার করলেও ঐসব ইমাম, মাদ্রাসা শিক্ষকরা সবাই ছিলো জামাতী। এবং নির্বাচনের সময় তারা জোট-জামাতেরই পক্ষ নিয়েছে।

ঠিক আজকে যদি বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার মহিলা মুছল্লীর ব্যবস্থা করা হয় তার পুরোটাই হবে জামাতী বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য।

শুধু কী তাই, তার সাথে যোগ দিতে জামাতী বোরকাওয়ালীদের জাত বোন মহিলা জঙ্গিরা পাকিস্তানের লাল মসজিদের মত বায়তুল মোকাররমেও ওরা সরকারকে টলে দেয়ার মত নাশকতা করার অবাধ সুযোগ পাবে।

* বলাবাহুল্য, জামাতে বোরকাওয়ালী, জামাতে মওদুদীর চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর।

* তেমনি জঙ্গির চাইতে মহিলা জঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণ করা আরো দুষ্কর।

সেই ক্ষেত্রে সেই বোরকাওয়ালা জামাতী আর বোরকাওয়ালী জঙ্গিদের মিনি ক্যান্টনমেন্টকে যদি আরো সম্প্রসারিত করা হয় তাহলে তা সরকারের জন্য কতটুকু আত্মঘাতী ব্যাপার হবে তা ভাবনার জন্য অভিজ্ঞ ও বোদ্ধা মস্তিস্কের লোক দরকার।

এ জন্যই প্রবাদ রয়েছে- “ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।”

মূলতঃ ‘বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার মহিলা মুছল্লীর ব্যবস্থা করতে পারলে সরকারের ইসলামী সেন্টিমেন্ট বৃদ্ধি পাবে’-

এ মত যারা পোষণ করছেন তারা মুলতঃ ইসলাম সম্পর্কে এবং এদেশের মুসলমান সম্পর্কে জানেন না।

অনেকে হজ্বের মাসয়ালা এখানে দেখান। কিন্তু হজ্বের মাসয়ালা এদেশে নয়। কোন দেশে নয়।

এক জামাতীরা ছাড়া বাকী সবাই একমত যে, ‘মসজিদে মহিলাদের জন্য নামাযের জামাত জায়িয নেই।’ এ সম্পর্কে ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ ও ‘দৈনিক আল ইহসান’-এ বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। এবং সব ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম তথা সব ফিক্বাহর কিতাবে তাই লেখা রয়েছে।

যে কারণেই ঐতিহ্যগতভাবেই বাংলাদেশে মহিলাদের জামাতের ব্যবস্থা নেই।

কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থেই জামাতে মওদুদীরাই এর প্রচলন ঘটিয়েছে এবং তদ্বপ্রেক্ষিতে আজকে এত হাজার হাজার জামাতে বোরকাওয়ালী তৈরি হয়েছে।

সেক্ষেত্রে সরকার যদি আরো অবাধে এই জামাতে বোরকাওয়ালী তৈরি হওয়ার কারখানা বিস্তৃত করে;

তবে শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে কাজ করার মতই আরো হাজার হাজার বোরকাওয়ালী হবে না।

বরং বোমারু মিজানের বোরকাওয়ালী বউয়ের মত, বোরকাওয়ালী জঙ্গিরাও মিলিত হবার অবাধ সুযোগ পাবে সরকারকে টালমাটাল করে দেয়ার।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক-এর উদ্বোধন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েই করিয়েছিলেন আব্দুল জলীল সাহেব। কিন্তু তার বিশ্বস্ততা আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

ঠিক যেসব আমলা মনে করছেন যে, প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়ে শো-ডাউন ঘটাবেন; তাতে তারা প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়বেন।

কিন্তু তারা বুঝতে এত অক্ষম কেন যে-

 প্রধানমন্ত্রীর এখন ষাট বছর বয়স পার হয়ে গেছে।

দেখতে, দেখতে এসব শো-ডাউন এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পানিভাত।

কাজেই আর কত? নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের মানসিকতা কী প্রধানমন্ত্রীর দিন বদলের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা পরিহার করতে পারি না?

নিজের একদিনের শো-ডাউনের জন্য সত্যিকার ধর্মপ্রাণদের কাছে কেন প্রধানমন্ত্রীকে সমালোচিত হতে দেই?

কেন সত্যিকার ধর্মপ্রাণদের হৃদয়ে আঘাত দেই?

কেন প্রধানমন্ত্রীর কোন আচরণে সত্যিকার ধর্মপ্রাণদের হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হবে

‘এটা তো ইসলামে জায়িয নেই’

অথচ ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসেছেন।

সঙ্গতকারণেই দেশের শতকরা ৮০ ভাগ ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে সত্যিকার ধর্মীয় অবস্থানে দেখতে চায়।

জামাতীদের মত ধর্মের নামে শো-ডাউনের প্রক্রিয়ায় নয়।

সবচেয়ে বড় কথা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই শুধু নয়;

সেই সাথে জামাতী-রাজাকার তথা জামাতী বোরকাওয়ালীদেরও সত্যিকার ধর্মপ্রাণরা আর দেখতে চান না।

কাজেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার;

বায়তুল মোকাররমে মহিলা মসজিদ সম্প্রসারণের নামে সেই জামাতী বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্যই বানিয়ে দিবে,

‘জামাতী বোরকাওয়ালীদের মাঠ আরো বিস্তৃত করে দিবে’-

সঙ্গতকারণেই এটা আশা করা যায় না।

-মুহম্মদ মাহবুব আলম

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮