সরকার জনগণের অভিভাবক। এদেশের ৯৭ ভাগ জনগণ মুসলমান। তাদের দ্বীন- ইসলাম। রাষ্ট্রধর্মও ইসলাম।

সংখ্যা: ২০৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সরকার জনগণের অভিভাবক। এদেশের ৯৭ ভাগ জনগণ মুসলমান।  তাদের দ্বীন- ইসলাম। রাষ্ট্রধর্মও ইসলাম। সেক্ষেত্রে ৯৭ ভাগ জনগণ ইসলাম মোতাবেক চলছে কী-না তা দেখভাল করার দায়িত্বও সরকারের।পাশাপাশি ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে যাতে কোনো অনৈসলামী আবহ না থাকে বরং স্বতঃস্ফূর্ত ইসলামী পরিবেশ থাকে- সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও সরকারের কর্তব্য

সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।

রাষ্ট্র একটি ধারণা। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে, বিতর্ক রয়েছে। ইসলামের সাথে সংঘাতপূর্ণ বিষয়ও রয়েছে। তারপরেও কথিত রাষ্ট্র চলছে। আর রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব প্রয়োগ করছে সরকার।

বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে পরিচিত। এবং এদেশের সরকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নামে পরিচিত।

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ অথবা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ উভয় কথার সাথেই যুক্ত রয়েছে ‘গণ’ শব্দটি। ‘গণ’ অর্থ জনগণ। আর বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগণই মুসলমান। সেক্ষেত্রে ৯৭ ভাগ মুসলমানের দ্বীন ‘ইসলাম’- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও সরকারের জন্য অনিবার্য ও অবিচ্ছেদ্য বিষয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে কার্যক্রম চালাতে হলে ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের উপর ইসলামী মূল্যবোধ আরোপ করাই কেবল সর্বোত্তম পন্থা নয়; বরং

একমাত্র পন্থা।

স্বাধীনতা উত্তর হতে এদেশে দুর্নীতি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, ঘুষ, দাদন ও মহাজনী ব্যবসা, ধর্ষণ, পরকীয়া, খুন- কেনো কিছুই কমেনি বরং দ্বিগুণ জ্যামিতিক হারে বেড়েছে।

অথচ আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার জনবল, দক্ষতা, লজিস্টিক সাপোর্ট, অবকাঠামো, প্রযুুক্তি সবই পাল্লা দিয়ে

বেড়েছে। কিন্তু অপরাধের মাত্রা কমেনি। বরং ধরন বহুগুণ বেড়েছে। আরো নির্মম ও নিকৃষ্ট হয়েছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, এর দ্বারা প্রচলিত আইনের শাসন ব্যর্থ হয়েছে তাই প্রমাণিত হয়েছে।

বলাবাহুল্য, এদেশের জনগণ ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর জন্মগ্রহণ করে না। এদেশের ৯৭ ভাগ শিশু জন্মগ্রহণ করে ইসলাম ধর্মের উপর।  প্রত্যেক শিশুরই জন্মের পর তার কানে আযান উচ্চারণ করা হয়। মীলাদ শরীফ পড়ানো হয়। দোয়া করানো হয়। পরিবারের প্রথম পাঠেই ইসলামের শিক্ষা দেয়া হয়। স্কুলে যাওয়ার আগে আরবী পড়ানো হয়।

তাই ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠীর মানসিক পুষ্টিতে প্রথমেই ইসলাম অনিবার্যভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

সঙ্গতকারণেই এ জনগোষ্ঠীকে সাধারণ আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে যদি ইসলামী অনুশাসনের ভিত্তিতে চালিত করা হতো; তবে তাদের মনোজগতে প্রভাব পড়তো অনেক বেশি। অপরাধ প্রবণতা কমতো রেকর্ড হারে। অপরাধ হতো অনেক কম। অথচ এ মহা উপকারী ও ফলপ্রসূ প্রক্রিয়ার দিকে এযাবৎ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের কোনো সরকারই নজর দেয়নি।

সরকারের নীতি নির্ধারকরা উল্টো বুঝেছে। তারা ধারণা করেছে যে, গণসাধারণ তথা জনগণ যেভাবে চলছে, অথবা চলতে চাইছে সেভাবেই চলুক। খেলাধুলা, নৃত্যগীত, সিনেমা, অশ্লীলতা, বেপর্দা, বেহায়াপনা কে কতোটুকু করছে অথবা না করছে;  করবে অথবা না করবে তা জনগণই ঠিক করুন।

সরকার এক্ষেত্রে জনগণের খেয়ালখুশি চরিতার্থকরণের

উপর কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

বলাবাহুল্য, এটা ওই দেশের জন্যই সঙ্গত, যে দেশের জনগণ ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করে না অথবা যাদের ধর্ম বা দ্বীন ইসলাম নয়। কিন্তু ইসলাম যে দেশের ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠীর দ্বীন; তাদের ক্ষেত্রে একথা খাটে না। কারণ, ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের জন্য ইসলাম অবিচ্ছেদ্য বিষয়।

সেক্ষেত্রে জনগণের অভিভাবক হিসেবে জনগণ তাদের দ্বীন ইসলাম অনুযায়ী চলছে কী-না, তা দেখভাল করা, তা নিয়ন্ত্রণ করাও সরকারের অনিবার্য কর্তব্য।

প্রসঙ্গত সরকার আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং চরমভাবে নিবেদিত।

যদি তাই হয়ে থাকে, তবে ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান- ইসলামী তাহযীব-তমদ্দুন অনুযায়ী চলছে কী-না অথবা ইসলামী তাহজীব-তমদ্দুন সংরক্ষিত হচ্ছে কী-না সে বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়-দায়িত্ব সরকার কোনোভাবে অস্বীকার করতে পারে না।

বরং আদিবাসীদের তুলনায় লক্ষ-কোটি ভাগ বেশি হওয়ায় আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার বিপরীতে ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের ইসলামী তাহযীব-তমদ্দুন রক্ষার দায়-দায়িত্বও সরকারের লক্ষ-কোটি গুণ বেশি।

সঙ্গতকারণেই তাই গাফিল ও প্রবৃত্তিপরায়ণ মুসলমান চাইলেই সরকার গান-বাজনা, খেলাধুলা, নৃত্য, অশ্লীলতা, বেপর্দা, বেহায়াপনা ইত্যাদির স্বাধীনতা দিতে পারে না।

এবং মুসলমানদের বল্গাহারা জীবন-যাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে চলতে বাধ্য করার দায়িত্বও সরকার এড়াতে পারে না। তবে এক্ষেত্রে সরকারকে বেপর্দা, বেহায়াপনাসহ সব অনৈসলামী অনুষঙ্গের আবহ বা অনুপ্রবেশ সরকারকে তার নিজ দায়িত্বেই বন্ধ করতে হবে।

পাশাপাশি কাঙ্খিত ও বাঞ্ছিত ইসলামী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে নিজ তাগিদেই। যাতে করে ৯৭ ভাগ মুসলমান স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ইসলাম পালনে আগ্রহী হয়।

বলাবাহুল্য, এটা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধিবাসীর সরকারের প্রধান নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য। কারণ, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “প্রত্যেকেই রক্ষক, তাকে তার রক্ষিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।”

সেক্ষেত্রে ৯৭ ভাগ মুসলমানকে তাদের দ্বীন ইসলাম অনুযায়ী পরিচালনা করা হয়েছে কী-না, এজন্য প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে কী-না, এ জিজ্ঞাসা আক্ষরিক অর্থেই সরকার অস্বীকার করতে পারে না।

মূলত এসব দায়বোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত ও রূহানী সংস্পর্শ তথা ফয়েজ তাওয়াজ্জুহ।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ,

মুজাদ্দিদে আ’যম উনার নেক ছোহবতেই কেবলমাত্র তা হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে উনার উসীলায় তা দান করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।