সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পূতপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ বুখারী শরীফে বর্ণিত জাল হাদীছের খণ্ডন

সংখ্যা: ২৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাধারণ মানুষ বুখারী শরীফের নাম শুনে, ছিহাহ ছিত্তাহর নাম শুনে ধরেই নেয় এখানে যা আছে সব বর্ণনাই চোখ বুঝে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু এ ধারণা করার সুযোগ কোথায়? কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ লিপিবদ্ধ হওয়ার প্রাক্কালেই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ইমামদের সবোর্চ্চ সর্তকতার পরও বিভিন্ন বাতিল ফিরকা যেমন- রাফিজী, খারেজী, মুরজিয়া, মুশাব্বিয়া ইত্যাদি বাতিল ফিরকার বিভিন্ন বাতিল কথা বিভিন্ন জায়গায় ঢুকে গেছে।

এ কারণে রাজারবাগ শরীফের প্রাণপ্রিয় মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি উছূল মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পবিত্র সুমহান শান মুবারকের খিলাফ কিছু যদি কোন কিতাবে থাকে, তা যে কিতাবই হোক না কেন, সে বর্ণনা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না বরং তা বাতিল বলে গণ্য হবে।

এ সম্মানিত উছূল উনার মানদণ্ডে এ ধরণের বর্ণনার স্বরূপ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে বর্ণনাগুলোর প্রকৃত চিত্র। আজকে বুখারী শরীফ থেকে এমন এক বর্ণনা নিয়ে পর্যালোচনা করবো যেখানে আক্বীদা বিধ্বংসী বাতিল কথা উল্লেখ আছে।

বুখারী শরীফের কিতাবুল ফারায়েজ অধ্যায়ে বর্ণিত আছে,

حَدَّثَـنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَـنَا هِشَامٌ، أَخْبَـرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْـقَةِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَالْعَبَّاسَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَتَـيَا أَبَا بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَلْتَمِسَانِ مِيْـرَاثَـهُمَا مِنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمَا حِيْـنَئِذٍ يَطْلُبَانِ أَرْضَيْهِمَا مِنْ فَدَكَ وَسَهْمَهُمَا مِنْ خَيْـبَـرَ فَـقَالَ لَـهُمَا أَبُـوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ لَا نُـوْرَثُ مَا تَـرَكْنَا صَدَقَةٌ إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ هٰذَا الْمَالِ قَالَ أَبُـوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَاللهِ لاَ أَدَعُ أَمْرًا رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَـعُهٗ فِيْهِ إِلَّا صَنَـعْتُهٗ قَالَ فَـهَجَرَتْهُ فَاطِمَةُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ فَـلَمْ تُكَلِّمْهُ حَتّٰى مَاتَتْ

অর্থ: …….হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ্ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। একবার সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ও সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা দুইজন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার কাছে আসলেন উনাদের ওয়ারিশত্ব বিষয়ে কথা বলার জন্য। উনারা তখন উনাদের ফাদাকের জমি এবং খায়বারের অংশের কথা বলেছিলেন। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উনাদের বললেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি, তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই ছদাকাহ্। এ সম্পদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি এতে যেভাবে করতে দেখেছি, তা সেভাবেই করব, কোন ব্যতিক্রম করব না। (কিতাবের ইবারত অনুযায়ী) রাবী বলেন, তারপর থেকে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি (হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম) উনাকে পরিত্যাগ করেছিলেন, পবিত্র বিছাল শরীফ পর্যন্ত উনার সাথে কথা বলেননি। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। (বুখারী শরীফ ৬৭২৬)

বুখারী শরীফের এই বর্ণনাটি থেকে শান মুবারক উনার খিলাফ কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত হয়-

১) সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

২) এর ফলে সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সাথে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের আগ পর্যন্ত কথা মুবারক বলেননি। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

৩) এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি কথা না বলার বিষয়টা উল্লেখ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

অথচ এই বর্ণনার মধ্যে মারাত্মক ভুল ও সম্পূর্ণ বিকৃত ইতিহাস উল্লেখ করা হয়েছে।

খুব ভালো করে উপরোক্ত বর্ণনার সনদখানা লক্ষ্য করুন। একজন রাবী রয়েছেন الزُّهْرِيِّ (যুহরী) ইতিপূর্বে আমরা বুখারী শরীফ থেকে একটা জাল বর্ণনা দেখিয়েছি যেখানে উল্লেখ ছিলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! এই জাল রেওয়ায়েতের রাবীও ছিলো “যুহরী”। বর্তমান আলোচ্য বিষয়ের রাবীও হচ্ছে “যুহরী”। রাবীর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার অবস্থান পরিস্কার করা জরুরী।

ইমাম হযরত আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবা” কিতাবের ১ম খণ্ড ৩৬২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন,

أَبُـوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَـقَالَ: وَاللهِ لَقَرَابَةُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‌أَحَبُّ ‌إِلَيَّ ‌مِنْ ‌قَـرَابَتِيْ

অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পরিবার উনাদেরকে নিজের পরিবার-পরিজন থেকে বেশি মুহব্বত করি।” (সাওয়ায়িকুল মুহাররিকা লি ইবনে হাজার হায়তামী ২/৫১৪)

অথার্ৎ উপরোক্ত বর্ণনার মাধ্যমে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে রাফেজী শিয়াদের যে চু-চেরা যে, ‘তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ উনাদেরকে মুহব্বত করতেন না সেকারণে বঞ্চিত করেছেন’ এ অভিযোগ ধূলিস্যাৎ হয়ে গেলো।

আর ফাদাক বাগানের ওয়ারিশত্বের বিষয়ে  সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন হযরত  যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার কাছে যাননি বরং কোন এক খাদিম পাঠিয়েছিলেন এই মাসায়ালাটা উনাদের মাধ্যম দিয়ে পরিস্কার করার জন্য যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কোন ওয়ারিশ হয় না। (এ বিষয়ে পরবতীর্তে বিস্তারিত লেখা হবে ইনশাআল্লাহ)

অথচ বাতিল ফিরকার লোকেরা এটাকে ভুলভাবে ব্যাখ্য করে, জাল বর্ণনা প্রবেশ করিয়ে এমন একটা অবস্থা তৈরী করেছে যে বাহ্যিক বর্ণনা পড়ে মানুষ ঈমানহারা হয়ে যাচ্ছে। উপরোক্ত বর্ণনা শেষের দিকে উল্লেখিত অংশটা নিয়ে মূল যে আপত্তি-

قَالَ فَـهَجَرَتْهُ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَـلَمْ تُكَلِّمْهُ حَتّٰى مَاتَتْ

“তিনি বলেন, তারপর থেকে সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি (হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম) উনাকে পরিত্যাগ করেছিলেন, পবিত্র বিছাল শরীফ পর্যন্ত উনার সাথে কথা বলেননি (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)।

রেওয়ায়েতটি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম থেকে বর্ণিত। বর্ণনা যদি উনার হয় সেক্ষেত্রে قَالَ  (পুরুষ বাচক) হওয়ারতো কোন সুযোগই থাকবে না, বরং স্ত্রী-বাচক হিসাবে আসবে قَالَتْ । এ থেকে প্রমাণিত হচ্ছে এটা উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছ ছালিছা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার বর্ণনা নয় বরং এটা অন্য কোন পুরুষ রাবীর বর্ণনা। আর সে রাবী আর কেউ নয় বরং সে হচ্ছে “যুহরী”।

ফাদাক বাগানের ওয়ারিশত্ব বিষয়ে হাদীছ শরীফগ্রন্থ অনুসন্ধান করে এখন পর্যন্ত ৩৬টি সনদে বর্ণিত রেওয়ায়েত পাওয়া যায়। পাঁচ জন বিশিষ্ট ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে এ বর্ণনাগুলো এসেছে। ৩৬ টি বর্ণনার মধ্যে ১১ টি বর্ণনা হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবু তোফায়েল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আমর ইবনে ওয়াসিলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত। উপরোক্ত ৪ জন ছাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বর্ণনাসমূহে আপত্তিকর কথাটি নেই। বাকি ২৫ টি বর্ণনার অধঃস্তন রাবী হচ্ছে ইমাম যুহরী এবং উনার ছাত্র মা’মার রহমতুল্লাহি আলাইহি। অবশিষ্ট ২৫ টি বর্ণনার ৯ টিতেও আপত্তিকর কথাটি নাই। বাকি থাকলো ১৬ টি বর্ণনা। এই ১৬ টি সনদের প্রত্যেকটিই যুহরী থেকে বর্ণিত। এবং এখানেই আপত্তিকর কথাটির উপস্থিতি রয়েছে। অথার্ৎ উপরোক্ত আপত্তিকর কথাটি যুহরীর নিজস্ব বক্তব্য, উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার কোন সম্পৃক্ততা নাই, যা আমরা দেখেছি বর্ণনায় قَالَ বা পুরুষবাচক বিশেষণ এসেছে।

কেউ বলতে পারে ইমাম যুহরীতো তাবেয়ী ছিলেন। উনার বক্তব্য কেন দলীল হবে না? এর জবাব উছূলে হাদীছ শরীফ উনার কিতাবে উল্লেখ করা আছে,

وَمَا جَاءَ عَنِ التَّابِعِيِّ مَقْطُوْعٌ وَهُوَ لَيْسَ بِحُجَّةٍ

অর্থ: “হযরত তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে যে বর্ণনা এসেছে তা মাকতু, আর তা দলীলযোগ্য নয়।” (মিযানুল আখবার ২২ পৃষ্ঠা)

আমভাবে মাকতু বর্ণনা দিয়ে আক্বীদা বা শরীয়ত উনার দলীল সাবেত হয়না। তবে যেসকল তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ফতওয়া হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যুগে মশহুর হয়েছিলো বা প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলো সেগুলো ব্যতিত।

আর যুহরীর আপত্তিকর বর্ণনা কোথাও মশহুর হওয়াতো দূরের কথা বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফের সাথে সাংঘর্ষিক। সবোর্পরি যুহরী থেকে কোন বর্ণনা যার উপরের দিকে কোন মুত্তাছিল সনদ নেই বা যে বর্ণনা মুরসাল সেটা দলীল হিসাবে উপস্থাপনেরই যোগ্য না বলে ইমামগণ একমত হয়েছেন। যুহরীর মুরসাল সম্পর্কে রেজাল শাস্ত্রের ইমামগণ বলেন,

فَـعَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ اَلْقَطَّانِ قَالَ : مُرْسَلُ الزُّهْرِىِّ شَرٌّ مِّنْ مُرْسَلِ غَيْرِهٖ

অর্থ: হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল কাত্তান রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ইমাম যুহরীর মুরসাল অন্যদের মুরসালের চাইতে নিম্নমানের। (সিয়ারু আলামীন নুবালা ৫/৩৩৮)

অন্যত্র উল্লেখ আছে,

وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِيْنٍ: مَرَاسِيْلُ الزُّهْرِيِّ لَيْسَ بِشَيْءٍ

অর্থ: হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ইমাম যুহরীর মুরসাল কোন কিছুই না। (আল মারাসিল লি ইবনে আবি হাতিম ৩ পৃষ্ঠা)

অন্যত্র আরো উল্লেখ আছে,

وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: إِرْسَالُ الزُهْرِيِّ عِنْدَنَا لَيْسَ بِشَيْءٍ

অর্থ: ইমাম হযরত শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ইমাম যুহরীর মুরসাল আমাদের কাছে কিছুই না। [অথার্ৎ ইমাম যুহরীর মুরসাল কোন দলীল হওয়ার উপযুক্তই না] (সিয়ারু আলামীন নুবালা ৫/৩৩৯)

অতএব, বিশুদ্ধ আক্বীদা উনার উছূল, উছূলে হাদীছ, আসমাউর রেজাল দ্বারা বুখারী শরীফের উপরোক্ত বর্ণনাটি জাল, বাতিল, সম্মানিত আক্বীদার সাথে সাংঘর্ষিক বলে প্রমাণিত হলো।

রাজারবাগ শরীফের প্রাণপ্রিয় মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম, হাকীমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, জামিউল ইলিম ওয়াল হিকাম, জামিউল আলক্বাব, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি সকল বদ আক্বীদা থেকে দুনিয়াবাসীকে হিফাজত করছেন। সেই সাথে বিশুদ্ধতম আক্বীদা হাদীয়া করছেন। দুনিয়ার সকলের জন্য ফরয হচ্ছে নিজের ঈমান আমল হিফাজত করতে উনার পবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারকে নিজেকে বিলীন করে দেয়া।

মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

-খাজা মুহম্মদ নুরুদ্দীন পলাশ।

 

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম