সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সম্মানিত জীবনী মুবারক

সংখ্যা: ২৬৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদীজাহ আলাইহাস সালাম। সম্মানিত লক্বব মুবারক:

আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগে: তখন তিনি সকলের মাঝে আত ত্বাহিরাহ, আত ত্বইয়্যিবাহ অর্থাৎ পূত-পবিত্রতা, পবিত্রতাদানকারিণী সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সারা আরবে, সারা পৃথিবীতে সুপরিচিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

পরবর্তীতে উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক: আল কুবরা, উম্মুল মু’মিনীন, আল ঊলা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আস সাইয়্যিদাহ, হাবীবাতুল্লাহ, মালিকাতুল কায়িনাত ইত্যাদি অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক: উম্মুল হিন্দ আলাইহাস সালাম ।

যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম।

সম্মানিত পিতা-মাতা

আলাইহিমাস সালাম

উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত পিতা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত খুওয়াইলিদ ইবনে আসাদ আলাইহিস সালাম। তিনি উনার পিতা উনার দিক থেকে চতুর্থ পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন-

سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ خَدِيـْجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدِ بْنِ اَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَىٍّ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ.

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ ইবনে আসাদ ইবনে আব্দিল ‘উয্যা ইবনে কুছাই আলাইহিমুস সালাম।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত কুছাই আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্বপুরুষ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক যখন ৩০ বছর, তখন উনার সম্মানিত পিতা হযরত খুওয়াইলিদ আলাইহিস সালাম তিনি হরবুল ফিজারের যুদ্ধের সময় ইন্তেকাল করেন।

উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিতা মাতা হচ্ছেন ফাত্বিমাহ বিনতে যায়িদাহ আলাইহাস সালাম তিনি। তিনি উনার মাতার দিক থেকে ১০ম পুরুষ যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন,

سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ خَدِيـْجَةُ بِنْتُ فَاطِمَةَ بِنْتِ زَائِدَةَ بْنِ جُنْدُبٍ وَّهُوَ الْاَصَمُّ بْنِ هَرِمِ بْنِ رَوَاحَةَ بْنِ حَجَرِ بْنِ عَبْدِ بْنِ مَعِيْصِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ.

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম বিনতে ফাতিমা বিনতে যায়িদাহ ইবনে জুনদুব (তিনি হচ্ছে আছম) ইবনে হারম ইবনে রওয়াহাহ ইবনে হাজার ইবনে আবদ ইবনে মা‘ঈছ ইবনে ‘আমির ইবনে লুয়াই আলাইহিমুস সালাম।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত লুয়াই আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্বপুরুষ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: আমুল ফীলের ১৫ বছর পূর্বে ১৪ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল আহাদ  (রোববার) বা’দ ফজর সম্মানিত মক্কা শরীফ-এ মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

ভাই-বোন:

উনারা ভাই-বোন ছিলেন মোট ৫ জন। ২ জন ভাই এবং ৩ জন বোন। উনার দুই ভাই হিযাম ও আওয়াম এবং এক বোন রক্বীক্বাহ উনারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রকাশের পূর্বে ইন্তেকাল করেন। তিনি হচ্ছেন ভাই বোন উনাদের মধ্যে দ্বিতীয়। উনার আরেক বোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত হালাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর (আবুল আছ ইবনে রবী’) আলাইহিস সালাম উনার সাথেই নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার লখতে জিগার বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ দেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ:

নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আসার পূর্বে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার ২টি সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ হয়েছিলো। প্রথম নিসবতে আযীম শরীফ হয়েছিলো আবূ হালাহ হিন্দ উনার সাথে। তিনি হচ্ছেন-

اَبُوْ هَالَةَ هِنْدُ بْنُ زُرَارَةَ بْنِ النَّــبَّاشِ التَّمِيْمِىُّ.

অর্থ: “আবূ হালাহ হিন্দ ইবনে যুরারহ ইবনে নাব্বাশ তামীমী।”

তিনি বেশি দিন দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেননি। তখন উনার দুই জন আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমাস সালাম এবং একজন বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনেন। যিনি মেয়ে হিসেবে ছিলেন উনার সম্মানিত নাম মুবারক ছিলেন যাইনাব। তিনি শিশুকালেই বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর ছেলে দুইজন উনারা হচ্ছেন হযরত হিন্দ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং হযরত হালাহ রদ্বিয়াল্লাহ তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনারা দুইজনই ঈমান এনেছেন এবং হযরত ছাহাবীয়তের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক অর্জন করেছেন। বিশেষ করে যিনি হিন্দ রদ্বিয়াল্লাহ তা‘য়ালা আনহু তিনি শুরুতেই সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন। তিনি বদরী ছাহাবী ছিলেন। সুবহনাল্লাহ! তিনি উহুদের জিহাদে ও ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি পরবর্তীতে সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সাথে জিন্দেগী মুবারক যাপন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শেষে তিনি জঙ্গে জামাল জিহাদে সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হুলিয়া মুবারক, সম্মানিত সীরত মুবারক, সম্মানিত ছূরত মুবারক অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যেটা হাদীছ শরীফ ও সীরাত উনাদের কিতাবে দেখা যায়। বিশেষ করে ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা প্রায় সময় হযরত হিন্দ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার কাছে যেয়ে এই বর্ণনাগুলো শুনতেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি অত্যন্ত বিশুদ্ধভাষী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আর দ্বিতীয় আওলাদ হযরত হালাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনিও ছাহাবিয়াতের মাক্বাম মুবারক অর্জন করেছেন। তিনি অনেক দিনই দুনিয়ার যমীনে অবস্থান করেছেন। তিনি সবসময়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত নিসবত মুবারক রাখতেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি মক্কা শরীফ-এ অবস্থান করা সত্ত্বেও প্রায় সময় সম্মানিত মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক আনতেন। সুবহানাল্লাহ!

আর দ্বিতীয় নিসবতে আযীম শরীফ হয়েছিলো আতীক্ব ইবনে আবিদ উনার সাথে। তিনি হচ্ছেন-

عَتِيْقُ بْنُ عَابِدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ الْـمَخْزُوْمِىُّ.

অর্থ: “আতীক্ব ইবনে ‘আবিদ ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে ‘উমর মাখযূমী।”

উনার একজন ছেলে আলাইহিস সালাম এবং বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনেন। ছেলে যিনি ছিলেন, উনার সম্মানিত নাম মুবারক ছিলো আব্দুল্লাহ। তিনি অল্প বয়স মুবারকেই সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর যিনি মেয়ে ছিলেন উনার নাম মুবারক ছিলেন হিন্দাহ রদ্বিয়াল্লাহ তা‘য়ালা আনহা তিনি। তিনি ছাহাবীয়াতের মাক্বাম মুবারক অর্জন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা উনার সাথেই ছিলেন। পরবর্তীতে উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লøাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে অবস্থান মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ব্যবসা:

উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি অনেক বড় সম্পদশালিনী ছিলেন। কুরাইশ গোত্র অনেক বড় গোত্র। সমস্ত কুরাইশ গোত্রের একত্রে যত সম্পদ ছিলো, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার এককভাবে তত সম্পদ ছিলো। সুবহানাল্লাহ! উনার অনেক বড় ব্যবসা ছিলো। সুবহানাল্লাহ! ব্যবসার বিষয়টি নিয়ে তিনি  চিন্তিত ছিলেন। উনার বিশিষ্ট গোলাম, খাদিম ছিলেন হযরত মাইসারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। লোক দিয়ে ব্যবসা করানো হতো। উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি ব্যবসার জন্য একজন বিশ্বস্ত ব্যবসা পরিচালক খুঁজছিলেন, যিনি উনার ব্যবসার পার্টনার হিসাবে ব্যবসার আনজাম দিবেন। সুবহানাল্লাহ! যেহেতু আত্মীয়তার সম্পর্কে এবং অন্যান্য দিক থেকে খাজা আবূ ত্বালিব উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্ক ছিলো। উনার পিতা ইন্তেকালের পর উনার চাচা আমর বিন আসাদ তিনি উনাকে মোটামোটি দেখাশোনা করতেন। আর উনার সাথে খাজা আবূ ত্বালিব উনার সম্পর্ক ছিলো। ফলে তিনি বিষয়টি নিয়ে উনার সাথে আলোচনা করেছিলেন। তখন খাজা আবূ ত্বালিব তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ব্যবসার করার জন্য বলেছিলেন। উনারা রাজী হলেন। যেহেতু তিনি ‘আল আমীন’ হিসেবে মশহূর ছিলেন। উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি আগ্রহ প্রকাশ করলেন। তখনো উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়নি। কিভাবে ব্যবসা হবে। মুদারাবা যেটা বলা হয়। অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাল-সম্পদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যবসা করার জন্য নিয়ে যাবেন। অতঃপর ব্যবসা শেষে যেটা লাভ হবে তার একটা অংশ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গ্রহণ করবেন এবং আরেকটা অংশ উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি গ্রহণ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়াতে গেলেন। উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য উনার সাথে হযরত মাইসারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দেয়া হলো। যাওয়ার পথে অনেক কিছু সংঘটিত হলো এবং আসার সময়ও অনেক কিছু সংঘটিত হলো। তবে সেখানে ব্যবসা করতে যেয়ে, একটা গির্জার পাশে একটা গাছের নিচে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক রেখেছিলেন। সেখানে একজন পাদ্রী ছিলো। তার নাম ছিলো নশতুরা রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি সেখানে অনেক বছর যাবৎ অপেক্ষমান ছিলেন। সেখানে একটি গাছ ছিলো, এমন একটি গাছ, যেখানে একমাত্র নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত আর কেউ বসতে পারেন না। কোনো মতে বসার সুযোগ হয় না। সেই নশতুরা পাদ্রী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জানা ছিলো, যিনি আখেরী নবী সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক সময় এখানে তাশরীফ মুবারক আনবেন এবং এই গাছের নিচে বসবেন। সুবহানাল্লাহ! সে এই জন্য অনেক বছর যাবৎ অপেক্ষমান ছিলো। সে গির্জায় বসে বসে লক্ষ্য করতো, গাছের কাছে কেউ যায় কিনা। একদিন সেই পাদ্রী তিনি দেখতে পেলেন যে, সেই গাছের নিচে একজন সম্মানিত বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক তিনি তাশরীফ মুবারক রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! সেটা দেখে সেই পাদ্রী বের হয়ে আসলেন এবং উনার যে খাদিম হযরত মাইসারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, উনি কে? হযরত মাইসারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি স্বাভাবিকভাবে পরিচয় দিলেন, তিনি কুরাইশ বংশের, হাশিমী গোত্রের। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক বলে পরিচয় দেয়া হলো। সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ। পাদ্রী এতে সন্তুষ্ট হলেন না। বললেন যে, আরো কিছু রয়েছে, এর মধ্যে। অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলেন এবং পাদ্রী বললেন, হে হযরত মাইসারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি, আপনারা উনাকে চিনতে পারেননি। আমি কিন্তু উনাকে চিনতে পেরেছি। উনি হচ্ছেন হাক্বীক্বীভাবেই যিনি আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! পরবর্তীতে সেই পাদ্রী সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ যেয়ে উনার সম্মানিত কপাল মুবারক-এ বুছা দিয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আমাদের আসমানী কিতাবে আপনার বর্ণনা মুবারক রয়েছে। আপনি হচ্ছেন আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! তবে আর কিছু দিন পর আপনার সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক ও সম্মানিত রিসালাত মুবারক প্রকাশ পাবে। আমি কিন্তু আপনার প্রতি ঈমান আনলাম। সুবহানাল্লাহ! এরপর সেই পাদ্রী নশতুরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মাইসারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার কাছে অনেক কিছু বলে, তিনি বললেন, আপনি লক্ষণ দেখবেন। আপনি বুঝতে পারবেন। সেটাই হযরত মাইসারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেছেন, যেকোনো জায়গায় ব্যবসা করতে গেলে, মাল মনে হচ্ছে সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে এবং দামে বিক্রি করা সহজ হচ্ছে। অনেক লাভ। এবং তিনি লক্ষ্য করলেন, খাদ্য খেতে গেলে অনেক বরকত। অল্প খাদ্য দিয়েই মনে হচ্ছে পেট ভরে যাচ্ছে। হযরত মাইসারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি আরো লক্ষ্য করলেন, যত প্রখর রৌদ্রই হোক না কেন। এই রৌদ্রের আলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জিসম মুবারক-এ পড়ে না। সুবহানাল্লাহ! তিনি লক্ষ্য করলেন, আকাশে মনে হচ্ছে দুই জন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ছায়া দিয়ে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! এরূপ অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হলো। ব্যবসা করে অনেক লাভ হলো। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন এবং সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার পূর্বাভাস:

একদিন দুপুর বেলার কথা। উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার বাড়িটা ছিলো  দোতালা। অনেক বড় বাড়ি ছিলো। তিনি  দোতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি দেখতে পেলেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ প্রবেশ করছেন আর বিশেষ দুই জন সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা উনাকে ছায়া দিচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি উপলব্ধি করতে পারলেন, বুঝতে পারলেন যে, এখানে একটা বিশেষ কোনো বিষয় রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

ঠিক এরমধ্যে উনার আরেকটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছিলো। মহিলাদের একটি মজলিস ছিলো। উনাকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিলো। সেখানে তিনি তাশরীফ মুবারক নিয়েছিলেন। সেখানে হঠাৎ একটা লোক মজলিসের বাইরে দূর থেকে ঘোষণা দিতে থাকলো, হে মহিলারা আপনারা জেনে রাখুন, অতিশীঘ্রই এখানে একজন সম্মানিত বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক সাইয়্যিদুনা ‘আহমদ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রকাশ ঘটবে। আপনাদের কারো পক্ষে যদি সম্ভব হয়, তাহলে আপনারা উনার সম্মানিতাযাওজাতুম মুকাররমাহ (আহলিয়াহ) হওয়ার জন্য কোশেশ করুন। সুবহানাল্লাহ! আপনারা কামিয়াবী হাছিল করবেন। সুবহানাল্লাহ! এটা যখন সেই ব্যক্তি বললো, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি শুনলেন, ফিকির করলেন। কিন্তু অন্যান্য মহিলারা উত্তেজিত হয়ে লোকটাকে পাগল মনে করে কিছু ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তিনি বিষয়টি লক্ষ্য করলেন, ফিকির করলেন। এই সমস্ত অনেক ঘটনা ঘটে গেলো। আর এই দিকে ব্যবসা শেষে এসে হযরত মাইসারাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকে যা সংঘটিত হয়েছে সবকিছু খুলে বললেন। তিনি এই বিষয়টিও সরাসরি বললেন যে, উমুক একজন পাদ্রী হযরত নশতুরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, তিনি হচ্ছেন আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! তবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার বিষয়টি প্রকাশ হতে এখনো কিছু সময় বাকি আছে। এটা শুনে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত চিন্তিত হলেন। এই হিসেবে যেহেতু উনার নিকট বিভিন্ন দিক থেকে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব আসতেছিলো।

সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব:

উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার ‘হযরত নাফিসাহ বিনতু মুনীয়াহ বা মানিয়াহ’ নামে একজন বান্ধবী ছিলেন। তিনি উনার বান্ধবীর মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সরাসরি সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করলেন। আবার এই দিকে উনার চাচা আমর বিন আসাদ তিনিও এই বিষয়টা মধ্যস্থতা করলেন। তিনি খাজা আবূ ত্বালিব উনার কাছে সংবাদ মুবারক পৌঁছালেন। অতঃপর সংবাদ মুবারক যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পৌঁছানোহয়, তখন তিনি চুপ থাকেন। কোনো সম্মতি মুবারক প্রকাশ করেননি। কিন্তু পরবর্তীতে খাজা আবূ ত্বালিব তিনি বললেন, অসুবিধা নেই। তিনি তো সম্মানিতা এবং তিনি সারা আরবে ত্বাহিরাহ, ত্বইয়্যিবাহ হিসেবে, পূত-পবিত্রা ব্যক্তিত্বা  হিসেবে মশহূর হয়ে গেছেন। সবদিক থেকেই তিনি যোগ্যতাসম্পন্না। কাজেই উনাকে গ্রহণ করতে তো কোনো অসুবিধা থাকার কথা না। খাজা আবূ ত্বালিব তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পক্ষ থেকে সুপারিশ করলেন। তখন শেষ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক ইচ্ছানুযায়ী) সম্মতি মুবারক প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহ!

আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ:

আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত রিসালাত মুবারক প্রকাশের ১৫ বছর পূর্বে ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ মহাসম্মানিত আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। তখন দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ২৫ বছর এবং উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৪০ বছর। সুবহানাল্লাহ! এই সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ-এ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা দুধ মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত হালীমা সা’দিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনিও। তিনি এই সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ-এ ৪০টি ছাগল বা খাসি মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত মোহরানা মুবারক উনার পরিমাণ সম্পর্কে অনেক বর্ণনা রয়েছে। কেউ বলেছেন, ২০টি উট, কেউ বলেছেন, ৫০০ দিরহাম, আবার কেউ বলেছেন, ৫০০ দীনার।

উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৭জন আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।

সম্মানিত ইসলাম ও সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ: মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জগতে পুরুষ-মহিলা সকলের পূর্বে সর্বপ্রথম তিনি সম্মানিত ইসলাম ও সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক: একাধারে প্রায় ২৫ বছর। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: আনুষ্ঠানিকভাবেসম্মানিত রিসালাত মুবারক প্রকাশের ১০ম বৎসর ১৭ রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুস সাবত শরীফ। তখন দুনিয়াবী যিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৫০ বছর। হাজুন নামক স্থানে উনার সম্মানিত রওযা শরীফ।

-আল্লামা মুহম্মদ ছিদ্দীকুর রহমান

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম