সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নাম মুবারক উনার অনুসরণে নাম রাখার ফযীলত ও বরকত

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়ার কারণে এ নাম মুবারকদ্বয় উনাদের অনেক ফযীলত ও মর্যাদা-মর্তবা রয়েছে। মূলত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে যে বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট হয়েছে তা কুল-কায়িনাতের সবকিছু থেকে সম্মানিত ও মর্যাদাবান।

এ প্রসঙ্গে “ফতওয়ায়ে শামী” কিতাবের ৩য় খ- যিয়ারত অধ্যায়ে উল্লেখ আছে-

ان التربة التى اتصلت الى اعظم النبى صلى الله عليه وسلم افضل من الارض والسماء حتى العرش العظيم

অর্থ : “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারকে যা কিছু এসেছে তা আসমান-যমীন, আরশ-কুরসী, লওহো, কলম তথা সকল কিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ।” সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, দুনিয়াতে কেউ যদি সম্মানিত ‘মুহম্মদ’ ও সম্মানিত ‘আহমদ’ নাম মুবারক রাখে তাহলে ওই ব্যক্তিকে জাহান্নামের আগুন পোড়াবে না। অর্থাৎ সে জান্নাতী হবে। সুবহানাল্লাহ!

যেমন- পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিখ্যাত কিতাব “আল ফিরদাউস লিদ দায়লামী শরীফ” উনার ৫ম খ-ের ৪৮৫ ও ৫৩৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-

عن حضرت انس بن مالك رضى الله تعالى عنه قال  قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يوقف عبدان بين يدى الله عز وجل يوم القيامة فيامر بـهما الى الجنة فيقولان يا ربنا بما استاهلنا منك الجنة ولـم نعمل عملا يجازينا الجنة فيقول الله عز وجل لهما عبدان ادخلا الجنة فانى اليت على نفسى ان لايدخل النار من اسمه احمد ومحمد

অর্থ  : “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে দু’বান্দাকে দাঁড় করানো হবে। (অর্থাৎ যাদের একজনের নাম ‘মুহম্মদ’ এবং অপর জনের নাম ‘আহমদ’) খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদেশ করবেন। উনারা উভয়ে বলবেন, হে আল্লাহ পাক! আমরা কি কারণে জান্নাত লাভ করলাম, আমরা তো জান্নাত লাভের উপযুক্ত কোন আমল করিনি। অতঃপর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদ্বয়কে বলবেন, হে আমার বান্দা! তোমরা দুজনই জান্নাতে প্রবেশ কর। কারণ নিশ্চয়ই আমি আমার জাত পাক সম্পর্কে কছম করে বলছি, যে ব্যক্তির নাম ‘মুহম্মদ’ ও ‘আহমদ’ হবে সে কখনও দোযখে প্রবেশ করবে না।” সুবহানাল্লাহ! (যাহরুল ফিরদাউস ৪র্থ খ- ৪২৭ পৃষ্ঠা)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت جعفر بن محمد ينادى يوم القيامة يا محمد فيرفع راسه فى الـموقف من اسمه محمد فيقول الله جل جلاله اشهدكم انى قد غفرت لكل من اسمه على اسم محمد نبى صلى الله عليه وسلم

অর্থ  : “হযরত জাফর ইবনে মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত আছে। ক্বিয়ামতের দিন ‘ইয়া মুহম্মদ’ বলে অর্থাৎ ‘মুহম্মদ’ নাম ধরে ডাকা হবে। যে সকল ব্যক্তির নাম ‘মুহম্মদ’ উনারা সকলেই উনাদের মাথা উত্তোলন করবেন। অতঃপর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, তোমরা সাক্ষী থাক, যারা আমার প্রিয়তম নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক অনুসরণে নাম রেখেছে উনাদের প্রত্যেককে আমি ক্ষমা করলাম।” সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عن حضرت ابى امامة الباهلى رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من ولد له مولود فسماه محمدا حبا لى وتبركا باسمى كان هو ومولوده فى الجنة

অর্থ  : “হযরত আবূ উমামা আল বাহিলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তির ছেলে সন্তান হয় অতঃপর সে ব্যক্তি যদি আমার মুহব্বতে এবং আমার নামের বরকতের জন্য তার ছেলে সন্তানের নাম ‘মুহম্মদ’ রাখে তাহলে সে ব্যক্তি এবং তার ছেলে উভয়েই জান্নাতী হবে।” সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে আরও উল্লেখ আছে-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الله عز وجل وعزتى وجلالى لاعذبت احدا يسمى باسمك فى النار.

অর্থ  : “আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমার ইজ্জত ও জালালের ক্বসম করে বলছি যে, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার নাম মুবারক অনুযাযী যাদের নাম রাখা হবে তাদের কাউকেই দোযখে শাস্তি দিব না।” (পবিত্র মুসনাদুল ফিরদাউস)

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ উনাদের আলোকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, যে ব্যক্তির নাম ‘মুহম্মদ’ বা ‘আহমদ’ হবে সে ব্যক্তিকে কখনই দোযখের আগুনে জ্বালানো হবে না। বরং সে ব্যক্তি জান্নাতী হবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি তার সন্তানের নাম ‘মুহম্মদ’ বা ‘আহমদ’ রাখবে সে ব্যক্তিও জান্নাতী হবে। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তির নাম মুহম্মদ বা আহমদ নয় বা সে কারো নাম মুহম্মদ বা আহমদ রাখেনি তবে উক্ত নামকে সম্মান করেছে সেও জান্নাতী হবে; যদিও তার আমলে ত্রুটি থাকে।

-মাওলানা মুফতী মুহম্মদ জাহাঙ্গীর হুসাইন বসুনিয়া

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম