সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে খরচ করার আহকাম ও ফযীলত

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রত্যেক ঈমানদার বান্দা ও উম্মতের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট ও মুহব্বত করা। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

والله ورسوله احق ان يرضوه ان كانوا مؤمنين

অর্থ : “যদি তারা মু’মিন হয়ে থাকে, তাহলে তারা যেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করে। কেননা উনারাই সন্তুষ্টি পাওয়ার সমধিক হক্বদার।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

احبونى لـحب الله

অর্থ : “তোমরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করার জন্য আমাকে মুহব্বত কর।” (পবিত্র তিরমিযী শরীফ, পবিত্র মিশকাত শরীফ)

উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রত্যেক মু’মিন মুসলমানের জন্য খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট ও মুহব্বত করা ফরযে আইন। আরও প্রমাণিত হয়েছে যে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করতে হলে ও সন্তুষ্ট করতে হলে প্রথমে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সন্তুষ্ট করতে ও মুহব্বত করতে হবে। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি ব্যতীত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি হাছিল করা কখনো সম্ভব হবে না।

উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কিরূপ মুহব্বত করতে হবে সে প্রসঙ্গে তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন-

لا يؤمن احدكم حتى اكون احب اليه من والده وولده والناس اجمعين وفى رواية من ماله ونفسه.

অর্থ : “তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানুষ অপেক্ষা আমাকে বেশি মুহব্বত না করবে।” অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, “তার নিজের মাল ও জান অপেক্ষা বেশি মুহব্বত না করবে।” (পবিত্র বুখারী শরীফ, পবিত্র মুসলিম শরীফ, পবিত্র মিশকাত শরীফ)

এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে। উনারা উনাদের সবকিছু থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেশী মুহব্বত করেছেন। উনার খিদমতে উনারা উনাদের সর্বস্ব কুরবানী করে দিয়েছেন, একদিকে মাল আরেকদিকে জীবন উৎসর্গ করতে উনারা কোনরূপ দ্বিধা করেননি।

পবিত্র তিরমিযী শরীফ, পবিত্র আবু দাউদ শরীফ, পবিত্র মিশকাত শরীফ ইত্যাদি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় হাদিয়া করার জন্য নির্দেশ করলেন। সৌভাগ্যবশত সে সময় আমার কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ ছিল। আমি (মনে মনে) বললাম, দানের প্রতিযোগিতায় যদি কখনও হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার উপর জয়ী হতে পারি তাহলে আজকের দিনেই জয়ী হবো। তাই আমি আমার সমস্ত সম্পদের অর্ধেক নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে উপস্থিত হলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনি আপনার পরিবার-পরিজনের জন্য কি পরিমাণ রেখে এসেছেন? আমি বললাম : ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আমার পরিবার-পরিজনের জন্য এর সমপরিমাণ রেখে এসেছি। অর্থাৎ যে পরিমাণ নিয়ে এসেছি সে পরিমাণ ঘরে রেখে এসেছি। অতঃপর হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি উনার সমুদয় সম্পদ নিয়ে উপস্থিত হলে নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে বললেন, পরিবার-পরিজনের জন্য আপনি কি রেখে এসেছেন? জাওয়াবে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বললেন : ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আমার পরিবার-পরিজনের জন্য খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বতটুকু রেখে এসেছি। সুবহানাল্লাহ!

অনুরূপভাবে সমস্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উনাদের সর্বোচ্চ তাওফীক অনুযায়ী জিহাদ কিংবা অন্যান্য নেক কাজে হাদিয়া করেছেন।

পবিত্র মুসনাদে আহমদ শরীফ, পবিত্র মিশকাত শরীফ, পবিত্র মাছাবীহুস সুন্নাহ শরীফ ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে- হযরত আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন তাবুক জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি স্বীয় জামার আস্তিন ভর্তি করে এক হাজার দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আসলেন এবং দীনারগুলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোল মুবারক উনার মধ্যে ঢেলে দিলেন। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন : আমি দেখলাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুদ্রাগুলি উলট-পালট করছেন এবং বলছেন, আজকের পর থেকে হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে কোনকিছু ক্ষতি করবে না- তিনি যে আমলই করেন না কেন। সুবহানাল্লাহ!

হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার হাদিয়ার বিষয়ে আরও বর্ণিত রয়েছে, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে একবার পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো। বাইতুল মালেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খাদ্য ছিলো না। ঠিক সেই মুহূর্তে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার একটি বাণিজ্য কাফেলা এক হাজার উট বোঝাই করা খাদ্য নিয়ে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে উপস্থিত হলো। ব্যবসায়ী লোকজন হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট আসতে লাগলো খাদ্য কিনে নেয়ার জন্য। কেউ স্বাভাবিক দামে, কেউ দ্বিগুণ দামে, কেউ তিনগুণ, চারগুণ দামেও খাদ্য কেনার জন্য প্রস্তুত। তবুও তিনি উনাদের নিকট খাদ্য দিতে রাজি হলেন না। তিনি বললেন, আমার এ খাদ্য নিতে হলে কমপক্ষে দশগুণ মূল্য দিতে হবে। কারণ আপনাদের আগে একজন আমাকে দশগুণ মূল্য দেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। তখন উনারা বললেন, আমাদের আগে কে এত অধিক মূল্যে খাদ্যদ্রব্য খরিদ করার কথা বললেন? পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তো আমরাই বড় ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা আরো আলোচনা করলেন যে, হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি তো পূর্বে কখনো বেশি মূল্যের জন্য দর কষাকষি করেননি। তবে আজকে কেন করছেন ইত্যাদি। এরপর ব্যবসায়ীগণ উনারা বললেন, ঠিক আছে, যিনি আপনাকে বেশি মূল্য দেন উনাকেই আপনি মাল দিয়ে দিন।

হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে খবর পাঠালেন যে, হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সমস্ত খাদ্য দ্রব্য অর্থাৎ এক হাজার উট বোঝাই খাদ্য যা সিরিয়া থেকে এসেছে তা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারকের জন্য হাদিয়া করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! তখন খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সমস্ত খাদ্যগুলো পবিত্র মদীনা শরীফ-এ বণ্টন করে দেয়া হয় এবং তাতে দুর্ভিক্ষ দূর হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!

হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি যেদিন এই খাদ্যসামগ্রী হাদিয়া করলেন সেই রাতে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি স্বপ্নে দেখতে পেলেন যে, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবুজ রং বিশিষ্ট খুব দামি পোশাক পরিধান করতঃ বোরাকে আরোহণ করে খুব দ্রুত কোথাও যাচ্ছেন। এটা দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কোথায় যাচ্ছেন? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনি কি জানেন না, আজ হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফবাসীকে এক হাজার উট বোঝাই খাদ্য যে হাদিয়া করেছেন; যার কারণে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার দুর্ভিক্ষ দূর হয়ে গেছে? তাই উনার হাদিয়ায় সন্তুষ্ট হয়ে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি আজকে বেহেশ্তে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেছেন। আমি সেই মেহমানদারীতে শরীক হওয়ার জন্য যাচ্ছি।” সুবহানাল্লাহ!

স্মরণীয় যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের উক্ত হাদিয়াসমূহ ছিল পবিত্র দ্বীন ইসলাম বা উম্মত উনাদের কল্যাণ সাধনে। এখন উম্মত উনাদের উদ্দেশ্যে ব্যয় করলে যদি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এত খুশি হয়ে থাকেন তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য, উনার মীলাদ শরীফ বা বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ব্যয় করলে উনারা কত বেশি খুশি হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

যেমন- এ প্রসঙ্গে পবিত্র বুখারী শরীফ, পবিত্র মিশকাত শরীফ, পবিত্র মাছাহাবীহুস সুন্নাহ ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আবু সায়ীদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

¬¬¬لاتسبوا اصحابى فلو ان احدكم انفق مثل احد ذهبا ما بلغ مد احدهم ولا نصيفه

অর্থ : “আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তোমরা গাল-মন্দ, সমালোচনা বা দোষারোপ কর না। তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ কর, তবুও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আমার খিদমতে এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ (৭ ছটাক) গম হাদিয়া করে যে ফযীলত অর্জন করেছেন তার সমপরিমাণ ফযীলত তোমরা অর্জন করতে পারবে না।”

প্রতিভাত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার  মুবারক খিদমতে হাদিয়া বা ব্যয় করার ফযীলত যে কত বেশি তা কেবল খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাই সম্যক অবগত আছেন।

কাজেই, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে উনার জন্য হাদিয়া করে যে বেমেছাল ফযীলত হাছিল করেছেন পরবর্তী উম্মত যদি সেই বরকতময় ফযীলত উনার অনুরূপ ফযীলত হাছিল করতে চায় তাহলে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সর্বোচ্চ তাওফীক্ব বা সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করা।

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ শুয়াইব আহমদ

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম