সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বনের প্রাণীরা চিনলো কিন্তু বাতিল ও জাহান্নামী ফিরক্বা ওহাবী-খারেজীরা চিনলোনা

সংখ্যা: ২৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

ورفعنا لك ذكرك

অর্থাৎ: “আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত বেমেছালভাবে বুলন্দ করেছি।” সুবহানাল্লাহ!

এক কথায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন। এছাড়া সবকিছু। অর্থাৎ খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ খালিক বা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে এক এবং একক। উনার সমকক্ষ কেউ নেই। অনুরূপ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও মাখলূক্বাত বা সৃষ্টিজগতের মধ্যে এক এবং একক। উনার সমকক্ষ ও মত কেউ নেই। এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لست كاحدكم

অর্থ: “আমি তোমাদের (মাখলূক্বাতের) কারো মত নই।” (বুখারী শরীফ)

আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

ايكم مثلى

অর্থ: “তোমাদের মধ্যে কে আছে আমার মত।” (বুখারী শরীফ)

অথচ বাতিল ও জাহান্নামী ফিরক্বা ওহাবী খারিজীরা বলে বেড়ায় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নাকি তাদের মত সাধারণ মানুষ। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! এরা আকারে প্রকারে মানুষ হলেও হাক্বীক্বত তারা পশুর চেয়েও অধম। কারণ ওহাবী খারিজীরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে না চিনলেও বনের পশু বা প্রাণীরা কিন্তু ঠিকই উনাকে চিনেছে। তাই তারা উনাকে বেমেছালভাবে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করেছে। সুবহানাল্লাহ!

বাতিল ও জাহান্নামী ফিরক্বা ওহাবী-খারিজীদের ইবরত-নছীহতের জন্য এ সম্পর্কিত কতিপয় দৃষ্টান্ত নি¤েœ তুলে ধরা হলো-

উটের দৃষ্টান্ত

(১)

হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, বনী সালামার এক ব্যক্তির পানি সিঞ্চনের উট ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর হামলা করলো। এভাবে পানি সিঞ্চনে বিঘœ ঘটায় খেজুর বাগিচা শুকিয়ে যেতে লাগলো। ঘটনাটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানানো হলে তিনি একদিন বাগানের দরজা পর্যন্ত আসলেন। একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনাকে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বাগানে ঢুকবেন না। ক্ষিপ্ত উটকে ভয় করতে হয়; কিন্তু তিনি বললেন, আপনারা নির্ভয়ে বাগানে প্রবেশ করুন। কিছুই হবে না। দেখা গেল, সেই উটটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখা মাত্র অবনত মস্তকে উনার নিকট চলে আসল এবং উনার সামনে দাঁড়িয়ে গেল। তারপর উনাকে সিজদাহ করলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, উটের মালিক উটের নিকট এসে একে লাগাম পরিয়ে দাও। সুবহানাল্লাহ

(২)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফা তিনি বলেন, একদা আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, অমুক গোত্রের পানি বহনকারী উটটি অবাধ্য হয়ে চলে গেছে। এটা শুনামাত্র  নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। উনার সাথে আমরাও উঠে দাঁড়ালাম। আমরা উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার ঐ উটের নিকট যাওয়া ঠিক হবে না; কিন্তু তিনি সে কথায় ভ্রƒক্ষেপ না করে উটের নিকট উপস্থিত হলেন। উটটি উনাকে দেখেই সিজদাহ করলো। তিনি উটের মাথায় নিজ হাত মুবারক রেখে বললেন, লাগাম নিয়ে আসো। লাগাম নিয়ে আসা হলে তিনি তা উটের মাথায় রেখে বললেন, উটের মালিককে ডাক। সে আসলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে বললেন, একে উত্তমরূপে পানাহার দিবে এবং এর সাথে অধিক কঠোর আচরণ করবে না। সুবহানাল্লাহ

(৩)

হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদা কতিপয় ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, আমাদের উট বাগান দখল করে নিয়েছে। কোনক্রমেই তথা হতে বের হচ্ছে না এবং তার কাছেও যাওয়া যাচ্ছে না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাগানে চলে গেলেন  এবং গিয়ে উটটিকে আওয়াজ দিলেন। উট অবনত মস্তকে চলে আসল। তখন তিনি তাকে লাগাম লাগিয়ে মালিকের হাতে সোপর্দ করলেন। ঐ সময় হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, এই উটটি নিশ্চয়ই জানে যে, আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নবী। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, কেবলমাত্র কাফির মানব ও কাফির জ্বিন ব্যতীত কায়িনাতের সকলেই জানে যে, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ

(৪)

হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি  বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় একটি উট ছুটে এসে উনার কোল মুবারকে মস্তক রাখলো এবং বিড়বিড় করে কি যেন বলতে লাগলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, উটটি বলছে যে, তার মালিক তাকে মালিকের পিতার ভোজের যিয়াফতে  যবেহ করতে চায়। অতঃপর তিনি সেই মালিকের নিকট জিজ্ঞাসা করলে সে বললো, হা, আমি একে যবেহ করতে চাই। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে বললেন যে, তুমি এ উটটিকে যবেহ করো না। উটের মালিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মেনে নিল। সুবহানাল্লাহ

 (৫)

হযরত ছা’লাবা ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি বনু সালামার নিকট হতে একটি উট খরিদ করে নিজ আস্তাবলে নিয়ে বেঁধে রাখল। উটটি  সেখানে খুজলি রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লো। ওর নিকট যে কেউ যেত, উটটি তাকে হামলা করার জন্য ধেয়ে আসতো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনাকে এই ঘটনা বলা হলে তিনি সেখানে গিয়ে বললেন, উটটিকে খুলে দেয়া হোক।  হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা  বললেন, খুলে দিলে সে হয়তো আপনার কোন ক্ষতি করে বসবে। তিনি বললেন, না, আপনারা উটটিকে খুলে দিন। উটটি উনাকে দেখে উনার সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়লো। সুবহানাল্লাহ

লোকগণ এই দৃশ্য দেখে সুবহানাল্লাহ বললেন। উনারা আরজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!  উট আপনাকে সিজদাহ করলে আমাদের সিজদাহ করায় বাধা কিসের? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, মানুষের জন্য অন্য মানুষের সিজদাহ করা জায়িয থাকলে আমি নারীদেরকে তাদের স্বামীকে সিজদাহ করতে বলতাম। সুবহানাল্লাহ

(৬)

হযরত ইয়ালা ইবনে মুররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন বাইরে চলে গেলেন। একটি উট ঐ সময় চীৎকার করছিল। উটটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনাকে দেখামাত্র সিজদাহ মুবারক করলো। তা দেখে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, আমরাও আপনাকে সিজদাহ মুবারক করতে চাই। তা শুনে তিনি বললেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ব্যতীত অন্য কাউকে যদি সিজদাহ করতে বলতাম, তা হলে নারীদেরকে তাদের স্বামীকে সিজদাহ করতে বলতাম। উটটি কি বলছিলো, আপনারা বলতে পারেন কি? সে বলছিল, আমি আমার মালিকদেরকে  চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত খেদমত করেছি। এখন আমার বৃদ্ধকালে তারা আমার খাদ্যখাদক কমিয়ে দিয়েছে এবং আমার উপর কাজ অধিক চাপিয়ে দিয়েছে। আবার এখন একটি বিবাহ উপলক্ষে আমাকে যবেহ করতে চাইছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঐ উটটির মালিকদের নিকট লোক পাঠিয়ে তাদেরকে এই ঘটনা জানিয়ে দিলেন। শুনে তারা বললো যে, উটটি সত্য কথাই বলেছে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এই উটটিকে যবেহ না করে তোমরা ওকে আমার নিকট সোপর্দ কর। সুবহানাল্লাহ

হরিণীর দৃষ্টান্ত

(৭)

উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালামাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোন এক মরু প্রান্তর এলাকায় চলে গেলেন। সেখানে গিয়ে তিনি শুনতে পেলেন, কে যেন বলছে, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই রূপ আওয়াজ শুনে তিনি পিছনের দিকে তাকালেন, তবে কাউকেও দেখতে পেলেন না; কিন্তু পুনর্বার একইরূপ আওয়াজ শুনে আবার পিছনে ফিরে তাকালেন এবং একটি হরিণীকে বাধা অবস্থায় দেখলেন। সে বলল,  ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি অনুগ্রহবশতঃ আমার নিকট একটু তাশরীফ মুবারক আনুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন হরিণীটির নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, কি প্রয়োজনে আমাকে ডেকেছ? হরিণী বলল, নিকটস্থ পাহাড়ের পাদদেশে আমার দুইটি বাচ্চা আছে। আপনি আমার বাঁধন খুলে দিলে আমার বাচ্চা দুইটিকে একটু দুধপান করিয়ে আসতে পারি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, দুধপান করিয়ে তুমি ফিরে আসবে তো? হরিণীটি বলল, অবশ্যই আসব। যদি না আসি তা হলে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে যেন দশ মাসের গর্ভবতী উটনীর অনুরূপ সাজা দান করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হরিণীটিকে বন্ধনমুক্ত করে দিলেন। হরিণীটি মুক্ত হয়ে তার বাচ্চা দুইটিকে দুধপান করিয়ে আবার যথাস্থানে ফিরে আসল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে আবার বেঁধে রাখলেন। এর অদূরেই এক বেদুঈন নিদ্রা যাচ্ছিল। সে নিদ্রা হতে জেগে উঠে ঐ স্থানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলো, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে আপনার কোন প্রয়োজন আছে কি? তিনি বললেন, অবশ্যই আছে। আমি তোমাকে বলছি, তুমি এই হরিণীটিকে মুক্ত করে দাও। বেদুঈন সাথে সাথে হরিণীটিকে বন্ধনমুক্ত করে দিল। এভাবে ছাড়া পেয়ে হরিণীটি দৌড়ে যাওয়ারকালে এই পবিত্র কালাম শরীফ খানা উচ্চারণ করতে করতে যাচ্ছিল, “আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্নাকা রসূলুল্লাহ।” সুবহানাল্লাহ!

(৮)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাঁবুতে বাঁধা একটি হরিণীর নিকট দিয়ে গমন করছিলেন। হরিণীটি উনাকে দেখে বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আমাকে বন্ধনমুক্ত করে দিন। আমি আমার বাচ্চা দুইটিকে একটু দুধ পান করিয়ে আসি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি  বললেন, তোমাকে শিকারীরা বেঁধে রেখেছে; সুতরাং তোমাকে অবশ্যই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তুমি আবার ফিরে আসবে। তা হলে আমি তোমাকে ছেড়ে দিতে পারি। তখন হরিণীটি যেয়ে ফিরে আসার ওয়াদা করলো। সেই ওয়াদার ভিত্তিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে বন্ধনমুক্ত করে দিলেন। হরিণীটি চলে গেল এবং কিছুক্ষণ পরেই আবার যথাস্থানে ফিরে আসল। তখন দেখা গেল যে, তার স্তন দুধশূন্য। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হরিণীটিকে আবার বেঁধে রাখলেন। এর পর শিকারী লোকেরা ফিরে আসলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমরা এই হরিণীটিকে আমাকে দিয়ে দাও। তারা সম্মত হলে তিনি আবার হরিণীটিকে বাঁধন খুলে তাকে মুক্ত করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!

(৯)

হযরত যায়িদ ইবনে আকরাম রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার একটি গলিপথ দিয়ে চলছিলাম। ঐ সময় জনৈক বেদুঈনের তাঁবুর নিকট পৌছে আমরা বাঁধা অবস্থায় একটি হরিণী দেখলাম। সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখে বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই বেদুঈন আমাকে ধরে এনেছে। বনের ভিতরে আমার দুইটি বাচ্চা ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে। এদিকে আমার স্তনে দুধ জমে যাওয়ার কারণে আমিও কষ্ট পাচ্ছি। বেদুঈন আমাকে যবেহ করে ফেললে আমি যাতনা হতে রেহাই পেতাম। আর আমাকে ছেড়ে দিলে আমি গিয়ে আমার বাচ্চা দুইটিকে দুধপান করাতে পারতাম; কিন্তু বেদুঈন না আমাকে যবেহ করছে, না ছেড়ে দিচ্ছে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হরিণীর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, যদি আমি তোমাকে ছেড়ে  দেই, তবে তুমি আবার ফিরে আসবে তো? সে বলল, অবশ্যই ফিরে আসব। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হরিণীকে ছেড়ে দিলেন। তার কিছুক্ষণ পরেই হরিণীটি ফিরে আসল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হরিণীকে বেঁধে রাখলেন। একটু পরেই বেদুঈন বাহির হতে এসে পড়ল। তার সাথে একটি পানির মশক ছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি হরিণীটি বিক্রয় করবে কি? বেদুঈন বলল, বিক্রয়ের প্রয়োজন নাই। আপনার প্রয়োজন হলে ওকে এমনিই আপনাকে দিয়ে দিলাম। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হরিণীটিকে বন্ধনমুক্ত করে দিলেন।  হযরত যায়িদ ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, হরিণীটি পবিত্র কালিমায়ে তাইয়্যিবা শরীফ পাঠ করতে করতে বনের দিকে চলে গেল। সুবহানাল্লাহ!

বাঘের দৃষ্টান্ত

(১০)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেছেন, একবার এক রাখাল তার বকরী চড়াচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ জঙ্গল হতে একটি বাঘ বাহির হয়ে আসল। রাখাল তার বকরী এবং বাঘের মাঝখানে ছিল। তখন বাঘটি তার লেজের উপর বসে রাখালকে বলল, তুমি কি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর না? তুমি আমার এবং আমার রিযিকের মধ্যে অন্তরায় হয়েছ। এতে রাখাল বিস্ময়ের সাথে বলল, বাঘও কি মানুষের সাথে কথা বলে? এ যে, পরম বিস্ময়ের কথা, বাঘ বলল, ইহার চেয়েও বড় বিস্ময় হলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই হেরেম শরীফ উনার মধ্যস্থলে মানুষকে গায়েবের সংবাদসমূহ শুনাচ্ছেন। রাখাল এই কথা শুনে তার বকরীগুলিকে হাকিয়ে নিয়ে আসল। তারপর মদীনা শরীফে পৌছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে গিয়ে বাঘের এইরূপ কথা উনার নিকট ব্যক্ত করলো। তিনি বললেন, বাঘ ঠিকই বলেছে। স্মরণ রেখো, হিংস্র প্রাণীদের মানুষের সাথে কথা বলা ক্বিয়ামতের একটি নিদর্শন। সেই সত্তার কসম! যার করতলে আমার প্রাণ মুবারক। ক্বিয়ামত কায়েম হবে না, যতদিন না হিংস্র প্রাণীরা মানুষের সাথে কথা বলে। এমন কি মানুষের সাথে তার জুতার ফিতাও কথা বলবে। কেউ ঘর থেকে বাহির হয়ে যাওয়ার পর তার ঘরের লোকেরা যে সকল কাজ করবে, ঐ ঘর তাকে সেই খবর জানিয়ে দিবে। সুবহানাল্লাহ!

(১১)

হযরত মুতালিব ইবনে আব্দুল্লাহ রদিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাঝে বসা ছিলেন। এমন সময় একটি বাঘ উপস্থিত হয়ে উনার সাথে কথা বলতে শুরু করল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমাদের নিকট বাঘের তরফ হতে এই প্রতিনিধি এসেছে। তোমরা ইচ্ছা করলে এদের জন্য কিছু ভাতা বাবদ নির্দিষ্ট করে দিতে পার। সে তদপেক্ষা কিছু বেশি নিবে না। আর ইচ্ছা করলে এমনিই বিদায় দিতে পার। তবে এই অবস্থায় তোমাদের ভয়ের কারণ থাকবে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা  বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা তার জন্য কোনকিছু নির্দিষ্ট করে দিতে চাই না। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তিনটি আঙ্গুল মুবারক দ্বারা বাঘের দিকে ইশারা করে তাকে বুঝিয়ে দিলেন যে, তুমি উনাদের বকরী ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে। তখন বাঘটি ঐস্থান হতে মাথা নাড়াতে নাড়াতে দ্রুত অদৃশ্য হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ!

গাধার দৃষ্টান্ত

 (১২)

হযরত ইবনে মনজুর রদিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন, খায়বার বিজয়ের প্রাক্কালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটি কালো গাধা পেলেন। গাধাটি উনার সাথে কথাবার্তা বললো। তিনি গাধাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? সে বলল, ইয়াযীদ ইবনে শিহাব। আমার পিতামহের বংশ হতে মহান আল্লাহ পাক ষাটটি গাধা পয়দা করেছেন। তার প্রত্যেকটির পিঠে নবীগণ আরোহণ করেছেন। আমার ধারণা ছিল, আপনি আমার পিঠে আরোহন করবেন। কেননা এখন আমার দাদার বংশধরদের মধ্যে আমি ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই এবং হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে আপনি ব্যতীত আর কেউ অবশিষ্ট নেই। আমার মালিক ছিল এক ইয়াহুদী ব্যক্তি। সে আমার পিঠে আরোহণ করলে আমি তাকে আমার পিঠ হতে ফেলে দিতাম। যে কারণে সে আমাকে অত্যধিক প্রহার করতো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এখন হতে তোমার নাম হলো ইয়াকুব। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাউকে ডেকে আনার জন্য ইয়াকুবকে পাঠিয়ে দিলে সে তার ঘরের দরজায় গিয়ে দরজার উপর মস্তক দ্বারা খট খট আওয়াজ করতো। তখন সেই লোক বাহিরে আসলে ইয়াকুব তাকে ইশারায় বলতো যে, তাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ডেকেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর ইয়াকুব আবু হায়ছাম ইবনে নাহিয়ান উনার কূপের নিকট গেল এবং শোকে কাতর অবস্থায় সেই কূপে পতিত হলো। ইবনে সাবা বলেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি বৈশিষ্ট্য এইরূপ ছিল, তিনি যে সওয়ারীর পিঠে আরোহণ করতেন তা সর্বদা মোটা তাজা থাকতো এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকতে কখনো বার্ধক্য এবং দুর্বলতার শিকার হতো না। সুবহানাল্লাহ!

গুঁই সাপের দৃষ্টান্ত

(১৩)

আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারুক্বে আযম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন। একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এক মজলিসে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় বনী সুলাইমের এক বেদুঈন ব্যক্তি একটি গুই সাপ নিয়ে সেখানে আসলো। লোকটি বললো, লাত এবং ওযযার কসম! আমি আপনার প্রতি তখন পর্যন্ত ঈমান আনবনা, যে পর্যন্ত না এই গুই সাপটি আপনার উপর ঈমান আনে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হে গুই সাপ! তুমি বল, আমি কে? গুই সাপটি সকলের বোধগম্য আরবী ভাষায় বলে উঠলো, ’লাব্বাইকা ওয়া সা’দাইকা ইয়া রাসূলা রাব্বিল আলামীন।’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কার ইবাদত কর? গুঁই সাপটি জবাব দিল-

اَلَّذِىْ فِى السَّمَاءِ عَرْشُه وَفِى الْاَرْضِ سُلْطَانُه وَفِى الْبَحْرِ سَبِيْلُه وَفِى الْجَنَّةِ رَحْمَتُه وَفِى النَّارِ عَذَابُه.

অর্থাৎ আমি তারই ইবাদত করি, যাঁর আরশ আসমানে অবস্থিত। রাজত্ব দুনিয়ায় সুপ্রতিষ্ঠিত। পথ সমুদ্রের মাঝে। রহমত বেহেশতে এবং সাজা দোযখে বিদ্যমান।

অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বল, আমি কে? সে বলল, আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশেষ সম্মানিত রসূল  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যে আপনাকে সত্য নবীরূপে বিশ্বাস করে সে সফলতা লাভ করে। আর যে অবিশ্বাস করে সে ব্যর্থকাম হয় এরপর ঐ বেদুঈন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলেন। সুবহানাল্লাহ!

সিংহের দৃষ্টান্ত

(১৪)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযাদকৃত গোলাম হযরত সাফীনাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একবার আমি সামুদ্রিক নৌকায় আরোহণ করে সমুদ্র ভ্রমণে রওয়ানা হলাম। হঠাৎ নৌকাটি ভেঙ্গে উহার সমস্ত কাঠ, লোহা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল। তখন আমি একটি কাঠের তক্তা ধরে ভাসতে ভাসতে কোন এক স্থানে গিয়ে পৌঁছি। যেখানে সিংহ বাস করত। একটি সিংহ আমার নিকট চলে আসলে ভয়-বিহবলভাবে আমি বললাম, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল উনার গোলাম সাফীনাহ। তখন সিংহটি তার লেজ নাড়তে লাগল এবং আমার নিকটবর্তী হয়ে দাড়িয়ে থাকল। তারপর সে আমাকে ইশারায় ডেকে নিয়ে পথ দেখিয়ে দিল। তারপর সে আমাকে বিদায় দেওয়ার প্রাক্কালে এক বিশেষ ভঙ্গিতে আওয়াজ করে বিদায় জানালো। সুবহানাল্লাহ! (তথ্যসূত্র: পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী কিতাব রচয়িতা সুলতানুল আরিফীন আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত বিশ্বখ্যাত সীরাতগ্রন্থ “খাছায়িছুল কুবরা শরীফ” থেকে সংকলিত)

-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম