সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারক-এ পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করার সহজ-সরল সুন্নতী তরতীব মুবারক

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ اللهَ وَمَلٰئِكَتَه يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىّ. يٰاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلّمُوْا تَسْلِيْمًا.

 অর্থ : “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত মুবারক পাঠ করেন। হে মু’মিনগণ! আপনারাও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত মুবারক পাঠ করুন এবং সালাম মুবারক প্রেরণ করুন প্রেরণ করার মত।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

মূলতঃ খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার উপরোক্ত আদেশ-নির্দেশ মুবারক উনার কারণেই সর্বপ্রথম হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসাসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারক-এ পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মজলিশ এককভাবে, সম্মিলিতভাবে, ব্যাপকভাবে কায়িম করেন। এ সম্পর্কে অসংখ্য অগণিত ছহীহ বর্র্ণনা মুবারক পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র সীরাত শরীফ, পবিত্র তাফসীর শরীফসহ ইতিহাসের কিতাবগুলোতে উল্লেখ রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حضرت اَبِى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّه مَرَّ مَعَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلٰى بَيْتِ عَامِرِ الاَنْصَارِىِّ وَكَانَ يُعَلِّمُ وَقَائِعَ وِلادَتِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَبْنَائِه وَعَشِيْرَتِه وَيَقُوْلُ هٰذَا الْيَوْمَ هٰذَا الْيَوْمَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَتَحَ لَكَ اَبْوَابَ الرَّحْمَةِ وَالْمَلائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ لَكَ  مَنْ فَعَلَ فِعْلَكَ نَجٰى نَجٰتَكَ.

অর্থ : বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ননা করেন, একদা তিনি নূরে মুজাসাসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তানাদি এবং আতœীয়-স্বজন, জ্ঞাতী-গোষ্ঠি, পাড়া-প্রতিবেশী উনাদেরকে নিয়ে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল কায়িম করতঃ সকলকে নূরে মুজাসাসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার সুমহান ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন। এতদ্বশ্রবণে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসাসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- নিশ্চয়ই মহান রব তায়ালা উনার রহমত উনার দরজা মুবারক আপনার জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য মাগফিরাত কামনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ কাজ অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল আয়োজন করবেন তিনিও আপনার মত নাজাত ফযীলত তথা মর্যাদা-মর্তবা লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বর্ননা মুবারক এবং সলফে সালেহীন উনাদের আমল মুবারক উনাদের আলোকে বর্তমান যামানার মহান মুজাদ্দিদ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি সহজ-সরল সুন্নতী তরতীব মুবারকে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল উনাকে নবরূপে তাজদীদ করতঃ সারা দুনিয়াতে জারী করে দিচ্ছেন। তিনি মুবারক ক্বওল শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন- “প্রত্যেক ঈমানদার ধর্মপ্রাণ মুসলমান উনাদের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য নিজ উদ্যোগে, ঘরোয়াভাবে কিংবা সম্মিলিতভাবে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মজলিস মাহফিল কায়িম করা অর্থাৎ অন্তত একবার হলেও প্রতিদিন পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল করা, যা রহমত-বরকত-ফযীলত তথা রিযামন্দী মুবারক হাছিল করার অন্যতম প্রধান উসীলা।” সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল উনার আয়োজন করতে হলে পবিত্র নামায উনার ন্যায় পাক-পবিত্র স্থানে বসতে হবে এবং সে জায়গাটি সুগন্ধি তথা আগর বাতি, আতর ও গোলাপের পানি দ্বারা খোশবুযুক্ত করে নিতে হবে। উপস্থিত শ্রোতাম-লী মনোযোগ সহকারে চুপ করে মাওলানা ছাহেব যা পাঠ করবেন তা গভীর মনোযোগের সাথে শ্রবণ করতে থাকবেন। আর যেখানে সকলেই সম্মিলিতভাবে পাঠ করা প্রয়োজন সেখানে সম্মিলিতভাবে পাঠ করবেন। পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার সময় আদবের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ক্বিয়াম শরীফ করবেন।

নিম্নোক্ত নিয়মে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ শুরু হবে-

اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ.

بِسْمِ اللهِ الرَّحْـمٰنِ الرَّحِيْمِ.

 

 لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مّنْ اَنفُسِكُمْ عَزِيْزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ. فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِىَ اللهُ لَا اِلٰـهَ اِلَّا هُوَ. عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ.  (سورة التوبة شريف   ۱۲۸-۱۲۹)

مَا كَانَ مُـحَمَّدٌ اَبَا اَحَدٍ مّنْ رّجَالِكُمْ وَلٰكِنْ رَّسُولَ الله وَخَاتَـمَ النَّبِيّنَ. وَكَانَ الله بِكُلّ شَىْءٍ عَلِيْمًا. (سورة الاحزاب شريف ۴۰ )

اِنَّ اللّٰهَ وَمَلٰئِكَتَه يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىّ. يٰاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلّمُوْا تَسْلِيْمًا. (سورة الاحزاب شريف ۵۶)

এবারে সবাই মিলে অত্যন্ত মুহব্বতের সাথে নিম্নোক্ত পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করবেন।

পবিত্র ছলাত শরীফ

اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا  مَوْلٰناَ رَسُوْل ِاللهِ

وَعَلٰى اٰلِ سَيّدِنَا  مَوْلٰناَ حَبِيْبِ اللهِ.

আর যিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করবেন তিনি পবিত্র ছলাত শরীফ উনার ফাঁকে ফাঁকে ক্বাছীদা শরীফসমূহ থেকে প্রয়োজন অনুপাতে ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করবেন। যেমন-

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া নবীজী আপনি রহমাতুল্লিল আলামীন

সাইয়্যিদুল আউলিয়া মামদুহজী খলীফাতুল মুসলিমীন

আপনাদের মুবারক তাশরীফ কায়িনাতে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিন

—————————

এমন রসূল উনার উম্মত মোরা উনারতো নাই তুলনা

উনার শানে ছলাত ও সালাম জানান ইলাহী রব্বুনা

—————————

আপনি নবীজী দান করিলেন সুন্নতী জীবন বিধান

আপনার মুবারক সুন্নত ধরায় জাগান মুর্শিদ ক্বিবলাজান

—————————

অতঃপর যিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করবেন তিনি নিম্নোক্ত ‘তাওয়াল্লুদ শরীফ’ পাঠ করবেন-

তাওয়াল্লুদ শরীফ

نَـحْمَدُه  وَنُصَلّىْ عَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ

وَلَـمَّا تَـمَّ مِنْ حَـمْلِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةُ اَشْهُرٍ عَلٰى مَشْهُوْرِ الْاَقْوَالِ الْـمَرْوِيَّةِ، تُوُفّـىَ بِالْـمَدِيْنَةِ الْـمُنَوَّرَةِ الشَّرِيْفَةِ حَضْرَةْ ذَبِيْحُ اللهِ الْمُكَرَّمُ اَبُوْهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ قَدِ اجْتَازَ بِاَخْوَالِه بَنِىْ عَدِىّ مّنَ الطَّائِفَةِ النَّجَّارِيَّةِ، وَمَكَثَ فِيْهِمْ شَهْرًا سَقِيْمًا يُّعَانُوْنَ  سُقْمَه  وَشَكْوَاهُ،

وَلَـمَّا تَـمَّ مِنْ حَـمْلِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الرَّاجِحِ تِسْعَةُ اَشْهُرٍ قَمَرِيَّةٍ، وَاٰنَ لِلزَّمَانِ اَنْ يَّنْجَلِىَ عَنْهُ صَدَاهُ، حَضْرَت سَيّدَةَ نِسَاءِ الْعَالَمِيْنَ اُمَّه  صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ مَوْلِدِه حَضْرَة حَوَّاءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَضْرَةْ هاجرَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَضْرَةْ سَارَّةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَضْرَةْ اٰسِيَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَضْرَةْ مَرْيَمُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فِىْ نِسْوَةٍ مّنَ الْـحَظِيْرَةِ الْقُدْسِيَّةِ، وَاَخَذَهَا الْمَخَاضُ، فَوَلَدَتْهُ سَيّدَ الْمُرْسَلِيْنَ اِمَامَ الْمُرْسَلِيْنَ خَاتَـمَ النَّبِيّنَ وَالنُّوْرَالْمُجَسَّمَ حَبِيْبَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُوْرًا يَّتَلَاْ لَاُسِنَاهُ.

পবিত্র তাওয়াল্লুদ শরীফ উনার বাংলা উচ্চারণ

না‏‏হমাদুহু ওয়া নুছাল্লী আলা রসূলিহিল কারীম

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ

ওয়া লাম্মা তাম্মা মিন হামলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা সিত্তাতু আশহুরিন আলা মাশহুরিল আক্বওয়ালিল মারবিয়্যাহ। তুউফফিয়া বিল মাদীনাতিল মুনাওওয়ারাতিশ শারীফাতি হাদ্বারাত যাবিহুল্লাহিল মুকাররম আবূহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা, ওয়া কানা কাদিজতাযা বি আখওয়ালিহী বানী আদিয়্যিম মিনাত ত্বায়িফাতিন নাজ্জারিয়্যাহ। ওয়া মাকাছা ফীহিম শাহরাং সাক্বীমাইঁ ইউয়ানূনা সুক্বমাহূ ওয়া শাকওয়াহ।

ওয়া লাম্মা তাম্মা মিন হামলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলার রাজিহি তিসয়াতু আশহূরিং ক্বমারিয়্যাহ। ওয়া আনা লিয যামানি আইঁ ইয়াংজালিয়া আনহু ছদাহ। হাদ্বারাত সাইয়্যিদাতা নিসায়িল আলামীনা উম্মাহূ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা লাইলাতা মাওলিদিহী হাদ্বরাত হাওওয়াউ আলাইহাস সালাম, হাদ্বরাত  হাজিরাহ আলাইহাস সালাম, হাদ্বরাত র্সারাতু আলাইহাস সালাম, হাদ্বরাত আসিয়াতু আলাইহাস সালাম, হাদ্বরাত মারইয়ামু আলাইহাস সালাম ফী নিসওয়াতিম মিনাল হাযীরাতিল কুদসিয়্যাহ। ওয়া আখাযাহাল মাখাদ্ব ফাওয়ালাদাতহু সাইয়্যিদাল মুরসালীন ইমামাল মুরসালীন খাতামান নাবিয়্যীন নূরাল মুজাসসাম হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরাইঁ ইয়াতালা’লাউ সিনাহ।

এবার সকলেই ক্বিয়াম শরীফ করবেন বা দাঁড়িয়ে মুহব্বতের সাথে নিম্নোক্তভাবে পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করবেন।

صَلَّى اللهُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ + صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

صَلَّى اللهُ عَلٰى حَبِيْبِ اللهِ + صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ  يَا رَسُوْلِ اللهِ+ اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ  يَا نَبِىَّ اللهِ

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ  يَا حَبِيْبَ اللهِ + صَلَوٰ تُ اللهِ عَلَيْكُمْ

ছল্লাল্লাহু ‘আলা রসূলিল্লাহ + ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছল্লাল্লাহু ‘আলা হাবীবিল্লাহ + ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

আসসালামু আলাইকুম ইয়া রসূলাল্লাহ + আসসালামু আলাইকুম ইয়া নাবিইয়্যাল্লাহ

আসসালামু আলাইকুম ইয়া হাবীবাল্লাহ + ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইকুম

আর যিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করবেন তিনি পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করার ফাঁকে ফাঁকে ক্বাছীদা শরীফসমূহ থেকে প্রয়োজন অনুপাতে বেজোড় সংখ্যক ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করবেন। যেমন-

 

আপনি হাবীব! মদীনা শরীফ হইতে

সবকিছুই পারেন দেখিতে

সবকিছুই পারেন করিতে

সবকিছুই পারেন জানিতে

মোদেরকে আপনার পবিত্র সুন্নাহতে

রুজু করে দিন আবাদুল আবাদে।

—————————

ইয়া হাবীব! ছলাত ও সালাম নিন সাইয়্যিদুনা মামদুহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম উনার

দুরূদ ও সালাম নিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার

না’ত ও সালাম নিন মুবারক আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের

গোলাম মোরা মুহতাজ আপনাদের।

ক্বিয়াম শরীফ উনার পর সবাই বসে পাঠ করবেন

يَارَبّ صَلّ وَسَلّمْ دَائِمًا اَبَدًا اَبَدًا- خَيْرِ خَلْقِ كُلّهِمِ

 بھیجئےائے رب میرے درود  و سلام بر گزیدہ  نبی  پر  آپنے مدام.

উচ্চারণ : ইয়া রব্বি ছল্লি ওয়া সাল্লিম দায়িমান আবাদান আবাদা॥ খায়রি খালক্বি কুল্লিহিম ভেজিয়ে আয় রব মেরে দুরূদ ও সালাম বর গুযীদা নবী পর আপনি মুদাম।

بَلَغ َالْعُلٰى بِكَمَالِهٖ  + كَشَفَ الدُّجٰى بِـجَمَالِهٖ.

حَسُنَتْ جَمِيْعُ خِصَالِهٖ + صَلُّوْا عَلَيْهِ  وَاٰلِهٖ.

سَلّمُوْا يَا قَوْمُ بَلْ صَلُّوْا عَلٰى صَدْرِ الْاَمِيْنِ.

مُصْطَفٰى مَا جَاءَ  اِلَّا رَحْـمَةً   لّلْعٰلَمِيْنَ.

عَطّرِ اللّٰهُمَّ قَبْرَه الْكَرِيْـمَ + بِعَرْفِ شَذِىّ مّنْ صَلٰوةٍ  وَّتَسْلِيْمٍ،

اَللّٰهُمَّ صَلّ وَسَلّمْ وَبَارِكْ عَلَيْهِ.

সবশেষে যিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল উনার প্রধান মেহমান তিনি দুয়া বা মুনাজাত শরীফ পরিচালনা করবেন। মুনাজাত শরীফ বা দুয়ার পূর্বে নিম্নোক্ত নিয়মে পবিত্র ছওয়াব রেসানী করতে হবে।

পবিত্র ছওয়াব রেসানী উনার নিয়ম

(১) ইস্তিগফার শরীফ তিনবার

اَسْتَغْفِرُ اللهَ رَبّ  مِنْ كُلّ ذَنْبٍ وَّاَتُوْبُ اِلَيْهِ.

(২) আঊযুবিল্লাহ শরীফ ও বিসমিল্লাহ শরীফসহ পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ (আলহামদু শরীফ) একবার।

(৩) বিসমিল্লাহ শরীফসহ পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ (কুল হুয়াল্লাহ শরীফ) তিনবার।

(৪) পবিত্র ছলাত শরীফ পাঁচ বার।

পবিত্র ছলাত শরীফ

اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا وَسِيْلَتِىْ اِلَيْكَ وَاٰلِهٖ وَسَلّمْ.

اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا مَعْدَنِ الْـجُوْدِ وَالْكَرَمِ  وَاٰلِهٖ وَسَلّمْ.

اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّدِنَا نَبِيّنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا النَّبِىّ الْاُمّىّ وَاٰلِهٖ وَسَلّمْ.

অতঃপর সম্মানিত প্রধান অতিথি তিনি উপস্থিত সকলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের চিরস্থায়ী রিযামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্য দুয়া আরজী পেশ করবেন।

-আল্লামা গোলাম মুনজির মুহম্মদ গিয়াসুদ্দীন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম