সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক

সংখ্যা: ২৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক


সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিতা বানাত (মেয়ে)। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা হযরত বানাত (মেয়ে) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘ছানিয়াহ তথা দ্বিতীয়া।’ সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আবনা আলাইহিমুস সালাম এবং বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন পঞ্চম। সুবহানাল্লাহ! তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনারা মাধ্যমে মহাসম্মানিত বকরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন ঈমান।

মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী

শান মুবারক প্রকাশ

সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ৭ বছর পূর্বে ৩রা রবী‘উছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইন শরীফ মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করে সমস্ত কায়িনাতবাসীকে ধন্য করেন। সুবহনাল্লাহ! দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৩৩ বছর। আর উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলো ৪৮ বছর।

সম্মানিত আক্বীক্বাহ মুবারক দেয়া এবং

সম্মানিত নাম মুবারক রাখা

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত বানাত, লখতে জিগার সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সপ্তম দিনে উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দেন এবং উনার নাম মুবারক রাখেন ‘হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক

সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক হচ্ছে ‘উম্মু আব্দিল্লাহ আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত লক্বব মুবারক

সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি না এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি না; এছাড়া যত সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছে সমস্ত সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিদ্ব‘আতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছানিয়াহ, উম্মু আবীহা, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত ইত্যাদি উনার বিশেষ লক্বব মুবারক উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ছূরত মুবারক

সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন বেমেছাল সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! উনার বেমেছাল সৌন্দর্য মুবারক সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,

وَكَانَتْ مِنْ اَحْسَنِ الْبَشَرِ.

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন মানুষের মাঝে সর্বাধিক সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারিণী।” সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّـمَا يُرِيْدُ الله لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهّـرَكُمْ تَطْهِيْرًا.

অর্থ: “হে সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ৩৩)

এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উনার সম্মানিত স্পর্শ মুবারক-এ যা এসেছে, তাও পবিত্র থেকে পবিত্রতম হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ইলম মুবারক

মূলত, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার ইলম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! প্রকৃতপক্ষে উনার সম্মানার্থেই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সম্মানিত ইলম, আমল, ইখলাছ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারকসহ সমস্ত প্রকার নিয়ামত মুবারক লাভ করেছে। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত শাদী মুবারক

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক হয়েছিলো আবূ লাহাবের পুত্র উতবার সাথে এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক হয়েছিলো উতাইবার সাথে। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলো ৭ বছরের কাছাকাছি আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলো ৫ বছরের কাছাকাছি। এটি ছিল শুধু একটি আনুষ্ঠানিক বিবাহ। উনাদেরকে তাদের গৃহে যেতে হয়নি। সুবহানাল্লাহ! তার আগেই সম্মানিত সূরা ‘লাহাব শরীফ’ নাযিল হওয়ার পর আবূ লাহাব ও তার স্ত্রীর কারণে উতবাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে যায় অর্থাৎ মুবারক খেদমত করার ব্যাপারে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়। আর উতাইবা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে যায় অর্থাৎ মুবারক খেদমত করার ব্যাপারে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়। নাঊযুবিল্লাহ!

সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ

আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পর নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা সর্বপ্রথম উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার নিকট প্রকাশ করেন। উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনিই পুরুষ-মহিলা সকলের পূর্বে সর্বপ্রথম সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সাথে সাথে উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনারাও সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদাতুনা হযরত ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি অল্প সময়ের ব্যবধানে সংবাদ মুবারক পাওয়ার সাথে সাথে এসে সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারাই পুরুষ-মহিলা সকলের মাঝে সর্বপ্রথম সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে আযীমুশ শান শাদী মুবারক

উতবা যখন বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেওয়া থেকে মাহরূম হয়ে যায়, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ওহী মুবারক প্রেরণ করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দেন যে, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি মহান আল্লাহ পাক বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত শাদী মুবারক জান্নাতে সুসম্পন্ন করেছি। সুবহানাল্লাহ! আপনিও উনাদের সম্মানিত শাদী মুবারক দুনিয়ার যমীনে সুসম্পন্ন করুন। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনুষ্ঠানিকভাবে দুনিয়াতে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত শাদী মুবারক সুসম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ!

এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ الله تَعَالى اَوْحـٰى اِلَىَّ اَنْ اُزَوّجَ كَرِيـْمَتَـىَّ مِنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَعْنِـىْ حَضْرَتْ رُقَيَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وحَضْرَتْ اُمَّ كُلْثُوْمٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার নিকট সম্মানিত ওহী মুবারক প্রেরণ করেছেন, আমি যেন আমার দুই মহাসম্মানিতা আওলাদ আলাইহিমাস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত শাদী মুবারক হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে সুসম্পন্ন করি।” সুবহানাল্লাহ!, (ফাদ্বাইলুছ ছাহাবা ১/১১২, আল মু’জামুল আওসাত্ব ৪/১৮, আল মু’জামুছ ছগীর ১/২৫৩, মাজমাউয যাওয়াইদ ৫/৩৮৯, আল ফাতহুল কাবীর ১/৩০৪, জামিউল আহদীছ ৭/৪৭৬, ইবনে আদী ৫/৭০ ইত্যাদি)

তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলো ১০ বছর আর সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলো ৩৭ বছর। সুবহানাল্লাহ!

বেমেছাল মুহব্বতপূর্ণ সম্পর্ক মুবারক

বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাদের মাঝে বেমেছাল মুহব্বতপূর্ণ সম্পর্ক মুবারক ছিলো। আরবের লোকজন বলাবলি করতো এবং এই কথাটি উপমায় পরিণত হয়েছিলো যে-

اَحْسَنُ زَوْجَيْنِ رَاٰهُمَا اِنْسَانٌ حَضْرَتْ رُقَيَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَزَوْجَهَا حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ

অর্থ: “মানুষের দেখা সম্মানিত দম্পতি মুবারক উনাদের মধ্যে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার যাওজুম মুকাররাম সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনারা সর্বোত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (ইছাবাহ ৭/৬৯৮, বিদায়া-নিহায়া ৭/২২৩, মুখতাছারু তারীখে দিমাশক্ব ৫/১৭৫ ইত্যাদি)

হাবশায় সম্মানিত হিজরত মুবারক

আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার ৫ম বৎসরে সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাসে উনারা হাবশার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। দীর্ঘ এক মাস পর সম্মানিত শা’বান মাসে উনারা হাবশায় যেয়ে পৌঁছেন। সুবাহানল্লাহ! উনারা সেখানে যেয়ে নিরাপদে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদাত-বন্দেগী করতে থাকেন এবং তা’লীম-তালক্বীন ও সম্মানিত ছোহবত মুবারক দানের মাধ্যমে লোকদেরকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দিকে আহ্বান করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের আহ্বানে বহু লোক ঈমান এনে মুসলমান হয়ে যান।

এভাবে সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মুবারক পদচারণা, সম্মানিত তা’লীম-তালক্বীন ও সম্মানিত ছোহবত মুবারক উনার মাধ্যমে হাবশার যমীনে তথা অনারবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলো ছড়িয়ে পড়ে। সুবহানাল্লাহ! আর তার পাশাপাশি হাবশাসহ সমগ্র অনারব রহমত, বরকত, ছাকীনাহ ও নিয়ামত মুবারক লাভে ধন্য হয়। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক উনার পথে সম্মানিত

হিজরতকারী সম্মানিত প্রথম পরিবার

সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনারা যখন হাবশায় (আবিসিনিয়ায়) সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সম্মানিত খুছূছিয়াত মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّهُمَا لَاَوَّلُ مَنْ هَاجَرَ بَعْدَ حَضْرَتْ لُوْطٍ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَحَضْرَتْ اِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনারাই হচ্ছেন হযরত ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনাদের পর সর্বপ্রথম হিজরতকারী।” সুবহানাল্লাহ!’ (মুস্তাদরকে হাকিম ৪/৫০)

সম্মানিত কারামাত মুবারক উনার

বহিঃপ্রকাশ

কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

وَكَانَتْ ذَاتَ جَمَالٍ رَائِعٍ ذَكَرَ اِبْنُ قُدَامَةَ اَنَّ نَفَرًا مّنَ الْـحَبَشَةِ كَانُوْا يَنْظُرُوْنَ اِلَيْهَا وَيَعْجَبُوْنَ مِنْ جَمَالِـهَا فَتَاَذَّتْ مِنْ ذٰلِكَ فَدَعَتْ عَلَيْهِمْ فَهَلَكُوْا جَمِيْعًا.

অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন অতি বিস্ময়কর বেমেছাল খুব ছূরত মুবারক উনার অধিকারিণী। হযরত ইমাম ইবনে কুদামাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেছেন যে, হাবশার এক দল লোক উনার দিকে তাকাতো এবং উনার সম্মানিত ছূরত মুবারক-এ অভিভূত হয়ে বিস্ময় প্রকাশ করতো। এতে তিনি খুব কষ্ট পেতেন। ফলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করেন এবং তারা সকলেই ধ্বংস হয়ে যায়।” সুবহানাল্লাহ! (শারহুয যারক্বানী ‘আলাল মাওয়াহিব ৪/২৩৩)

প্রকৃতপক্ষে সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্পূর্ণ জিন্দেগী মুবারকখানাই সম্মানিত কুদরত মুবারক, সম্মানিত মু’জিযা শরীফ এবং সম্মানিত কারামত মুবারক উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তবে কেনো কোনো সময় উনার কোনো কোনো মহাসম্মানিত শান মুবারক প্রকাশ পেয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন

সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে সুদীর্ঘ প্রায় ৭ বছর হাবশায় অবস্থান মুবারক করেন। এরপর উনাদের নিকট সংবাদ পৌঁছে যে, এখন সম্মানিত মক্কা শরীফ উনার অবস্থা ভালো রয়েছে। তখন উনারা সম্মানিত মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু উনারা এসে দেখলেন যে, সম্মানিত মক্কা শরীফ-এ এখন পূর্বের চেয়েও নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে।

সম্মানিত মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত

হিজরত মুবারক

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক করার প্রায় এক থেকে দেড় মাস পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী

শান মুবারক প্রকাশ

সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত মদীনা শরীফ-এ হিজরত মুবারক করার পর প্রায় এক বছর কয়েক মাস দুনিয়ার যমীন-এ অবস্থান মুবারক করেছেন।

দ্বিতীয় হিজরী সনের সম্মানিত শা’বান মাসের শুরুর দিকে উনার গুটি বসন্ত হয়। তখন থেকে তিনি সম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন। ধীরে ধীরে মারীদ্বী শান মুবারক বেশি আকারে প্রকাশ পেতে থাকেন।

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-

خَلَفَ النَّبِـىُّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلامُ وَحَضْرَتْ اُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ عَلى حَضْرَتْ رُقَيَّةَ عَلَيْهَا السَّلامُ فِـىْ مَرَضِهَا وَخَرَجَ اِلى بَدْرٍ وَّهِـىَ وَجِعَةٌ

অর্থ: “নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে এবং হযরত উসামা বিন যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদেরকে সম্মানিত মদীনা শরীফ রেখে সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক উনার উদ্দেশ্যে বের হন। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক বেশি আকারে প্রকাশ পায়।”

সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক সংঘটিত হয় ১৭ রমাদ্বান শরীফ আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন ১৮ই রমাদ্বান শরীফ। তখন উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলো ২১ বছর ৫ মাস ১৫ দিন। বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনিই সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবিরত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করা

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুপস্থিতিতে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সংবাদ মুবারক পাওয়ার সাথে সাথে অবিরত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি উনার লখতে জিগার সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত রওযা শরীফ যিয়ারত করনে।

সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে গণীমতের মাল বণ্টন

সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়ার কারণে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক-এ না যেয়েও সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক-এ উপস্থিত থেকে জিহাদ করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ উনার ফযীলত মুবারক উনার মধ্যে সমান অংশীদার হবেন। সুবহানাল্লাহ! এবং স্বয়ং নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত বদর জিহাদ উনার সম্মানিত গনীমত মুবারক উনার মাল মুবারকও বণ্টন করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এরূপ দৃষ্টান্ত কায়িনাতের বুকে দ্বিতীয় আর নেই। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে-

اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسَمَ يَوْمَ بَدْرٍ لِـحَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَهْمَهٗ

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ শেষে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার জন্য সম্মানি গণীমতের মাল মুবারক বণ্টন করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম ৪/৫৩, যখায়েরুল উক্ববা)

সুতরাং এখান থেকেই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার ফযীলত কতে বেমেছাল। সুবহানাল্লাহ! যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার বাইরে। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম

হাবশায় (আবিসিনিয়ায়) অবস্থানকালে সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনি ছয় বছর বয়স মুবারক-এ মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।

মহান অল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার মুবারক উসীলায় আমাদের সবাইকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে মুহব্বত মুবারক করার, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার, উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার, উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক জানার, আলোচনা মুবারক করার, সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার এবং সেই অনুযায়ী আমল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!


-আল্লামা মুহম্মদ ছিদ্দীকুর রহমান।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম