সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহি আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ- উনাদের সম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক-এ উপস্থিত হয়ে উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক হাদিয়া এবং উনাদের সম্মানিত ঈমান ও সম্মানিত ইসলাম উনাদের বিষয়টি তাছদীক্ব করা। সুবহানাল্লাহ!

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহি আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ- উনাদের সম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক-এ উপস্থিত হয়ে উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক হাদিয়া এবং উনাদের সম্মানিত ঈমান ও সম্মানিত ইসলাম উনাদের বিষয়টি তাছদীক্ব করা। সুবহানাল্লাহ!


এই ব্যাপারে দশম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল খছায়িছুল কুবরা শরীফ, আল হাওই লিল ফাতাওই ফিল ফিক্বহি ওয়া ‘উলূমিত তাফসীরি ওয়াল হাদীছি ওয়াল উছুলি ওয়ান নাহওই ওয়াল ই’রাবি ওয়া সায়িরিল ফুনূন শরীফ, মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ, আস সুবুলুল জালিয়্যাহ ফিল আবায়িল আলিয়্যাহ শরীফ, আত তা’যীম ওয়াল মিন্নাহ শরীফ এবং নশরুল আলামীন শরীফসহ আরো অন্যান্য কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে, আবুল ক্বাসিম আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ আস সুহাইলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ: ৫৮১ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আর রওদ্বুল উন্ফ ফী শরহিস সীরাতিন নুবুওইইয়াহ লিইবনে হিশাম শরীফ’ উনার মধ্যে, বিশ্বখ্যাত সীরাত বিশারদ, ইমামুল মুহাদ্দিছীন, শায়খুল ইসলাম ইমাম আবূ আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে ইউসূফ ছালিহী শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৯৪২ হিজরী শরীফ) উনার জগতময় আলোড়ন সৃষ্টিকারী সুপ্রসিদ্ধ সীরাতগ্রন্থ ‘সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ উনার মধ্যে, আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে আবী বকর ইবনে আব্দুল মালিক কুসত্বলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৯২৩ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ বিল মিনাহিল মুহম্মদিয়্যাহ শরীফ উনার মধ্যে, আবূ আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল বাক্বী ইবনে ইউসুফ ইবনে আহমদ ইবনে শিহাবুদ্দীন ইবনে মুহম্মদ যারক্বানী মালিকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ১১২২ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘শরহুয যারক্বানী আলাল মাওয়াহিবিল লাদুননিয়্যাহ বিল মিনাহিল মুহম্মদিয়্যাহ শরীফ’ উনার মধ্যে এবং আরো অন্যান্য জগত বিখ্যাত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা উনাদের নিজ নিজ কিতাব মুবারক-এ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

দশম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল হাওই লিল ফাতাওই ফিল ফিক্বহি ওয়া ‘উলূমিত তাফসীরি ওয়াল হাদীছি ওয়াল উছুলি ওয়ান নাহওই ওয়াল ই’রাবি ওয়া সায়িরিল ফুনূন শরীফ উনার ২য় খণ্ডের ২৭৭ পৃষ্ঠায়, মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ উনার ৩৭ পৃষ্ঠায় বলেন,

اِنَّ اللّهَ اَحْيَا لَهٗ اَبَوَيْهِ حَتّٰى اٰمَنَا بِهٖ. وَهٰذَا الْمَسْلَكُ مَالَ اِلَيْهِ طَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْ حُفَّاظِ الْمُحَدّثِيْنَ وَغَيْرُهُمْ مِنْهُمُ ابْنُ شَاهِيْنَ وَالْحَافِظُ أَبُوْ بَكْرٍ اَلْخَطِيْبُ الْبَغْدَادِيُّ وَالسُّهَيْلِىُّ وَالْقُرْطُبِىُّ وَالْـمُحِبُّ الطَّبَرِىُّ وَالْعَلَّامَةُ نَاصِرُ الدّيْنِ بْنُ الْـمُنِيْرِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ وَغَيْرُهُمْ وَاسْتَدَلُّوْا لِذٰلِكَ بِـمَا اَخْرَجَهٗٗ اِبْنُ شَاهِيْنَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِى النَّاسِخِ وَالْمَنْسُوخِ وَالْخَطِيْبُ الْبَغْدَادِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِى السَّابِقِ وَاللَّاحِقِ وَالدَّارَقُطْنِىُّ وَابْنُ عَسَاكِرَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا كِلَاهُمَا فِىْ غَرَائِبِ مَالِكٍ.

অর্থ: ‘নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত রওযা শরীফ উপস্থিত হন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনাকে এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদেরকে উনার সম্মুখে উপস্থিত করেন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনাকে এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদেরকে উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক হাদিয়া করেন এবং উনাদের সম্মানিত ঈমান ও সম্মানিত ইসলাম উনাদের বিষয়টি তাছদীক্ব করেন। অর্থাৎ উনারা পূর্ব থেকেই যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ্আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান এনেছিলেন এবং উনারা সারা কায়িনাতের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈমানদার ছিলেন সেই বিষয়টি সমস্ত মাখলূকাতের মাঝে স্পষ্ট করে দেন। সুবহানাল্লাহ! আর হুফফাযে মুহাদ্দিছীনে কিরাম উনাদের বহু দল এবং আরো অন্যান্য ইমাম মুজাতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এই মতের পক্ষ নিয়েছেন। উনাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন, হুফ্ফাযুল হাদীছ, ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত আবূ হাফছ উমর ইবনে আহমদ ইবনে উছমান ইবনে শাহীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৩৫৮ হিজরী শরীফ), ইমাম হাফিয আবূ বকর আহমদ ইবনে আলী ইবনে ছাবিত ইবনে আহমদ ইবনে মাহদী আল খত্বীব আল বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৪৬৩ হিজরী শরীফ), ইমাম আবুল ক্বাসিম আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ আস সুহাইলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৫৮১ হিজরী শরীফ), ইমাম আবূ আব্দিল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আহমদ শামসুদ্দীন কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৬৭১ হিজরী শরীফ), হযরত ইমাম আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে মুহম্মদ মুহিব্বুদ্দীন ত্ববারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৬৯৪ হিজরী শরীফ) এবং আল্লামা নাছিরুদ্দীন ইবনুল মুনীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ আরো অন্যান্য জগদ্বিখ্যাত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। সুবহানাল্লাহ! উনারা এই সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে দলীল মুবারকও পেশ করেছেন। হুফ্ফাযুল হাদীছ, ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত আবূ হাফছ উমর ইবনে আহমদ ইবনে উছমান ইবনে শাহীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফখানা উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আন নাসিখ ওয়াল মানসূখ’ উনার মধ্যে, ইমাম হাফিয আবূ বকর আহমদ ইবনে আলী ইবনে ছাবিত ইবনে আহমদ ইবনে মাহদী আল খত্বীব আল বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আস সাবিক্ব ওয়াল লাহিক্ব’ উনার মধ্যে এবং ইমাম দারুকুত্বনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং ইবনে আসাকির রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা উভয়ে ‘গরাইবে মালিক’ উনাদের মধ্যে আলোচনা করেছেন।’

আর সম্মানিত হাদীছ শরীফখানা হচ্ছে-

عَنْ حَضْرَتْ اُمّ الْمُؤْمِنِيْنَ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ حَجَّ بِنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ فَمَرَّ بِىْ عَلـٰى عَقَبَةٍ بِالْحَجُوْنِ وَهُوَ بَاكٍ حَزِينٌ مُغْتَمٌّ فَنَزَلَ فَمَكَثَ عَنّـِىْ طَوِيْلًا ثُـمَّ عَادَ اِلَىَّ وَهُوَ فَرِحٌ مُبْتَسِمٌ فَقُلْتُ لَهٗ فَقَالَ ذَهَبْتُ لِقَبْرِ اُمّـِـىْ فَسَاَلْتُ الله اَنْ يُحْيِيَهَا فَاَحْيَاهَا فَاٰمَنَتْ بِىْ وَرَدَّهَا الله.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে নিয়ে সম্মানিত বিদায় হজ্জ মুবারক করেন। অতঃপর তিনি ‘আক্বাবায়ে হাজুন’ (মূলত উহা আবওয়া নামক স্থান। তখন তা এই নামেও পরিচিত ছিলো।) অতিক্রমকালে (উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহিস সালাম উনার স্মরণ মুবারক করে, উনার সম্মানিত মুবহ্বত মুবারক-এ) কান্না মুবারক করছিলেন। উনার সম্মানিত দু’চোখ মুবারক থেকে অজস্র ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত হচ্ছিল। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিষিণœ ও শোকাহত। অতঃপর তিনি অবতরণ মুবারক করলেন অর্থাৎ তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক উপস্থিত হলেন। অতঃপর তিনি আমাকে রেখে সেই সম্মানিত স্থান মুবারক-এ দীর্ঘ সময় মুবারক অবস্থান মুবারক করলেন। তারপর তিনি অত্যন্ত খুশির সাথে, প্রফুল্ল মনে আমার নিকট ফিরে আসলেন। আমি উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এর কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, আমি আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত রওযা শরীফ-এ গিয়েছিলাম। অতঃপর আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আরজি পেশ করি তিনি যেন আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে আমার সম্মুখে উপস্থিত করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে আমার সম্মুখে উপস্থিত করলেন। তারপর তিনি দীর্ঘ সময় আমার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ অবস্থান মুবারক করেন, আমার সম্মানিত ছোহবত মুবারক গ্রহণ করেন। অতঃপর আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি যে পূর্ব থেকেই আমার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছিলেন, তিনি উনার সেই সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি প্রকাশ করেন এবং আমি উনার সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি তাছদীক্ব মুবারক করি। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে উনার সম্মানিত রওযা শরীফ তাশরীফ মুবারক রাখার জন্য বলেন। তিনি উনার সম্মানিত রওযা শরীফ তাশরীফ মুবারক রাখেন।” সুবহানাল্লাহ! {(১) আন নাসিখ ওয়াল মানসূখ, (২) আস সাবিক্ব ওয়াল লাহিক্ব, (৩) গরাইবে মালিক, (৪) আল হাওই লিল ফাতাওই ফিল ফিক্বহি ওয়া ‘উলূমিত তাফসীরি ওয়াল হাদীছি ওয়াল উছুলি ওয়ান নাহওই ওয়াল ই’রাবি ওয়া সায়িরিল ফুনূন শরীফ ২য় খণ্ডের ২৭৭ পৃষ্ঠা, (৫) মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ ৩৭ পৃষ্ঠা’, (৬) আল খছাইছুল কুবরা শরীফ ২য় খণ্ড ৬৬ পৃষ্ঠা ইত্যাদি)}

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اُمّ الْمُؤْمِنِيْنَ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ حَجَّ بِنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجّةَ الْوَدَاعِ فَمَرَّ عَلٰى قَبْرِ اُمّهٖ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بَاكٍ حَزِيْنٌ مُغْتَمٌّ فَبَكَيْتُ لِبُكَائِهٖ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُـمّ اِنَّهٗ نَزَلَ فَقَالَ يَا حُمَيْرَاءُ اسْتَمْسِكِىْ. فَاسْتَنَدْتُّ اِلٰى جَنْبِ الْبَعِيْرِ فَمَكَثَ عَنّـِىْ طَوِيْلًا مَّلِيًّا ثُـمَّ اِنَّهٗ عَادَ اِلَىَّ وَهُوَ فَرِحٌ مُتَبَسّـِمٌ فَقَالَتْ لَهٗ بِاَبِىْ اَنْتَ وَاُمّىْ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلْتَ مِنْ عِنْدِىْ وَاَنْتَ بَاكٍ حَزِيْنٌ مُغْتَمٌّ. فَبَكَيْتُ لِبُكَائِكَ . ثُـمَّ عُدْتَّ اِلَىَّ وَاَنْتَ فَرِحٌ مُبْتَسِمٌ فَمِمَّ ذَا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ ذَهَبْتُ لِقَبْرِ اٰمِنَةَ اُمّىْ فَسَاَلْتُ اَنْ يُحْيِيَهَا فَاَحْيَاهَا فَاٰمَنَتْ بِىْ اَوْ قَالَ فَاٰمَنَتْ وَرَدَّهَا الله عَزَّ وَجَلَّ.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে নিয়ে সম্মানিত বিদায় হজ্জ মুবারক করেন। তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত রওযা শরীফ অতিক্রমকালে উনাকে স্মরণ মুবারক করে উনার সম্মানিত মুবহ্বত মুবারক-এ অনেক নূরুল মুহব্বত মুবারক যাহির করছিলেন। উনার সম্মানিত দু’চোখ মুবারক থেকে অজস্র ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত হচ্ছিল। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিষিণœ ও শোকাহত। উনার এই নূরুল মুহব্বত যাহির করার কারণে আমিও নূরুল মুহব্বত যাহির করলাম। অতঃপর তিনি অবতরণ মুবারক করলেন অর্থাৎ তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক উনার নিকট উপস্থিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, হে হযরত হুমায়রা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম, আপনি কোনো কিছুর উপর ভর করে, কোনো কিছু আঁকড়ে ধরে অবস্থান মুবারক করুন। তারপর আমি উটের পাশে ভর করে অবস্থান মুবারক করলাম। অতঃপর তিনি আমাকে রেখে সেই সম্মানিত স্থান মুবারক-এ দীর্ঘ সময় মুবারক অবস্থান মুবারক করলেন। তারপর তিনি অত্যন্ত খুশির সাথে, প্রফুল্ল মনে আমার নিকট ফিরে আসলেন। তখন উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোন! আপনি যখন আমার কাছ থেকে অবতরণ মুবারক করেন, তখনতো আপনি খুব কঠিনভাবে নূরুল মুহব্বত যাহির করছিলেন। আপনার সম্মানিত চোখ মুবারক থেকে অজস্র ধারায় নূরুল মুহব্বত মুবারক বের হচ্ছিল। আপনি ছিলেন অত্যন্ত বিষণœ ও শোকাহত। আপনার নূরুল মুহব্বত যাহির করার কারণে আমিও নূরুল মুহব্বত যাহির করছিলাম। আর এখন আপনি অত্যন্ত খুশির সাথে, প্রফুল্ল মনে আমার নিকট ফিরে এসেছেন। এর কারণ কি ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত রওযা শরীফ-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়েছিলাম। অতঃপর আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আরজি পেশ করি তিনি যেন, আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে আমার সম্মুখে উপস্থিত করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে আমার সম্মুখে উপস্থিত করলেন। তারপর আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি দীর্ঘ সময় আমার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ অবস্থান মুবারক করেন, আমার সম্মানিত ছোহবত মুবারক গ্রহণ করেন। আমি উনাকে আমার সম্মানিত ছোহবত মুবারক হাদিয়া মুবারক করি। অতঃপর আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি যে পূর্ব থেকেই আমার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছিলেন, তিনি উনার সেই সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি প্রকাশ করেন এবং আমি উনার সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি তাছদীক্ব মুবারক করি। (রাবী বলেন) অথবা তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি যে পূর্ব থেকেই আমার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছিলেন, তিনি উনার সেই সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি প্রকাশ করেন এবং আমি উনার সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি তাছদীক্ব মুবারক করি। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে উনার মহাসম্মানিত রওযা শরীফ তাশরীফ মুবারক রাখার জন্য বলেন। তিনি উনার মহাসম্মানিত রওজা শরীফ তাশরীফ মুবারক রাখেন।” সুবহানাল্লাহ! {(১) আত তাযকিরাহ লিলকুরত্বুবী ১/১২, (২) আর রওদ্বুল উন্ফ লিস সুহাইলী ১/২৯৬, (৩) আস সীরতুল হালবিয়্যাহ ১/১৭৩, (৪) সুবুলুল হুাদ ওয়ার রশাদ ২/১২২, (৫) আত তা’যীমু ওয়াল মিন্নাহ ফী আন্না আবাওয়াই রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিল জান্নাহ শরীফ লিস সুয়ূত্বী ৬ নং পৃষ্ঠা, (৬) আস সাবিক্ব ওয়াল লাহিক্ব, (৭) গরাইবে মালিক, (৮) আল মাওয়াহিবুল লাদুনয়্যিাহ বিল মিনাহিল মুহম্মদিয়্যাহ ১/১০৩, (৯) শারহুয যারক্বানী আলাল মাওয়াহিব ১/৩১৪, (১০) আল মাছ¦নূ‘য়াহ লিস সুয়ূত্বী ১/২৪৫, (১১) তাফসীরে হাক্কী শরীফ ১/২৮৩, (১২) তাফসীরে রূহুল বয়ান শরীফ ১/১৭৩, (১৩) ‘উমদাতুন নাযি¦র ২/২৫৮, (১৪) ফাতওয়ায়ে রমলী ৬/১৬৩, (১৫) তা’লীক্বু সীরতি ইবনে হিশাম ১/১৫৫, (১৬) আর রওদ্বাহ ১/৩২, (১৭) নাশরুল আলামীন লিস সুয়ূত্বী ইত্যাদি)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اُمّ الْمُؤْمِنِيْنَ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاَلَ رَبَّهٗ اَنْ يُحْيِـىَ اَبَوَيْهِ فَاَحْيَاهُمَا لَهٗ فاٰمَنَا بِهٖ ثُـمَّ اَمَاتَهُمَا.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (সরাসরি উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত রওজা শরীফ উনাদের নিকট তাশরীফ মুবারক রেখে) মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সম্মানিত দোআ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনাকে এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদেরকে উনাদের সম্মানিত রওজা শরীফ থেকে তুলে সরাসরি উনার সামনে, উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনাকে এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদেরকে উনাদের সম্মানিত রওজা শরীফ থেকে তুলে সরাসরি উনার সামনে, উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত করেন। তারপর উনারা দীর্ঘ সময় উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ অবস্থান মুবারক করেন, উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক গ্রহণ করেন। তিনি উনাদেরকে সম্মানিত ছোহবত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা যে পূর্ব থেকেই উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছিলেন, উনারা উনাদের সেই সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি প্রকাশ করেন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বিষয়টি তাছদীক্ব মুবারক করেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনাকে এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদেরকে উনাদের সম্মানিত রওজা শরীফ তাশরীফ মুবারক রাখার জন্য বলেন। উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে উনাদের সম্মানিত রওজা শরীফ তাশরীফ মুবারক রাখেন।” সুবহানাল্লাহ!

{(১) আর রওদ্বুল উন্ফ শরীফ ১/২৯৬, (২) আল মাছনূয়াহ লিস সুয়ূত্বী ১/২৪৬, (৩) ‘আল হাওই লিল ফাতাওই ফিল ফিক্বহি ওয়া ‘উলূমিত তাফসীরি ওয়াল হাদীছি ওয়াল উছুলি ওয়ান নাহওই ওয়াল ই’রাবি ওয়া সায়িরিল ফুনূন শরীফ লিস সুয়ূত্বী ২/২৭৭, (৪) মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ লিস সুয়ূত্বী ৩৭ পৃষ্ঠা’, (৫) নাশরুল আলামীন লিস সুয়ূত্বী ১০-১১ পৃষ্ঠা, (৬) আস সুবুলুল জালিয়্যাহ ফিল আবায়িল আলিয়্যাহ শরীফ লিস সুয়ূত্বী ৭ পৃষ্ঠা, (৭) আত তা’যীমু ওয়াল মিন্নাহ ফী আন্না আবাওয়াই রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিল জান্নাহ শরীফ লিস সুয়ূত্বী ৯ পৃষ্ঠা, (৮) সুবুলুন নাজাহ লিস সুয়ূত্বী, (৯) আদ দুরারুল মুনতাছিরাহ ফিল আহাদীছিল মুশতাহিরাহ লিস সুয়ূত্বী ১/২১৮, (১০) শরহু সুনানি ইবনি মাজাহ লিস সুয়ূত্বী ওয়া গইরিহ ১/১১৩, (১১) রসাইলুল ইমামিল হাফিয জালালিদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লালি আলাইহি ফী নাজাতি ওয়ালিদাইন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, (১২) সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ১/২৫৯, (১৩) বাহ্জাতুল মাহাফিল লি‘আমিরী ১/৪৪, (১৪) শারহুয যারক্বনী আলাল মাওয়াহিবিল লাদুননিয়্যাহ বিল মিনাহিল মুহম্মদিয়্যাহ শরীফ ১/৩৬, (১৫) মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ বিল মিনাহিল মুহম্মদিয়্যাহ শরীফ ১/৩১৪, (১৬) তারীখুল খমীস ১/২৩০, (১৭) তানযীহুশ শরীয়াহ ১/৩৩২, (১৮) খ¦তামুন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লিম ১/১১৯, (১৯) বাইয়ানিল আসবাব লিইবনে হাজর আসক্বলানী ১/৩৭১, (২০) কাশফুল খফা ১/৬১, (২১) আস সাবিক্ব ওয়াল লাহিক্ব, (২২) তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ ১/২৯০, (২৩) আস সিরাজুম মুনীর ২/২৯০, (২৪) কিফায়াতুল হাজাহ ১/৪৭৭, (২৫) আত তাযকিরাহ লিজ জারকাশী ১/১৭৪, (২৬) আল মাক্বাছিদুল হাসানাহ ১/৬৭, (২৭) গমযু উয়ূনিল বাছায়ির ৩/২৪০, (২৮) আদ দুররুল মুখতার ওয়া হাশিয়াতু ইবনি আবিদীন ৪/২৩১, (২৯) মুগনিউল মুহতাজ ৪/২০২, (৩০) ফাতওয়ায়ে খলীলী ২/৩০১, (৩১) উক্বূদু দুররিয়্যাহ লিইবনে আবিদীন ২/৩৩০, (৩২) কুররাতুল আইন ১/১০, (৩৩) আয যাওয়াজির আন ইক্বতিরাফিল কাবায়ির লিইবনি হাজর হাইতামী ১/৫৪, (৩৪) সীরাতুল হালবিয়্যাহ ১/৭৫, (৩৫) আত তাওদ্বীহুর রশীদ ফী শারহিত তাওহীদ ১/১৩৫, (৩৬) মির‘আতুল মাফাতীহ ফী শরহি মিশকাতিল মাছাবীহ ৩/৫১৩, (৩৭) যাখীরতুল উক্ববা ফী শরহিল মুজতবা ২০/৩৫, (৩৮) আত তানওইর শরহু জামিয়িছ ছগীর ৫/৩৩১, (৩৯) হাশিয়াতু রদ্দি মুখতার ৪/২৩১, (৪০) রদ্দুল মুহতার ১৬/২৮০ ইত্যাদি}

শাইখুল ইসলাম, আবুল আব্বাস, শিহাবুদ্দীন আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে হাজর হাইতামী, মাক্কী তিনি (বিছাল শরীফ: ৯৭৪ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আয যাওয়াজির আন ইক্বতিরফিল কাবায়ির উনার ১ম খন্ডের ৫৪ পৃষ্ঠায়’ এবং সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার বিশ্বখ্যাত ফক্বীহ ও ইমাম হযরত ইবনে আবিদীন হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ: ১২৫২ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘রদ্দুল মুহতার ‘আলাদ দুররিল মুখতার উনার ৪র্থ খণ্ডের ২৩১ পৃষ্ঠায়’ উল্লেখ করেন-

صَحَّحَهُ الْقُرْطُبِىُّ وَابْنُ نَاصِرِ الدّيْنِ حَافِظُ الشَّامِ وَغَيْرُهُمَا.

অর্থ: ‘এই সম্মানিত হাদীছ শরীফখানা উনাকে ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হাফিযুশ শাম হযরত ইমাম ইবনে নাছিরুদ্দীন দিমাশক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারাসহ আরো অনেকে ছহীহ বলেছেন।’ (আয যাওয়াজির আন ইক্বতিরফিল কাবায়ির লিইবনে হাজর হাইতামী ১/৫৪, রদ্দুল মুহতার ‘আলাদ দুররিল মুখতার ৪/২৩১)

যদিও সম্মানিত সনদ মুবারক উনার কারণে কেউ কেউ এই সম্মানিত হাদীছ শরীফখানা উনাকে যঈফ বলেছেন। তবে নি:সন্দেহে এই সম্মানিত হাদীছ শরীফখানা অবশ্য অবশ্যই ছহীহ। এটাই সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও একমাত্র গ্রহণযোগ্য অভিমত। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অনুরূপ ঘটনা সম্মানিত মি’রাজ শরীফ উনার রজনীতেও ঘটেছিলো। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক গ্রহণ করার জন্য সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানতি বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফ উপস্থিত হন এবং উনারা উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক গ্রহণ করেন। আর স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত রওজা শরীফ উপস্থিত হয়ে উনাদেরকে সম্মানিত ছোহবত মুবারক হাদিয়া করেন। সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং এখান থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন।


-আল্লামা মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীক

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম