সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবত মুবারকই সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবা লাভের মূল মাধ্যম বা উসীলা

সংখ্যা: ২৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবত মুবারকই সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবা লাভের মূল মাধ্যম বা উসীলা


খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

انا اعطينك الكوثر

অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার মুবারক হাদিয়া করেছি।” (পবিত্র সুরা কাওছার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ১)

এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম উনারা দুই ধরণের কথা বলেছেন- ১. মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাউযে কাউছার হাদিয়া করেছেন। ২. মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহন আল্লাহ পাক তিনি “খ¦ইরে কাছীর” হাদিয়া মুবারক করেছেন অর্থাৎ উত্তম সবকিছু উনার সংশ্লিষ্ট করে দিয়েছেন অথবা উনার মুবারক সংস্পর্শে যেসব বিষয় বা যারা এসেছেন সেসব কিছু বা উনারা উত্তম থেকে উত্তমতর হয়ে গিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! যেমন-

১) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বতের কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি রুবূবিয়াত প্রকাশ করে দুনিয়া সৃষ্টি করেন। অতঃপর মানুষসহ অন্যান্য মাখলূক্বাতকে সৃষ্টি করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি না করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কোনকিছুই সৃষ্টি করতেন না।

২) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণেই পবিত্র কালিমা শরীফ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীকার করা ঈমানের মূল। এই পবিত্র কালিমা শরীফ উনার প্রতি স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত কোন নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নুবুওওয়াত দেয়া হয়নি এবং কোন রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে রিসালাত দেয়া হয়নি। সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, জ্বিন-ইনসানসহ সমস্ত সৃষ্টিকুলের পবিত্র কালিমা শরীফ হলো এই কালিমা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

৩) আবুল বাশার হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ললাট মুবারকে রক্ষিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক উনাকে সিজদা না করার কারনেই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইবলীসকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছেন, চির মালঊন ও চিরজাহান্নামী করে দিয়েছেন। তার ৬ লক্ষ বছরের ইবাদতের কোনই মূল্য থাকলো না। অন্যদিকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সিজদা করে নাজাত ও মর্যাদা লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

৪) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণেই উনার র্পূব-পুরুষগণ উনাদের মধ্যে কেউই কুফরী, শিরিকী, ফাসিকী এমনকি কোন অপছন্দনীয় কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন না। বরং উনাদের কেউ নবী আলাইহিস সালাম, কেউবা রসূল আলাইহিস সালাম আবার কেউ বা যুগশ্রেষ্ঠ ওলীআল্লাহ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল বান্দা ও বান্দী হিসেবে গণ্য হয়েছেন। স্বয়ং বেহেশ্ত উনাদের পদধূলি নেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

৫) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আন্তরিক মুহব্বত পোষণ করে আসমানী কিতাব তাওরাত শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক চুম্বন করার কারনেই বণী ইসরাঈলের এক ইহুদী ব্যক্তি ২০০ বছর হায়াত পেয়ে সারাজীবন গুনাহ করার পরেও উনার ইন্তিকালের পর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার ২০০ বছরের গুনাহখতা মাফ করে, জাহান্নাম হারাম করে, জান্নাত ওয়াজিব করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহি সালাম উনার মত জলীলুল ক্বদর রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে দিয়ে উনার গোসল-কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

৬) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মানবজাতির মধ্যে এসেছেন বলে মানুষের অনেক গুনাহখাতা থাকার পরও মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

৭) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণেই উনার লখতে জিগার ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা সম্মানিত বেহেশতের যুবকদের সাইয়্যিদ এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত বেহেশতের মহিলাদের সাইয়্যিদা হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

৮) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্যেই উনার উম্মতগণ অন্যান্য হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উম্মতের চেয়ে বেশী র্মযাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছেন এবং অন্যান্য হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উম্মতের পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

৯) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি ছোহবত মুবারক হাছিল করার জন্যই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হয়েছেন।

১০) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণেই আওলাদে রসূলগণ উনারা দুনিয়ার যে কোন বংশের আওলাদ থেকে বেশী মর্যাদাবান এবং উনাদের মুবারক অস্তিত্ব দুনিয়া টিকে থাকার এবং উনাদের মুবারক মুহব্বত সর্বকালের মানুষের সর্বকালের হিদায়েত ও নাজাতের জন্য মহান উসীলা। সুবহানাল্লাহ!


-মুহম্মদ নিপু

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম