রাজধানীর বায়ুতে বাড়ছে সিসা ও নিকেল। বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে ২৯ হাজার কোটির প্রস্তাব করা হলেও রাজধানীবাসী দৈহিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে মহাক্ষতিকর বায়ু দূষণ রোধে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। রাজধানীর জনজট স্থানান্তর বা রাজধানীর বিকেন্দ্রীকরণ করলেই কেবল দূষণমুক্ত নিরাপদ রাজধানী নিশ্চিত হবে।

সংখ্যা: ২৭৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ঢাকার বাতাসে বাড়ছে সিসা ও নিকেল। পরিবেশ অধিদফতরের পর্যবেক্ষণ বলছে, ঢাকার বায়ুমান সূচক ২৬৯ যা কি-না লাল ক্যাটাগরিতে রয়েছে। বায়ুদূষণের সবচেয়ে বড় কারণ রাজধানীর আশপাশে অপরিকল্পিত ও অবৈধ ইটভাটা। বাংলাদেশে বছরে বায়ুদূষণের কারণে লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। পাশাপাশি শ্বাসকষ্টজনিত নানা সমস্যায় ভোগে অনেকেই। পরিবেশ অধিদফতর আরো বলছে, সম্মিলিত উদ্যোগ আর আইন প্রয়োগ কঠোর না হলে বায়ুদূষণ রোধ করা যাবে না।

উল্লেখ্য, ঢাকার পথের ধুলোয় সর্বোচ্চ মাত্রায় সিসা, ক্যাডমিয়াম, দস্তা, ক্রোমিয়াম, নিকেল, আর্সেনিক, ম্যাঙ্গানিজ ও কপারের অস্তিত্ব মিলেছে। মাটিতে যতটা ক্যাডমিয়াম থাকা স্বাভাবিক, ঢাকায় পদার্থটি পাওয়া গেছে এর চেয়ে ২০০ গুণ বেশি। ক্যাডমিয়ামকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বলে শনাক্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার। বিশেষ করে প্রোটেস্ট ও লাং ক্যান্সারের সঙ্গে এর সংযোগ রয়েছে। অস্টিওপরোসিস ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় এটি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরো পাঁচটি বায়ুদূষণকারী উপাদানের সঙ্গে এটিকে নিষিদ্ধ করেছে। বাতাসে নির্ধারিত মাত্রায় বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু এসব ধাতু নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার বাতাসে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার চারপাশে প্রায় ১ হাজার ইটভাটা নভেম্বর থেকে চালু হয়। সেগুলো এই বায়ুদূষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী। এ ছাড়া রোড ও সয়েল ডাস্ট জন্য ১৮ শতাংশ, যানবাহন ১০ শতাংশ, বায়োমাস পোড়ানো ৮ শতাংশ ও অন্যান্য ৬ শতাংশ রয়েছে। বায়ুদূষণের কারণে ৭ লাখেরও অধিক মানুষ ভুগছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়। সর্বশেষ বৈশ্বিক বায়ু পরিস্থিতি ২০১৮ প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছে ১ লাখ ২২ হাজার ৪শ’ মানুষ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনধারনের জন্য প্রধান নিয়ামক বায়ু এখন জীবনঘাতি হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঢাকা শহরে শুধু গাড়ির ধোঁয়া থেকে বছরে প্রায় তিন হাজার ৭০০ টন সূক্ষ্ম বন্তুকণা প্রতিনিয়ত বাতাসে ছড়াচ্ছে। বাতাসে এ সূক্ষ্মকণার মাত্রা বাড়ার ফলে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের সর্দি, কাশি, হাঁপানি, এলার্জি এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। কার্বন ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোঅক্সাইড বেড়ে যাওয়াতে ফুসফুসে ক্যান্সারও হতে পারে। বাতাসে ভাসতে থাকা সিসা শিশুদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

প্রসঙ্গত, এই বায়ু দূষণের কারনে দিন দিন জনস্বাস্থ্য ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই বাতাসের বিষাক্ত সিসা, কার্বন ডাই অক্সসাইড, কার্বন মন অক্সসাইড, সালফার বাতসের ধূলিকণায় নিঃশ্বাসের সাথে শ্বাস প্রণালীতে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ফুসফুস ক্যান্সার, কিডনী ডেমেজ, লিভারে সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ধরনের ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। নানা ধরনের জটিল রোগ আক্রান্ত হয়ে পড়ায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে মত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে আক্রান্ত শিশুরা।

মূলত, জনস্বাস্থ্যের প্রতি সরকারের অবহেলা এবং এই সকল দূষণের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক কঠোর আইন প্রয়োগে গাফলতির কারণেই আজকে দেশের পরিবেশ ভারসাম্য বিপর্যস্ত হতে চলেছে। বাংলাদেশে সব রকমের দূষণ দূর করার জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ আইন রয়েছে। কিন্তু সেই আইন শুধু কাগজেই রয়ে গেছে। বাস্তবায়নের ছোঁয়া কোনোসময়ই দেশবাসী পায়নি। উল্টো এই দূষণে অংশগ্রহণ করছে খোদ সরকারই। রাজধানীতে প্রতিদিন ৩ কোটি টন বর্জ্য সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা জোরেসোরে বলা হলেও তার কোনো কার্যকারিতা নেই। নগরীতে প্রয়োজন ২৬০ বর্গকিলোমিটার ড্রেনেজ লাইন, কিন্তু রয়েছে মাত্র ১৫০ বর্গকিলোমিটার। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মাতুয়াইলে যে একটি ল্যান্ডফিল রয়েছে, সেখানে ১৭শ টন বর্জ্য দৈনিক ফেলা হচ্ছে। বাকি ১৩শ টন বর্জ্য রাজধানী ও তার আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। ডিসিসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন রাজধানীতে বর্তমানে ৪ হাজার ৫০০ ডাস্টবিন, এগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ডাস্টবিন উপচে যত্রতত্র বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থেকে দূষণ ঘটাচ্ছে পরিবেশের। ওইসব বর্জ্য থেকে দূষিত হচ্ছে বায়ু। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন ভ্রক্ষেপই নেই।

প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, দূষণ রোধে সরকারের উচিত- আলাদা বাজেট বরাদ্দ করা। এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে ২৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ দূষণ রোধে সরকারের কোনো বাজেট নেই। যা যুগপৎভাবে সরকারের অজ্ঞতা ও অবহেলা প্রমাণ করে। তবে এ বিষয়ে আরো প্রনিধানযোগ্য হলো- যে যত বাজেটই করা হোক সব বাজেটই ব্যার্থতায় পর্যবষিত হবে যদি রাজধানীর জনজটের জঞ্জাল পরিস্কার করা না হয়। অর্থাৎ রাজধানীর অসম্ভব জনজটকে স্থানান্তর করা না হয়। রাজধানী মুখী প্রবণতার প্রবাহকে ঘুরিয়ে না দেয়া হয়। রাজধানীর বিকেন্দ্রীকরণ না করা হয় এবং বিকেন্দ্রীকরণের জন্য যা যা শর্ত তথা অন্য জেলাগুলোকে সব সুযোগ সুবিধায় পূর্ণ করা না হয়। কারণ আর তা না করা হতে রাজধানীতে জড় হওয়ার মনোবৃত্তি ঠেকানো যাবেনা। আর তাতে করে দুষণমুক্ত নিরাপদ রাজধানীও নিশ্চিত করা যাবেনা।

প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারের জন্য ফরয হলো: দেশের নাগরিকদের নিরাপদ নগরী হাদিয়া করা। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিরাপদ নগরীর কথা ইরশাদ মুবারক করেছেন। অর্থাৎ নিরাপদ নগরীতেই বসবাস করা সুন্নত। সুবহানাল্লাহ! নগর তথা দেশের ৯৮ ভাগ নাগরিক মুসলমানরা সেই মহান সুন্নত আদায় করতে চান।

-মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী, ঢাকা।

রৌশনীদের ক্ষোভ, দুঃখ, লজ্জা, ক্রোধের দায়ভার নেবে কে? প্রবাহমান সংস্কৃতি পঙ্কিলতার তোড়ে রৌশনীদের সব আকুতি যে নির্মমভাবে ভেসে যাচ্ছে।  সে দায়বদ্ধতা বর্তমান সমাজ আর কত অস্বীকার করতে পারবে? প্রযুক্তি যতটা আপগ্রেড হচ্ছে সে তুলনায় অপরাধ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। কাজেই আদর্শের কাছে ফিরে যাওয়ার বিকল্প নেই। পর্দা পালনে বিকল্প নেই।  ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। এসব কথার প্রতিফলন না হলে খুন, ধর্ষণ আর পরকীয়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে প্রতিটা পরিবার। সমাজ হবে সমাজচ্যুত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৬

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৫

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৪

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৪ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল