হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সম্মানিত বিলায়েত মুবারক হচ্ছে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার স্থলবর্তী সম্মানিত নিয়ামত

সংখ্যা: ২৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

‘আওলিয়া’ শব্দটি ‘ওলী’ শব্দের বহুবচন। আরবী উচ্চারণ اَوْلِيَاءُ (আউলিয়াউ) শব্দটি হচ্ছে বহুবচন আর একবচন হচ্ছে وَلِـىٌّ (ওয়ালিয়্যুন) শব্দটি। অর্থ : বন্ধু, অভিভাবক, সাহায্যকারী, মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত বা প্রিয় বান্দা।

পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে وَلِـىٌّ এবং اَوْلِيَاءُ উভয় শব্দেরই উল্লেখ রয়েছে। ওলী বা আউলিয়া বললেই মানুষেরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী বুঝে থাকে। বাংলায় পুরুষের ক্ষেত্রে আল্লাহওয়ালা এবং মহিলার ক্ষেত্রে আল্লাহওয়ালী শব্দ দুটিও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ওয়ালিয়্যুল্লাহ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু হওয়ার বিষয়টি সহজ নয়। তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি কারো জন্য সহজ করে দিলে কেবল তার জন্য ওয়ালিয়্যুল্লাহ হওয়া সহজ হয়। তথাপি ওয়ালিয়্যুল্লাহ হওয়ার জন্য কোশেশ বা রিয়াযত করার বিষয় রয়েছে।

ولـى (ওলী) শব্দটির উৎপত্তি ولايت (বিলায়েত) মাছদার বা ক্রিয়ামূল থেকে। যেরূপ نبـى (নাবী) শব্দ মুবারক উনার উৎপত্তি نبوت (নুবুওওয়াত) ক্রিয়ামূল থেকে এবং رسول (রসূল) শব্দ মুবারক উনার উৎপত্তি رسالت (রিসালত) ক্রিয়ামূল থেকে।

মূলত বিলায়েত হচ্ছে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার স্থলবর্তী সম্মানিত নিয়ামত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমে সম্মানিত নুবুওওয়াত উনার সমাপ্তি ঘটেছে। ক্বিয়ামত পর্যন্ত উক্ত নিয়ামত আর কেউই লাভ করবেন না। কিন্তু উক্ত নিয়ামত মুবারক উনার স্থলবর্তী যে নিয়ামত অর্থাৎ বিলায়েত মুবারক উনার ধারা ক্বিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ নিয়ামত যিনি খাছভাবে লাভ করেন বা অধিকারী হন উনাকেই ওয়ালিয়্যুল্লাহ বলা হয়। ওয়ালিয়্যুল্লাহ উনার শানে মুর্শিদ ও শায়েখ শব্দ মুবারক দু’টিও ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ফার্সী ভাষায় ‘পীর’ শব্দ মুবারক ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বিশেষ করে ওয়ালিয়্যুল্লাহ হওয়ার জন্য ইলমে ফিক্বাহ উনার পাশাপাশি ইলমে তাছাওউফ উনার তাকমীলে বা পূর্ণতায় পৌঁছতে হয়। আর এ উভয় প্রকার ইলম উনার হাক্বীক্বী নিসবত লাভ করতে হলে তরীক্বত উনার সিলসিলা অনুযায়ী একজন কামিল অর্থাৎ পূর্ণতাপ্রাপ্ত ওলী উনার নিকট বাইয়াত হয়ে উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতঃ তরীক্বতের সবকসমূহ আদায় করার মাধ্যমে বিভিন্ন মাক্বাম বা মনযীল অতিক্রম করে যখন পূর্ণতায় পৌঁছেন তখন মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশে কামিল ওলী বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনাকে পূর্ণতার যে সনদ প্রদান করেন তার নাম হচ্ছে খিলাফত। যিনি খিলাফত লাভ করেন উনাকে খলীফা বলা হয়। প্রত্যেককে খিলাফত লাভ করে খলীফা হয়ে মুর্শিদ বা ওয়ালিয়্যুল্লাহ হতে হয়।

বস্তুতঃ ইলমে তাছাওউফ উনার মূল বিষয়ই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার মত মুবারক অনুযায়ী মত হওয়া এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথ মুবারক অনুযায়ী পথ হওয়া। যিনি উক্ত মত মুবারক ও পথ মুবারক উনাদের পরিপূর্ণ অনুসারী হন তিনিই উলিল আমর এবং তিনিই সত্যিকার ওয়ালিয়্যুল্লাহ।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

من ذكركم الله رؤيته وزاد فى علمكم منطقه وذكركم بالاخرة عمله.

অর্থ : æযাঁকে দেখলে মহান আল্লাহ পাক উনার কথা স্মরণ হয়, যাঁর কথা শুনলে দ্বীনি ইলম বৃদ্ধি হয় এবং যাঁর আমল দেখলে পরকালের আমল করার ব্যাপারে উৎসাহ পয়দা হয়।” (মুসনাদে আবী ইয়া’লা শরীফ)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় মালিকী মাযহাব উনার ইমাম ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

انـما الفقيه الزاهد فـى الدنيا والراغب الـى الاخره والبصير بذنه والـمداوم على عبادة ربه والوارع والكاف عن اعراض الـمسلمين والعفيف عن اموالـهم والناصح لـجماعتهم .

অর্থ : æফক্বীহ বা আল্লাহওয়ালা ওই ব্যক্তি যিনি দুনিয়া হতে বিরাগ, পরকালের প্রতি ঝুঁকে রয়েছেন, গুনাহর ব্যাপারে খুবই সতর্ক, স্বীয় রব তায়ালা উনার ইবাদতে সদা মশগুল, পবিত্র সুন্নত উনার পরিপূর্ণ পাবন্দ, মুসলমান উনাদের মান-সম্ভ্রম নষ্ট করেন না, মুসলমান উনাদের সম্পদের প্রতি লোভ করেন না, অধীনস্থ লোকদেরকে নছীহত বা উপদেশ দিয়ে থাকেন।” (হিলইয়াতুল আউলিয়া, আত তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ)

মোটকথা, যিনি ওয়ালিয়্যুল্লাহ হবেন তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করবেন, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ইলম অনুযায়ী আমল করবেন, সুন্নত মুবারক উনার পরিপূর্ণ অনুসারী হবেন, তাক্বওয়া অবলম্বন করবেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে ব্যতীত আর কাউকে ভয় করবেন না, জীবন ও সম্পদের মুহব্বত করবেন না, দুনিয়ালোভী হবেন না, অর্থলোভী হবেন না, পদলোভী হবেন না। তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুবহু নকশা হবেন এবং উনারই স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি হবেন। আক্বীদায়, আমলে, আখলাক্বে, সীরতে, ছূরতে সবদিক থেকে অর্থাৎ মাথার তালু থেকে পায়ের তলা, হায়াত থেকে মউত প্রতিক্ষেত্রে প্রতি অবস্থায় ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক সকল অবস্থায় তিনি হবেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ অনুসারী, পরিপূর্ণ মিছদাক।

হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ফযীলত বা মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কাল্লামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اَلَا اِنَّ اَوْلِيَاءَ اللهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَـحْزَنُوْنَ  اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ  لَـهُمُ الْبُشْرٰ‌ى فِي الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِـي الْاٰخِرَ‌ةِ ۚ لَا تَبْدِيْلَ لِكَلِمَاتِ اللهِ ۚ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

অর্থ : æজেনে রাখ! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার যারা ওলী উনাদের কোন ভয় নেই এবং কোন চিন্তা বা পেরেশানীও নেই। উনারাই হচ্ছেন প্রকৃত ঈমানদার এবং প্রকৃত মুত্তাক্বী। উনাদের জন্যেই রয়েছে সুসংবাদ পার্থিব জীবনে এবং পরকালেও। মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম বা কথা মুবারকসমূহের কোন পরিবর্তন হয় না। ইহা হচ্ছে ওয়ালিয়্যুল্লাহ উনাদের জন্য বিরাট সফলতা।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২, ৬৩, ৬৪)

অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اِنَّ رَ‌حْـمَتَ اللهِ قَرِ‌يْبٌ مّنَ الْمُحْسِنِيْنَ

অর্থ : নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুহসিনীন বা আল্লাহওয়ালা উনাদের নিকটবর্তী।” (পবিত্র সূরা আরাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

ছহীহ বুখারী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

من عاد لـى وليا فقد اذنته بالـحرب.

অর্থ : æযে ব্যক্তি আমার কোন ওলী উনার সাথে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার সাথে জিহাদ ঘোষণা করি।” (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার থেকে হযরত ওলী আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মর্যাদা সহজেই উপলব্ধি করা যায়।

মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

ان اوليائى تـحت قبائى لا يعرفهم غيرى الا اوليائى.

অর্থ :  æনিশ্চয়ই আমার ওলীগণ উনারা আমার কুদরতি জুব্বা  মুবারক উনার নীচে অবস্থান করে থাকেন। আমি ব্যতীত এবং আমার ওলীগণ ব্যতীত উনাদেরকে কেউই চিনে না।” (রাহাতুল মুহিব্বীন)

অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, বুযুর্গী-সম্মান কত উর্ধ্বে তা সাধারণের পক্ষে জানা বা অনুধাবন করা কখনোই সম্ভব নয়।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

احبوا اولياء الله فانـهم هم الـمقبولون ولاتبغضوهم فانـهم هم الـمنصورون.

অর্থ : æমহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদেরকে তোমরা মুহব্বত করো; কেননা উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে কবুলকৃত, আর উনাদের বিদ্বেষ বা শত্রুতা পোষণ করো না; কেননা উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত।” (কানযুল উম্মাল শরীফ)

এছাড়া মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৬৯নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নিয়ামতপ্রাপ্ত সে বিষয়টি ঘোষণা করেছেন। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِم مّنَ النَّبِيّيْنَ وَالصّدّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِـحِيْنَ ۚ

অর্থ : æমহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নাবিয়্যীন আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছিদ্দীক্বীন, হযরত শুহাদা এবং হযরত ছালিহীন উনাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন।”

স্মরণীয় যে, হযরত নাবিয়্যীন আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা উনাদের প্রথম স্তর আর হযরত ছিদ্দীক্বীন, হযরত শুহাদা এবং হযরত ছলিহীন তথা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হচ্ছেন নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা উনাদের দ্বিতীয় বা পরবর্তী স্তর।

আর পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার মধ্যে নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা উনাদের পথে চলার জন্য বলা হয়েছে। ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اِهْدِنَا الصّرَ‌اطَ الْمُسْتَقِيمَ  صِرَ‌اطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ

শুধু তাই নয়, পবিত্র সূরা লুক্বমান শরীফ উনার ১৫নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-

وَاتَّبِعْ سَبِيْلَ مَنْ اَنَابَ اِلَـيَّ ۚ

অর্থ : æযিনি আমার দিকে রুজু হয়েছেন অর্থাৎ যিনি আমার ওলী বা বন্ধু হয়েছেন উনার পথকে অনুসরণ করে চলো।” (পবিত্র সূরা লুক্বমান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)

বিশেষ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সকল বান্দা-বান্দীকে উনার ওলী হওয়ার জন্য আদেশ করেছেন। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

كُونُوا رَ‌بَّانِيِّيْنَ

অর্থ : æতোমরা সকলেই আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৯)

এখন বান্দা-বান্দীকে যদি আল্লাহওয়ালা হতে হয় তাহলে যিনি আল্লাহওয়ালা হয়েছেন উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে উনাকে অনুসরণ করে আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য কোশেশ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য কোশেশ করার তাওফীক দান করুন এবং আল্লাহওয়ালা হিসেবে কবূল করুন। আমীন।

আল্লামা মুফতী মুসতফা আহমদ

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম