হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭০

সংখ্যা: ২৮৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওই রজব শা’বান রমাদ্বান,

উনারা মাহে খালিক্বি খাইরিহী, রব্বানী ইহসান।

উনারা, মাগফিরাত রহমত বরকতে ভরা সৃষ্টি ফল্গুধারা,

রহেন, উনারা সকল সফল সজিবে সজ্জিত মনকাড়া।

ওই ইলাহী উনার, ইকরামখানি মাসত্রয়ী শিরে শিরে,

গোটা মুসলিম মজনুতে রয়, সেই মোহে বহুতরে।

হাদীছ শরীফে, আখিরী রসূল কহেন আমূল মুবারক ফযীলত,

জেনে মু’মিন মু’মিনা ছেড়েই বাহানা গ্রহিতেছে নিসবত।

মুসলিম রজবে বীজ করছে বপন শা’বানে দিচ্ছে পানি,

দেখি, মাহে রমাদ্বানে কাটছে ফসল, ধন্য জীবন খানি।

ওই দুনিয়া আখির দুইটি ভবেই মুসলিম কামিয়াব,

কেবল নন্দিত আর ধিকৃত রহে  মরদুদ কাজ্জাব।

ওই শাহরুল্লাহ মাহে রমাদ্বানী গুরুত্ব অপরিসীম,

রকমারী, সব নাজ নিয়ামতে রহিতেছে নূরে অসীম।

আল্লাহ পাক স্বয়ং দেন বদলা তোহফায়ে রমাদ্বান,

শুধুই ধন্য বেশুমার, পেয়ে পুরস্কার, ক্বওমে মুসলমান।

মুবারক আযীমুশশান, ৯ই রমাদ্বান, দিপ্তীতে হাজিরান,

রহেন লক্ষ ফযীলত বরকত দিয়ে সে দিবস মহিয়ান।

কায়িনাত জুড়ে সেই সে দিবস শওকতী নূরে সেজে,

রব ও রসূলী মকবুলী শান, যাহির যে মহানাজে।

বিশেষ মহত্ম, রহে যে নিত্য, মাহে রমাদ্বানী নবম দিন,

ওই দেন নির্জীব সব মুসলিমদেরে সঞ্জিবী অমলীন।

ঘটে ওই মুবারক সেই দিবসেই তাত্মিক ইতিহাস,

উহা সমঝদারের সুস্থ দিমাগে গেথে রাখে বিন্যাস।

কেন রমাদ্বানী নবম দিবসে, এতে আয়োজন কায়িনাতে,

কেন ভূলকেই পুলকে রহেন, মু’মিন মু’মিনা বরকতে।

বলি অবশ্য সেই রহস্য, মনযোগ দিয়ে নিন ইয়াক্বীন,

হেলা নাহি করে করুন ফিকির, সহসা রহিতে সেই অধীন।

হায় অগত্যা কেবল রাখে যে গাফিল, কাহিলের গেরাকলে,

জিন্দেগী তব হালাকে রহুক, কভুনা থাকেন এই হালে।

বলি দায়িমী থাকুন মুসলিম  সবে ৯ই রমাদ্বানী নিসবতে,

ওই ভাগ্য আপনার, হবে গুলজার, শাহ সাইয়্যিদী ইজ্জতে।

হবে না নির্বোধ, করি অনুরোধ, ওরেও সকল সমঝদার,

সবাই রহেন অধীর, উচু করে শির,জাগ্রত দূর্বার।

করেন বিচরণ, ওই জ্ঞানীগণ, সেই মুবারক উদ্যানে,

হেথা হতে হাসিল খোদায়ী খাজিনা, সত্যের আহলানে।

ওই ৯ই রমাদ্বানে কার সম্মানে হচ্ছে প্রচার জোরে সোরে,

সেই ইতিহাস, করছি প্রকাশ, আদবের বাহু ধরে।

সেই মহামতি আযমতী, আহলে বাইতী শাহী নায়িব,

তিনি আখিরী রসূলী খাছ আওলাদ উম্মতী তারতীব।

তিনি খলীফাতুল উমামী দায়িত্ব লয়েই তাশরীফ ধরাধাম,

তিনি করেন যিন্দাহ বিশ্বে আবার পবিত্র ইসলাম।

পনের শতক হিজরী ধরায়, কঠিন জাহিলী নিস্ত্্ তরে,

ওই যে এলেন সাইয়্যিদী শির, আল মানছূরী তাজ পরে।

তিনি ক্বায়িম মাক্বামে সুলত্বানুন নাছীর, ছমাদিয়াতের শাহী তেজে,

ফের জব্বারিয়াতী জজবাহি শানে নাশেন তাগুত হররোজে।

পালায়, উনার প্রবল ফায়িজী নজরে, মরদুদ শয়তান,

ধ্বংস, মিসাইল কামান পরমাণু বোম তাগুতী বাসস্থান।

ওই দেখুন দেখুন মুসলিম সবে, আপন চক্ষু মেলে,

নিত্য বিশ্বজুড়েই তাগুত পূজারী জ্বলতেছে বিলকুলে।

ফের তাগুতী পোষ্য স্বগোত্র সনেই করতেছে মারামারি,

মিসাইল বোমা ও  জুলমি থাবায় শান্তিও লয় কাড়ি।

দেখি খোদাদ্রোহীরা ত্রাহির তাপেই জ্বলে পুড়ে ছারখার,

শুনুন, ওরা ইহুদী হিন্দু নাছারা বৌদ্ধ নাস্তিক বদকার।

বলছি, ওরা মুসলমানের চরম শত্রু দুইমুখা কাল সাপ।

হামেশা, ক্বওমে মু’মিন ধ্বংসের তরে করছেই লাফ ঝাপ।

জলন্ত এখনো প্রমাণটা ওই পৃথিবীর দিকে দিকে,

ফিলিস্তীন, ইউঘুর, সিরিয়া, আসাম, আফগানী গণলোকে।

আহা কাশ্মীর, চেচেন, ইরাক রোহিঙ্গা মায়ানমার,

বাস্তব মানবেতরের চরম তলায় করতেছে চিৎকার।

মজলুম সব মুসলমান বাঁচতেই করে আকুতী হায়,

এই প্রেক্ষাপটেও তাগুতবাদীরা ফুর্তিতে গুজরায়।

ওই কুল্লু কাফির এক দেহ তারা, মুসলিম লও শুনে,

বলিনা বাড়িয়ে একটুকুও আমি থেকোনারে আনমনে।

-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮১

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৯৩