হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, আকরমুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক সম্বলিত পবিত্র কালিমা শরীফ যা পবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমানিত 

সংখ্যা: ২৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

انما الـمؤمنون الذين امنوا بالله ورسوله

অর্থ: “নিশ্চয়ই মু’মিন-মুসলমান উনারাই যাঁরা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উপর ঈমান এনেছেন।” (পবিত্র সূরাতুন নূর : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬২)

অর্থাৎ যে ব্যক্তি যিনি খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার প্রতি ঈমান আনার সাথে সাথে উনার যিনি হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপরেও ঈমান আনবেন তিনিই ঈমানদার হবেন। যে ব্যক্তি শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনবে অর্থাৎ পবিত্র কালিমা শরীফ উনার প্রথমাংশ পাঠ করবে ও মান্য করবে, পবিত্র কালিমা শরীফ উনার শেষ অংশ পাঠ না করবে অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত নবী ও রসূল হিসেবে না মানবে সে ব্যক্তি কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।

সুতরাং মু’মিন-মুসলমানগণের ঈমান ও আক্বীদার মূল কালিমা শরীফ হচ্ছেন-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ বা মা’বূদ নেই, সাইয়্যিদুনা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার  রসূল।”

বর্তমান এই আখিরী যামানায় দেশে-বিদেশে কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল ওহাবী খারিজী সালাফী আত্মপ্রকাশ করেছে, যারা বলে আমাদের কালিমা শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক সংযুক্ত করা ঠিক নয়, কেননা এ বিষয়ে সরাসরি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কোনো বর্ণনা নেই। নাঊযুল্লিাহ!

মিথ্যাবাদী দাজ্জাল ওহাবী, খারিজী, সালাফী জাহিল ফিতনাবাজ উলামায়ে ছূ’ ও তাদের অনুসারীদের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, কুফরী ও গুমরাহীমূলক। কারণ ঈমানের কালিমা শরীফ-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

হুবহু এভাবেই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে।

নি¤েœ এ সম্পর্কিত মাত্র দুইখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ পূর্ণ ছহীহ সনদ, মতন ও অর্থসহ উল্লেখ করা হলো-

১ম পবিত্র হাদীছ শরীফ

حدثنا على بن حمشاد العدل املاء رحمة الله عليه ثنا هرون بن العباس الهاشمى رحمة الله عليه ثنا جندل بن والق رحمة الله عليه ثنا عمرو بن أوس الانصارى ح حدثنا سعيد بن ابى عروبة رحمة الله عليه عن قتادة رحمة الله عليه عن سعيد بن الـمسيب رحمة الله عليه عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنهما قال اوحى الله الى حضرت عيسى عليه السلام يا حضرت عيسى عليه السلام امن بمحمد صلى الله عليه وسلم وامر من ادركه من امتك ان يؤمنوا به فلولا محمد صلى الله عليه وسلم ما خلقت حضرت ادم عليه السلام ولولا محمد صلى الله عليه وسلم ما خلقت الجنة والنار ولقد خلقت العرش على الـماء فاضطرب فكتبت عليه لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم فسكن. فاذا حديث صحيح الاسناد.

অর্থ: “হযরত ইমাম হাফিয আবু আব্দিল্লাহ মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ হাকিম নীসাবূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আলী বিন হামশাদ আদল ইমলা রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, হযরত হারূন বিন আব্বাস হাশিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত জানদাল বিন ওয়ালিক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আমর বিন আউস আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।

সনদ পরিবর্তন: হযরত ইমাম হাফিয আবু আব্দিল্লাহ মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ হাকিম নীসাবূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত সাঈদ বিন আবু উরূবাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি হযরত ক্বতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি হযরত সাঈদ বিন মুসাইয়িব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে ওহী করলেন। হে হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনুন এবং আপনার উম্মতের মধ্যে যাঁরা উনাকে পাবে তাঁদেরকে নির্দেশ করুন, উনারা যেনো উনার প্রতি ঈমান আনে। যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টি না হতেন, তাহলে হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকেও তৈরি করতাম না। আমি যখন পানির উপর আরশ তৈরি করলাম তখন তা টলমল করছিলেন, যখনই আরশে মুয়াল্লা উনার মধ্যে কুল কায়িনাতের কালিমা শরীফ

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

লিখে দেই তৎক্ষণাৎ আরশে মুয়াল্লা স্থির হয়ে যান।” (সুবহানাল্লাহ) এই হাদীছ শরীফখানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ।

(আল মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাঈন লিল হাকিম আননীসাবূরী-কিতাবু তাওয়ারীখিল মুতাক্বাদ্দিমীন-যিকরু আখবারি সাইয়্যিদিল মুরসালীন ওয়া খাতামিন নাবিইয়ীন মুহম্মদ বিন আব্দিল্লাহ বিন আব্দিল মুত্তালিবিল মুছত্বফা ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইহি ওয়া আলা আলিহিত ত্বাহিরীন ৪র্থ খ- ১৫৮৩ পৃষ্ঠা, মুখতাছারুল মুসতাদরাক ২য় খ- ১০৬৭ পৃষ্ঠা)

২য় পবিত্র হাদীছ শরীফ

حدثنا ابو سعيد عمرو بن محمد بن منصور العدل رحمة الله عليه ثنا ابو الحسن محمد بن اسحاق بن ابراهيم الحنظلى رحمة الله عليه ثنا ابو الحارث عبد الله بن مسلم رحمة الله عليه الفهرى ثنا اسماعيل بن مسلمة انبأ عبد  الرحمن بن زيد بن أسلم رحمة الله عليه عن ابيه عن جده عن عمر بن الخطاب عليه السلام قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لـما افترى حضرت ادم عليه السلام الخطيئة قال يارب اسألك بحق محمد صلى الله عليه وسلم لـما غفرت لى فقال الله يا حضرت ادم عليه السلام وكيف عرفت محمدا صلى الله عليه وسلم ولـم اخلقه؟ قال يا رب لـما خلقتنى بيدك ونفخت فى من روحك رفعت رأسى فرأيت على قوائم العرش مكتوبا لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم فعلمت أنك لـم تضف الى اسمك الا احب الخلق اليك فقال الله صدقت يا حضرت ادم عليه السلام انه لاحب الخلق الى ادعنى بحقه فقد غفرت لك ولو لا محمد صلى الله عليه وسلم ما خلقتك. هذا حديث صحيح الاسناد.

অর্থ: “হযরত ইমাম হাফিয আবু আব্দিল্লাহ মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ হাকিম নীসাবূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আবু সাঈদ আমর বিন মুহম্মদ বিন মানছূর আদল রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আবুল হাসান মুহম্মদ বিন ইসহাক বিন ইবরাহীম হানযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন আবুল হারিছ আব্দুল্লাহ বিন মুসলিম ফাহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত ইসমাঈল বিন মাসলামাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর দিয়েছেন হযরত আব্দুর রহমান বিন যায়িদ বিন আসলাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা থেকে, তিনি উনার দাদা থেকে, তিনি ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম থেকে। তিনি বলেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া কবুলের সময় হলো। তখন তিনি দোয়া করলেন, হে আমার রব! আমি আপনার কাছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসীলায় প্রার্থনা করছি। অতএব, আমার দোয়া কবুল করুন। মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি কিভাবে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চিনলেন, অথচ এখনো উনাকে বাহ্যিকভাবে দুনিয়ায় প্রেরণ করিনি? জবাবে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে আমার রব! আপনি যখন আমাকে আপনার কুদরতী হাত মুবারক-এ তৈরি করে আমার মধ্যে রূহ ফুঁকে দেন, তখন আমি আমার মাথা উত্তোলন করে আরশে মুয়াল্লা উনার খুঁটিসমূহে লিখিত দেখতে পাই কুল কায়িনাতের কালিমা শরীফ

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ বা মাবূদ নেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল।” তখন আমি বুঝতে পারলাম আপনার নাম মুবারক-উনার সাথে যাঁর নাম মুবারক সংযুক্ত আছেন তিনি সৃষ্টির মধ্যে আপনার সবচেয়ে মুহব্বতের হবেন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি ঠিকই বলেছেন, কারণ তিনিই সৃষ্টির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশী মুহব্বতের। হযরত আদম আলাইহিস সালাম বললেন, আয় আল্লাহ পাক! উনার সম্মানার্থে আমার দোয়া কবুল করুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি আপনার দোয়া কবুল করলাম। যদি আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি না হতেন তাহলে আমি আপনাকেও তৈরি করতাম না।” সুবহানাল্লাহ! এ পবিত্র হাদীছ শরীফ খানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ।

(আল মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাইন লিল হাকিম আননীসাবূরী-কিতাবু তাওয়ারিখিল মুতাক্বাদ্দিমীন- যিকরু আখবারি সাইয়্যিদিল মুরসালীন ওয়া খাতামিন নাবিইয়ীন মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিবিল মুস্তফা ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইহি ওয়া আলা আলিহিত ত্বাহিরীন ৪র্থ খ- ১৫৮৩ পৃষ্ঠা, আছ ছহীহাহ ১ম খ- ৮৮ পৃষ্ঠা, মুখতাছারুল মুস্তাদরাক ২য় খ- ১০৬৯ পৃষ্ঠা, আত তাওয়াসসুল ১১৫ পৃষ্ঠা, তাফসীরুদ দুররিল মানছূর লিছ ছূয়ূত্বী ১ম খ- ৫৮ পৃষ্ঠা, কানযুল উম্মাল ১১ খ- ৪৫৫ পৃষ্ঠা।)

উপরোক্ত বিশুদ্ধ দুখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ ছাড়াও আরো অসংখ্য বিশুদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম নাম মুবারক সম্বলিত পবিত্র কালিমা শরীফ বিশুদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত।

এই কালিমা শরীফ উনাকে স্বীকৃতি দেয়ার পরেই অতীতের সমস্ত হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা পবিত্র নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক লাভ করেছেন।

উল্লেখ্য যে, পবিত্র কুরআন শরীফ ও ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা আরো প্রমাণিত রয়েছে যে, কেউ যদি ক্বিয়ামত পর্যন্ত শুধু

لا اله الا الله

এতটুকু পাঠ করে বা বিশ্বাস করে সে কখনোই ঈমানদার হতে পারবে না, বরং কাফির ও চির জাহান্নামী থেকেই যাবে। যতোক্ষণ পর্যন্ত না সে

محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

এ মুবারক বাক্যকে মনে প্রাণে মেনে না নিবে। অর্থাৎ মু’মিন-মুসলমানের জন্য ঈমানী পূর্ণ কালিমা শরীফ হচ্ছেন-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

অর্থাৎ “মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আর সাইয়্যিদুনা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রেরিত রসূল।”

মূলকথা হলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক মু’মিন-মুসলমানের ঈমানের মূল। উনার নাম মুবারক ছাড়া ঈমানের কালিমা অপূর্ণ।

আয় আল্লাহ পাক! আমাদেরকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত মা’রিফত যিয়ারত ও শাফায়াত নছীব করুন। আমীন।

-আল্লামা মুহম্মদ ফযলুল হক।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম