হারাম সিনেমা করে কথিত নায়িকারাও আরাম পায়না। কিছু সময় খ্যাতি থাকলেও দেহদ্যুতি শেষ হলেই তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয় অনাচার আর ব্যভিচারের বিস্তার ঘটিয়ে তারা দুনিয়াতেই জাহান্নামের কষ্টের কাছাকাছি পৌঁছে যায়

সংখ্যা: ২১৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সংবিধানে নতুন করে ধর্মনিরপেক্ষতা ঢোকানো হয়েছে। সংস্কৃতি চর্চায় অবাধ প্রবাহ চলছে। সিনেমা শুধু হলে আবদ্ধ থাকেনি। মেগা সিরিয়াল, টিভি নাটক থেকে প্যাকেজ নাটক, র‌্যাম্প মডেল, পণ্য মডেল ইত্যাদি হাজারো নামে হাজারো অভিনেত্রী তৈরি হচ্ছে।

অভিনয় ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। বেপর্দা হওয়া হারাম। কথিত সংস্কৃতি চর্চা হারাম। সংস্কৃতির নামে বেপর্দা হারাম। সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। সবধরনের অভিনয় বন্ধ করতে হবে। এসব কথার বিরুদ্ধে সংস্কৃতিবাদীরা, প্রগতিবাদীরা, ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা খুব ক্ষেপে উঠেন।

আমাদেরকে আবার সে অন্ধকার জীবনে, মৌলবাদী জীবনে

মধ্যযুগীয় মানসিকতায় নিয়ে যাওয়া হবে?

এ প্রশ্ন ক্ষোভের সাথে ছুঁড়ে মারেন।

কিন্তু তারা সামগ্রিক বিচারে যাননা।

তারা গোটা পরিণতিকে পর্যবেক্ষণ করতে চাননা।

তারা শুধু ‘আপাত’টা দেখেন

বর্তমানটা বুঝেন।

এসব নায়িকা-গায়িকা পরকালে জাহান্নামের ইন্ধন হবে- ইসলামের এই কথাই শুধু এদের জন্য প্রযোজ্য নয়। শেষ নয়।

বরং এদের দুনিয়াবী জীবনটাও পরিবর্তিতে খুব কষ্টে যায়। কিন্তু সে খবর সংগ্রহ করা হয়না। উপস্থাপন করা হয়না।

কদাচ যা প্রকাশিত হয়- তাতেই এদের জীবনের পরিণতি, কষ্ট উন্মোচিত হয়।

একটি জাতীয় দৈনিকের শেষ পৃষ্ঠায় হেডিং হয়, ‘বড্ড কষ্টে আছে রানী সরকার, কষ্ট নিয়েই চলে যাবে।’

খবরে বলা হয়, “অসুস্থ শরীরের ভার আর সইতে পারছি না। মনে হচ্ছে এই শরীরটা যেন মস্তবড় এক বোঝা। মাঝে মধ্যে মনে হয় এই বুঝি দম বেরিয়ে যায়। শরীরের সব জায়গায় কেন এমন ব্যথা কিছুই বুঝতে পারি না। এরই মধ্যে হঠাৎ ডান পা অবশ হয়ে গিয়েছিল, একেবারে নাড়াতে পারছিলাম না। এত কষ্ট আমি আর সহ্য করতে পারছি না। পায়ের শিরটা ব্যথায় টন টন করছে। কিছু খেতে পারছি না। চোখে ঘুম নেই। কোন কোন সময় খুব খিদা লাগে। কিন্তু যা খাই বমি হয়ে যায়। শরীরে সব সময় একশ’ ডিগ্রীর উপরে জ্বর থাকে। প্রায় এক বছর ধরে ওষুধ খাচ্ছি কিচ্ছু হচ্ছে না। ভাল কোন চিকিৎসা করাতে পারলে হয়ত কিছুদিন বেঁচে যেতে পারতাম। এখন আমার কোন আয় নেই যে ভাল ডাক্তার দেখাব। এই কষ্ট নিয়েই হয়ত আমাকে চলে যেতে হবে। অভিনয় জগতে নিজের জীবনটা বিকিয়ে দিলাম, কিন্তু বিনিময়ে কি পেলাম আমি নিজেই বুঝতে পারি না। প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা না থাকায় চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পেয়ে আমাকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট। দীর্ঘদিন অভিনয় করেছি, মানুষের বাহবা পেয়েছি কিন্তু জাতীয় কোন পুরস্কার আমার ভাগ্যে জোটেনি। নাম বলতে চাই না, চলচ্চিত্র জগতে এমন অনেক শিল্পী আছে, যাদের আমি হাত ধরে ছবির জগতে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। তারা অনেকেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। কিন্তু আমি আস্তাকুড়েই পড়ে রয়েছ্ িতারা কেউ আমার খোঁজ পর্যন্ত নেয় না কথাগুলো বলেছে ষাটের দশকের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রাভিনেত্রী রানী সরকার।

চলচ্চিত্র অঙ্গনের জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী রানী সরকার এখন খুবই অসুস্থ। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বয়সের ভার ও অসুস্থতা তাকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। শরীরের তাপমাত্রা সবসময় একশ ডিগ্রীর উপরে থাকে। অর্থের অভাবে ভাল কোন ডাক্তার দেখাতে পারে না। মাঝে মধ্যে শরীরের কোন কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ওষুধের মধ্যে একমাত্র এইস প্লাস খেয়ে সে জ্বর নিরসনের চেষ্টা করে, কিন্তু কোন ফল হয় না। কোন কিছু জানতেই চাইলে কেঁদে ফেলে। স্মৃতিশক্তিও এখন তেমন ভালো নেই। জীবনের ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা সে এখন আর তেমনভাবে মনে করতে পারে না। মোহাম্মদপুরের ৬ নং প্রধান সড়কের এ ব্লকের একটি বাড়ির নিচতলায় খুবই সঙ্কীর্ণ পরিসরে ভাড়া থাকে এই অভিনেত্রী। শোবার ঘরে একটি মাত্র খাট আর একটি পুরনো ওয়ারড্রোব এবং দেয়ালে টাঙ্গানো পুরস্কার পাওয়া দুটি ছবিই একমাত্র সম্বল। বাড়ি ভাড়া সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে সে এড়িয়ে যায়। শুধু এটুকু বলে, বাড়ির মালিক আমার কাছ থেকে খুব কম ভাড়াই নেয়। প্রায় ৩ বছর ধরে সে অসুস্থ।

আমার যখন ১৪ বছর বয়স তখন আমার খালাত ভাই শেখ মহিতুল হক বাবাকে ঢাকায় আসার পরামর্শ দেয়। বাবা আমাদের সবাইকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকার সদরঘাটে একটি দর্জির দোকানে কাজ করতে থাকে বাবা। সেখানে আমার ভাইয়েরাও কাজ করে। ঢাকাতে সে সময় ননী দাস, মেজবা, গীতা দত্ত, সুরেশ দত্ত প্রমুখের একটি নাটকের দল ছিল। সম্ভবত ১৯৫৮ সালের দিকে মেজবা দাদু ও ননী দার যৌথ নির্দেশনায় ‘বঙ্গের বর্গী’ নামে একটি নাটক তৈরি হয়। এতে একজন বালিকা লুৎফা সরকার। আমার খালাত ভাই মুহিতুল আমাকে ধরে নিয়ে তাদের কাছে দিয়ে বলে, ‘এই নাও, তোমাদের বালিকা লুৎফাকে ধরে এনেছি।’ নাটক কি জানি না, কখনও দেখিওনি। মাত্র এক সপ্তাহ রিহার্সাল করে নাটক মঞ্চায়ন হয় তৎকালীন ঢাকার রথখোলা রেল লাইনের পাশে ‘মাহবুব আলী ইনস্টিটিউটে’।

মঞ্চ দিয়ে এই আমাদের জীবনের প্রথম অভিনয় শুরু। এ নাটকে আমাদের প্রথম ডায়ালগ চিল ‘দাদা দাদা এই দ্যাখো আমি বারুদের বস্তা এনেছি। সেদিন প্রথম হাততালিও পেয়েছিলাম। সেই থেকে শুরু হলো আমার অভিনয়ের পথচলা। অসংখ্য মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছি। এই মুহূর্তে নাম মনে করতে পারচি না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাটক করে বেড়াতাম। ‘বঙ্গের বর্গী’ নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন দেখতে এসেছিলো তৎকালীন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশামুর রহমান। সে আমার অভিনয় দেখে ‘চান্দা’ নামক একটি উর্দু ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ করে দেয়। এ ছবির নায়িকা ছিলো শবনম এবং নায়ক ছিলো গোলাম মুস্তাফা।

এ ছবিতে আমি শবনমের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করি। এই ছবিতে রহমান ও সুলতানা জামানও অভিনয় করে। তখন থেকে আমার নাম হলো রানী সরকার। এই রানী সরকার বলেই সবাই আমাকে জানে। ‘চান্দা’ ছবিটির তখন খুবই জয়জয়কার। একই বছর উর্দু ছবি ‘তালাশ’ ও বাংলা ছবি ‘নতুন সুর’ এ অভিনয় করি। তালাশ ছবিতে আমি নায়িকার ভূমিকায় এবং শওকত আকবর ছিলো নায়ক। ‘তালাশ’ ও ‘নতুন সুর’ দুটি ছবিই খুব জনপ্রিয় হয়।

শিল্পী রানী সরকার প্রায় ২৫০ ছবিতে অভিনয় করেছে।

বিয়ে করে ঘর বাঁধার ইচ্ছা করেনি কেন জানতে চাইলে রানী সরকার বলে, এ কথা এখন অতীত। এটা না বলাই ভাল। আমার ইচ্ছা ছিল জীবনের কথা সবার কাছে তুলে ধরব। শুধু শিল্পের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। টাকা-পয়সার দিকে তাকাইনি।

জাতীয় দৈনিকটির রিপোর্টে শেষ প্যারায় মন্তব্য হয়েছে, আজীবন শিল্পের সেবা করে গেছে এই শিল্পী। অভিনয় জগতে পদার্পণ করে নিজের সুখ কামনা থেকে বিরত থেকেছে। বহু পুরস্কার লাভ করেছে। আজ জীবন সায়াহ্নে এসে সে খুবই অসুস্থ এবং অভাবী চলচ্চিত্র জগতের এই শিল্পীরা কি এভাবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে?”

বলাবাহুল্য, এসব নায়িকারা হলো সাধারণ মানুষের নফসের খোড়াক। এদের দেহ সাধারণ মানুষ চোখে দেখে আর মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভোগ করে। সেই ভোগ যখন শেষ হয় তখন এরা বর্জ্য পদার্থের মতো নিঃশেষিত হয়। যদিও এরা বহু লোকের মনে কামনা বাসনা উদগ্র করে যায়। তাতে করে এরা যে পরকালে জাহান্নামের লাকড়ি হিসেবে তৈরি হয় তাই নয় বরং শেষ বয়সে স্বাস্থ্য সৌন্দর্য হারিয়ে দিন দিন অভাবী হয়। এদের না থাকে সংসার না থাকে অনুগত সন্তান। এর হয় একাকী

হয় অভাবী, হয় অসুস্থ।

এভাবে এরা দুনিয়াতেই জাহান্নামের কষ্টের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে যায়।

কাজেই যারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, প্রগতিবাদী তথা সংস্কৃতিবাদী তারা এসব থেকে শিক্ষা নিবেন কী?

মহান আল্লাহ পাক তিনি যা হারাম করেছেন তাতে মূলত কোন ফায়দা নাই। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা যা ভাল মনে কর সেটাই খারাপ। আর তোমরা যা খারাপ মনে করে তাই ভালো।”

 -মুহম্মদ আরিফুর রহমান

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১