অনুসন্ধান
আর্কাইভ
বিভাগ
হুসনুল খলুক্বি, হুলুওউল কালামি, হামিলু লিওয়ায়িল হামদি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযওয়াজ (আহ্লিয়াগণ), আবনা (ছেলেগণ), বানাত (মেয়েগণ), আ’মাম (চাচাগণ), আম্মাত (ফুফুগণ) ও আখওয়াল (মামাগণ) উনাদের তালিকা
সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ: বিশেষ আটিকেল
قل لا اسئلكم عليه اجرا الا الـمودة فى القربى
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মতদেরকে বলুন, আমি তোমাদের নিকট নুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইত উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরাতুশ শূরা-২৩)
আহলিয়াউহু তথা উম্মুল মু’মিনীন
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণ:
১. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদীজাতুল কুবরা বিন্তু খুওয়াইলিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
২. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাওদা বিন্তু যামআ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৩. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা বিন্তু আবী বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৪. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাফসা বিন্তু উমর ফারূক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৫. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিন্তু খুযাইমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৬. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৭. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিন্তু জহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৮. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত জুওয়াইরিয়া বিন্তু হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৯. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ বিন্তু আবী সুফইয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১০. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মাইমূনাহ বিন্তু হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১১. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যা বিন্তু হুয়াই বিন আখতাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১২. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়াতুল কিবতিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১৩. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত রায়হানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
আবনাউহু তথা ছেলেগণ:
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছেলেগণ উনাদের সংখ্যা সম্পর্কে অনেক মতামত পাওয়া যায়। কারো মতে: ২ জন। কারো কারো মতে: ৩ জন। মশহূর ও ছহীহ্ মতে ৪ জন। উনারা হলেন-
১. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত তইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
এই তিনজন উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে তাশরীফ আনেন।
৪. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। যিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত মারিয়াতুল কিবতিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে তাশরীফ আনেন।
উক্ত আলোচনার স্বপক্ষে অসংখ্য দলীল-আদিল্লাহ রয়েছে।
যেমন- “আত্ তাফসীরুল মাযহারী লি ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি”-এর মধ্যে সূরাতুল আহযাব ৪০ নম্বর আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে বর্ণিত আছে-
له ابناء القاسم والطيب والطاهر وابراهيم. وكذلك الحسن والحسين فان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال للحسن ان ابنى هذا سيد. قلنا ان ابناء الرسول صلى الله عليه وسلم ماتوا صغارا لم يبلغوا مبلغ الرجال واطلاف الابن على الحسنين عليهما السلام على التجوز.
“অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৪ জন আবনা বা ছেলে হলেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সাইয়্যিদুনা হযরত তইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। অনুরূপভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও আওলাদ বা সন্তান। কেননা, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন যে, নিশ্চয়ই তিনি আমার সন্তান। তিনিই সাইয়্যিদ।
আমরা (আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ-এর অনুসারীরা) বলি: হযরত সাইয়্যিদুনা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চার ছেলে প্রত্যেকেই অপ্রাপ্ত বয়সেই বিদায় নিয়েছেন, কেউই প্রাপ্ত বয়সে উপনীত হননি।
অতএব, এখন ক্বিয়ামত পর্যন্ত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের বংশধরগণই আওলাদুর রসূল হিসেবে পরিচিত ও বিবেচিত হবেন।”
বানাতুহু তথা মেয়েগণ
সর্বসম্মতিক্রমে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মেয়ে ৪ জন। সকলেই উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর মাধ্যমে আগমন করেন।
উনারা হলেন:
১. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
২. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৩. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৪. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয্ যাহ্রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
‘শরহুল আল্লামাতিয্ যারক্বানী আলাল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়াহ’ ৪র্থ খণ্ড ৩১৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
فعن ابن اسحاق: فتكون على هذا ثمانية: اربعة ذكور واربعة اناث.
“অর্থাৎ হযরত ইবনু ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তাঁদের সংখ্যা ৮ জন। ৪ জন ছেলে এবং ৪ জন মেয়ে।” অনুরূপ ‘সুবুলুল্ হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ’ কিতাবের ১১তম খণ্ড ১৬ ও ১৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে।
‘সুবুলুল্ হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ’ কিতাবের ১১তম খণ্ড ১৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
نقل ابن الجوزى فى التحقيق عن ابى بكر بن البرقى قال: جميع اولاد رسول الله صلى الله عليه وسلم من خديجة سبعة. ويقال ثمانية: القاسم والطاهر والطيب وابراهيم وزينب ورقية وام كلثوم وفاطمة رضى الله تعالى عنهن.
অর্থাৎ “হযরত ইবনু জাওযী হাম্বলী আশয়ারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘তাহক্বীক্ব’ নামক কিতাবে হযরত আবূ বকর ইবনে বারাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, সাইয়্যিদুনা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৭ জন আওলাদ উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে আগমন করেন। আর সর্বমোট হলেন ৮ জন। উনারা হলেন: হযরত ক্বাসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ত্বাহির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত তইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ইব্রাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত যাইনাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা, হযরত রুকাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা, হযরত উম্মু কুলছূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ও হযরত ফাতিমাতুয্ যাহরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। (অনুরূপ সীরাতুল্ হালবিয়াহ ৩য় খণ্ড ৩৯১ পৃষ্ঠায় আছে)
উক্ত কিতাবের উক্ত খণ্ড ও পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে-
ان ابراهيم من مارية القبطية
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই হযরত ইব্রাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উম্মুল মু’মিনীন হযরত মারিয়াতুল্ কিবতিয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে আগমন করেন।
প্রমাণিত হলো যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছেলে ৪ জন ও মেয়ে ৪ জন ছিলেন।
আ’মামুহু তথা চাচাগণ
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম এবং উনার ভাইয়েরা মোট ১৩ জন ছিলেন। উনারা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার ছেলে ছিলেন।
উনারা হলেন-
১. হারিছ: তিনি পিতার বড় ছেলে ছিলেন। তিনি যম্যম্ কূপ খননের সময় পিতার সহযোগিতা করেছেন। তিনি ইসলামের যুগ পাননি।
২. আবু ত্বালিব: যিনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার প্রায় ৪২ বছর খিদমত করেছেন। তিনি শূপারিশ পেয়ে জান্নাতী হবেন। (মুসলিম শরীফ)
৩. যাবীর: তার কুনিয়াত আবুল হারিছ। তিনিও যম্যম্ কূপ খননের কাজে শরীক ছিলেন।
৪. আব্দুল কা’বাহ: তিনি ছোটবেলাতেই লিখতে শিখেছিলেন।
৫. আম্মুর রসূল সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু: তিনি জলীলুল ক্বদর ছাহাবী ছিলেন। তিনি উহুদ জিহাদে শাহাদাত বরণ করেন।
৬. আম্মুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু: তিনি জলীলুল ক্বদর ছাহাবী ছিলেন।
৭. মুক্বাব্বিম: তার কুনিয়াত আবূ বকর।
৮. হাজ্ল: কেউ অন্য ক্বিরায়াতে জাহ্ল পড়েছেন। তার নাম মুগীরাহ। তাকে ‘খাল্খাল’ও বলা হতো।
৯. দ্বিরার: তিনি কুরাইশদের সুদর্শন ও দানশীল যুবক ছিলেন।
১০. কুছাম: তিনি নাবালিগ অবস্থায় ইন্তিকাল করেন।
১১. আবু লাহাব: তার অপর নাম আব্দুল উয্যা। তার ধ্বংসের ব্যাপারে সূরা লাহাব নাযিল হয়।
১২. গাইদাক্ব: তার নাম মুছআব। কেউ বলেন, নওফিল। তিনি অধিক দান করতেন এজন্য তাকে গাইদাক্ব বলা হত। কেননা, তিনি কুরাঈশদের মধ্যে প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক ছিলেন এবং কুরাঈশদের মধ্যে অধিক দানশীল ছিলেন।
১৩. আবূ রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিছ্ ছলাতু ওয়াসসালাম।
(সুবুলুল হুদা ১১তম খণ্ড ৮২ পৃষ্ঠা, হালাবিয়াহ ৩য় খণ্ড ৪০০ পৃষ্ঠা, শরহুয্ যারকানী ৪ খণ্ড ৪৬৪, ৪৬৫ পৃষ্ঠা)
আম্মাতুহু তথা ফুফুগণ
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফুফু ৬ জন। উনারা হলেন-
১. উম্মু হাকীম: উনার নাম মুবারক ছিল বাইদ্বা।
২. আতিক্বাহ: কারো মতে, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
৩. বাররাহ:
৪. আরওয়া: কারো কারো মতে, তিনিও ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
৫. আমীমাহ:
৬. আম্মাতুর রসূল হযরত ছফিয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। তিনি হযরত যুবাইর ইবনে আওয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাতা ছিলেন। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদীনা শরীফে হিজরত করেন। এমনকি হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খিলাফতকালে ইন্তিকাল করেন।
(আস্ সীরাতুল্ হালাবিয়া ৩য় খণ্ড ৪০০ পৃষ্ঠা, শরহুয্ যারক্বানী ৪র্থ খণ্ড ৪৮৮ পৃষ্ঠা)
আখওয়ালুহু তথা মামা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মামা ছিলেন হযরত আসওয়াদ ইবনে আব্দি ইয়াগূছ বা আসওয়াত বিন ওয়াহ্Ÿ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
উনার থেকে হাদীছ শরীফও বর্ণিত আছে-
ورى ابن منده عن الاسود بن وهب خال النبى صلى الله عليه وسلم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: الا انبئك بشىء عسى الله ان ينفعك به.
অর্থাৎ “হযরত ইবনু মানদাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মামা হযরত আসওয়াদ ইবনে ওয়াহ্Ÿ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয়ই হযরত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (উনার মামাকে) বললেন, আমি কি আপনাকে এমন কিছুর সংবাদ দিব না? যার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক অচিরেই আপনাকে উপকৃত করবেন।” (সুবুলুল্ হুদা ওয়ার রাশাদ ১১তম খণ্ড ১৪২ পৃষ্ঠা)
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে আহলুল বাইত, উম্মুল মু’মিনীন ও আওলাদুর রসূলগণকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত ও অনুসরণ-অনুকরণ করে উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ মুহব্বত, মা’রিফত ও সন্তুষ্টি নছীব করুন। (আমীন)
সাইয়্যিদা সুরাইয়া শরীফা খাতূন
আরও পড়ুন:
কপিরাইট © ১৪৩৬ হিজরী মাসিক আল বাইয়্যিনাত, সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
আর্কাইভ
বিভাগ
হুসনুল খলুক্বি, হুলুওউল কালামি, হামিলু লিওয়ায়িল হামদি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযওয়াজ (আহ্লিয়াগণ), আবনা (ছেলেগণ), বানাত (মেয়েগণ), আ’মাম (চাচাগণ), আম্মাত (ফুফুগণ) ও আখওয়াল (মামাগণ) উনাদের তালিকা
সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ: বিশেষ আটিকেল
قل لا اسئلكم عليه اجرا الا الـمودة فى القربى
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মতদেরকে বলুন, আমি তোমাদের নিকট নুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইত উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরাতুশ শূরা-২৩)
আহলিয়াউহু তথা উম্মুল মু’মিনীন
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণ:
১. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদীজাতুল কুবরা বিন্তু খুওয়াইলিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
২. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাওদা বিন্তু যামআ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৩. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা বিন্তু আবী বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৪. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাফসা বিন্তু উমর ফারূক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৫. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিন্তু খুযাইমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৬. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৭. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিন্তু জহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৮. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত জুওয়াইরিয়া বিন্তু হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৯. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ বিন্তু আবী সুফইয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১০. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মাইমূনাহ বিন্তু হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১১. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যা বিন্তু হুয়াই বিন আখতাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১২. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়াতুল কিবতিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১৩. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত রায়হানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
আবনাউহু তথা ছেলেগণ:
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছেলেগণ উনাদের সংখ্যা সম্পর্কে অনেক মতামত পাওয়া যায়। কারো মতে: ২ জন। কারো কারো মতে: ৩ জন। মশহূর ও ছহীহ্ মতে ৪ জন। উনারা হলেন-
১. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত তইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
এই তিনজন উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে তাশরীফ আনেন।
৪. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। যিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত মারিয়াতুল কিবতিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে তাশরীফ আনেন।
উক্ত আলোচনার স্বপক্ষে অসংখ্য দলীল-আদিল্লাহ রয়েছে।
যেমন- “আত্ তাফসীরুল মাযহারী লি ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি”-এর মধ্যে সূরাতুল আহযাব ৪০ নম্বর আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে বর্ণিত আছে-
له ابناء القاسم والطيب والطاهر وابراهيم. وكذلك الحسن والحسين فان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال للحسن ان ابنى هذا سيد. قلنا ان ابناء الرسول صلى الله عليه وسلم ماتوا صغارا لم يبلغوا مبلغ الرجال واطلاف الابن على الحسنين عليهما السلام على التجوز.
“অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৪ জন আবনা বা ছেলে হলেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সাইয়্যিদুনা হযরত তইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। অনুরূপভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও আওলাদ বা সন্তান। কেননা, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন যে, নিশ্চয়ই তিনি আমার সন্তান। তিনিই সাইয়্যিদ।
আমরা (আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ-এর অনুসারীরা) বলি: হযরত সাইয়্যিদুনা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চার ছেলে প্রত্যেকেই অপ্রাপ্ত বয়সেই বিদায় নিয়েছেন, কেউই প্রাপ্ত বয়সে উপনীত হননি।
অতএব, এখন ক্বিয়ামত পর্যন্ত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের বংশধরগণই আওলাদুর রসূল হিসেবে পরিচিত ও বিবেচিত হবেন।”
বানাতুহু তথা মেয়েগণ
সর্বসম্মতিক্রমে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মেয়ে ৪ জন। সকলেই উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর মাধ্যমে আগমন করেন।
উনারা হলেন:
১. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
২. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৩. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৪. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয্ যাহ্রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
‘শরহুল আল্লামাতিয্ যারক্বানী আলাল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়াহ’ ৪র্থ খণ্ড ৩১৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
فعن ابن اسحاق: فتكون على هذا ثمانية: اربعة ذكور واربعة اناث.
“অর্থাৎ হযরত ইবনু ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তাঁদের সংখ্যা ৮ জন। ৪ জন ছেলে এবং ৪ জন মেয়ে।” অনুরূপ ‘সুবুলুল্ হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ’ কিতাবের ১১তম খণ্ড ১৬ ও ১৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে।
‘সুবুলুল্ হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ’ কিতাবের ১১তম খণ্ড ১৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
نقل ابن الجوزى فى التحقيق عن ابى بكر بن البرقى قال: جميع اولاد رسول الله صلى الله عليه وسلم من خديجة سبعة. ويقال ثمانية: القاسم والطاهر والطيب وابراهيم وزينب ورقية وام كلثوم وفاطمة رضى الله تعالى عنهن.
অর্থাৎ “হযরত ইবনু জাওযী হাম্বলী আশয়ারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘তাহক্বীক্ব’ নামক কিতাবে হযরত আবূ বকর ইবনে বারাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, সাইয়্যিদুনা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৭ জন আওলাদ উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে আগমন করেন। আর সর্বমোট হলেন ৮ জন। উনারা হলেন: হযরত ক্বাসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ত্বাহির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত তইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ইব্রাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত যাইনাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা, হযরত রুকাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা, হযরত উম্মু কুলছূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ও হযরত ফাতিমাতুয্ যাহরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। (অনুরূপ সীরাতুল্ হালবিয়াহ ৩য় খণ্ড ৩৯১ পৃষ্ঠায় আছে)
উক্ত কিতাবের উক্ত খণ্ড ও পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে-
ان ابراهيم من مارية القبطية
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই হযরত ইব্রাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উম্মুল মু’মিনীন হযরত মারিয়াতুল্ কিবতিয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে আগমন করেন।
প্রমাণিত হলো যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছেলে ৪ জন ও মেয়ে ৪ জন ছিলেন।
আ’মামুহু তথা চাচাগণ
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম এবং উনার ভাইয়েরা মোট ১৩ জন ছিলেন। উনারা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার ছেলে ছিলেন।
উনারা হলেন-
১. হারিছ: তিনি পিতার বড় ছেলে ছিলেন। তিনি যম্যম্ কূপ খননের সময় পিতার সহযোগিতা করেছেন। তিনি ইসলামের যুগ পাননি।
২. আবু ত্বালিব: যিনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার প্রায় ৪২ বছর খিদমত করেছেন। তিনি শূপারিশ পেয়ে জান্নাতী হবেন। (মুসলিম শরীফ)
৩. যাবীর: তার কুনিয়াত আবুল হারিছ। তিনিও যম্যম্ কূপ খননের কাজে শরীক ছিলেন।
৪. আব্দুল কা’বাহ: তিনি ছোটবেলাতেই লিখতে শিখেছিলেন।
৫. আম্মুর রসূল সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু: তিনি জলীলুল ক্বদর ছাহাবী ছিলেন। তিনি উহুদ জিহাদে শাহাদাত বরণ করেন।
৬. আম্মুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু: তিনি জলীলুল ক্বদর ছাহাবী ছিলেন।
৭. মুক্বাব্বিম: তার কুনিয়াত আবূ বকর।
৮. হাজ্ল: কেউ অন্য ক্বিরায়াতে জাহ্ল পড়েছেন। তার নাম মুগীরাহ। তাকে ‘খাল্খাল’ও বলা হতো।
৯. দ্বিরার: তিনি কুরাইশদের সুদর্শন ও দানশীল যুবক ছিলেন।
১০. কুছাম: তিনি নাবালিগ অবস্থায় ইন্তিকাল করেন।
১১. আবু লাহাব: তার অপর নাম আব্দুল উয্যা। তার ধ্বংসের ব্যাপারে সূরা লাহাব নাযিল হয়।
১২. গাইদাক্ব: তার নাম মুছআব। কেউ বলেন, নওফিল। তিনি অধিক দান করতেন এজন্য তাকে গাইদাক্ব বলা হত। কেননা, তিনি কুরাঈশদের মধ্যে প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক ছিলেন এবং কুরাঈশদের মধ্যে অধিক দানশীল ছিলেন।
১৩. আবূ রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিছ্ ছলাতু ওয়াসসালাম।
(সুবুলুল হুদা ১১তম খণ্ড ৮২ পৃষ্ঠা, হালাবিয়াহ ৩য় খণ্ড ৪০০ পৃষ্ঠা, শরহুয্ যারকানী ৪ খণ্ড ৪৬৪, ৪৬৫ পৃষ্ঠা)
আম্মাতুহু তথা ফুফুগণ
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফুফু ৬ জন। উনারা হলেন-
১. উম্মু হাকীম: উনার নাম মুবারক ছিল বাইদ্বা।
২. আতিক্বাহ: কারো মতে, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
৩. বাররাহ:
৪. আরওয়া: কারো কারো মতে, তিনিও ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
৫. আমীমাহ:
৬. আম্মাতুর রসূল হযরত ছফিয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। তিনি হযরত যুবাইর ইবনে আওয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাতা ছিলেন। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদীনা শরীফে হিজরত করেন। এমনকি হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খিলাফতকালে ইন্তিকাল করেন।
(আস্ সীরাতুল্ হালাবিয়া ৩য় খণ্ড ৪০০ পৃষ্ঠা, শরহুয্ যারক্বানী ৪র্থ খণ্ড ৪৮৮ পৃষ্ঠা)
আখওয়ালুহু তথা মামা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মামা ছিলেন হযরত আসওয়াদ ইবনে আব্দি ইয়াগূছ বা আসওয়াত বিন ওয়াহ্Ÿ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
উনার থেকে হাদীছ শরীফও বর্ণিত আছে-
ورى ابن منده عن الاسود بن وهب خال النبى صلى الله عليه وسلم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: الا انبئك بشىء عسى الله ان ينفعك به.
অর্থাৎ “হযরত ইবনু মানদাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মামা হযরত আসওয়াদ ইবনে ওয়াহ্Ÿ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয়ই হযরত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (উনার মামাকে) বললেন, আমি কি আপনাকে এমন কিছুর সংবাদ দিব না? যার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক অচিরেই আপনাকে উপকৃত করবেন।” (সুবুলুল্ হুদা ওয়ার রাশাদ ১১তম খণ্ড ১৪২ পৃষ্ঠা)
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে আহলুল বাইত, উম্মুল মু’মিনীন ও আওলাদুর রসূলগণকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত ও অনুসরণ-অনুকরণ করে উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ মুহব্বত, মা’রিফত ও সন্তুষ্টি নছীব করুন। (আমীন)
সাইয়্যিদা সুরাইয়া শরীফা খাতূন
আরও পড়ুন:
বিভাগ
হুসনুল খলুক্বি, হুলুওউল কালামি, হামিলু লিওয়ায়িল হামদি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযওয়াজ (আহ্লিয়াগণ), আবনা (ছেলেগণ), বানাত (মেয়েগণ), আ’মাম (চাচাগণ), আম্মাত (ফুফুগণ) ও আখওয়াল (মামাগণ) উনাদের তালিকা
সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ: বিশেষ আটিকেল
قل لا اسئلكم عليه اجرا الا الـمودة فى القربى
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মতদেরকে বলুন, আমি তোমাদের নিকট নুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইত উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরাতুশ শূরা-২৩)
আহলিয়াউহু তথা উম্মুল মু’মিনীন
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণ:
১. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদীজাতুল কুবরা বিন্তু খুওয়াইলিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
২. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাওদা বিন্তু যামআ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৩. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা বিন্তু আবী বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৪. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাফসা বিন্তু উমর ফারূক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৫. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিন্তু খুযাইমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৬. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু সালামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৭. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিন্তু জহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৮. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত জুওয়াইরিয়া বিন্তু হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৯. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ বিন্তু আবী সুফইয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১০. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মাইমূনাহ বিন্তু হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১১. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যা বিন্তু হুয়াই বিন আখতাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১২. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়াতুল কিবতিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
১৩. উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত রায়হানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
আবনাউহু তথা ছেলেগণ:
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছেলেগণ উনাদের সংখ্যা সম্পর্কে অনেক মতামত পাওয়া যায়। কারো মতে: ২ জন। কারো কারো মতে: ৩ জন। মশহূর ও ছহীহ্ মতে ৪ জন। উনারা হলেন-
১. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত তইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
এই তিনজন উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে তাশরীফ আনেন।
৪. ইবনুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। যিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত মারিয়াতুল কিবতিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে তাশরীফ আনেন।
উক্ত আলোচনার স্বপক্ষে অসংখ্য দলীল-আদিল্লাহ রয়েছে।
যেমন- “আত্ তাফসীরুল মাযহারী লি ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি”-এর মধ্যে সূরাতুল আহযাব ৪০ নম্বর আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে বর্ণিত আছে-
له ابناء القاسم والطيب والطاهر وابراهيم. وكذلك الحسن والحسين فان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال للحسن ان ابنى هذا سيد. قلنا ان ابناء الرسول صلى الله عليه وسلم ماتوا صغارا لم يبلغوا مبلغ الرجال واطلاف الابن على الحسنين عليهما السلام على التجوز.
“অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৪ জন আবনা বা ছেলে হলেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সাইয়্যিদুনা হযরত তইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। অনুরূপভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও আওলাদ বা সন্তান। কেননা, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন যে, নিশ্চয়ই তিনি আমার সন্তান। তিনিই সাইয়্যিদ।
আমরা (আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ-এর অনুসারীরা) বলি: হযরত সাইয়্যিদুনা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চার ছেলে প্রত্যেকেই অপ্রাপ্ত বয়সেই বিদায় নিয়েছেন, কেউই প্রাপ্ত বয়সে উপনীত হননি।
অতএব, এখন ক্বিয়ামত পর্যন্ত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের বংশধরগণই আওলাদুর রসূল হিসেবে পরিচিত ও বিবেচিত হবেন।”
বানাতুহু তথা মেয়েগণ
সর্বসম্মতিক্রমে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মেয়ে ৪ জন। সকলেই উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর মাধ্যমে আগমন করেন।
উনারা হলেন:
১. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
২. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৩. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
৪. বিনতুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয্ যাহ্রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
‘শরহুল আল্লামাতিয্ যারক্বানী আলাল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়াহ’ ৪র্থ খণ্ড ৩১৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
فعن ابن اسحاق: فتكون على هذا ثمانية: اربعة ذكور واربعة اناث.
“অর্থাৎ হযরত ইবনু ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তাঁদের সংখ্যা ৮ জন। ৪ জন ছেলে এবং ৪ জন মেয়ে।” অনুরূপ ‘সুবুলুল্ হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ’ কিতাবের ১১তম খণ্ড ১৬ ও ১৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে।
‘সুবুলুল্ হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ’ কিতাবের ১১তম খণ্ড ১৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
نقل ابن الجوزى فى التحقيق عن ابى بكر بن البرقى قال: جميع اولاد رسول الله صلى الله عليه وسلم من خديجة سبعة. ويقال ثمانية: القاسم والطاهر والطيب وابراهيم وزينب ورقية وام كلثوم وفاطمة رضى الله تعالى عنهن.
অর্থাৎ “হযরত ইবনু জাওযী হাম্বলী আশয়ারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘তাহক্বীক্ব’ নামক কিতাবে হযরত আবূ বকর ইবনে বারাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, সাইয়্যিদুনা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৭ জন আওলাদ উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে আগমন করেন। আর সর্বমোট হলেন ৮ জন। উনারা হলেন: হযরত ক্বাসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ত্বাহির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত তইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ইব্রাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত যাইনাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা, হযরত রুকাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা, হযরত উম্মু কুলছূম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ও হযরত ফাতিমাতুয্ যাহরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। (অনুরূপ সীরাতুল্ হালবিয়াহ ৩য় খণ্ড ৩৯১ পৃষ্ঠায় আছে)
উক্ত কিতাবের উক্ত খণ্ড ও পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে-
ان ابراهيم من مارية القبطية
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই হযরত ইব্রাহীম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উম্মুল মু’মিনীন হযরত মারিয়াতুল্ কিবতিয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাধ্যমে আগমন করেন।
প্রমাণিত হলো যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছেলে ৪ জন ও মেয়ে ৪ জন ছিলেন।
আ’মামুহু তথা চাচাগণ
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম এবং উনার ভাইয়েরা মোট ১৩ জন ছিলেন। উনারা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার ছেলে ছিলেন।
উনারা হলেন-
১. হারিছ: তিনি পিতার বড় ছেলে ছিলেন। তিনি যম্যম্ কূপ খননের সময় পিতার সহযোগিতা করেছেন। তিনি ইসলামের যুগ পাননি।
২. আবু ত্বালিব: যিনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার প্রায় ৪২ বছর খিদমত করেছেন। তিনি শূপারিশ পেয়ে জান্নাতী হবেন। (মুসলিম শরীফ)
৩. যাবীর: তার কুনিয়াত আবুল হারিছ। তিনিও যম্যম্ কূপ খননের কাজে শরীক ছিলেন।
৪. আব্দুল কা’বাহ: তিনি ছোটবেলাতেই লিখতে শিখেছিলেন।
৫. আম্মুর রসূল সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু: তিনি জলীলুল ক্বদর ছাহাবী ছিলেন। তিনি উহুদ জিহাদে শাহাদাত বরণ করেন।
৬. আম্মুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু: তিনি জলীলুল ক্বদর ছাহাবী ছিলেন।
৭. মুক্বাব্বিম: তার কুনিয়াত আবূ বকর।
৮. হাজ্ল: কেউ অন্য ক্বিরায়াতে জাহ্ল পড়েছেন। তার নাম মুগীরাহ। তাকে ‘খাল্খাল’ও বলা হতো।
৯. দ্বিরার: তিনি কুরাইশদের সুদর্শন ও দানশীল যুবক ছিলেন।
১০. কুছাম: তিনি নাবালিগ অবস্থায় ইন্তিকাল করেন।
১১. আবু লাহাব: তার অপর নাম আব্দুল উয্যা। তার ধ্বংসের ব্যাপারে সূরা লাহাব নাযিল হয়।
১২. গাইদাক্ব: তার নাম মুছআব। কেউ বলেন, নওফিল। তিনি অধিক দান করতেন এজন্য তাকে গাইদাক্ব বলা হত। কেননা, তিনি কুরাঈশদের মধ্যে প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক ছিলেন এবং কুরাঈশদের মধ্যে অধিক দানশীল ছিলেন।
১৩. আবূ রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিছ্ ছলাতু ওয়াসসালাম।
(সুবুলুল হুদা ১১তম খণ্ড ৮২ পৃষ্ঠা, হালাবিয়াহ ৩য় খণ্ড ৪০০ পৃষ্ঠা, শরহুয্ যারকানী ৪ খণ্ড ৪৬৪, ৪৬৫ পৃষ্ঠা)
আম্মাতুহু তথা ফুফুগণ
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফুফু ৬ জন। উনারা হলেন-
১. উম্মু হাকীম: উনার নাম মুবারক ছিল বাইদ্বা।
২. আতিক্বাহ: কারো মতে, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
৩. বাররাহ:
৪. আরওয়া: কারো কারো মতে, তিনিও ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
৫. আমীমাহ:
৬. আম্মাতুর রসূল হযরত ছফিয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। তিনি হযরত যুবাইর ইবনে আওয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাতা ছিলেন। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদীনা শরীফে হিজরত করেন। এমনকি হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খিলাফতকালে ইন্তিকাল করেন।
(আস্ সীরাতুল্ হালাবিয়া ৩য় খণ্ড ৪০০ পৃষ্ঠা, শরহুয্ যারক্বানী ৪র্থ খণ্ড ৪৮৮ পৃষ্ঠা)
আখওয়ালুহু তথা মামা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মামা ছিলেন হযরত আসওয়াদ ইবনে আব্দি ইয়াগূছ বা আসওয়াত বিন ওয়াহ্Ÿ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
উনার থেকে হাদীছ শরীফও বর্ণিত আছে-
ورى ابن منده عن الاسود بن وهب خال النبى صلى الله عليه وسلم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: الا انبئك بشىء عسى الله ان ينفعك به.
অর্থাৎ “হযরত ইবনু মানদাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মামা হযরত আসওয়াদ ইবনে ওয়াহ্Ÿ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয়ই হযরত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (উনার মামাকে) বললেন, আমি কি আপনাকে এমন কিছুর সংবাদ দিব না? যার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক অচিরেই আপনাকে উপকৃত করবেন।” (সুবুলুল্ হুদা ওয়ার রাশাদ ১১তম খণ্ড ১৪২ পৃষ্ঠা)
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে আহলুল বাইত, উম্মুল মু’মিনীন ও আওলাদুর রসূলগণকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত ও অনুসরণ-অনুকরণ করে উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ মুহব্বত, মা’রিফত ও সন্তুষ্টি নছীব করুন। (আমীন)
সাইয়্যিদা সুরাইয়া শরীফা খাতূন