সেই সে গণতন্ত্র
ইসলামী বক্ষে আঘাত হানার ইবলিসী মহাযন্ত্র। উহা মুসলমানেরে ধ্বংস করিতে তাগুতের কুট ফাঁদ,
ঐ গণতন্ত্রেই পূর্ণ রহিছে হিংসার বুনিয়াদ।
তামাম পৃথিবী ছেয়ে রাখে হায় ঐ ফাঁদ মজবুতে,
সেই না ফাঁদের রশি খানি রাখে শয়তান নিজ হাতে।
সেই ফাঁদে আছে ইহুদী-নাছারা, মজুসী বৌদ্ধ নম
ঐ ফাঁদে পাতা শিয়া-কাদিয়ানী, ওহাবীও তৎসম।
সেই না ফাঁদেই লুকোচুরি খেলে খারিজী ও রেজাখানী,
সেথায় ছয় উছুলের তাবলিগীসহ মওদুদী টানে ঘানি।
ভণ্ড সুধী ও মৌলভী পীর প্রগতি সুশীল নামে,
তাগুতি নভেল লভিবার তরে জপতে রহিছে ধুমে।
দুশমনদের পুরষ্কার পেয়ে কুখ্যাত ঐ ডক্টরেট,
তাগুতি শাসন ক্বায়িম করতে লুফিছে তুচ্ছ ভ্যাট।
আহ্! গণতন্ত্রের চমকানি রূপে সহজেই সবে কাত,
ঐ চমকেই মুসলিম হয়েই খুলিয়া ফেলিছে জাত।
দেখ তাগুতি বুলি আওরায় আর তাগুতি ইশ্কে নাচে,
ফিরিঙ্গি কায়ায় রঙ্গিলা হয়ে কুফরী খায়েশ যাঁচে।
মনমতে ঐ ওহাবী খারিজী রেজাখানি সব হাটে-ঘাটে,
গণতন্ত্রের জয়ধ্বনি গেয়ে তাহারা রহিছে ঘুটঘুটে।
মওদুদী জামায়াতও মৌজে রহিছে মন্দিরে যেয়ে যেয়ে,
ফের ফুলতলী পীর ফুর্তি করিছে তাগুতি বান্দা হয়ে।
ঐ নেংড়া বুড়ায় ভিডিও ক্যামেরায় বিকট হাসিয়া বসে,
মসজিদ মাদ্রাসায় সিনেমা বানায় অধুনা বাংলাদেশে।
ঐ হদছ-কমিনী-মাহি-সাঈদী-কির্ত্তনী মাহফিলে,
গণতন্ত্রের গীত গাহিতেছে টুপি ও জুব্বা খুলে।
কহে সর্বেসর্বা অধুনা যুগেতে গণতন্ত্রই মূল,
উহায় তোমায় মুক্তি যোগায় দুই কূলে বিলকুল।
নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!! তাগুত পুজারী ধ্বংস হউক
আমি কবি আজ সত্য লিখিছি তোদের মুখেই মারিয়া থুক্।
ঐ রাজাধিরাজ স্রষ্টা পাঠান শোন হে বিশ্ববাসী,
আজ বীর মুজাদ্দিদ কাশিমী তখতে ধরাতে গেলেন আসি।
তিনি পরিত্রানদাতা ইনসানদের প্রগতি জাহিল যুগে,
বীর বাহাদুর রণ রণ সাজে গর্জে রাজারবাগে।
দংশিত দিল উদ্ধারে তিনি আল্লাহর দৌলত,
দাজ্জালদের দংগল দলায়ে দেখান আসানি পথ।
ইঙ্গ-মার্কি চীন ভারত রাশিয়া যে টলমল,
ইসরাইল নিজ মিশাইল খোচায় লুকাইছে মর্তল।
ঐ ঘৃণ্য ওহাবী কাদিয়ানী শিয়া দেওবাদী থর থর,
কাঁপিতেছে আজ আফ্রিকা বনে পরাজয় খরতর।
হুশিয়ার হও মুসলিম তোরা দুশমনে দ্বীন হতে,
ঢলিয়া পড়না হায় হায় আজ তাগুতের তাজবিতে।
ঐ মুসলিম তোর ঈমান চোর ক্বায়িমী সুশীল যারা,
দুনিয়ালোভী পীর ফকির আর মৌল্ভী প্রেতাত্মারা।
মনোনীত হয় দ্বীন ইসলাম আল্লাহ কুরআনে কন,
ঐ রাসুলাদর্শে কেবল রহিছে মানবী উত্তরণ।
এছাড়া দোস্রা মত-পথে রহে পরিতাপ অভিশাপ,
ঐ তাগুত মতেই মুমূর্ষতায় ঘিরিছে মরণ ধাপ।
ঈমান করে খুন তাগুতি কানুন, সেথা শুধু জিল্লতি,
সেথায় তোমায় হাদিয়া দিচ্ছে কত না বেইজ্জতি।
দেখ মুজাদ্দিদের তাজদীদে ভাঙ্গে হক্ব তালাশির ঘুম,
আজ জাগরণ দুনিয়াব্যাপী উত্থিত মহাধুম।
আল বাইয়্যিনাত আল ইহসান দেয়াল লিখনি দিয়ে,
ফের গঞ্জে গঞ্জে ছফর করিয়া হক্ব কন নির্ভয়ে।
জালজালা হায় পয়দা হলরে তাগুতবাদীর দিলে,
ঐ আজদাহা রূপী হিংস্র হায়েনা তাগুত রহিছে ঢলে।
ঐ পঞ্চদশ শতকের মুজাদ্দিদ তব ডাক দেন তরতীবে,
তাঁর ডাকে সারা দাওরে মু’মিন সহজেই উত্রীবে।
তিনি মুজাদ্দিদ খানদানে সাইয়্যিদ রাজারবাগেই থাকেন,
শাহ সুলতান আওলিয়া তিনি জগৎ উজালা রাখেন।
তিনি জাব্বারিয়াতের তখ্তে বসিয়া তাড়ান তাগুত বিয়াবান,
তিনি ক্বাবিয়্যাতের হাতিয়ার দিয়ে কায়িমী কাটেন মহাশানে।
তিনি জালালিয়াতের বর্ম পড়িয়া রুখেন জাহিলিয়াত,
তিনি জামালিয়াতের স্নিগ্ধে রাখেন পূর্ণ ইনসানিয়াত।
তিনি কুফর হটাতে হিমাদ্রী বীর নির্ভিক হায়দার,
তিনি হক্ব তালাশির দরদি সিরাজ রাহ্গীরে শান্দার।
আজ দেড়শ’ কোটি মুসলমানের তিনি হন সরদার,
বিশ্বের বুকে মুসলিম ডেকে জাগান যে বারবার।
দেখ কুখ্যাত ঐ আব্রাহামের গণতন্ত্রের ফাঁদ,
তিনি মুজাদ্দিদ একাই ছিড়েন তাগুত রেখে উম্মাদ।
আয়রে মানুষ হুশ পেতে আয় লইতে খোদার দান,
ঐ রাজারবাগেই রফে দারাজাত নূরে নূরে আহলান।
কাট্টা হারাম গণতন্ত্র মুসলমানেরা কর ইয়াক্বীন,
এই বলিষ্ঠ ফতওয়া মুজাদ্দিদ দেন মুসলিম গ্রহে নিন।
পরোক্ষ আর প্রত্যক্ষে তিনি বিশ্ববাসীরে দেন জানায়,
দ্বীন ইসলামেই সব কল্যাণ চলে আয় চলে আয়।
বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫১