যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৪

সংখ্যা: ১৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

 মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন/১)  উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো- “মিথ্যা কথা বলা।” মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও  দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,  [ধারাবাহিক]   (১০) মহা কায্যাব তথা কথিত জামিয়া দ্বীনিয়ার শায়খুল হদছ সুলাইমান ওরফে ‘মুসাইলামাতুল কায্যাব’ তার ভ্রান্ত ও কলঙ্কিত রেসালা ‘আদ দ্বীনে’ লিখেছে, “….. যাত্রাবাড়ীর বহু মুরীদ ও খলীফার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের ….. তাদের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি (রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী) একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ।” (নাঊযুবিল্লাহ) লা’নাতুল্লাহি আলাল কাযিবীন।  “মিথ্যাচারিতার খ-নমূলক জবাব” উক্ত মহা কায্যাবের দাবী, সে নাকি ‘শায়খুল হাদীছ’। অথচ তার এ হাদীছ শরীফই জানা নেই যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব ইরশাদ করেন,

 كفى بالمرء كذب ان يحدث بكل ما سمع.

 অর্থাৎ “মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায় (যাচাই-বাছাই বা তাহক্বীক্ব করে না)।” (মিশকাত শরীফ) যাত্রাবাড়ীর মুরীদ ও খলীফাগণ তো দূরের কথা, পৃথিবীতে এমন কোন সন্তানই জন্মগ্রহণ করেনি, যে প্রমাণ করতে সক্ষম হবে যে, ইমামুল আইম্মা, আওলাদে রসূল, রাজরবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী পুলিশে চাকুরী করেছেন। বুযূর্গ পিতার আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণে পুলিশের চাকুরী কেন, কোন ধরনের চাকুরী করা বা অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত হবার প্রয়োজনই তাঁর হয়নি। তা ছাড়া, দুনিয়ায় ইসলাম ধর্ম পালনের জন্য তিনি আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল। তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম। ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক, অর্থাৎ বাতিল মতবাদ, আক্বিদা, আমল ও আচার-আচরণ দূর করে আল্লাহ পাক-এর আহকাম এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত পালনে মানুষকে অভ্যস্ত করে তোলার জন্য তিনি রব্বুল আলামীনের মনোনীত খাছ মুজাদ্দিদ। ধোঁকাবাজ, প্রতারক ও নিকৃষ্ট জীব দুনিয়াদার আলিমদেরকে পর্যুদস্ত করে মানুষকে প্রকৃত দ্বীনের পথে ধাবিত করার জন্য তিনি হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কায়িম-মক্বাম। তাঁর জন্য একমাত্র আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রেযামন্দি হাছিল ছাড়া চাকুরী করে অন্য কারো গোলামী করার প্রয়োজন হবে কেন? যদিও হালাল চাকুরী করে অর্থ উপায় বৈধ। শিশুকাল থেকেই রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লৗুহুল আলী মহান আল্লাহ পাক এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুহব্বত, মা’রিফাত ও রেযামন্দির কাজে নিরন্তর নিমগ্ন। পুলিশে চাকুরী করা সম্পর্কে মহা কায্যাব মুসাইলাম-এর উপরোক্ত মনগড়া বক্তব্য অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বানোয়াট এবং সর্বৈব ডাহা মিথ্যা। তার যদি মুরোদ থাকতো, তবে বিষয়টি যে তথ্য সূত্র থেকে সে পেয়েছে, তা উল্লেখ করার সাহস পেলোনা কেন? তার মতো জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত জাহিল এবং অনুক্ষণ মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত আকারে মানুষ, কিন্তু প্রকারে ইবলিসের দোসরের জানা না থাকাই স্বাভাবিক যে, কোন ব্যক্তি পুলিশে চাকুরী করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঐ ব্যক্তির নথি ও রেকর্ডপত্রাদি আবশ্যিকভাবে সংরক্ষিত থাকে। বাংলাদেশে বহাল তবিয়তে বিদ্যমান পুলিশ দপ্তর সমূহে খোঁজ নিয়ে তার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ ও প্রকাশের জন্য তার প্রতি চ্যালেঞ্জ রইলো। এ চ্যালেঞ্জের সময় দীর্ঘ মেয়াদী নয়। কারণ ধোঁকাবাজ, প্রতারক ও মিথ্যুক মুসাইলাম-এর বিরুদ্ধে আঞ্জুমানে আলবাইয়্যিনাত, বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে মানহানি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি প্রায় সমাপ্তির পথে। সকলেরই জানা যে, কুকুর এমন এক প্রাণী, তার উপর বোঝা চাপালেও হাঁপায়, না চাপালেও হাঁপায়। হামেশা জিহ্বা থেকে টপ টপ করে পানি পড়তে থাকে। কায্যাবুদ্দীনেরও একই দশা। আল বাইয়্যিনাতে হক্ব কথা লিখলে এবং তাদের বদ জারিজুরি ফাঁস করলে হিংসার আগুনে স্বভাব-সম্পৃক্ত বদ খাসলতে তার কলিজা কাবাব হয়। আবার খালিছ তওবা করে দ্বীনের আলোয় আসার জন্য দাওয়াত দিলেও তাদের পিত্ত জ্বলে উঠে। চার পা ও দু’ পায়ের কি একাকার দশা! তবে মিথ্যা ও ধোঁকাবাজির খোলস তার যতো পুরুই হোক, তার ন্যাক্কারজনক পরিণতি ঠেকাবে কে? (চলবে) -মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন