সংখ্যা: ২৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৯

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হলো- মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীরা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসব মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নিম্নে প্রদত্ত হলো-

১৩. প্রসঙ্গ: “লক্বব ও আলিমদের দোষ”

মুনাফিক গোষ্ঠীর ১৩নং বক্তব্যটিও যে ডাহা মিথ্যা ও বানানো আপনারা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফের যে কোনো একটি সংখ্যা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে দেখলেই তার প্রমাণ পেয়ে যাবেন। মূলত, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফের অধিকাংশ পৃষ্ঠাগুলোই ওয়াজ শরীফ, তাফসীর শরীফ, হাদীছ শরীফ, ফিক্বাহ-ফতওয়া, জরুরী সুওয়াল-জাওয়াব ও গুরুত্বপূর্ণ মতামতে ভরপুর। তাছাড়া যদি সম্পূর্ণ পত্রিকাটিই রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার প্রশংসায় ভরপুর থাকে। তাতে তাদের অসুবিধা কি? তারা কি প্রমাণ করতে পারবে এটা সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ!

আর “আল বাইয়্যিনাত শরীফের অর্ধেক পৃষ্ঠায় আলিমদের গালি-গালাজ করা হয়” মুনাফিক গোষ্ঠীর এ বক্তব্যও ডাহা মিথ্যা ও বিদ্বেষ প্রসূত। মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফের কোথাও হক্কানী আলিমদের গালি-গালাজ করা তো দূরের কথা সমালোচনাও করা হয় না। বরং হক্কানী আলিমদের ছানা-ছিফত করা হয়। তবে মতামত বিভাগে দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী আলিম তথা উলামায়ে ‘সূ’দের মুখোশ উন্মোচন করা হয়। অর্থাৎ যারা দুনিয়ার লোভে হারামকে হালাল বলে হালালকে হারাম বলে ইসলামের নামে হরহামেশা হারাম কাজে মশগুল থাকে। যেমন বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, গণতন্ত্র, ভোট, নির্বাচন, হরতাল, লংমার্চ, কুশপুত্তলিকা দাহসহ এরূপ হাজারো হারাম কাজে মশগুল থাকে তাদের থেকে মানুষদেরকে সতর্ক করার জন্যই তাদের দোষ-ত্রুটিগুলো তুলে ধরা হয়। আর এটা মূলত, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ। এজন্যে হুজ্জাতুল ইসলাম, ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “কিছু সময় দুনিয়াদার মৌলভীদের দোষত্রুটি বর্ণনা করা ষাট বৎসর বেরিয়া নফল ইবাদতের চেয়েও উত্তম।” (তালবীসুল ইবলীস)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।