সারা বিশ্বে আজ মুসলমান অবর্ণনীয় নির্যাতিত হওয়া থেকে নির্বিচারে শহীদ হচ্ছে। কাফিররা অবাধে মুসলিম মেয়েদের সম্ভ্রম লুণ্ঠন করছে। কাফিররা মুসলমান মেয়েদের পেটে কাফিরের বাচ্চার অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। নির্যাতিত নিপীড়িত মুসলমানের পাশে অন্য মুসলমান নেই। ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িতার অপপ্রচার মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধকে অপসৃত করছে। মুসলমানদের জন্য সম্মানিত ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধের বিকল্প নেই।

সংখ্যা: ২৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে দেশব্যাপী খ্রিস্টান-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বোসানগোয়া শহরে।

মুসলিমদের বিরুদ্ধে খ্রিস্টান মিলিশিয়াদের বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনার খবর পেয়েছে আফ্রিকান বাহিনী এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো। এটা গত ২৩শে ডিসেম্বরের খবর। আর পুরো বছর জুড়েই আমেরিকা এবং ইউরোপের খ্রিস্টান, ইসরাইলের ইহুদী, ভারতের হিন্দু, থাইল্যান্ড-মায়ানমারের বৌদ্ধ, রাশিয়ার নাস্তিক সকলেই সমানভাবে মুসলিম নির্যাতনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। যার ব্যাপক, বীভৎস ও নির্মম খবর পাওয়া গেছে। অর্থাৎ মুসলমানদের রক্ত ঝরাতে বিধর্মীরা কেউ পিছিয়ে নেই।

মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভারত, ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, বসনিয়া, চেচনিয়া, মিশর, চীন, সুদান, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া, আজারবাইজান, পাকিস্তান, লেবানন এবং আরো বহুদেশে প্রতিদিন মুসলমানদের রক্ত ঝরছে।

অথচ এসব দেশে মুসলমানদের এই নির্যাতন, নিপীড়নের পরেও নেই অন্য কোনো মুসলিম দেশের নেই কোনো মাথা ব্যথা। অথবা ৩৭০ কোটি মুসলমান উনাদের হৃদয়ে নেই কোনো দরদী, সহমর্মী অনুভূতি বা বেদনা অথবা প্রতিবাদের ভাষা কিংবা প্রতিশোধের জিহাদী চেতনা ।

মুসলমানদের সম্পদ দখল এবং ইহুদীদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ইরাকে যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তা অকল্পনীয়, অবর্ণনীয়। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার নামে আমেরিকা- ইরাক দখল করেছে। লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেছে। লাখ লাখ মানুষকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু করে দিয়েছে। ধ্বংস করেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, শিল্প কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এটাকে যুদ্ধ বলা যায় না। এ যুদ্ধ হচ্ছে- ইরাকের বিশাল সম্পদ দখলের যুদ্ধ। এখানে চলছে সাধারণ জনগণ, নারী, শিশু হত্যার যুদ্ধ। সম্পদ লুণ্ঠনের যুদ্ধ। মুসলমান মা-বোনদের সম্ভ্রম নির্মমভাবে নিষ্পেষনের চিত্র।

ইরাকের বিভিন্ন কারাগারে ইরাকি নারী পুরুষ বন্দি আছে। সেই রকম একটি কারাগার হচ্ছে আবু গরিব কারাগার। সেখানে অনেক নারী বন্দীদের মধ্যে ফাতেমা নামে এক নারী অনেক কষ্টে ইরাকি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে তাদের উপর মার্কিনী ম্লেচ্ছ, যবন খ্রিস্টানরা যে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা জানিয়ে বহু কষ্টে একটি চিঠি পাঠাতে সক্ষম হয়।

ফাতেমার চিঠি বাংলা অনুবাদ করে এখানে তুলে ধরা হলো।

ফাতেমা লেখেন-

মহান করুণাময় আল্লাহ্র নামে শুরু করছি। বল আল্লাহ্ এক, তিনি সবকিছুর একমাত্র সত্তাধিকারী, তিনি কারো কাছ থেকে জন্ম নেননি, কাউকে জন্মও দেননি। তাঁর সঙ্গে তুলনীয় কেউ নেই এবং কখনো তাঁর সমকক্ষ কেউ হবে না। সূরায়ে আল-ইখলাস।

প্রিয় ইরাকি মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা, আমি শুরুতে সূরা ইখলাসের উদৃ দিলাম, কারণ এই সূরাটি আমার কাছে মহান আল্লাহ্ তাআলার পরিচয় তুলে ধরতে সবচেয়ে ভাল মনে হয়। মুমিনদের অন্তরে এই সূরাটি গেঁথে আছে দৃঢ়ভাবে। হে আল্লাহর পথে লড়াইকারী প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা আপনাদের বলার আর কি আছে আমার, শুধু এইটুকুই বলি আমার মতো অসংখ ইরাকি বোনকে আটকে রাখা হয়েছে। এবং মার্কিন সৈন্যরা তাদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে, আমাদের পেটে এখন মার্কিনী সৈন্য পশুদের বাচ্চা। প্রিয় ভাইয়েরা, আমি আপনাদের ধর্মীয় সম্পর্কের বোন, আমাকে একদিন নয়বার (৯) শ্লীলতাহানি করা হয়েছে, ধারণা করতে পারবেন, আচ্ছা কল্পনা করুন তো আপনার আপন বোনকে যদি এভাবে সম্ভ্রমহরণ করা হতো কেমন লাগত আপনার? আমাকে কেন আপন বোন ভাবতে পারেন না আপনারা? আমার মতো ১৩টি মেয়ে রয়েছে আবু গরিব কারাগারের এই প্রকোষ্টে। সকলেই অবিবাহিতা। মার্কিন পশুরা আমাদের শরীর থেকে পোশাক কেড়ে নিয়ে গেছে। তারা আমাদের পোশাক পরতে দেয় না। সকলের সামনেই তারা আমাদের সাথে সম্ভ্রমহরণ করে। এই হচ্ছে আমাদের এখানকার দিনলিপি। এভাবে বাঁচা থাকাটা কার জন্য হতে পারে, আমাদের এখানকার একটি মেয়ে নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। এক মার্কিন সৈন্য তাকে সম্ভ্রমহরণ করার পর তার বুকে প্রচণ্ড আঘাত করে, তাকে অত্যাচার করা হয়, তাকে এমন অত্যাচার করা হয় যা কল্পনাও করতে পারবেন না। এরপর মেয়েটি ওয়ালের সঙ্গে মাথা ঠুকে ঠুকে আত্মহত্যা করেছে। আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। মহান আল্লাহ্ও তাকে ক্ষমা করবেন বলে আশা রাখি। কারণ তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। আমরা ইরাকি মেয়েরা যা কখনো কল্পনা করতে পারেনি, অথচ সে রকম ভয়াবহ নিষ্ঠুর নিপীড়ন, অপমান আর লাঞ্ছনার শিকারে পরিণত হয়েছি। এর চেয়ে মর্মান্তিক কিছু হতে পারেনা। আর এর যন্ত্রণা কেউ কখনো ভাষায় প্রকাশ করতে পারেনা। কারাগারে প্রতি রাতেই আমাদের উপর নির্মম নিপীড়ন চালানো হয়। মার্কিন সৈন্য নামধারী পশুগুলোর নিষ্ঠুর নিষ্পেষণে আমর লাঞ্ছিত হচ্ছি প্রতিদিন এবং প্রতিরাত। নরপশুগুলো এসেই আমাদের শরীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চিড়ে খুঁড়ে খেতে চায় আমাদের। পশুগুলোর অত্যাচার থেকে একটি রাতও মুক্তি পাইনা আমরা। আমি আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি আপনারা আবু গরিব কারাগারে হামলা করুন। আমাদের সহ তাদেরকে ধ্বংস করে দিন।”

প্রসঙ্গত এ নিদারুণ আকুতি কী শুধু এক ইরাকের ফাতিমার?

ভারতের গুজরাটের নিষ্পেষিত আশরাফীর করুণ কাহিনী কে শুনবে?

শুধু এক আশরাফী নয় স্বীকৃত প্রতিবেদন মতেও এ ভারতে মুসলমান নর-নারীর উপর নির্যাতন ভয়াবহ, ভাষাহীন।

তেহেলকার ম্যাগাজিনের এক সাংবাদিক ২০০৭ সালে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে নির্যাতনকারী এক হিন্দু, একটি সাক্ষাৎকার ধারণ করে। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় ‘নারোদা পাতিয়া গণহত্যা’ (আহমেদাবাদ এলাকায়) চালাতে সে কিভাবে হিন্দুদের সংঘবদ্ধ করেছিল, সেই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকারে হিন্দুত্ববাদী বাজরাঙ্গি অতি আনন্দের সাথে তা বর্ণনা করে। বর্ণনা করে কিভাবে সে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বহু মুসলমানকে আগুনে পুড়িয়ে ও তরোয়ালে কেটে হত্যা করে। সেই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ অনুবাদ করে দেয়া হলো-

“কেটে টুকরা করা, পুড়িয়ে দেয়া, আগুন ধরানো অনেক কিছুই করা হলো, অনেক কিছুই। আসলে আমরা মুসলমানদের আগুনে পুড়াতেই বেশি পছন্দ করি, কারণ এই জারজরা তাদের দেহ মৃত্যুর পর চিতায় পুড়াতে চায় না।” নাঊযুবিল্লাহ!

উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ওই দাঙ্গায় অন্ততঃ ৪০০ মুসলিম মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। কয়েকশ মুসলিম মেয়ে এবং মহিলাকে হরণ এবং টেনে নিয়ে তাদের পরিবারের সামনেই তাদের বিবস্ত্র করা হয়, কয়েকশ হিন্দু নরপশু তাদের নোংরা কথা বলে অবমাননা করে, ভয় দেখায় সম্ভ্রমহরণ ও খুনের। তারা তাদের সম্ভ্রমহরণ ও গণসম্ভ্রমহরণ করে, লাঠি, ছুরি ইত্যাদি দিয়ে আঘাত করে। তদের স্তন কেটে দেয়া হয়, জরায়ু কেটে দেয়া হয় এবং তাদের যোনি পথে মারাত্মকভাবে কাঠের রড প্রবেশ করানো হয়। তদের অধিকাংশকেই টুকরো টুকরো কেটে ফেলা হয় অথবা আগুনে পুড়ে মারা হয়।

উগ্রবাদী হিন্দু সন্ত্রাসীরা ৫৬৩টি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তাছাড়া ওই দাঙ্গায় দশ লক্ষ মানুষকে গৃহহীন হতে হয় ।

‘আমরা মুসলিম ভাই ভাই’- কিছুদিন আগেও এ ছিল আমাদের চেতনা। ইসলামী ভ্রাতৃত্বের কথা উচ্চারিত হতো আমাদের ওয়াজে, কবিতায়, ক্বাছীদায়। কিন্তু এখন এসব কথা শোনা যায় না। কারণ এখন আমাদের চেষ্টা ‘অসাম্প্রদায়িক’ মুসলিম হওয়ার, এমনকি ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ মুসলিম হওয়ার।

এখন মুসলিম-সমাজে ‘সাম্প্রদায়িকতা’র প্রায়োগিক অর্থ হচ্ছে অমুসলিমদের বিষয়ে অতিসংবেদনশীলতা বরং চাটুকারিতা ও হীনম্মন্যতা। আর নিজের মুসলিম ভাইদের বিষয়ে জড়বস্তুর ন্যায় অনুভূতিহীনতা; বরং পাষাণসম হিংস্রতা ও বর্বরতা। অসাম্প্রদায়িকতার এ সংজ্ঞা পাওয়া যাবে আমাদের আচরণে ও উচ্চারণে, যার অজস্র দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে আছে আমাদের সমাজ-জীবনের পাতায় পাতায়।

তেমনি মুসলিম-সমাজে ধর্মনিরপেক্ষতার বাস্তব অর্থ, পৌত্তলিক সমাজের দেব-দেবীকে আমাদের দেবী বলে বরণ করা, ‘হিন্দুও নই, মুসলিম নই’ জাতীয় বাক্য উচ্চারণ করা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের স্কার্ফ পরিধানে বাধা দেয়া, ইসলামী বেশ-ভূষা গ্রহণকারীকে সন্ত্রাসী ও মৌলবাদী নামে আখ্যায়িত করা এবং মসজিদের একাংশ পৌত্তলিকদের পূজা-অর্চনার জন্য ছেড়ে দেয়ার কল্পিত ইতিহাস চর্চা করা।

এহেন অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চাও যখন মুসলিম সমাজে হয় তখন তো ‘ইসলামী ভ্রাতৃত্ব’ আমাদের চেতনা ও অনুশীলন থেকে বিলুপ্ত হওয়াই স্বাভাবিক।

অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নিশ্চয় মু’মিনগণ তো একে অপরের ভাই …।” (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০)

আর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেন এ কুরআনী চেতনাকে উপমা দ্বারা বুঝিয়েছেন-

“আপনি মু’মিনদের দেখবেন, নিজেদের মাঝে প্রীতি ও করুণায় তারা যেন এক দেহ। যে দেহের এক অঙ্গে ব্যথা হলে সকল অঙ্গ (যেন) একে অপরকে ডেকে জ্বর ও রাত্রি জাগরণে লিপ্ত হয়ে পড়ে।” (সহীহ বুখারী শরীফ, সহীহ মুসলিম শরীফ)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মুসলিমগণ সকলে মিলে যেন একটি মানুষ- যার চোখে ব্যথা হলে গোটা দেহ অস্থির হয়, মাথায় ব্যথা হলেও গোটা দেহ অস্থির হয়।” (সহীহ মুসলিম শরীফ)

প্রসঙ্গত, ইসলামী ভ্রাতৃত্ব হলো আদর্শিক ভ্রাতৃত্ব। ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী এবং বাস্তব জীবনে তার অনুশীলনের মাধ্যমে এই ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ইসলামী ভ্রাতৃত্ব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন, “একজন মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে তাকে অত্যাচার করবেনা এবং তাকে শত্রুর কাছে সমর্পণও করবে না।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)।

মূলত, সম্মানিত ইসলামী ভ্রাতৃত্ব সম্মিলিত শক্তিমত্তার এক বিপুল সমন্বয়। একজন মুসলমান অপর মুসলমানের সঙ্গে প্রীতি ও প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকেন। মনে হয় যেন তাদের মধ্যে কোন শঠতা বা প্রতারণা নেই। সকলে সম্মানিত ইসলামী ভ্রাতৃত্বের রুজ্জু আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। ফলে সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ মু’মিনগন অপদস্থ, পরাজিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হন না।

সম্মানিত ইসলামী ভ্রাতৃত্বের এ ঐক্য ও শক্তি বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের শক্তিমত্তায় পরিণত হতে পারে। এ মর্মে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, “তোমরা সকলে মহান আল্লাহ পাক উনার রুজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরো, আর তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মু’মিন মুসলমানগণ প্রাসাদের ন্যায় পরস্পর মিশে থাকে। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুই আঙ্গুলের মধ্যখান দেখালেন।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)।

বলার অপেক্ষা রাখে না, আজ ৫০টির অধিক মুসলিম দেশ এবং ৩৭০ কোটি মুসলমান উনাদের মাঝে যদি সম্মানিত ইসলামী ভ্রাতৃত্ব থাকতো তাহলে আজ একটা মুসলমানও নিপীড়িত হতো না বরং মুসলমানরাই সারা বিশ্বে বীরদর্পে কর্তৃত্ব করতো।

-মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৪

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৩

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস