বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৪ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

সংখ্যা: ১৯৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-   ১. কাদিয়ানী ২. শিয়া, ৩. ওহাবী।

ওহাবী বাতিল ফিরক্বা

বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান-আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে- ‘ওহাবী ফিরক্বা’। অর্থাৎ ইবনে ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের খিলাফ।

ইবনে ওহাব ইহুদী দালাল

ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের স্বীকারোক্তি

শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “Confession of British Spy and British enmity against Islam” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তিমূলক রচনা। মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মতামত বিভাগে ১২৪তম সংখ্যা থেকে ১৭৭তম সংখ্যায় তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো-

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

ইবনে ওহাবের সাথে হ্যামপারের বন্ধুত্ব

মিঃ হ্যামপার বলেন, যা হোক আমি ইবনে ওহাবের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে নিলাম। এতে আমাদের বন্ধুত্ব অস্বাভাবিকভাবে দৃঢ় হল। আমি বার বার তাঁকে এ কথা শুনাতাম আল্লাহ আপনাকে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর চেয়ে বেশি উপযুক্ত করে বানিয়েছেন ও তাঁদের তুলনায় বেশি সম্মান ও সাহায্য প্রদান করেছেন। আপনি যদি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সমসাময়িক লোক হতেন, তবে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারতেন। আমি সব সময় আশা ভরা সুরে তাকে বলতাম আমি চাই ইসলামে যে বিপ্লব সাধিত হবে, তা আপনার দ্বারাই হোক। আপনি এমন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি যে, একমাত্র আপনিই ইসলামকে অবনতি হতে রক্ষা করতে পারেন, এ ব্যাপারে সকলের আশা আকাঙ্খা আপনার সাথে জড়িত। আমি ইবনে আব্দুল ওহাবের সাথে ঠিক করলাম আমরা দু’জন মজলিসে বসে উলামা, মুফাসসিরীন, ধর্মীয় নেতা, মাযহাব ও ছাহাবাদের থেকে ভিন্ন পন্থায় নতুন চিন্তা ধারার ভিত্তিতে কুরআন মজিদ সম্পর্কে আলোচনা করব। আমি কুরআন পড়তাম আর আয়াতের অর্থ সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতাম। আমার কর্মতৎপরতার উদ্দেশ্যে ছিল যে কোন প্রকারে তাকে ইংরেজ উপনিবেশবাদী সংস্থার ফাঁদে জড়িয়ে দেয়া। আমি ক্রমে ক্রমে এ উচ্চাভিলাষী, আত্মপূজারী লোকটিকে জড়িয়ে ফেলতে লাগলাম। এমনকি তিনি বাস্তবতার উর্ধ্বে স্বাধীনচেতা হওয়ার চেষ্টা করতে লাগলেন। একদিন তাকে জিজ্ঞেস করলাম: জিহাদ করা কি ওয়াজিব? তিনি বললেন অবশ্যই। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। আমি বললাম, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন কাফির ও মুনাফিক উভয়ের সাথে যুদ্ধ কর। আর কাফির ও মুনাফিকদের সাথে যুদ্ধ করা ওয়াজিব তাহলে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেন মুনাফিকদের সাথে যুদ্ধ করেননি। ইবনে আব্দুল ওহাব: জিহাদ শুধু যুদ্ধের ময়দানে নয়, বরং রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ চলাফেরা কথাবার্তার দ্বারা মুনাফেকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আমি বললাম: তাহলে এ অবস্থায় কাফিরদের সাথেও কথাবার্তা ও চলাফিরার দ্বারা যুদ্ধ করা ওয়াজিব। তিনি বললেন: না পয়গম্বর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধের ময়দানে তাদের সাথে জিহাদ করেছেন। আমি বললাম, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফিরদের সাথে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ করেছেন। কেননা কাফেরগণ তাঁর জানের দুশমন ছিল। ইবনে আব্দুল ওহাব ও এ কথার উপর মাথা নাড়ালেন। আমি বুঝতে পারলাম, আমার কাজে আমি সফল হয়েছি।

 -মুহম্মদ আবুল হাসান, বাসাবো, ঢাকা।

 

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১