‘জরাসন্ধ’ তার ‘লৌহকপাটে’ লিখেছেন, “এক বিদেশি অপরাধ বিশেষজ্ঞ দেশের বিভিন্ন কারাগারের আসামিদের পর্যবেক্ষণ করে মন্তব্য করেছিলেন, তোমাদের এখানে যারা আছে তারা সব ছিঁচকে অপরাধী। অপরাধ বিজ্ঞান তত্ত্ব অনুযায়ী স্বভাবজাত অপরাধী বলতে যা বোঝায়, তা তোমাদের দেশে নেই।”
‘জরাসন্ধের’ বর্ণিত প্রেক্ষাপট এখন কতটুকু বদলেছে তা গত কয়েকদিনের পত্র-পত্রিকায় বহুল আলোচিত কুখ্যাত খুনি রসু খাঁর একের পর এক হত্যার লোমহর্ষক বিবরণ পড়ে মালুম করা যায়।
গত ১৮ই অক্টোবর/০৯ ঈসায়ী তারিখের ‘দৈনিক মানবজমিন’ পত্রিকায় হেডিং হয়েছে,
“রিমান্ডে রসু’র দম্ভোক্তি ॥ ছেড়ে দিয়ে দেখেন কিভাবে খুন করি।”
খবরে বলা হয়: “যদি বিশ্বাস না হয় ছেড়ে দিয়ে সুযোগ দিন আমি প্রমাণ করে দিব কিভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীদের বশে আনতে পারি। কিভাবে ফুসলিয়ে নিজের কব্জায় নিয়ে তাদের হত্যা করি। সিরিয়াল কিলার রসু খাঁ রিমান্ডে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলে। রসুর দাবি, নারী বশে আনতে আমিই দেশসেরা। আর এ কাজে আমাকে প্ররোচিত করেছে এক ছলনাময়ী নারী। ওই সুন্দরীর জন্যই আজ আমি খুনি রসু। রিমান্ডে রসু বিভিন্ন সময়ে খুনের কাজে তার ১২ সহযোগীর নামও প্রকাশ করেছে। জানিয়েছে, সিরিয়াল কিলিং সম্পর্কে অজানা অনেক কথা। ….
…. রসু বলে, ভয়ে কেউ ঘুম থেকে এত রাতে উঠবে না তাই নিরাপদ স্থান হিসেবে শ্মশানের কাছের পুকুরকে বেছে নিয়েছি। পুকুরে যে মেয়েটি মেরেছি তার নাম মেহেদি। তার বাড়ি রংপুরের গোবিন্দগঞ্জে। রসু খাঁ তার খুনের বর্ণনায় বলে, ডাক্তার শংকর দেবের বাড়ির পুকুর পাড়ে মেহেদীকে নিয়ে কিছু সময় বসার পর মেহেদীর হাত-পা বেঁধে পিঠে উঠিয়ে নেয়। পুকুরে মেহেদীকে ডুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চুবিয়ে রাখি। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শ্মশানের ঝোঁপের কাছে মেহেদীর লাশ ফেলে রেখে চলে যাই। অপরদিকে সোবহানপুরের ডাকাতিয়ার পাড়ে যে মেয়েটিকে এনে রসু খাঁ হত্যা করেছিল ওই মেয়েটি ঢাকা এয়ারপোর্টের সাহিদা। ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে আনা সাহিদা ছিল বোরকা পরিহিত। সে তাকে রুটি, কলা, বিস্কুট খেতে দেয়। পরে সে তাকে কৌশলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই দিন গভীর রাতে সে সাহিদাকে
ডাকাতিয়া নদী দেখিয়ে বলে, তোমাকে নিয়ে এই খালটা পার হবো। সাহিদাকে কোলে নিয়ে নদী পার হতে গিয়ে চুবিয়ে হত্যা করে রসু।”
অপরদিকে খুনি রসু খাঁর পাশাপাশি আরো একটি পৈশাচিক অপরাধীর দম্ভোক্তি ১৮ই অক্টোবর/০৯ ঈসায়ী তারিখের সব পত্রিকায় হাইলাইট হয়েছে।
একই দিনের ‘দৈনিক ইনকিলাব’ পত্রিকায় হেডিং হয়েছে:
“কলেজ ছাত্রীকে হোটেলে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ ॥ ধনীর দুলাল গ্রেফতার। ধর্ষকের পিতার আস্ফালন, টাকায় থানা-পুলিশ-আদালত কেনা যায়।”
খবরে বলা হয়: “টাকা দিলে বাংলাদেশে থানা-পুলিশ, আদালত সব কেনা যায়। শাহবাগ থানায় এক ধর্ষকের পিতা এসে এভাবেই ধর্ষিতার পরিবারকে পুলিশের সামনে এসে শাসিয়ে যায়। মডেলিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিরপুরের এক কলেজের ছাত্রীকে হোটেলে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে রিয়াদ নামের এক ধনীর দুলালকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।” (দৈনিক ইনকিলাব: ১৮ই অক্টোবর-২০০৯)
এদিকে একই দিনে ‘দৈনিক মানবজমিন’ পত্রিকায় হেডিং হয়: “মডেলিংয়ের অফার দিয়ে ৬৪ সুন্দরী ধর্ষণ।”
খবরে বলা হয়: “মডেলিং ও চাকরির লোভনীয় অফার ছিল রনির ফাঁদ। আর এ ফাঁদে একে একে আটকা পড়েছে ৬৪ নারী। সুন্দরী, আকর্ষণীয় যুবতীদের টার্গেট করেই এগোতো রনি। মডেলিং করলে রাতারাতি তারকা বনে যাবে এ লোভে সুন্দরীরা তার জালে ধরা দিতো। এভাবেই একে একে ৬৪ জনকে ধর্ষণ করেছে রনি। তবে ৬৩ জনকে ধর্ষণের খবর পর্দার আড়ালেই ছিল এতদিন। কিন্তু ধরা পরে ৬৪তম ধর্ষণের ঘটনায়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল আদালতের কাছে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তার পুরো নাম রিয়াদ মাহমুদ রনি। বাসা আরামবাগে। নির্দিষ্ট কোন ফার্ম না থাকলেও সে নিজেকে মডেল হিসেবেই পরিচয় দিতো। সুন্দরী মেয়ে দেখলে তাকে মডেলিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে কাবু করতো। কখনও কখনও প্রেম নিবেদন করতো। প্রেমের অভিনয় করে এ পর্যন্ত চারটি বিয়েও করেছে। তবে কারও সঙ্গে তার সংসার এক বছরের বেশি টেকেনি। সম্প্রতি নীলা নামের (ছদ্মনাম) (১৭) সুন্দরী এক মেয়েকে চাকরি দেয়ার নাম করে তার কাছাকাছি যায়। এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে।
জানা যায়, নীলার সঙ্গে তার পরিচয় দুই মাস আগে। তার বাসা মিরপুর এলাকায়। সে সরকারি বাংলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। প্রথম দেখেই নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় রনি। সে তা প্রত্যাখ্যান করলে পরিবারের মাধ্যমে রনি বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। রনি সেখানেও প্রত্যাখ্যাত হলে কেবল বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেয় নীলাকে। তখন ওই বন্ধুত্বের প্রস্তাব গ্রহণ করে নীলা। …
… ধর্ষিতা জানায়, রনি ধর্ষণের সময় বলছিল, তুই হলি ৬৪ নম্বর। এ রকম আরো ৬৩ জন আমার জীবনে এসেছে। চিৎকার করে লাভ হবে না।
… এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, রনি একজন মাদকাসক্ত। তার চারটি বিয়ের ব্যাপারও সে স্বীকার করেছে। পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি অনেক কিছুই বের করা যাবে।” (মানবজমিন: ১৮ই অক্টোবর-২০০৯)
উপরোক্ত দুই অপরাধীর স্বীকারোক্তিতে প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও এখন স্বভাবজাত খুনি ও ধর্ষক আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। যেটা এক সময় আমেরিকা-ইউরোপেই কল্পনা করা যেত।
কিন্তু এরশাদ শিকদার থেকে রসু খুনি
আর জাবি’র সেঞ্চুরি করা ধর্ষক থেকে ৬৪ ধর্ষক রনির দম্ভোক্তি
সে ভয়াবহ পৈশাচিকতার ঘনঘটাই প্রকাশ করে।
তবে একট জায়গায় রসু খাঁ এবং রনির হুবহু মিল রয়েছে।
রসু খাঁ বলেছে, ‘ যদি বিশ্বাস না হয় ছেড়ে দিয়ে সুযোগ দিন আমি প্রমাণ করে দিব কিভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীদের বশে আনতে পারি। কিভাবে ফুসলিয়ে নিজের কব্জায় নিয়ে তাদের হত্যা করি।’
অপরদিকে রনি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘মডেলিং ও চাকরির লোভনীয় অফার ছিল রনির ফাঁদ। আর এ ফাঁদে একে একে আটকা পড়েছে ৬৪ নারী। সুন্দরী, আকর্ষণীয় যুবতীদের টার্গেট করেই এগোতো রনি। মডেলিং করলে রাতারাতি তারকা বনে যাবে এ লোভে সুন্দরীরা তার জালে ধরা দিতো। এভাবেই একে একে ৬৪ জনকে ধর্ষণ করেছে রনি।’
এর বিপরীতে ধর্ষিতা নীলার জবানবন্দি এক্ষেত্রে আলোচ্য বিষয়-
“জানা যায়, নীলার সঙ্গে তার পরিচয় দুই মাস আগে। তার বাসা মিরপুর এলাকায়। সে সরকারি বাংলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। প্রথম দেখেই নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় রনি। সে তা প্রত্যাখ্যান করলে পরিবারের মাধ্যমে রনি বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। রনি সেখানেও প্রত্যাখ্যাত হলে কেবল বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেয় নীলাকে। তখন ওই বন্ধুত্বের প্রস্তাব গ্রহণ করে নীলা। গত ১৪ই অক্টোবর নীলাকে একটি বিদেশী কোম্পানিতে ভাল চাকরি দেয়ার অফার দেয় রনি। এজন্য পরদিন তাকে জীবন বৃত্তান্ত ও তিন কপি ছবিসহ রাজধানীর জিপিও মোড়ে যেতে বলে। তার কথামতো সেখানে গেলে নীলাকে সে পীর ইয়ামেনী ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে নিয়ে যায়। পরে হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে তাকে ধর্ষণ করে রনি।
ধর্ষিতা নীলা জানায়, হোটেলের কোন কক্ষে যেতে হলে অতিথিদের ফরম পূরণ করতে হয় বলে তাকে দিয়ে ফরম পূরণ করিয়ে নেয়। হোটেলের ৫০৫ নম্বর কক্ষে আরো দু’জন অপেক্ষা করছিল। রুমে ঢুকলে তাকে কুপ্রস্তাব দেয় তারা। এতে সে ক্ষেপে গেলে দ্রুত পালিয়ে যায় ওরা। পরে তাকে রনি জানায়, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে হোটেলে রুম বুক করেছে সে। তাই গলা ফাটিয়ে চিৎকার করলেও কেউ আসবে না। এরপর তাকে সে ধর্ষণ করে।
নীলা আরো জানায়, সবকিছুই সে মোবাইলে রেকর্ড করে। এক সময় সে বাইরে থেকে রুম লক করে বেরিয়ে যায়। এ সময় চিৎকার করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে রুমে ফিরে গিয়ে রনি তাকে জানায়, মোবাইলের ভিডিও চিত্র সে অন্য মোবাইলে ট্রান্সফার করে দিয়েছে। তার কথামতো কাজ না করলে সে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে। এভাবেই চলে তার ওপর রাতভর যৌন নিপীড়ন।
নীলা জানায়, শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে তাকে নিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে আসে রনি। পরে আবার তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার নাম করে অন্যত্র নিয়ে যেতে চাইলে সে অস্বীকৃতি জানায়। তখন ট্যাক্সিক্যাবেই আবার নির্যাতন শুরু করে। এক সময় কাঁচি দিয়ে চুল ও চোখের ভ্রু কাটতে শুরু করে। মালিবাগ মোড়ের কাছাকাছি এসে সে চিৎকার শুরু করলে পথচারীরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে তাকে। পরে পথচারীরা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।”
বলাবাহুল্য, ধর্ষিতা নীলার জবানবন্দীর কয়েকটি দিক আজকের প্রেক্ষাপটে বিশেষ পর্যালোচনাযোগ্য।
‘বিয়ে’ নয়,
‘প্রেম’ নয়;
‘বন্ধুত্বের’ অফার গ্রহণ।
উল্লেখ্য, সনাতন বিয়ে বন্ধন দর্শন আজ নীলাদের কাছে উপেক্ষিত।
বিয়ে করা স্বামীকে মানতে হবে একথা মানতে নীলারা নারাজ।
বরং বিবাহিত জীবনেও
প্রেম থাকতে পারে
বন্ধুত্ব থাকতে পারে
সে দর্শনে নীলারা বিশ্বাসী।
অপরদিকে বিবাহপূর্ব জীবনে প্রেমের নামে একজনের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকাও
এখন নীলাদের কাছে আর ভাল লাগছে না।
সেক্ষেত্রে প্রেমিক-প্রেমিকা সম্বোধনের বাইরেও
বল্গাহারা
বোহোমিয়ান জীবনের ভদ্রবেশি স্বীকৃতি ব্যক্ত করাতে
তাদের নতুন টার্ম হলো
‘বন্ধুত্ব’।
নীলার জবানবন্দিতে দেখা যায়-
‘বিয়ে’ নয়
‘প্রেম’ নয়
‘বন্ধুত্বের’ অফার গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে সে।
কিন্তু এসব নতুন নতুন
কু-প্রবণতা
কু-প্রচলন
কু-প্রবৃত্তির
সামাজিক স্বীকৃতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা
টের পাচ্ছেনা
সচেতন হচ্ছে না
ব্যবস্থা নিচ্ছে না
বর্তমানে এদেশের অভিভাবকগণ।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতি
ভারতীয় সংস্কৃতির
বিপণনকারীদের ফাঁদে পড়া বাংলাদেশী সমাজ।
এক সপ্তাহও পার হয়নি ওবামাকে তার সেনাবাহিনীর ভিতর সমকামীদের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হতে হয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
সমকামীদের বিয়ের স্বীকৃতি দিতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াসহ আরো কিছু দেশকে।
বলাবাহুল্য, এ পাশবিক চেতনার শুরু হয়েছিলো বয়ফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ড থেকেই।
বয়ফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ড সূত্র ধরেই; রনি বর্ণিত নীলাসহ ধর্ষণ করেছে ৬৪ জনকে।
আর এই বন্ধুত্বের ছলনায়ই রসু শুধু ধর্ষণেই সীমাবদ্ধ থাকেনি;
একের পর এক খুন করে গেছে নির্বিচারে।
সঙ্গতকারণেই বলতে হয়-
মডেলিং
গান
নিত্য
অভিনয়
অ্যালবাম বের করা
ফটো লাক্স সুন্দরীসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার নামে সুন্দরী অšে¦ষণ করা
এসব কর্মকা-কে যারা ঘৃণার চোখে দেখছেন না
খুনি রসু
এবং
ধর্ষক রনি
তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, কোন্ পথে
তারা এগুচ্ছেন।
অথবা যে পথে তারা রয়েছেন-
তার ভিতরটা কত ভয়াবহ?
কত পৈশাচিক?
বলাবাহুল্য, এরকম চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর কোন দরকার শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এ জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো প্রয়োজন ছিলো না।
আজকে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অধিকার বাস্তবায়নের জন্য অনেক শক্ত শক্ত কথা বলা হচ্ছে।
জোরদার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এমনকি শতকরা এক ভাগেরও নি¤েœ অবস্থানকারী আদিবাসীদের ধর্ম পালনের ব্যাপারেও সরকার অতি মাত্রায় সক্রিয়।
যদি তাই হয়ে থাকে-
* তবে দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান ইসলাম পালন করবে
* মুসলমান কুরআন শরীফ-এ ঘোষিত পর্দা পালন করবে;
সে ব্যাপারে
এত বাধা কেন?
এত তীর্যক বাক্যবান কেন?
এত সমালোচনা কেন?
এত বিদ্রুপ কেন?
এত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা কেন?
ইহুদী-খ্রিস্টানদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলা কেন?
বলাবাহুল্য,
শুধু ধর্ম বা দ্বীন হিসেবে ইসলাম পালনের জন্য
অথবা
কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ পালনের জন্যই
মুসলমানদেরই পর্দা পালন আবশ্যক নয়-
পাশাপাশি রসু খাঁর মত ভয়ঙ্কর খুনি আর রনির মত পিশাচ ধর্ষকের হাত থেকে বাঁচার জন্যও সমাজের সর্বস্তরে পর্দার প্রচলন আবশ্যক।
সমাজের প্রতিটি মানুষ একথা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন ততই তাদের জন্য মঙ্গল।
কারণ, তারা প্রত্যেকেই এর মুখাপেক্ষী।
-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০