খছায়িলুহূ মাহমূদাহ, শাফায়াতুহূ মাক্ববূলাহ, হুজ্জাতুহূ সাত্বিয়াহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে মীলাদ শরীফ ও তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠের সংক্ষিপ্ত নিয়ম

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

  اِنَّ اللّٰهَ وَمَلٰئِكَتَه يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِىّ يٰاَيُّهَا الَّذِينَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ  وَسَلِّمُوْا تَسْلِيمًا ۝

অনুবাদ: নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক এবং তাঁর ফেরেশতা আলাইহিমুস্ সালামগণ হযরত নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত তথা দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে মু’মিনগণ! তোমরাও হযরত নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত তথা দরূদ শরীফ পাঠ করো এবং সালাম প্রেরণ করো প্রেরণ করার মত। (সূরাতুল আহযাব ৫৬ নম্বর আয়াত শরীফ)

নামাযের ন্যায় পাক-পবিত্র স্থানে মীলাদ শরীফ মাহ্ফিলের আয়োজন করতে হবে এবং সে জায়গাটি সুগন্ধি তথা আগরবাতি, আতর ও গোলাপের পানি দ্বারা খোশবুযুক্ত করে নিতে হবে। উপস্থিত শ্রোতামণ্ডলী মনোযোগ সহকারে চুপ করতঃ মাওলানা ছাহেব যা পাঠ করবেন তা গভীর মনোযোগের সাথে শ্রবণ করতে থাকবেন। আর যেখানে সকলেই সম্মিলিতভাবে পাঠ করা প্রয়োজন সেখানে সম্মিলিতভাবে পাঠ করবেন।

 

মীলাদ শরীফ শুরু করার তরতীব اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ ۝    ﷽۝

 لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ اَنفُسِكُمْ عَزِيْزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوْفٌ رَّحِيمٌ ۝     َاِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِىَ اللهُ لَا اِلٰـهَ اِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ۝

مَا كَانَ مُحَمَّدٌ اَبَا اَحَدٍ مِّنْ رِّجَالِكُمْ وَلٰكِنْ رَّسُولَ اللّٰهِ وَخَاتَمَ النَّبِيّٖنَ  وَكَانَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيْمًا ۝     اِنَّ اللّٰهَ وَمَلٰئِكَتَه يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىّ يٰاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيمًا ۝

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا   مَوْلٰناَ رَسُوْل ِاللهِ

وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا   مَوْلٰناَ حَبِيْبِ اللهِ.

অনুবাদ: তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, তোমাদের  দুঃখণ্ডকষ্ট তাঁর কাছে বেদনাদায়ক, তিনি তোমাদের ভালাই চান, মু’মিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।  এরপরেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দিন আল্লাহ পাকই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ (উপাস্য) নেই। আমি তারই ভরসা করি এবং তিনিই সুমহান আরশে পাক-এর অধিপতি। (সূরাতুত্ তাওবাহ ১২৮, ১২৯ নম্বর আয়াত শরীফ)

রসূলুনা নাবিয়্যূনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের কোন পুরুষের (প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির) পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহ পাক-এর রসূল এবং সর্বশেষ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ পাক প্রত্যেক বিষয়েই জানেন। (সূরাতুল আহযাব ৪০ নম্বর আয়াত শরীফ)

নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক এবং তাঁর ফেরেশতা আলাইহিমুস্ সালামগণ হযরত নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত তথা দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে মু’মিনগণ! তোমরাও হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত তথা দরূদ শরীফ পাঠ করো এবং সালাম প্রেরণ করো প্রেরণ করার মত। (সূরাতুল আহযাব ৫৬ নম্বর আয়াত শরীফ)

তারপর সবাই মিলে অত্যন্ত মুহব্বতের সাথে নিম্নোক্ত ছলাত বা দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন-

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا  مَوْلٰناَ رَسُوْل ِاللهِ

وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا  مَوْلٰناَ حَبِيْبِ اللهِ.

আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মাওলানা রসূলিল্লাহ॥

ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মাওলানা হাবীবিল্লাহ।

 

মীলাদ শরীফের ক্বাছীদা শরীফ

 

অতঃপর মীলাদ শরীফ পরিচালনাকারী ছলাত তথা দুরূদ শরীফ পাঠের মাঝে মাঝে নিম্নোক্ত ক্বাছীদা শরীফসমূহ পাঠ করবেন-

তাশরীফ এনে নূর নবীজী, কিসের সিজদা করিলেন,

সিজদায় পড়ে নূর নবীজী উম্মত বলে কাঁদিলেন। আল্লাহুম্মা …

এমন নবীজী পাইলাম মোরা যেই নবীজীর নাই তুলনা

তাঁহার উপর ছলাত পড়েন স্বয়ং আল্লাহ রব্বুনা। আল্লাহুম্মা …

কুল-মাখলূক্বাত সবাই বলে, আজকে মোদের ঈদের দিন

এ ধরাতে তাশরীফ আনলেন, রহ্মতুল্লিল আলামীন। আল্লাহুম্মা …

পিতা- মাতা ছিলেন তাঁহার, হাবীব ও মাহবূব আল্লাহ্র

এমন ঘরে তাশরীফ আনলেন, শ্রেষ্ঠ নবী মুনাওওয়ার। আল্লাহুম্মা …

মদীনাতে থেকে নবীজী, মোদের ছলাত শুনতে পান

ছলাত পড়ুন অহঃনিশি হাবীব মোদের জানের জান।  আল্লাহুম্মা …

অতঃপর নিম্ন বর্ণিত “তাওয়াল্লূদ শরীফ” পাঠ করতঃ ক্বিয়াম করে বা দাঁড়িয়ে  নিম্নে বর্ণিত “সালাম” পেশ করবেন।

 

“আরবী তাওয়াল্লুদ শরীফ”

نَحْمَدُه  وَنُصَلِّى ْعَلٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ

وَلَـمَّا تَمَّ مِنْ حَمْلِهٖ صَلَّى اَللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهْرَانِ عَلٰى مَشْهُوْرِ الْاَقْوَالِ الْـمَرْوِيَّةِ، تُوُفِّـىَ بِالْـمَدِيْنَةِ الْـمُنَوَّرَةِ الشَّرِيْفَةِ اَبُوْهُ ذَبِيْحُ اللهِ الْمُكَرَّمُ حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكَانَ قَدِ اجْتَازَ بِاَخْوَالِهٖ بَنِىْ عَدِىِّ مِّنَ الطَّائِفَةِ النَّجَّارِيَةِ، وَمَكَثَ فِيْهِمْ شَهْرًا سَقِيْمًا يُّعَانُوْنَ سُقْمَهٗ وَشَكْوَاهُ،

 وَلَـمَّا تَمَّ مِنْ حَمْلِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الرَّاجِحِ تِسْعَةُ اَشْهُرٍ قَمَرِيَّةٍ، وَاٰنَ لِلزَّمَانِ اَنْ يَّنْجَلِىَ عَنْهُ صَدَاهُ، حَضَرَتْ سَيدَةَ نِسَاءِ الْعَالَمِيْنَ اُمَّهٗ صَلى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ مَوْلِدِهٖ  حَضَرَتْ حَواءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَضَرَتْ سَارةُ عَلَيْهَا الْسلَامُ حَضَرَتْ اٰسِيَةُ عَلَيْهَا السلَامُ حَضَرَتْ مَرْيَمُ عَلَيْهَا السَّلَامُ  فِىْ نِسْوَةٍ مِّنَ الْحَظِيْرَةِ الْقُدْسِيَّةِ، وَاَخَذَهَا الْمَخَاضُ فَوَلَدَتْهُ سَيِّدَ الْمُرْسَلِيْنَ اِمَامَ الْمُرْسَلِيْنَ خَاتَمَ النَّبِيّنَ وَالنُّوْرَالْمُجَسَّمَ حَبِيْبَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُوْرًا يَّتَلَاْ  لَاُسِنَاهُ.

صَلَّى اللهُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ + صَلى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

صَلَّى اللهُ عَلٰى  حَبِيْبِ اللهِ + صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلمَ

يَا نَبِىِ سَلَامُ عَلَيْكَ+ يَا حَبِيْبِ  سَلَامُ عَلَيْكَ

يَا رَسُوْلِ سَلَامُ عَلَيْكَ+ صَلٰوٰ تُ اللهِ عَلَيْكَ

তায়াল্লুদ শরীফের অনুবাদ: “মশহুর তথা অধিক প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে, যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সম্মানিতা আম্মা হযরত আমিনা আলাইহাস্ সালাম-এর রেহেম শরীফে অবস্থানকাল দু’মাস পূর্ণ হলো, তখন তাঁর পিতা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম মদীনা মুনাওওয়ারা শরীফে বিছাল শরীফ লাভ করেন। যখন তিনি নাজ্জারিয়া গোত্রের বণী আদী বংশে তাঁর মামাগণের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, তখন তিনি তাঁর মামাগণের বাড়িতে রোগ নিরাময়ের জন্য একমাস থাকাবস্থায় সে রোগেই বিছাল শরীফ লাভ করেন।

রাজিহ তথা প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতে, যখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবস্থান কাল তাঁর মুহতারামা আম্মা আলাইহাস্ সালাম-এর রেহেম শরীফে চন্দ্র মাস সমূহের নয় মাস পূর্ণ হলো, তখনই তাঁর আনন্দের ফোয়ারা নিয়ে দুনিয়াতে তাশরীফ নেয়ার সময় নিকটবর্তী হলো আর তাঁর তাশরীফের রাত্রী মুবারকে তাঁর মুহতারামা আম্মা আলাইহাস্ সালাম-এর নিকট পবিত্র জান্নাত হতে হযরত হাওয়া আলাইহাস্ সালাম, হযরত সারাহ আলাইহাস্ সালাম, হযরত আছিয়া আলাইহাস্ সালাম ও হযরত মারইয়াম আলাইহাস্ সালাম জান্নাতী হুরগণসহ (আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইস্তিকবাল জানাতে) আগমন করেন। (সুবহানাল্লাহ)

যখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমনের সময় হলো, তখন দেখা গেলো, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উজ্জ্বল আলোকিত নূর হিসেবে যমীনে তাশরীফ আনলেন।” (সুবহানাল্লাহ)

তারপর সকলেই দাঁড়িয়ে মুহব্বতের সাথে নিম্নোক্তভাবে সালাম পেশ করবেন।

ক্বিয়ামের ক্বাছীদাহ শরীফ

ইয়া নবী সালামু আলাইকা, ইয়া রসূল সালামু আলাইকা

ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা, ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইকা।

আল্লাহ তায়ালারই পরে মাক্বামাত, সৃষ্টিরই উপরে দারাজাত

আরশে হাবীবের মুলাক্বাত, সেই নবীজী সাইয়্যিদুনা মুমাজ্জাদ। ইয়া নবী ..

আপনারই মুহব্বতে পড়ে, চোখ দিয়ে অশ্রু যে ঝরে

দেখা না দিলে অধমে, কি উপায় হবে আমারে। ইয়া নবী …

হাশরের কঠিনও মাঠে, ইয়া নফসী বলবে সকলে

কাওছারের পিয়ালা নিয়ে, নবীগো পিলাবেন উম্মতে। ইয়া নবী …

মুবারক দাঁত শহীদ উহুদে, রক্তে লাল শরীর তায়েফে

কত যে কষ্ট সহিলেন, তবু না ধ্বংস চাহিলেন। ইয়া নবী …

আপনি তো হাবীবও খোদার, মোরা তো উম্মত আপনার

ক্ষমা চাই ক্বদমে আপনার, পুলছিরাত করিয়েনও পার। ইয়া নবী …

ইয়া নবী ছলাতু সালাম নিন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলার,

ইয়া রসূল ছলাতু সালাম নিন আহলে বাইতের

ইয়া হাবীব ছলাতু সালাম নিন এই মাহফিলের

আমরা যে উম্মত আপনার। ইয়া নবী …

ক্বিয়াম শরীফের পর সবাই বসে পাঠ করবেন

 

ইয়া রব্বি ছল্লি ওয়া সাল্লিম দায়িমান আবাদান আবাদা কুল্লিহী বেজ আয় রব মেরে দুরূদ আওর সালাম বর গুযীদা নবী পর আপনি মুদাম।

بَلَغ َالْعُلٰى بِكَمَالِهٖ + كَشَفَ الدُّجٰى بِجَمَالِهٖ.

حَسُنَتْ جَمِيْعُ خِصَالِهٖ + صَلُّوْا عَلَيْهِ  وَاٰلِهٖ.

سَلِّمُوْا يَا قَوْمُ بَلْ صَلُّوْا عَلٰى صَدْرِ الْاَمِيْنِ.

مُصْطَفٰى مَا جَاءَ اِلَّا رَحْمَةً  لِّلْعٰلَمِيْنَ.

عَطِّرِ اللّٰهُمَّ قَبْرَه ُالْكَرِيْمَ +  بِعَرْفِ شَذِىِّ مِّنْ صَلٰوةٍ  وَّتَسْلِيْمٍ،

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلَيْهِ.

দুয়া ও মুনাজাত: দুয়ার পূর্বে ছওয়াব রেসানী করতে হয়।

ছওয়াব রেসানীর নিয়ম:

(১) ইস্তিগ্ফার তিনবার:

اَسْتَغْفِرُ اللهَ  رَبِّ  مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ وَّاَتُوْبُ اِلَيْهِ.

 (২) আঊযুবিল্লাহ ও বিস্মিল্লাহসহ সূরা ফাতিহা (আলহামদু শরীফ) একবার।

(৩) বিস্মিল্লাহসহ সূরা ইখলাছ (কুল হুয়াল্লাহু শরীফ) তিনবার।

(৪) ছলাত তথা দুরূদ শরীফ পাঁচ বার। অতঃপর মুনাজাত করবে।

মুনাজাতের শুরুতে, মাঝে ও শেষে দুরূদ শরীফ  পাঠ করা সুন্নত এবং দুয়া কবুল হওয়ার কারণ।

দুরূদ শরীফ-

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا  نَبِيِّنَا  شَفِيْعِنَا  حَبِيْبِنَا مَوْلٰناَ   رَسُوْلِنَا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ  وسَلَّمَ.

 অতঃপর নিম্নোক্ত আয়াত শরীফ পাঠের মাধ্যমে মুনাজাত শেষ করাও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।

سُبْحٰنَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ ۝     وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ  ۝       وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِينَ ۝

 

মাওলানা মুফতী মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে